নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি, যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট ও নানা কারণে দেশের ব্যবসায়ীরা কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। আর বর্তমান করনীতি বিনিয়োগ বা ব্যবসার জন্য সহায়ক নয়। ফলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর অব্যাহতি ও বিনিয়োগবান্ধব করনীতি বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে আসন্ন বাজেটে জনগণের ওপর করের বোঝা কমানোর পরামর্শ দিয়েছেন অর্থনীতিবিদ ও গবেষণাপ্রতিষ্ঠানগুলো।
তবে কর অব্যাহতির সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান। একই সঙ্গে ব্যবসা ক্ষেত্রে কার্যকর করহার যৌক্তিক পর্যায়ে নিয়ে আসার প্রতিশ্রুতিও ব্যক্ত করেন তিনি।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের এনবিআর ভবনে অনুষ্ঠিত ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রাক্-বাজেট আলোচনায় এসব কথা বলেন তাঁরা।
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ), বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ), বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ), এসএমই ফাউন্ডেশন, অর্থনীতি সমিতি, ইকোনমিক রিসার্চ গ্রুপ, পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) প্রভৃতি সংগঠন আলোচনায় অংশ নেয়।
স্থানীয়ভাবে রিসাইকেল ফাইবার বা পুনর্ব্যবহারযোগ্য সুতা উৎপাদনে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট অব্যাহতি চেয়েছে বিজিএমইএ। পাশাপাশি রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পের জন্য করপোরেট কর হার ১২ শতাংশ, লিড কারখানার জন্য ১০ শতাংশ হারে রাখার প্রস্তাব দিয়েছে সংগঠনটি।
বিজিএমইএর সহায়ক কমিটি সদস্য এনামুল হক বলেন, ‘গ্যাসের মূল্য বেড়েছে। এই মূল্য বৃদ্ধির ধাক্কা কীভাবে সামলাব, জানি না! আবার যুক্তরাষ্ট্রের ট্যারিফ নিয়ে ব্যবসায়ীরা বিপদে আছে। আমাদের হাতে মাত্র তিন মাস সময় আছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ট্যারিফ নিয়ে সমাধানে আনতে হবে। তৈরি পোশাকশিল্পে করপোরেট করহার পরিবর্তন করা হলে স্থানীয় ও বিদেশি উদ্যোক্তাদের আস্থার ঘাটতি দেখা দেবে।’
এনবিআরকে বিনিয়োগবান্ধব করনীতি প্রণয়নের প্রস্তাব দিয়েছে বিকেএমইএ। বিকেএমইএর অন্যান্য প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক কারখানার জন্য প্রয়োজনীয় পণ্য ও সেবায় ভ্যাট অব্যাহতি ও বিভিন্ন অগ্নিনিরাপত্তা সরঞ্জামাদি পুনঃস্থাপনের ক্ষেত্রে আমদানির ওপর কর রেয়াত ইত্যাদি।
বিকেএমই সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘সোলার সিস্টেমের ওপর কর মওকুফ প্রয়োজন। সরকার আমাদের নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। আমরা সেখানে সরকারের সহযোগী ভূমিকা চাচ্ছি। আমরা সোলার প্যানেলে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে চাই। এটার ওপর সরকার কোনো কিছু না রেখে, সম্পূর্ণ ফ্রি করা উচিত। তাহলে ব্যবসায়ীরা উৎসাহিত হবেন। খরচ কমে আসবে। আমরা শিল্পের লোকজন এটাতে যেতে চাই।’
মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘আমার বিশ্বাস, করনীতির পরিবর্তন হবে। বর্তমান করনীতি নিয়ে আমি অনেক কথা বলেছি। কোনোভাবেই এটা বিনিয়োগ বা ব্যবসার জন্য সহায়ক নয়।’
