গনেশ দাস, বগুড়া
বগুড়া শহর থেকে ১৫ কিলোমিটার পশ্চিমে দুপচাঁচিয়া উপজেলার তালোড়া বন্দর। রেল যোগাযোগ থাকায় ব্রিটিশ আমলে সেখানে অ্যালুমিনিয়াম কারখানা প্রতিষ্ঠা করেন হীরালাল আগরওয়ালা। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর তিনি ভারতে চলে গেলে কারখানাটি মেসার্স খেতওয়াত অ্যালুমিনিয়াম ইন্ডাস্ট্রিজ নামে লুৎফর রহমান মোল্লা পরিচালনা শুরু করেন। এরপর পাকিস্তান আমলে তালোড়ায় ছোট-বড় আরও সাতটি অ্যালুমিনিয়াম কারখানা স্থাপিত হয়।
এসব কারখানায় তৈরি করা হতো হাঁড়িপাতিলসহ বিভিন্ন তৈজস। সেগুলো দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হতো। এসব কারখানায় কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন স্থানীয় অনেকে। কিন্তু গ্যাস না পাওয়া, শিল্পনগরীতে প্লট না থাকাসহ নানা সংকটে তালোড়ার ঐতিহ্যবাহী এ শিল্প বর্তমানে বিলুপ্তির পথে।
অ্যালুমিনিয়াম ব্যবসায়ী সূত্রে জানা গেছে, মেসার্স সৌরভ অ্যালুমিনিয়াম ওয়ার্কস নামের একটি কারখানা লোকসানের মধ্যেও টিকে আছে। সেখানে বিভিন্ন তৈজস তৈরি হয়। ছোট পাঁচটি কারখানা তালোড়াতে থাকলেও সেখানে তৈরি হয় খেলনাসামগ্রী।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্লাস্টিক, মেলামাইন ও সিরামিকের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে বাজার হারাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী অ্যালুমিনিয়ামের পণ্য। একসময় অ্যালুমিনিয়াম সামগ্রীর ব্যাপক কদর থাকলেও যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে টিকে থাকতে না পেরে এর চাহিদাও কমছে দিন দিন। পাশাপাশি কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধি আর গ্যাস-সংযোগের অভাবে বন্ধের পথে বগুড়ার অধিকাংশ কারখানা। কিছুদিন আগেও যে কারখানাগুলোয় কর্মব্যস্ত ছিল, সেগুলোও এখন বন্ধের পথে। তালোড়াসহ বগুড়া শহরের বিসিক শিল্পনগরীতে ছোট-বড় ৮০টির বেশি অ্যালুমিনিয়াম কারখানা ছিল একসময়। এর মধ্যে ২৫টি ছিল বড়। বড় কারখানাগুলোর মধ্যে এখন টিকে আছে একটি। আর ছোট ছোট কারখানা চালু আছে ৮ থেকে ১০টি। চালু থাকা কারখানাগুলোও এখন অস্তিত্বসংকটে ভুগছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২৪ বছরে ছোট-বড় প্রায় ৪০টি কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। বর্তমানে তালোড়ায় বড় কারখানাগুলোর মধ্যে সচল আছে সৌরভ অ্যালুমিনিয়াম। ১৯৯৬ সালে কারখানাটি চালু হয়। এ কারখানায় অ্যালুমিনিয়ামের বড় ডেকচি, সসপ্যান, হাঁড়িপাতিল, বালতি, কড়াইসহ নানা ধরনের তৈজস তৈরি হয়। নানামুখী সংকটের মধ্যেও চালু থাকা এই কারখানা এখন ধুঁকছে।
কারখানাটির ব্যবস্থাপক কার্তিক চন্দ্র সরকার বলেন, ‘শহরে গ্যাসচালিত কারখানা চালু হওয়ার কারণে আমাদের ব্যবসায় প্রথম ধাক্কা লাগে। এখানে গ্যাস সরবরাহ না থাকায় প্রধান জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয় ফার্নেস অয়েল। কয়েক বছর ধরে এই জ্বালানির দাম হু হু করে বেড়েছে। এতে আমাদের উৎপাদন খরচও বেড়েছে কয়েক গুণ। তাই আমরা শহরের কারখানার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারছি না। আবার বগুড়ায় বিসিক শিল্প এলাকায় আমাদের নামে কোনো প্লট বরাদ্দ না থাকায় স্থানান্তর করা সম্ভব হচ্ছে না।’
লোকসানের মুখে ২০১৫ সালের দিকে বন্ধ ঘোষণা করা হয় তালোড়ার রয়্যাল অ্যালুমিনিয়াম নামক আরেকটি কারখানা। চালু থাকা অবস্থায় কারখানাটিতে মাসে গড়ে ২১ হাজার কেজি অ্যালুমিনিয়ামের তৈজসপত্র তৈরি হতো। কারখানাটিতে কাজ করতেন শতাধিক শ্রমিক।
