নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিশ্ববাজারে তেল, গ্যাস ও কয়লার দাম অনেক কমে গেলেও কেন জ্বালানির অভাবে একের পর এক বাংলাদেশে বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. ইজাজ হোসেন। এর পেছনে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ব্যবস্থাপনায় সমস্যা দায়ী বলে তিনি মনে করেন।
বাজেট সামনে রেখে আজ সোমবার রাজধানীতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত নিয়ে এক সংলাপে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববাজারে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি), অপরিশোধিত তেল ও কয়লার দাম সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে সবচেয়ে কম। তারপরও সরকার কেন টাকার অভাবে জ্বালানি পণ্য ক্রয় করতে পারবে না?’
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন প্রকৌশল বিভাগের সাবেক অধ্যাপক বলেন, বিশ্ববাজারে প্রতি হাজার ঘনফুট এলএনজির দাম ৮-৯ ডলারে নেমে এসেছে। দাম কমতে কমতে এমন অবস্থায় নেমেছে, যে স্পট মার্কেটে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির চেয়ে কম দামে এলএনজি বিক্রি হচ্ছে।
ইজাজ হোসেন আরও বলেন, ‘প্রতি ব্যারেল তেল বিক্রি হচ্ছে ৭৫ ডলারে। অন্যদিকে কয়লার দাম কমে প্রতি টন ১৩০ ডলারে বিক্রি হচ্ছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন করার জন্য যে সমস্ত কাঁচামালের প্রয়োজন, সেগুলোর সবগুলোর দাম কমে গেছে। এই অবস্থায় বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনে কেন সমস্যা হতে পারে, তা আমার মাথায় ধরে না।’
কয়লার অভাবে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে একের পর এক বিদ্যুৎকেন্দ্র। রামপালের পর এবার কয়লার দাম পরিশোধ করতে না পারার কারণে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে দেশের সবচেয়ে বড় কয়লাভিত্তিক পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ডলার সংকটের কারণে পর্যাপ্ত কয়লা আমদানি করা যাচ্ছে না বলে এই সংকট। এটা কবে কাটবে তা অনিশ্চিত।
প্রতিমন্ত্রীর উদ্দেশে ড. ইজাজ বলেন, ‘বিশ্ববাজারে তেল, গ্যাস ও কয়লার দাম অনেক কমে গেছে। বাংলাদেশের জ্বালানি কেনার সক্ষমতা অর্জন করার জন্য আর কত বিশ্ববাজারে দাম কমতে হবে। আমাদের আশা করা উচিত না, বিশ্ববাজার জ্বালানি পণ্যের দাম সবকিছু আমাদের অনুকূলে আসবে। টাকার জন্য জ্বালানি পণ্য কেনা যাচ্ছে না—এ ধরনের কথা আমার কল্পনারও বাইরে।’
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে এখন যে সমস্যা আছে, সেগুলো মোকাবিলা করার জন্য আমাদের আরও ভালো ব্যবস্থাপনা দরকার বলে মত দেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. ইজাজ হোসেন।
‘আমাদের দেশে অনেক তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র আছে। এই তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো স্থাপন করা হয়েছে জরুরি ও বিশেষ প্রয়োজনে বিদ্যুৎ উৎপাদন করার জন্য। গ্যাস ও কয়লার দাম এত কমার পরও আপনারা কীভাবে এখনো তাপভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো চালাচ্ছেন।’
আসন্ন ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট সামনে রেখে রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে অংশীজনের জন্য চ্যালেঞ্জ ও প্রত্যাশা’ শীর্ষক সংলাপ আয়োজন করে জ্বালানিবিষয়ক প্রতিবেদকদের সংগঠন ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স বাংলাদেশ।
সংগঠনের সভাপতি মো. শামীম জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে সংলাপে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, পাওয়ার সেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ হোসেন ও ইনডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসার অ্যাসোসিয়েশনের (বিপ্পা) প্রেসিডেন্ট ফয়সাল খান সংলাপে অংশ নেন।
বিশ্ববাজারে তেল, গ্যাস ও কয়লার দাম অনেক কমে গেলেও কেন জ্বালানির অভাবে একের পর এক বাংলাদেশে বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. ইজাজ হোসেন। এর পেছনে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ব্যবস্থাপনায় সমস্যা দায়ী বলে তিনি মনে করেন।
বাজেট সামনে রেখে আজ সোমবার রাজধানীতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত নিয়ে এক সংলাপে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববাজারে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি), অপরিশোধিত তেল ও কয়লার দাম সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে সবচেয়ে কম। তারপরও সরকার কেন টাকার অভাবে জ্বালানি পণ্য ক্রয় করতে পারবে না?’