ফেব্রিকের স্থানীয় উৎপাদন খরচ আন্তর্জাতিক বাজারমূল্য বিবেচনায় নিয়ে ফেব্রিকের ট্যারিফ ভ্যালু বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সুপারিশ ও পরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের আলোকে ফেব্রিকের মিনিমাম ট্যারিফ ভ্যালু নির্ধারণ, আগের মতো বিটিএমএ থেকে প্রত্যয়নপত্র নিয়ে বন্ড ছাড়া পণ্য খালাসের ব্যবস্থা করা, পুনঃচক্র আঁশ বা রিসাইকেল ফাইবার উৎপাদনের কাঁচামাল হিসেবে তৈরি পোশাকশিল্পের বর্জ্য বা ঝুট স্থানীয়ভাবে সংগ্রহের জন্য উৎপাদন ও সরবরাহ পর্যায়ে এবং উৎপাদিত পণ্য স্থানীয়ভাবে সুতা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বা কম্পোজিট মিলে সরবরাহের ক্ষেত্রে উৎপাদন পর্যায়ে মূসক অব্যাহতি ইত্যাদির দাবি জানিয়েছে বিটিএমএ।
নতুন এসএমইদের জন্য ১০ বছর পর্যন্ত টার্নওভার বা গ্রস রিসিপ্টের ওপর কোনো ন্যূনতম কর আরোপ না করা, যেসব এসএমইর বাৎসরিক টার্নওভার পাঁচ কোটি টাকা পর্যন্ত, তাদের ভ্যাট রিটার্ন প্রতি মাসের পরিবর্তে ষাণ্মাসিক ভিত্তিতে জমা দেওয়ার বিধান করা, শতভাগ রপ্তানিমুখী শিল্পে স্থানীয় মুদ্রায় সরাসরি উপকরণ সরবরাহের ক্ষেত্রে মূসক অব্যাহতি দেওয়া, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য এবং গার্মেন্টস এক্সেসরিজ শিল্পে ব্যাকওয়ার্ড লিংকড ইন্ডাস্ট্রিগুলোতে ১০ বছরের জন্য কর অবকাশ সুবিধা দেওয়া ইত্যাদির দাবি জানিয়েছে এসএমই ফাউন্ডেশন।
অর্থনীতি সমিতির আহ্বায়ক ড. মাহবুব উল্লাহ্ বলেন, ঢাকা শহরে একটা সংসার চালাতে ৫০ হাজার টাকাতে কিছুই হয় না। সেই বিবেচনায় করমুক্ত আয়ের সীমা ছয় লাখ টাকা করা উচিত। কর-জিডিপি অনুপাত বাড়ানোর জন্য দেশের আনাচে-কানাচে যে গ্রোথ সেন্টার, অর্থাৎ, ছোটবড় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান আছে, সেগুলো করজালের বাইরে রয়েছে। করদাতাদের ওপর বোঝা না বাড়িয়ে তাঁদের করজালে আনতে হবে। এ জন্য এনবিআরে অফিসারদের শহর থেকে গ্রামমুখী হতে হবে। এ ছাড়া পরোক্ষ করের চেয়ে থেকে প্রত্যক্ষ কর বাড়ানোর পরামর্শ দেন তিনি।
পিআরআইয়ের চেয়ারম্যান ড. জাইদি সাত্তার বলেন, ‘আমাদের অন্যান্য ক্ষেত্রে গড় ট্যারিফ ২৮ শতাংশ, সেখানে ভোগ্যপণ্যের ওপর ট্যারিফ প্রায় ৪৫ শতাংশ। এর ফলে বাংলাদেশের ভোক্তারা আন্তর্জাতিক দামের চেয়ে অনেক বেশি দামে ভোগ্যপণ্য কিনে থাকে। আমাদের সুপারিশ, এই বাজেটে সাধারণ ভোক্তার করের বোঝা কমানো উচিত।’
অংশগ্রহণকারীদের প্রস্তাব শুনে এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান বলেন, ‘আমরা এবার ব্যবসাবান্ধব বাজেট প্রণয়ন করব। ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন ধরে কর সুবিধা নিচ্ছেন। তার ধারাবাহিকতা চান। কিন্তু আমরা অভিযোগ পাই যে করহারের চেয়ে ইফেক্টিভ করহারের (কার্যকরী করহার) যোজন যোজন ফারাক। এগুলোকে আমরা যতটা সম্ভব সহজ করব।’
সবাই করহার কমানোর প্রস্তাব দেয় উল্লেখ করে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘আপনাদের কথা অযৌক্তিক তা নয়, তবে সবার কথা শুনতে গেলে ট্যাক্স-জিডিপি রেশিও এখন আছে ৭ দশমিক ১, সেটা ৫-এ নেমে যাবে। এটা হলো বাস্তবতা।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের সেই সুযোগ নেই। আমাদের যে পরিমাণ ঘাটতি হয়, জাতীয় ঋণ যেভাবে হয়, তাহলে কর আহরণ বাড়াতে না পারলে হবে না।’
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘গত ১০ বছরে করদাতা বেড়েছে কোটি। ২০১৪ সালে টিআইএনধারী ছিল ১৫ লাখের নিচে। এখন সেটি ১ কোটি ১৪ লাখ। তার মানে ১০ বছরে এক কোটি হয়েছে। তার মানে এই ১০ বছরে এত করদাতা তো মারা যায়নি। আমাদের বড় অংশ রিটার্ন জমা দেয় না। আমরা প্রত্যেক করদাতাকে নোটিশ করা শুরু করেছি। এটা হয়তো আরও ছয় মাস লাগবে শতভাগ কাভার করার জন্য।’
গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি, যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট ও নানা কারণে দেশের ব্যবসায়ীরা কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। আর বর্তমান করনীতি বিনিয়োগ বা ব্যবসার জন্য সহায়ক নয়। ফলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর অব্যাহতি ও বিনিয়োগবান্ধব করনীতি বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে আসন্ন বাজেটে জনগণের ওপর করের বোঝা কমানোর পরামর্শ দিয়েছেন অর্থনীতিবিদ ও গবেষণাপ্রতিষ্ঠানগুলো।
