গনেশ দাস, বগুড়া

বগুড়া শহর থেকে ১৫ কিলোমিটার পশ্চিমে দুপচাঁচিয়া উপজেলার তালোড়া বন্দর। রেল যোগাযোগ থাকায় ব্রিটিশ আমলে সেখানে অ্যালুমিনিয়াম কারখানা প্রতিষ্ঠা করেন হীরালাল আগরওয়ালা। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর তিনি ভারতে চলে গেলে কারখানাটি মেসার্স খেতওয়াত অ্যালুমিনিয়াম ইন্ডাস্ট্রিজ নামে লুৎফর রহমান মোল্লা পরিচালনা শুরু করেন। এরপর পাকিস্তান আমলে তালোড়ায় ছোট-বড় আরও সাতটি অ্যালুমিনিয়াম কারখানা স্থাপিত হয়।
এসব কারখানায় তৈরি করা হতো হাঁড়িপাতিলসহ বিভিন্ন তৈজস। সেগুলো দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হতো। এসব কারখানায় কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন স্থানীয় অনেকে। কিন্তু গ্যাস না পাওয়া, শিল্পনগরীতে প্লট না থাকাসহ নানা সংকটে তালোড়ার ঐতিহ্যবাহী এ শিল্প বর্তমানে বিলুপ্তির পথে।
অ্যালুমিনিয়াম ব্যবসায়ী সূত্রে জানা গেছে, মেসার্স সৌরভ অ্যালুমিনিয়াম ওয়ার্কস নামের একটি কারখানা লোকসানের মধ্যেও টিকে আছে। সেখানে বিভিন্ন তৈজস তৈরি হয়। ছোট পাঁচটি কারখানা তালোড়াতে থাকলেও সেখানে তৈরি হয় খেলনাসামগ্রী।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্লাস্টিক, মেলামাইন ও সিরামিকের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে বাজার হারাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী অ্যালুমিনিয়ামের পণ্য। একসময় অ্যালুমিনিয়াম সামগ্রীর ব্যাপক কদর থাকলেও যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে টিকে থাকতে না পেরে এর চাহিদাও কমছে দিন দিন। পাশাপাশি কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধি আর গ্যাস-সংযোগের অভাবে বন্ধের পথে বগুড়ার অধিকাংশ কারখানা। কিছুদিন আগেও যে কারখানাগুলোয় কর্মব্যস্ত ছিল, সেগুলোও এখন বন্ধের পথে। তালোড়াসহ বগুড়া শহরের বিসিক শিল্পনগরীতে ছোট-বড় ৮০টির বেশি অ্যালুমিনিয়াম কারখানা ছিল একসময়। এর মধ্যে ২৫টি ছিল বড়। বড় কারখানাগুলোর মধ্যে এখন টিকে আছে একটি। আর ছোট ছোট কারখানা চালু আছে ৮ থেকে ১০টি। চালু থাকা কারখানাগুলোও এখন অস্তিত্বসংকটে ভুগছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২৪ বছরে ছোট-বড় প্রায় ৪০টি কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। বর্তমানে তালোড়ায় বড় কারখানাগুলোর মধ্যে সচল আছে সৌরভ অ্যালুমিনিয়াম। ১৯৯৬ সালে কারখানাটি চালু হয়। এ কারখানায় অ্যালুমিনিয়ামের বড় ডেকচি, সসপ্যান, হাঁড়িপাতিল, বালতি, কড়াইসহ নানা ধরনের তৈজস তৈরি হয়। নানামুখী সংকটের মধ্যেও চালু থাকা এই কারখানা এখন ধুঁকছে।
কারখানাটির ব্যবস্থাপক কার্তিক চন্দ্র সরকার বলেন, ‘শহরে গ্যাসচালিত কারখানা চালু হওয়ার কারণে আমাদের ব্যবসায় প্রথম ধাক্কা লাগে। এখানে গ্যাস সরবরাহ না থাকায় প্রধান জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয় ফার্নেস অয়েল। কয়েক বছর ধরে এই জ্বালানির দাম হু হু করে বেড়েছে। এতে আমাদের উৎপাদন খরচও বেড়েছে কয়েক গুণ। তাই আমরা শহরের কারখানার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারছি না। আবার বগুড়ায় বিসিক শিল্প এলাকায় আমাদের নামে কোনো প্লট বরাদ্দ না থাকায় স্থানান্তর করা সম্ভব হচ্ছে না।’
লোকসানের মুখে ২০১৫ সালের দিকে বন্ধ ঘোষণা করা হয় তালোড়ার রয়্যাল অ্যালুমিনিয়াম নামক আরেকটি কারখানা। চালু থাকা অবস্থায় কারখানাটিতে মাসে গড়ে ২১ হাজার কেজি অ্যালুমিনিয়ামের তৈজসপত্র তৈরি হতো। কারখানাটিতে কাজ করতেন শতাধিক শ্রমিক।
বগুড়া শহরের বিসিক এলাকায় প্রগতি মেটাল নামক অ্যালুমিনিয়াম কারখানায় কাজ করেন আব্দুর রহমান, কাকলি, হাজেরাসহ বেশ কয়েকজন শ্রমিক। তাঁরা বলেন, ‘একসময় আমরা কাজ করতাম তালোড়ায়। সেখানে একের পর এক কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে চলে আসি শহরে। কিন্তু আগের তুলনায় কাজের চাপ কম হওয়ায় এই পেশায় থেকে সংসার চলছে না। কারখানার মালিকেরা তাঁদের খরচ পোষাতে না পেরে মজুরি দিতেও হিমশিম খাচ্ছেন।’
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প করপোরেশন (বিসিক) বগুড়ার উপমহাব্যবস্থাপক মাহফুজুর রহমান বলেন, বিসিকের পক্ষ থেকে ছোট উদ্যোক্তাদের অল্প সুদে ঋণ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে উদ্যোক্তাদের যুগোপযোগী প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা করা হবে। বগুড়া উত্তরবঙ্গের মধ্যে শিল্পাঞ্চল। এখানে ব্যবসায়ীর সংখ্যা অনেক। সেই অনুযায়ী প্লটের সংখ্যা সীমিত। ইচ্ছা থাকলেও সব প্রতিষ্ঠানকে প্লট দেওয়া যাচ্ছে না। তবে বগুড়ায় আরেকটি শিল্পনগরী হওয়ার প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে। সেটি চালু হলে অনেকেই প্লট পাবেন।