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন প্রকৌশল বিভাগের সাবেক অধ্যাপক বলেন, বিশ্ববাজারে প্রতি হাজার ঘনফুট এলএনজির দাম ৮-৯ ডলারে নেমে এসেছে। দাম কমতে কমতে এমন অবস্থায় নেমেছে, যে স্পট মার্কেটে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির চেয়ে কম দামে এলএনজি বিক্রি হচ্ছে।
ইজাজ হোসেন আরও বলেন, ‘প্রতি ব্যারেল তেল বিক্রি হচ্ছে ৭৫ ডলারে। অন্যদিকে কয়লার দাম কমে প্রতি টন ১৩০ ডলারে বিক্রি হচ্ছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন করার জন্য যে সমস্ত কাঁচামালের প্রয়োজন, সেগুলোর সবগুলোর দাম কমে গেছে। এই অবস্থায় বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনে কেন সমস্যা হতে পারে, তা আমার মাথায় ধরে না।’
কয়লার অভাবে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে একের পর এক বিদ্যুৎকেন্দ্র। রামপালের পর এবার কয়লার দাম পরিশোধ করতে না পারার কারণে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে দেশের সবচেয়ে বড় কয়লাভিত্তিক পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ডলার সংকটের কারণে পর্যাপ্ত কয়লা আমদানি করা যাচ্ছে না বলে এই সংকট। এটা কবে কাটবে তা অনিশ্চিত।
প্রতিমন্ত্রীর উদ্দেশে ড. ইজাজ বলেন, ‘বিশ্ববাজারে তেল, গ্যাস ও কয়লার দাম অনেক কমে গেছে। বাংলাদেশের জ্বালানি কেনার সক্ষমতা অর্জন করার জন্য আর কত বিশ্ববাজারে দাম কমতে হবে। আমাদের আশা করা উচিত না, বিশ্ববাজার জ্বালানি পণ্যের দাম সবকিছু আমাদের অনুকূলে আসবে। টাকার জন্য জ্বালানি পণ্য কেনা যাচ্ছে না—এ ধরনের কথা আমার কল্পনারও বাইরে।’
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে এখন যে সমস্যা আছে, সেগুলো মোকাবিলা করার জন্য আমাদের আরও ভালো ব্যবস্থাপনা দরকার বলে মত দেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. ইজাজ হোসেন।
‘আমাদের দেশে অনেক তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র আছে। এই তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো স্থাপন করা হয়েছে জরুরি ও বিশেষ প্রয়োজনে বিদ্যুৎ উৎপাদন করার জন্য। গ্যাস ও কয়লার দাম এত কমার পরও আপনারা কীভাবে এখনো তাপভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো চালাচ্ছেন।’
আসন্ন ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট সামনে রেখে রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে অংশীজনের জন্য চ্যালেঞ্জ ও প্রত্যাশা’ শীর্ষক সংলাপ আয়োজন করে জ্বালানিবিষয়ক প্রতিবেদকদের সংগঠন ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স বাংলাদেশ।
সংগঠনের সভাপতি মো. শামীম জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে সংলাপে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, পাওয়ার সেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ হোসেন ও ইনডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসার অ্যাসোসিয়েশনের (বিপ্পা) প্রেসিডেন্ট ফয়সাল খান সংলাপে অংশ নেন।
সাবেক সংসদ সদস্যদের নামে শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করা গাড়িগুলো নিলামের পরিবর্তে বিক্রির জন্য নতুন কৌশল অবলম্বন করবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
১ ঘণ্টা আগেপুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত একাধিক বহুজাতিক কোম্পানি গত অর্থবছরের মুনাফার তুলনায় বেশি পরিমাণ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এতে প্রশ্ন উঠছে, এই প্রতিষ্ঠানগুলো কি বাংলাদেশে তাদের পুনর্বিনিয়োগের আগ্রহ হারাচ্ছে? পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এটি সরাসরি একটি ‘বিনিয়োগ প্রত্যাহার’-এর কৌশল, যা দেশের অর্থনীতি...
১ দিন আগেযুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শুল্ক জটিলতা ও অস্থিরতা যখন নতুন চ্যালেঞ্জ, তখন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি আরও বেড়েছে বাংলাদেশের। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত ৫ মাসে বাজারটিতে রপ্তানি হয়েছে ৯৬৮ কোটি ৮ লাখ ৭০ হাজার ডলারের পণ্য, যা ২০২৪ সালের একই সময়ে ছিল ৮২৩ কোটি...
১ দিন আগেদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দরে টানা তিন অর্থবছর ধরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম রাজস্ব আদায় হয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এ ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২১৪ কোটি টাকা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ফল ও কৃষিপণ্য আমদানি বন্ধ থাকায় এবং দুই দেশের সম্পর্কের টানাপোড়েনে এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
১ দিন আগে