তবে কর অব্যাহতির সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান। একই সঙ্গে ব্যবসা ক্ষেত্রে কার্যকর করহার যৌক্তিক পর্যায়ে নিয়ে আসার প্রতিশ্রুতিও ব্যক্ত করেন তিনি।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের এনবিআর ভবনে অনুষ্ঠিত ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রাক্-বাজেট আলোচনায় এসব কথা বলেন তাঁরা।
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ), বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ), বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ), এসএমই ফাউন্ডেশন, অর্থনীতি সমিতি, ইকোনমিক রিসার্চ গ্রুপ, পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) প্রভৃতি সংগঠন আলোচনায় অংশ নেয়।
স্থানীয়ভাবে রিসাইকেল ফাইবার বা পুনর্ব্যবহারযোগ্য সুতা উৎপাদনে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট অব্যাহতি চেয়েছে বিজিএমইএ। পাশাপাশি রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পের জন্য করপোরেট কর হার ১২ শতাংশ, লিড কারখানার জন্য ১০ শতাংশ হারে রাখার প্রস্তাব দিয়েছে সংগঠনটি।
বিজিএমইএর সহায়ক কমিটি সদস্য এনামুল হক বলেন, ‘গ্যাসের মূল্য বেড়েছে। এই মূল্য বৃদ্ধির ধাক্কা কীভাবে সামলাব, জানি না! আবার যুক্তরাষ্ট্রের ট্যারিফ নিয়ে ব্যবসায়ীরা বিপদে আছে। আমাদের হাতে মাত্র তিন মাস সময় আছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ট্যারিফ নিয়ে সমাধানে আনতে হবে। তৈরি পোশাকশিল্পে করপোরেট করহার পরিবর্তন করা হলে স্থানীয় ও বিদেশি উদ্যোক্তাদের আস্থার ঘাটতি দেখা দেবে।’
এনবিআরকে বিনিয়োগবান্ধব করনীতি প্রণয়নের প্রস্তাব দিয়েছে বিকেএমইএ। বিকেএমইএর অন্যান্য প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক কারখানার জন্য প্রয়োজনীয় পণ্য ও সেবায় ভ্যাট অব্যাহতি ও বিভিন্ন অগ্নিনিরাপত্তা সরঞ্জামাদি পুনঃস্থাপনের ক্ষেত্রে আমদানির ওপর কর রেয়াত ইত্যাদি।
বিকেএমই সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘সোলার সিস্টেমের ওপর কর মওকুফ প্রয়োজন। সরকার আমাদের নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। আমরা সেখানে সরকারের সহযোগী ভূমিকা চাচ্ছি। আমরা সোলার প্যানেলে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে চাই। এটার ওপর সরকার কোনো কিছু না রেখে, সম্পূর্ণ ফ্রি করা উচিত। তাহলে ব্যবসায়ীরা উৎসাহিত হবেন। খরচ কমে আসবে। আমরা শিল্পের লোকজন এটাতে যেতে চাই।’
মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘আমার বিশ্বাস, করনীতির পরিবর্তন হবে। বর্তমান করনীতি নিয়ে আমি অনেক কথা বলেছি। কোনোভাবেই এটা বিনিয়োগ বা ব্যবসার জন্য সহায়ক নয়।’
ফেব্রিকের স্থানীয় উৎপাদন খরচ আন্তর্জাতিক বাজারমূল্য বিবেচনায় নিয়ে ফেব্রিকের ট্যারিফ ভ্যালু বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সুপারিশ ও পরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের আলোকে ফেব্রিকের মিনিমাম ট্যারিফ ভ্যালু নির্ধারণ, আগের মতো বিটিএমএ থেকে প্রত্যয়নপত্র নিয়ে বন্ড ছাড়া পণ্য খালাসের ব্যবস্থা করা, পুনঃচক্র আঁশ বা রিসাইকেল ফাইবার উৎপাদনের কাঁচামাল হিসেবে তৈরি পোশাকশিল্পের বর্জ্য বা ঝুট স্থানীয়ভাবে সংগ্রহের জন্য উৎপাদন ও সরবরাহ পর্যায়ে এবং উৎপাদিত পণ্য স্থানীয়ভাবে সুতা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বা কম্পোজিট মিলে সরবরাহের ক্ষেত্রে উৎপাদন পর্যায়ে মূসক অব্যাহতি ইত্যাদির দাবি জানিয়েছে বিটিএমএ।