বগুড়া শহর থেকে ১৫ কিলোমিটার পশ্চিমে দুপচাঁচিয়া উপজেলার তালোড়া বন্দর। রেল যোগাযোগ থাকায় ব্রিটিশ আমলে সেখানে অ্যালুমিনিয়াম কারখানা প্রতিষ্ঠা করেন হীরালাল আগরওয়ালা। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর তিনি ভারতে চলে গেলে কারখানাটি মেসার্স খেতওয়াত অ্যালুমিনিয়াম ইন্ডাস্ট্রিজ নামে লুৎফর রহমান মোল্লা পরিচালনা শুরু করেন। এরপর পাকিস্তান আমলে তালোড়ায় ছোট-বড় আরও সাতটি অ্যালুমিনিয়াম কারখানা স্থাপিত হয়।
এসব কারখানায় তৈরি করা হতো হাঁড়িপাতিলসহ বিভিন্ন তৈজস। সেগুলো দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হতো। এসব কারখানায় কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন স্থানীয় অনেকে। কিন্তু গ্যাস না পাওয়া, শিল্পনগরীতে প্লট না থাকাসহ নানা সংকটে তালোড়ার ঐতিহ্যবাহী এ শিল্প বর্তমানে বিলুপ্তির পথে।
অ্যালুমিনিয়াম ব্যবসায়ী সূত্রে জানা গেছে, মেসার্স সৌরভ অ্যালুমিনিয়াম ওয়ার্কস নামের একটি কারখানা লোকসানের মধ্যেও টিকে আছে। সেখানে বিভিন্ন তৈজস তৈরি হয়। ছোট পাঁচটি কারখানা তালোড়াতে থাকলেও সেখানে তৈরি হয় খেলনাসামগ্রী।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্লাস্টিক, মেলামাইন ও সিরামিকের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে বাজার হারাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী অ্যালুমিনিয়ামের পণ্য। একসময় অ্যালুমিনিয়াম সামগ্রীর ব্যাপক কদর থাকলেও যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে টিকে থাকতে না পেরে এর চাহিদাও কমছে দিন দিন। পাশাপাশি কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধি আর গ্যাস-সংযোগের অভাবে বন্ধের পথে বগুড়ার অধিকাংশ কারখানা। কিছুদিন আগেও যে কারখানাগুলোয় কর্মব্যস্ত ছিল, সেগুলোও এখন বন্ধের পথে। তালোড়াসহ বগুড়া শহরের বিসিক শিল্পনগরীতে ছোট-বড় ৮০টির বেশি অ্যালুমিনিয়াম কারখানা ছিল একসময়। এর মধ্যে ২৫টি ছিল বড়। বড় কারখানাগুলোর মধ্যে এখন টিকে আছে একটি। আর ছোট ছোট কারখানা চালু আছে ৮ থেকে ১০টি। চালু থাকা কারখানাগুলোও এখন অস্তিত্বসংকটে ভুগছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২৪ বছরে ছোট-বড় প্রায় ৪০টি কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। বর্তমানে তালোড়ায় বড় কারখানাগুলোর মধ্যে সচল আছে সৌরভ অ্যালুমিনিয়াম। ১৯৯৬ সালে কারখানাটি চালু হয়। এ কারখানায় অ্যালুমিনিয়ামের বড় ডেকচি, সসপ্যান, হাঁড়িপাতিল, বালতি, কড়াইসহ নানা ধরনের তৈজস তৈরি হয়। নানামুখী সংকটের মধ্যেও চালু থাকা এই কারখানা এখন ধুঁকছে।
কারখানাটির ব্যবস্থাপক কার্তিক চন্দ্র সরকার বলেন, ‘শহরে গ্যাসচালিত কারখানা চালু হওয়ার কারণে আমাদের ব্যবসায় প্রথম ধাক্কা লাগে। এখানে গ্যাস সরবরাহ না থাকায় প্রধান জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয় ফার্নেস অয়েল। কয়েক বছর ধরে এই জ্বালানির দাম হু হু করে বেড়েছে। এতে আমাদের উৎপাদন খরচও বেড়েছে কয়েক গুণ। তাই আমরা শহরের কারখানার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারছি না। আবার বগুড়ায় বিসিক শিল্প এলাকায় আমাদের নামে কোনো প্লট বরাদ্দ না থাকায় স্থানান্তর করা সম্ভব হচ্ছে না।’
লোকসানের মুখে ২০১৫ সালের দিকে বন্ধ ঘোষণা করা হয় তালোড়ার রয়্যাল অ্যালুমিনিয়াম নামক আরেকটি কারখানা। চালু থাকা অবস্থায় কারখানাটিতে মাসে গড়ে ২১ হাজার কেজি অ্যালুমিনিয়ামের তৈজসপত্র তৈরি হতো। কারখানাটিতে কাজ করতেন শতাধিক শ্রমিক।
বগুড়া শহরের বিসিক এলাকায় প্রগতি মেটাল নামক অ্যালুমিনিয়াম কারখানায় কাজ করেন আব্দুর রহমান, কাকলি, হাজেরাসহ বেশ কয়েকজন শ্রমিক। তাঁরা বলেন, ‘একসময় আমরা কাজ করতাম তালোড়ায়। সেখানে একের পর এক কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে চলে আসি শহরে। কিন্তু আগের তুলনায় কাজের চাপ কম হওয়ায় এই পেশায় থেকে সংসার চলছে না। কারখানার মালিকেরা তাঁদের খরচ পোষাতে না পেরে মজুরি দিতেও হিমশিম খাচ্ছেন।’
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প করপোরেশন (বিসিক) বগুড়ার উপমহাব্যবস্থাপক মাহফুজুর রহমান বলেন, বিসিকের পক্ষ থেকে ছোট উদ্যোক্তাদের অল্প সুদে ঋণ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে উদ্যোক্তাদের যুগোপযোগী প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা করা হবে। বগুড়া উত্তরবঙ্গের মধ্যে শিল্পাঞ্চল। এখানে ব্যবসায়ীর সংখ্যা অনেক। সেই অনুযায়ী প্লটের সংখ্যা সীমিত। ইচ্ছা থাকলেও সব প্রতিষ্ঠানকে প্লট দেওয়া যাচ্ছে না। তবে বগুড়ায় আরেকটি শিল্পনগরী হওয়ার প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে। সেটি চালু হলে অনেকেই প্লট পাবেন।
গনেশ দাস, বগুড়া