বগুড়া শহরের বিসিক এলাকায় প্রগতি মেটাল নামক অ্যালুমিনিয়াম কারখানায় কাজ করেন আব্দুর রহমান, কাকলি, হাজেরাসহ বেশ কয়েকজন শ্রমিক। তাঁরা বলেন, ‘একসময় আমরা কাজ করতাম তালোড়ায়। সেখানে একের পর এক কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে চলে আসি শহরে। কিন্তু আগের তুলনায় কাজের চাপ কম হওয়ায় এই পেশায় থেকে সংসার চলছে না। কারখানার মালিকেরা তাঁদের খরচ পোষাতে না পেরে মজুরি দিতেও হিমশিম খাচ্ছেন।’
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প করপোরেশন (বিসিক) বগুড়ার উপমহাব্যবস্থাপক মাহফুজুর রহমান বলেন, বিসিকের পক্ষ থেকে ছোট উদ্যোক্তাদের অল্প সুদে ঋণ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে উদ্যোক্তাদের যুগোপযোগী প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা করা হবে। বগুড়া উত্তরবঙ্গের মধ্যে শিল্পাঞ্চল। এখানে ব্যবসায়ীর সংখ্যা অনেক। সেই অনুযায়ী প্লটের সংখ্যা সীমিত। ইচ্ছা থাকলেও সব প্রতিষ্ঠানকে প্লট দেওয়া যাচ্ছে না। তবে বগুড়ায় আরেকটি শিল্পনগরী হওয়ার প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে। সেটি চালু হলে অনেকেই প্লট পাবেন।
বগুড়া শহর থেকে ১৫ কিলোমিটার পশ্চিমে দুপচাঁচিয়া উপজেলার তালোড়া বন্দর। রেল যোগাযোগ থাকায় ব্রিটিশ আমলে সেখানে অ্যালুমিনিয়াম কারখানা প্রতিষ্ঠা করেন হীরালাল আগরওয়ালা। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর তিনি ভারতে চলে গেলে কারখানাটি মেসার্স খেতওয়াত অ্যালুমিনিয়াম ইন্ডাস্ট্রিজ নামে লুৎফর রহমান মোল্লা পরিচালনা শুরু করেন। এরপর পাকিস্তান আমলে তালোড়ায় ছোট-বড় আরও সাতটি অ্যালুমিনিয়াম কারখানা স্থাপিত হয়।
এসব কারখানায় তৈরি করা হতো হাঁড়িপাতিলসহ বিভিন্ন তৈজস। সেগুলো দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হতো। এসব কারখানায় কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন স্থানীয় অনেকে। কিন্তু গ্যাস না পাওয়া, শিল্পনগরীতে প্লট না থাকাসহ নানা সংকটে তালোড়ার ঐতিহ্যবাহী এ শিল্প বর্তমানে বিলুপ্তির পথে।
অ্যালুমিনিয়াম ব্যবসায়ী সূত্রে জানা গেছে, মেসার্স সৌরভ অ্যালুমিনিয়াম ওয়ার্কস নামের একটি কারখানা লোকসানের মধ্যেও টিকে আছে। সেখানে বিভিন্ন তৈজস তৈরি হয়। ছোট পাঁচটি কারখানা তালোড়াতে থাকলেও সেখানে তৈরি হয় খেলনাসামগ্রী।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্লাস্টিক, মেলামাইন ও সিরামিকের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে বাজার হারাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী অ্যালুমিনিয়ামের পণ্য। একসময় অ্যালুমিনিয়াম সামগ্রীর ব্যাপক কদর থাকলেও যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে টিকে থাকতে না পেরে এর চাহিদাও কমছে দিন দিন। পাশাপাশি কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধি আর গ্যাস-সংযোগের অভাবে বন্ধের পথে বগুড়ার অধিকাংশ কারখানা। কিছুদিন আগেও যে কারখানাগুলোয় কর্মব্যস্ত ছিল, সেগুলোও এখন বন্ধের পথে। তালোড়াসহ বগুড়া শহরের বিসিক শিল্পনগরীতে ছোট-বড় ৮০টির বেশি অ্যালুমিনিয়াম কারখানা ছিল একসময়। এর মধ্যে ২৫টি ছিল বড়। বড় কারখানাগুলোর মধ্যে এখন টিকে আছে একটি। আর ছোট ছোট কারখানা চালু আছে ৮ থেকে ১০টি। চালু থাকা কারখানাগুলোও এখন অস্তিত্বসংকটে ভুগছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২৪ বছরে ছোট-বড় প্রায় ৪০টি কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। বর্তমানে তালোড়ায় বড় কারখানাগুলোর মধ্যে সচল আছে সৌরভ অ্যালুমিনিয়াম। ১৯৯৬ সালে কারখানাটি চালু হয়। এ কারখানায় অ্যালুমিনিয়ামের বড় ডেকচি, সসপ্যান, হাঁড়িপাতিল, বালতি, কড়াইসহ নানা ধরনের তৈজস তৈরি হয়। নানামুখী সংকটের মধ্যেও চালু থাকা এই কারখানা এখন ধুঁকছে।