বগুড়া শহর থেকে ১৫ কিলোমিটার পশ্চিমে দুপচাঁচিয়া উপজেলার তালোড়া বন্দর। রেল যোগাযোগ থাকায় ব্রিটিশ আমলে সেখানে অ্যালুমিনিয়াম কারখানা প্রতিষ্ঠা করেন হীরালাল আগরওয়ালা। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর তিনি ভারতে চলে গেলে কারখানাটি মেসার্স খেতওয়াত অ্যালুমিনিয়াম ইন্ডাস্ট্রিজ নামে লুৎফর রহমান মোল্লা পরিচালনা শুরু করেন। এরপর পাকিস্তান আমলে তালোড়ায় ছোট-বড় আরও সাতটি অ্যালুমিনিয়াম কারখানা স্থাপিত হয়।
এসব কারখানায় তৈরি করা হতো হাঁড়িপাতিলসহ বিভিন্ন তৈজস। সেগুলো দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হতো। এসব কারখানায় কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন স্থানীয় অনেকে। কিন্তু গ্যাস না পাওয়া, শিল্পনগরীতে প্লট না থাকাসহ নানা সংকটে তালোড়ার ঐতিহ্যবাহী এ শিল্প বর্তমানে বিলুপ্তির পথে।
অ্যালুমিনিয়াম ব্যবসায়ী সূত্রে জানা গেছে, মেসার্স সৌরভ অ্যালুমিনিয়াম ওয়ার্কস নামের একটি কারখানা লোকসানের মধ্যেও টিকে আছে। সেখানে বিভিন্ন তৈজস তৈরি হয়। ছোট পাঁচটি কারখানা তালোড়াতে থাকলেও সেখানে তৈরি হয় খেলনাসামগ্রী।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্লাস্টিক, মেলামাইন ও সিরামিকের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে বাজার হারাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী অ্যালুমিনিয়ামের পণ্য। একসময় অ্যালুমিনিয়াম সামগ্রীর ব্যাপক কদর থাকলেও যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে টিকে থাকতে না পেরে এর চাহিদাও কমছে দিন দিন। পাশাপাশি কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধি আর গ্যাস-সংযোগের অভাবে বন্ধের পথে বগুড়ার অধিকাংশ কারখানা। কিছুদিন আগেও যে কারখানাগুলোয় কর্মব্যস্ত ছিল, সেগুলোও এখন বন্ধের পথে। তালোড়াসহ বগুড়া শহরের বিসিক শিল্পনগরীতে ছোট-বড় ৮০টির বেশি অ্যালুমিনিয়াম কারখানা ছিল একসময়। এর মধ্যে ২৫টি ছিল বড়। বড় কারখানাগুলোর মধ্যে এখন টিকে আছে একটি। আর ছোট ছোট কারখানা চালু আছে ৮ থেকে ১০টি। চালু থাকা কারখানাগুলোও এখন অস্তিত্বসংকটে ভুগছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২৪ বছরে ছোট-বড় প্রায় ৪০টি কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। বর্তমানে তালোড়ায় বড় কারখানাগুলোর মধ্যে সচল আছে সৌরভ অ্যালুমিনিয়াম। ১৯৯৬ সালে কারখানাটি চালু হয়। এ কারখানায় অ্যালুমিনিয়ামের বড় ডেকচি, সসপ্যান, হাঁড়িপাতিল, বালতি, কড়াইসহ নানা ধরনের তৈজস তৈরি হয়। নানামুখী সংকটের মধ্যেও চালু থাকা এই কারখানা এখন ধুঁকছে।
কারখানাটির ব্যবস্থাপক কার্তিক চন্দ্র সরকার বলেন, ‘শহরে গ্যাসচালিত কারখানা চালু হওয়ার কারণে আমাদের ব্যবসায় প্রথম ধাক্কা লাগে। এখানে গ্যাস সরবরাহ না থাকায় প্রধান জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয় ফার্নেস অয়েল। কয়েক বছর ধরে এই জ্বালানির দাম হু হু করে বেড়েছে। এতে আমাদের উৎপাদন খরচও বেড়েছে কয়েক গুণ। তাই আমরা শহরের কারখানার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারছি না। আবার বগুড়ায় বিসিক শিল্প এলাকায় আমাদের নামে কোনো প্লট বরাদ্দ না থাকায় স্থানান্তর করা সম্ভব হচ্ছে না।’
লোকসানের মুখে ২০১৫ সালের দিকে বন্ধ ঘোষণা করা হয় তালোড়ার রয়্যাল অ্যালুমিনিয়াম নামক আরেকটি কারখানা। চালু থাকা অবস্থায় কারখানাটিতে মাসে গড়ে ২১ হাজার কেজি অ্যালুমিনিয়ামের তৈজসপত্র তৈরি হতো। কারখানাটিতে কাজ করতেন শতাধিক শ্রমিক।
বগুড়া শহরের বিসিক এলাকায় প্রগতি মেটাল নামক অ্যালুমিনিয়াম কারখানায় কাজ করেন আব্দুর রহমান, কাকলি, হাজেরাসহ বেশ কয়েকজন শ্রমিক। তাঁরা বলেন, ‘একসময় আমরা কাজ করতাম তালোড়ায়। সেখানে একের পর এক কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে চলে আসি শহরে। কিন্তু আগের তুলনায় কাজের চাপ কম হওয়ায় এই পেশায় থেকে সংসার চলছে না। কারখানার মালিকেরা তাঁদের খরচ পোষাতে না পেরে মজুরি দিতেও হিমশিম খাচ্ছেন।’
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প করপোরেশন (বিসিক) বগুড়ার উপমহাব্যবস্থাপক মাহফুজুর রহমান বলেন, বিসিকের পক্ষ থেকে ছোট উদ্যোক্তাদের অল্প সুদে ঋণ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে উদ্যোক্তাদের যুগোপযোগী প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা করা হবে। বগুড়া উত্তরবঙ্গের মধ্যে শিল্পাঞ্চল। এখানে ব্যবসায়ীর সংখ্যা অনেক। সেই অনুযায়ী প্লটের সংখ্যা সীমিত। ইচ্ছা থাকলেও সব প্রতিষ্ঠানকে প্লট দেওয়া যাচ্ছে না। তবে বগুড়ায় আরেকটি শিল্পনগরী হওয়ার প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে। সেটি চালু হলে অনেকেই প্লট পাবেন।

বগুড়া শহর থেকে ১৫ কিলোমিটার পশ্চিমে দুপচাঁচিয়া উপজেলার তালোড়া বন্দর। রেল যোগাযোগ থাকায় ব্রিটিশ আমলে সেখানে অ্যালুমিনিয়াম কারখানা প্রতিষ্ঠা করেন হীরালাল আগরওয়ালা। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর তিনি ভারতে চলে গেলে কারখানাটি মেসার্স খেতওয়াত অ্যালুমিনিয়াম ইন্ডাস্ট্রিজ নামে লুৎফর রহমান মোল্লা পরিচালনা শুরু করেন। এরপর পাকিস্তান আমলে তালোড়ায় ছোট-বড় আরও সাতটি অ্যালুমিনিয়াম কারখানা স্থাপিত হয়।
এসব কারখানায় তৈরি করা হতো হাঁড়িপাতিলসহ বিভিন্ন তৈজস। সেগুলো দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হতো। এসব কারখানায় কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন স্থানীয় অনেকে। কিন্তু গ্যাস না পাওয়া, শিল্পনগরীতে প্লট না থাকাসহ নানা সংকটে তালোড়ার ঐতিহ্যবাহী এ শিল্প বর্তমানে বিলুপ্তির পথে।
অ্যালুমিনিয়াম ব্যবসায়ী সূত্রে জানা গেছে, মেসার্স সৌরভ অ্যালুমিনিয়াম ওয়ার্কস নামের একটি কারখানা লোকসানের মধ্যেও টিকে আছে। সেখানে বিভিন্ন তৈজস তৈরি হয়। ছোট পাঁচটি কারখানা তালোড়াতে থাকলেও সেখানে তৈরি হয় খেলনাসামগ্রী।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্লাস্টিক, মেলামাইন ও সিরামিকের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে বাজার হারাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী অ্যালুমিনিয়ামের পণ্য। একসময় অ্যালুমিনিয়াম সামগ্রীর ব্যাপক কদর থাকলেও যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে টিকে থাকতে না পেরে এর চাহিদাও কমছে দিন দিন। পাশাপাশি কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধি আর গ্যাস-সংযোগের অভাবে বন্ধের পথে বগুড়ার অধিকাংশ কারখানা। কিছুদিন আগেও যে কারখানাগুলোয় কর্মব্যস্ত ছিল, সেগুলোও এখন বন্ধের পথে। তালোড়াসহ বগুড়া শহরের বিসিক শিল্পনগরীতে ছোট-বড় ৮০টির বেশি অ্যালুমিনিয়াম কারখানা ছিল একসময়। এর মধ্যে ২৫টি ছিল বড়। বড় কারখানাগুলোর মধ্যে এখন টিকে আছে একটি। আর ছোট ছোট কারখানা চালু আছে ৮ থেকে ১০টি। চালু থাকা কারখানাগুলোও এখন অস্তিত্বসংকটে ভুগছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২৪ বছরে ছোট-বড় প্রায় ৪০টি কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। বর্তমানে তালোড়ায় বড় কারখানাগুলোর মধ্যে সচল আছে সৌরভ অ্যালুমিনিয়াম। ১৯৯৬ সালে কারখানাটি চালু হয়। এ কারখানায় অ্যালুমিনিয়ামের বড় ডেকচি, সসপ্যান, হাঁড়িপাতিল, বালতি, কড়াইসহ নানা ধরনের তৈজস তৈরি হয়। নানামুখী সংকটের মধ্যেও চালু থাকা এই কারখানা এখন ধুঁকছে।
কারখানাটির ব্যবস্থাপক কার্তিক চন্দ্র সরকার বলেন, ‘শহরে গ্যাসচালিত কারখানা চালু হওয়ার কারণে আমাদের ব্যবসায় প্রথম ধাক্কা লাগে। এখানে গ্যাস সরবরাহ না থাকায় প্রধান জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয় ফার্নেস অয়েল। কয়েক বছর ধরে এই জ্বালানির দাম হু হু করে বেড়েছে। এতে আমাদের উৎপাদন খরচও বেড়েছে কয়েক গুণ। তাই আমরা শহরের কারখানার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারছি না। আবার বগুড়ায় বিসিক শিল্প এলাকায় আমাদের নামে কোনো প্লট বরাদ্দ না থাকায় স্থানান্তর করা সম্ভব হচ্ছে না।’
লোকসানের মুখে ২০১৫ সালের দিকে বন্ধ ঘোষণা করা হয় তালোড়ার রয়্যাল অ্যালুমিনিয়াম নামক আরেকটি কারখানা। চালু থাকা অবস্থায় কারখানাটিতে মাসে গড়ে ২১ হাজার কেজি অ্যালুমিনিয়ামের তৈজসপত্র তৈরি হতো। কারখানাটিতে কাজ করতেন শতাধিক শ্রমিক।
বগুড়া শহরের বিসিক এলাকায় প্রগতি মেটাল নামক অ্যালুমিনিয়াম কারখানায় কাজ করেন আব্দুর রহমান, কাকলি, হাজেরাসহ বেশ কয়েকজন শ্রমিক। তাঁরা বলেন, ‘একসময় আমরা কাজ করতাম তালোড়ায়। সেখানে একের পর এক কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে চলে আসি শহরে। কিন্তু আগের তুলনায় কাজের চাপ কম হওয়ায় এই পেশায় থেকে সংসার চলছে না। কারখানার মালিকেরা তাঁদের খরচ পোষাতে না পেরে মজুরি দিতেও হিমশিম খাচ্ছেন।’
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প করপোরেশন (বিসিক) বগুড়ার উপমহাব্যবস্থাপক মাহফুজুর রহমান বলেন, বিসিকের পক্ষ থেকে ছোট উদ্যোক্তাদের অল্প সুদে ঋণ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে উদ্যোক্তাদের যুগোপযোগী প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা করা হবে। বগুড়া উত্তরবঙ্গের মধ্যে শিল্পাঞ্চল। এখানে ব্যবসায়ীর সংখ্যা অনেক। সেই অনুযায়ী প্লটের সংখ্যা সীমিত। ইচ্ছা থাকলেও সব প্রতিষ্ঠানকে প্লট দেওয়া যাচ্ছে না। তবে বগুড়ায় আরেকটি শিল্পনগরী হওয়ার প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে। সেটি চালু হলে অনেকেই প্লট পাবেন।