কারখানাটির ব্যবস্থাপক কার্তিক চন্দ্র সরকার বলেন, ‘শহরে গ্যাসচালিত কারখানা চালু হওয়ার কারণে আমাদের ব্যবসায় প্রথম ধাক্কা লাগে। এখানে গ্যাস সরবরাহ না থাকায় প্রধান জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয় ফার্নেস অয়েল। কয়েক বছর ধরে এই জ্বালানির দাম হু হু করে বেড়েছে। এতে আমাদের উৎপাদন খরচও বেড়েছে কয়েক গুণ। তাই আমরা শহরের কারখানার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারছি না। আবার বগুড়ায় বিসিক শিল্প এলাকায় আমাদের নামে কোনো প্লট বরাদ্দ না থাকায় স্থানান্তর করা সম্ভব হচ্ছে না।’
লোকসানের মুখে ২০১৫ সালের দিকে বন্ধ ঘোষণা করা হয় তালোড়ার রয়্যাল অ্যালুমিনিয়াম নামক আরেকটি কারখানা। চালু থাকা অবস্থায় কারখানাটিতে মাসে গড়ে ২১ হাজার কেজি অ্যালুমিনিয়ামের তৈজসপত্র তৈরি হতো। কারখানাটিতে কাজ করতেন শতাধিক শ্রমিক।
বগুড়া শহরের বিসিক এলাকায় প্রগতি মেটাল নামক অ্যালুমিনিয়াম কারখানায় কাজ করেন আব্দুর রহমান, কাকলি, হাজেরাসহ বেশ কয়েকজন শ্রমিক। তাঁরা বলেন, ‘একসময় আমরা কাজ করতাম তালোড়ায়। সেখানে একের পর এক কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে চলে আসি শহরে। কিন্তু আগের তুলনায় কাজের চাপ কম হওয়ায় এই পেশায় থেকে সংসার চলছে না। কারখানার মালিকেরা তাঁদের খরচ পোষাতে না পেরে মজুরি দিতেও হিমশিম খাচ্ছেন।’
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প করপোরেশন (বিসিক) বগুড়ার উপমহাব্যবস্থাপক মাহফুজুর রহমান বলেন, বিসিকের পক্ষ থেকে ছোট উদ্যোক্তাদের অল্প সুদে ঋণ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে উদ্যোক্তাদের যুগোপযোগী প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা করা হবে। বগুড়া উত্তরবঙ্গের মধ্যে শিল্পাঞ্চল। এখানে ব্যবসায়ীর সংখ্যা অনেক। সেই অনুযায়ী প্লটের সংখ্যা সীমিত। ইচ্ছা থাকলেও সব প্রতিষ্ঠানকে প্লট দেওয়া যাচ্ছে না। তবে বগুড়ায় আরেকটি শিল্পনগরী হওয়ার প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে। সেটি চালু হলে অনেকেই প্লট পাবেন।
সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চলতি মাসের ২৭ এপ্রিল থেকে কার্গো অপারেশন চালুর প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এ কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যালোচনায় আজ বিমানবন্দরটি পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া।
১৮ ঘণ্টা আগেচলতি মাসে উচ্চপর্যায়ের একটি জার্মান ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফর করেছে। এই সফরের উদ্দেশ্য ছিল দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক সম্প্রসারণের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা। এই প্রতিনিধিদলে জার্মান পররাষ্ট্র ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, দেশটির রপ্তানি ঋণ সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার কর্মকর
১ দিন আগেবিশ্বখ্যাত অডিট ফার্ম পিডব্লিউসি বিভিন্ন দেশ থেকে তাদের কার্যক্রম গুটিয়ে নিচ্ছে। বিশালাকার এই অ্যাকাউন্টিং ফার্মটির কর্তাব্যক্তিদের মতে, ছোট, ঝুঁকিপূর্ণ বা অলাভজনক বিবেচিত এক ডজনের বেশি দেশে ব্যবসা বন্ধ করেছে। কেলেঙ্কারির পুনরাবৃত্তি এড়াতেই তাদের এই পদক্ষেপ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল...
১ দিন আগেচলতি অর্থবছরের মাত্র তিন মাস বাকি থাকলেও বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নে এখনো খরচ করা বাকি রয়েছে ১ লাখ ৪৩ হাজার কোটি টাকা। পরিকল্পনা কমিশনের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) তথ্য বলছে, জুলাই-মার্চ পর্যন্ত ৯ মাসে খরচ হয়েছে ৮২ হাজার ৮৯৪ কোটি টাকা, যা মোট সংশোধিত এডিপির...
১ দিন আগে