আগাম ঘোষণা দিয়েও একীভূত প্রক্রিয়ায় থাকা কোনো ব্যাংকই আমানতকারীদের অর্থ ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি রাখতে পারেনি। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংকও এ বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ নিতে ব্যর্থ হওয়ায় গ্রাহকের সুদসহ সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা পর্যন্ত ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া গত সোমবার পর্যন্ত শুরু করা সম্ভব হয়নি।
৬ ঘণ্টা আগে
একীভূত হওয়া পাঁচ ব্যাংক নিয়ে গঠিত সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহকদের আমানত ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া আগামী সপ্তাহ থেকেই শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। আজ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলনকক্ষে সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ...
১০ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম জুবায়দুর রহমান সভায় সভাপতিত্ব করেন।
১১ ঘণ্টা আগে
২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে জালিয়াতি করে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি করা হয়। পরে ওই টাকা ফিলিপাইনের একটি ব্যাংকে পাঠানো হয়। দেশের অভ্যন্তরে কোনো একটি চক্রের সহায়তায় হ্যাকার গ্রুপ রিজার্ভের অর্থ পাচার করেছে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
১৭ ঘণ্টা আগেজয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা

আগাম ঘোষণা দিয়েও একীভূত প্রক্রিয়ায় থাকা কোনো ব্যাংকই আমানতকারীদের অর্থ ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি রাখতে পারেনি। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংকও এ বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ নিতে ব্যর্থ হওয়ায় গ্রাহকের সুদসহ সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা পর্যন্ত ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া গত সোমবার পর্যন্ত শুরু করা সম্ভব হয়নি। চলতি সপ্তাহের বাকি কার্যদিবসেও এ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক আগে থেকেই শরিয়াহভিত্তিক পরিচালিত পাঁচ দুর্বল ব্যাংক নিয়ে গঠিত সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহকদের ৭ ডিসেম্বর থেকে নির্দিষ্ট সিলিং অনুযায়ী টাকা তোলার অনুমতি দেওয়া হবে বলে প্রচারণা চালিয়েছিল। একই তথ্য ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক ও ইউনিয়ন ব্যাংকও তাদের গ্রাহকদের জানায়। কিন্তু ঘোষিত সময় পেরিয়ে গেলেও ব্যাংকগুলো কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি; কারণ, বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনাপত্র এখনো প্রস্তুত হয়নি। এই নির্দেশনা ছাড়া ব্যাংকগুলোর পক্ষে আমানতের টাকা ছাড় করার সুযোগ নেই।
দায়িত্বশীলরা জানান, যেসব গ্রাহকের হিসাবে সুদসহ দুই লাখ টাকা পর্যন্ত রয়েছে, তাঁরা পুরো টাকা তুলতে পারবেন। দুই লাখ টাকার বেশি আমানত থাকলেও সর্বোচ্চ দুই লাখ তোলার সুযোগ থাকবে। তবে একজন গ্রাহকের একাধিক হিসাব থাকলেও শুধু একটি হিসাবের বিপরীতে টাকা তোলা যাবে এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে হিসাব বৈধভাবে খোলা থাকতে হবে। যাঁদের আমানতের বিপরীতে ঋণ রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে আগে ঋণ সমন্বয় করতে হবে; সুদের হারও নতুনভাবে যোগ হবে।
সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের জন্য গ্রাহকদের দুই লাখ টাকা ফেরত দিতে প্রয়োজন হবে প্রায় ১২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা, যা গভর্নরের অনুমোদনের ওপর নির্ভর করছে। সংশ্লিষ্টরা বলেন, যাচাই-বাছাই শেষে নির্দেশনা দিতে আরও কিছুদিন সময় লাগতে পারে। তবে শুধু দুই লাখ টাকা ফেরত দেওয়ার ঘোষণায় ব্যাংক খাতে আস্থা ফিরবে না বলেই মনে করছেন তাঁরা।
এদিকে ঘোষণা শোনার পর ৭ ডিসেম্বর থেকেই গ্রাহকেরা বিভিন্ন শাখায় ভিড় করলেও কেউ টাকা পাননি। শাহজাহানপুরের শিক্ষক শেফালী আক্তার জানান, প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ইউনিয়ন ব্যাংকের মতিঝিল শাখায় গিয়ে এক টাকাও পাননি; এর আগে তাঁর মাত্র ৫ হাজার টাকার চেকও বারবার বাজেয়াপ্ত হয়েছে। ব্যবসায়ী মনির হোসেনও দীর্ঘদিন ধরে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে সঞ্চয়ের টাকা তুলতে ব্যর্থ। একই অভিজ্ঞতার কথা জানান এক্সিম ব্যাংকের গ্রাহক ও টিকাটুলির বাসিন্দা আফিয়া মিমি।
মতিঝিলের সেনা কল্যাণ ভবনে সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের কার্যক্রম ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন ৩৫ হাজার কোটি টাকা, যার মধ্যে সরকার দিয়েছে ২০ হাজার কোটি এবং আমানত বিমা তহবিল থেকে আসবে ১৫ হাজার কোটি টাকা। ইতিমধ্যে সরকারি অংশ ছাড় করা হয়েছে।
সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া বলেন, নতুন ব্যাংকের লক্ষ্য আমানতকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনা। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, দুই লাখ টাকা ফেরত শিগগির শুরু হবে; ব্যাংক ঘুরে দাঁড়ালে সবার টাকাও পরিশোধ করা হবে, তবে এতে সময় লাগবে।

আগাম ঘোষণা দিয়েও একীভূত প্রক্রিয়ায় থাকা কোনো ব্যাংকই আমানতকারীদের অর্থ ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি রাখতে পারেনি। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংকও এ বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ নিতে ব্যর্থ হওয়ায় গ্রাহকের সুদসহ সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা পর্যন্ত ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া গত সোমবার পর্যন্ত শুরু করা সম্ভব হয়নি। চলতি সপ্তাহের বাকি কার্যদিবসেও এ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক আগে থেকেই শরিয়াহভিত্তিক পরিচালিত পাঁচ দুর্বল ব্যাংক নিয়ে গঠিত সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহকদের ৭ ডিসেম্বর থেকে নির্দিষ্ট সিলিং অনুযায়ী টাকা তোলার অনুমতি দেওয়া হবে বলে প্রচারণা চালিয়েছিল। একই তথ্য ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক ও ইউনিয়ন ব্যাংকও তাদের গ্রাহকদের জানায়। কিন্তু ঘোষিত সময় পেরিয়ে গেলেও ব্যাংকগুলো কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি; কারণ, বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনাপত্র এখনো প্রস্তুত হয়নি। এই নির্দেশনা ছাড়া ব্যাংকগুলোর পক্ষে আমানতের টাকা ছাড় করার সুযোগ নেই।
দায়িত্বশীলরা জানান, যেসব গ্রাহকের হিসাবে সুদসহ দুই লাখ টাকা পর্যন্ত রয়েছে, তাঁরা পুরো টাকা তুলতে পারবেন। দুই লাখ টাকার বেশি আমানত থাকলেও সর্বোচ্চ দুই লাখ তোলার সুযোগ থাকবে। তবে একজন গ্রাহকের একাধিক হিসাব থাকলেও শুধু একটি হিসাবের বিপরীতে টাকা তোলা যাবে এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে হিসাব বৈধভাবে খোলা থাকতে হবে। যাঁদের আমানতের বিপরীতে ঋণ রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে আগে ঋণ সমন্বয় করতে হবে; সুদের হারও নতুনভাবে যোগ হবে।
সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের জন্য গ্রাহকদের দুই লাখ টাকা ফেরত দিতে প্রয়োজন হবে প্রায় ১২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা, যা গভর্নরের অনুমোদনের ওপর নির্ভর করছে। সংশ্লিষ্টরা বলেন, যাচাই-বাছাই শেষে নির্দেশনা দিতে আরও কিছুদিন সময় লাগতে পারে। তবে শুধু দুই লাখ টাকা ফেরত দেওয়ার ঘোষণায় ব্যাংক খাতে আস্থা ফিরবে না বলেই মনে করছেন তাঁরা।
এদিকে ঘোষণা শোনার পর ৭ ডিসেম্বর থেকেই গ্রাহকেরা বিভিন্ন শাখায় ভিড় করলেও কেউ টাকা পাননি। শাহজাহানপুরের শিক্ষক শেফালী আক্তার জানান, প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ইউনিয়ন ব্যাংকের মতিঝিল শাখায় গিয়ে এক টাকাও পাননি; এর আগে তাঁর মাত্র ৫ হাজার টাকার চেকও বারবার বাজেয়াপ্ত হয়েছে। ব্যবসায়ী মনির হোসেনও দীর্ঘদিন ধরে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে সঞ্চয়ের টাকা তুলতে ব্যর্থ। একই অভিজ্ঞতার কথা জানান এক্সিম ব্যাংকের গ্রাহক ও টিকাটুলির বাসিন্দা আফিয়া মিমি।
মতিঝিলের সেনা কল্যাণ ভবনে সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের কার্যক্রম ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন ৩৫ হাজার কোটি টাকা, যার মধ্যে সরকার দিয়েছে ২০ হাজার কোটি এবং আমানত বিমা তহবিল থেকে আসবে ১৫ হাজার কোটি টাকা। ইতিমধ্যে সরকারি অংশ ছাড় করা হয়েছে।
সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া বলেন, নতুন ব্যাংকের লক্ষ্য আমানতকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনা। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, দুই লাখ টাকা ফেরত শিগগির শুরু হবে; ব্যাংক ঘুরে দাঁড়ালে সবার টাকাও পরিশোধ করা হবে, তবে এতে সময় লাগবে।

বগুড়া শহর থেকে ১৫ কিলোমিটার পশ্চিমে দুপচাঁচিয়া উপজেলার তালোড়া বন্দর। রেল যোগাযোগ থাকায় ব্রিটিশ আমলে সেখানে অ্যালুমিনিয়াম কারখানা প্রতিষ্ঠা করেন হীরালাল আগরওয়ালা। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর তিনি ভারতে চলে গেলে কারখানাটি মেসার্স খেতওয়াত অ্যালুমিনিয়াম ইন্ডাস্ট্রিজ নামে লুৎফর রহমান মোল্লা পরিচালনা শুরু কর
০৬ ডিসেম্বর ২০২৪
একীভূত হওয়া পাঁচ ব্যাংক নিয়ে গঠিত সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহকদের আমানত ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া আগামী সপ্তাহ থেকেই শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। আজ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলনকক্ষে সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ...
১০ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম জুবায়দুর রহমান সভায় সভাপতিত্ব করেন।
১১ ঘণ্টা আগে
২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে জালিয়াতি করে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি করা হয়। পরে ওই টাকা ফিলিপাইনের একটি ব্যাংকে পাঠানো হয়। দেশের অভ্যন্তরে কোনো একটি চক্রের সহায়তায় হ্যাকার গ্রুপ রিজার্ভের অর্থ পাচার করেছে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
১৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

একীভূত হওয়া পাঁচ ব্যাংক নিয়ে গঠিত সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহকদের আমানত ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া আগামী সপ্তাহ থেকেই শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। আজ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলনকক্ষে সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি) আয়োজিত ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশের অগ্রগতি’ শীর্ষক প্রতিবেদন উপস্থাপন অনুষ্ঠানে তিনি এই নতুন বার্তা দেন।
গভর্নর বলেন, একীভূত পাঁচ ব্যাংকের সংযুক্তির কাজ এগোচ্ছে এবং ডিপোজিট গ্যারান্টির আওতায় সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা প্রথম ধাপে ফেরত দেওয়া হবে। প্রাথমিক মূল্যায়ন অনুযায়ী নবগঠিত ব্যাংকগুলো প্রথম বা দ্বিতীয় বছরের মধ্যেই লাভজনক অবস্থানে ফিরতে সক্ষম হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এর আগে গত রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে টাকা ফেরত না পাওয়ার ক্ষোভ প্রকাশ করেন সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহকেরা।
তাঁরা জানান, এক মাস থেকে দুই মাস, তারপর ছয় মাস—এভাবে প্রতিশ্রুতির মেয়াদ বাড়তে বাড়তে দেড় বছর পার হয়ে গেছে; কিন্তু ব্যাংক থেকে জমা রাখা অর্থের ১ টাকাও তাঁরা তুলতে পারেননি। এখন গভর্নর ‘এক সপ্তাহের’ নতুন প্রতিশ্রুতি দিলেও সেটি কবে বাস্তবে কার্যকর হবে—তা নিয়েও তাঁরা গভীর অনিশ্চয়তা প্রকাশ করেন। গ্রাহকদের দাবি, অবিলম্বে আমানত ফেরত দেওয়ার নির্ভরযোগ্য ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

একীভূত হওয়া পাঁচ ব্যাংক নিয়ে গঠিত সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহকদের আমানত ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া আগামী সপ্তাহ থেকেই শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। আজ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলনকক্ষে সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি) আয়োজিত ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশের অগ্রগতি’ শীর্ষক প্রতিবেদন উপস্থাপন অনুষ্ঠানে তিনি এই নতুন বার্তা দেন।
গভর্নর বলেন, একীভূত পাঁচ ব্যাংকের সংযুক্তির কাজ এগোচ্ছে এবং ডিপোজিট গ্যারান্টির আওতায় সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা প্রথম ধাপে ফেরত দেওয়া হবে। প্রাথমিক মূল্যায়ন অনুযায়ী নবগঠিত ব্যাংকগুলো প্রথম বা দ্বিতীয় বছরের মধ্যেই লাভজনক অবস্থানে ফিরতে সক্ষম হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এর আগে গত রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে টাকা ফেরত না পাওয়ার ক্ষোভ প্রকাশ করেন সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহকেরা।
তাঁরা জানান, এক মাস থেকে দুই মাস, তারপর ছয় মাস—এভাবে প্রতিশ্রুতির মেয়াদ বাড়তে বাড়তে দেড় বছর পার হয়ে গেছে; কিন্তু ব্যাংক থেকে জমা রাখা অর্থের ১ টাকাও তাঁরা তুলতে পারেননি। এখন গভর্নর ‘এক সপ্তাহের’ নতুন প্রতিশ্রুতি দিলেও সেটি কবে বাস্তবে কার্যকর হবে—তা নিয়েও তাঁরা গভীর অনিশ্চয়তা প্রকাশ করেন। গ্রাহকদের দাবি, অবিলম্বে আমানত ফেরত দেওয়ার নির্ভরযোগ্য ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

বগুড়া শহর থেকে ১৫ কিলোমিটার পশ্চিমে দুপচাঁচিয়া উপজেলার তালোড়া বন্দর। রেল যোগাযোগ থাকায় ব্রিটিশ আমলে সেখানে অ্যালুমিনিয়াম কারখানা প্রতিষ্ঠা করেন হীরালাল আগরওয়ালা। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর তিনি ভারতে চলে গেলে কারখানাটি মেসার্স খেতওয়াত অ্যালুমিনিয়াম ইন্ডাস্ট্রিজ নামে লুৎফর রহমান মোল্লা পরিচালনা শুরু কর
০৬ ডিসেম্বর ২০২৪
আগাম ঘোষণা দিয়েও একীভূত প্রক্রিয়ায় থাকা কোনো ব্যাংকই আমানতকারীদের অর্থ ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি রাখতে পারেনি। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংকও এ বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ নিতে ব্যর্থ হওয়ায় গ্রাহকের সুদসহ সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা পর্যন্ত ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া গত সোমবার পর্যন্ত শুরু করা সম্ভব হয়নি।
৬ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম জুবায়দুর রহমান সভায় সভাপতিত্ব করেন।
১১ ঘণ্টা আগে
২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে জালিয়াতি করে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি করা হয়। পরে ওই টাকা ফিলিপাইনের একটি ব্যাংকে পাঠানো হয়। দেশের অভ্যন্তরে কোনো একটি চক্রের সহায়তায় হ্যাকার গ্রুপ রিজার্ভের অর্থ পাচার করেছে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
১৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম জুবায়দুর রহমান সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সভায় এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুস সালাম, এফসিএ, এফসিএস; রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম মাসুদ রহমান, স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আবদুল জলিল, ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. ওমর ফারুক খান, শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মুহাম্মাদ আব্দুস সামাদ এবং কোম্পানি সেক্রেটারি মো. হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম জুবায়দুর রহমান সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সভায় এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুস সালাম, এফসিএ, এফসিএস; রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম মাসুদ রহমান, স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আবদুল জলিল, ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. ওমর ফারুক খান, শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মুহাম্মাদ আব্দুস সামাদ এবং কোম্পানি সেক্রেটারি মো. হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

বগুড়া শহর থেকে ১৫ কিলোমিটার পশ্চিমে দুপচাঁচিয়া উপজেলার তালোড়া বন্দর। রেল যোগাযোগ থাকায় ব্রিটিশ আমলে সেখানে অ্যালুমিনিয়াম কারখানা প্রতিষ্ঠা করেন হীরালাল আগরওয়ালা। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর তিনি ভারতে চলে গেলে কারখানাটি মেসার্স খেতওয়াত অ্যালুমিনিয়াম ইন্ডাস্ট্রিজ নামে লুৎফর রহমান মোল্লা পরিচালনা শুরু কর
০৬ ডিসেম্বর ২০২৪
আগাম ঘোষণা দিয়েও একীভূত প্রক্রিয়ায় থাকা কোনো ব্যাংকই আমানতকারীদের অর্থ ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি রাখতে পারেনি। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংকও এ বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ নিতে ব্যর্থ হওয়ায় গ্রাহকের সুদসহ সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা পর্যন্ত ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া গত সোমবার পর্যন্ত শুরু করা সম্ভব হয়নি।
৬ ঘণ্টা আগে
একীভূত হওয়া পাঁচ ব্যাংক নিয়ে গঠিত সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহকদের আমানত ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া আগামী সপ্তাহ থেকেই শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। আজ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলনকক্ষে সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ...
১০ ঘণ্টা আগে
২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে জালিয়াতি করে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি করা হয়। পরে ওই টাকা ফিলিপাইনের একটি ব্যাংকে পাঠানো হয়। দেশের অভ্যন্তরে কোনো একটি চক্রের সহায়তায় হ্যাকার গ্রুপ রিজার্ভের অর্থ পাচার করেছে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
১৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ৯১ বারের মতো পিছিয়েছে। নতুন তারিখ আগামী ১৩ জানুয়ারি ধার্য করেছেন আদালত।
আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জশিতা ইসলাম প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন দিন ধার্য করেন।
আজ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) প্রতিবেদন দাখিল না করায় আদালত নতুন তারিখ ধার্য করেন।
২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে জালিয়াতি করে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি করা হয়। পরে ওই টাকা ফিলিপাইনের একটি ব্যাংকে পাঠানো হয়। দেশের অভ্যন্তরে কোনো একটি চক্রের সহায়তায় হ্যাকার গ্রুপ রিজার্ভের অর্থ পাচার করেছে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
রিজার্ভের অর্থ চুরির ওই ঘটনায় একই বছরের ১৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং ডিপার্টমেন্টের উপপরিচালক জোবায়ের বিন হুদা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মতিঝিল থানায় মামলা করেন। মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ (সংশোধনী ২০১৫)-এর ৪-সহ তথ্য ও প্রযুক্তি আইন-২০০৬-এর ৫৪ ও ৩৭৯ ধারায় মামলাটি করা হয়। কিন্তু নয় বছরেও রিজার্ভে অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ৯১ বারের মতো পিছিয়েছে। নতুন তারিখ আগামী ১৩ জানুয়ারি ধার্য করেছেন আদালত।
আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জশিতা ইসলাম প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন দিন ধার্য করেন।
আজ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) প্রতিবেদন দাখিল না করায় আদালত নতুন তারিখ ধার্য করেন।
২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে জালিয়াতি করে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি করা হয়। পরে ওই টাকা ফিলিপাইনের একটি ব্যাংকে পাঠানো হয়। দেশের অভ্যন্তরে কোনো একটি চক্রের সহায়তায় হ্যাকার গ্রুপ রিজার্ভের অর্থ পাচার করেছে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
রিজার্ভের অর্থ চুরির ওই ঘটনায় একই বছরের ১৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং ডিপার্টমেন্টের উপপরিচালক জোবায়ের বিন হুদা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মতিঝিল থানায় মামলা করেন। মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ (সংশোধনী ২০১৫)-এর ৪-সহ তথ্য ও প্রযুক্তি আইন-২০০৬-এর ৫৪ ও ৩৭৯ ধারায় মামলাটি করা হয়। কিন্তু নয় বছরেও রিজার্ভে অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি।

বগুড়া শহর থেকে ১৫ কিলোমিটার পশ্চিমে দুপচাঁচিয়া উপজেলার তালোড়া বন্দর। রেল যোগাযোগ থাকায় ব্রিটিশ আমলে সেখানে অ্যালুমিনিয়াম কারখানা প্রতিষ্ঠা করেন হীরালাল আগরওয়ালা। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর তিনি ভারতে চলে গেলে কারখানাটি মেসার্স খেতওয়াত অ্যালুমিনিয়াম ইন্ডাস্ট্রিজ নামে লুৎফর রহমান মোল্লা পরিচালনা শুরু কর
০৬ ডিসেম্বর ২০২৪
আগাম ঘোষণা দিয়েও একীভূত প্রক্রিয়ায় থাকা কোনো ব্যাংকই আমানতকারীদের অর্থ ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি রাখতে পারেনি। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংকও এ বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ নিতে ব্যর্থ হওয়ায় গ্রাহকের সুদসহ সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা পর্যন্ত ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া গত সোমবার পর্যন্ত শুরু করা সম্ভব হয়নি।
৬ ঘণ্টা আগে
একীভূত হওয়া পাঁচ ব্যাংক নিয়ে গঠিত সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহকদের আমানত ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া আগামী সপ্তাহ থেকেই শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। আজ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলনকক্ষে সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ...
১০ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম জুবায়দুর রহমান সভায় সভাপতিত্ব করেন।
১১ ঘণ্টা আগে