নতুন এসএমইদের জন্য ১০ বছর পর্যন্ত টার্নওভার বা গ্রস রিসিপ্টের ওপর কোনো ন্যূনতম কর আরোপ না করা, যেসব এসএমইর বাৎসরিক টার্নওভার পাঁচ কোটি টাকা পর্যন্ত, তাদের ভ্যাট রিটার্ন প্রতি মাসের পরিবর্তে ষাণ্মাসিক ভিত্তিতে জমা দেওয়ার বিধান করা, শতভাগ রপ্তানিমুখী শিল্পে স্থানীয় মুদ্রায় সরাসরি উপকরণ সরবরাহের ক্ষেত্রে মূসক অব্যাহতি দেওয়া, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য এবং গার্মেন্টস এক্সেসরিজ শিল্পে ব্যাকওয়ার্ড লিংকড ইন্ডাস্ট্রিগুলোতে ১০ বছরের জন্য কর অবকাশ সুবিধা দেওয়া ইত্যাদির দাবি জানিয়েছে এসএমই ফাউন্ডেশন।
অর্থনীতি সমিতির আহ্বায়ক ড. মাহবুব উল্লাহ্ বলেন, ঢাকা শহরে একটা সংসার চালাতে ৫০ হাজার টাকাতে কিছুই হয় না। সেই বিবেচনায় করমুক্ত আয়ের সীমা ছয় লাখ টাকা করা উচিত। কর-জিডিপি অনুপাত বাড়ানোর জন্য দেশের আনাচে-কানাচে যে গ্রোথ সেন্টার, অর্থাৎ, ছোটবড় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান আছে, সেগুলো করজালের বাইরে রয়েছে। করদাতাদের ওপর বোঝা না বাড়িয়ে তাঁদের করজালে আনতে হবে। এ জন্য এনবিআরে অফিসারদের শহর থেকে গ্রামমুখী হতে হবে। এ ছাড়া পরোক্ষ করের চেয়ে থেকে প্রত্যক্ষ কর বাড়ানোর পরামর্শ দেন তিনি।
পিআরআইয়ের চেয়ারম্যান ড. জাইদি সাত্তার বলেন, ‘আমাদের অন্যান্য ক্ষেত্রে গড় ট্যারিফ ২৮ শতাংশ, সেখানে ভোগ্যপণ্যের ওপর ট্যারিফ প্রায় ৪৫ শতাংশ। এর ফলে বাংলাদেশের ভোক্তারা আন্তর্জাতিক দামের চেয়ে অনেক বেশি দামে ভোগ্যপণ্য কিনে থাকে। আমাদের সুপারিশ, এই বাজেটে সাধারণ ভোক্তার করের বোঝা কমানো উচিত।’
অংশগ্রহণকারীদের প্রস্তাব শুনে এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান বলেন, ‘আমরা এবার ব্যবসাবান্ধব বাজেট প্রণয়ন করব। ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন ধরে কর সুবিধা নিচ্ছেন। তার ধারাবাহিকতা চান। কিন্তু আমরা অভিযোগ পাই যে করহারের চেয়ে ইফেক্টিভ করহারের (কার্যকরী করহার) যোজন যোজন ফারাক। এগুলোকে আমরা যতটা সম্ভব সহজ করব।’
সবাই করহার কমানোর প্রস্তাব দেয় উল্লেখ করে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘আপনাদের কথা অযৌক্তিক তা নয়, তবে সবার কথা শুনতে গেলে ট্যাক্স-জিডিপি রেশিও এখন আছে ৭ দশমিক ১, সেটা ৫-এ নেমে যাবে। এটা হলো বাস্তবতা।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের সেই সুযোগ নেই। আমাদের যে পরিমাণ ঘাটতি হয়, জাতীয় ঋণ যেভাবে হয়, তাহলে কর আহরণ বাড়াতে না পারলে হবে না।’
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘গত ১০ বছরে করদাতা বেড়েছে কোটি। ২০১৪ সালে টিআইএনধারী ছিল ১৫ লাখের নিচে। এখন সেটি ১ কোটি ১৪ লাখ। তার মানে ১০ বছরে এক কোটি হয়েছে। তার মানে এই ১০ বছরে এত করদাতা তো মারা যায়নি। আমাদের বড় অংশ রিটার্ন জমা দেয় না। আমরা প্রত্যেক করদাতাকে নোটিশ করা শুরু করেছি। এটা হয়তো আরও ছয় মাস লাগবে শতভাগ কাভার করার জন্য।’
সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চলতি মাসের ২৭ এপ্রিল থেকে কার্গো অপারেশন চালুর প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এ কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যালোচনায় আজ বিমানবন্দরটি পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া।
৩৭ মিনিট আগেচলতি মাসে উচ্চপর্যায়ের একটি জার্মান ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফর করেছে। এই সফরের উদ্দেশ্য ছিল দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক সম্প্রসারণের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা। এই প্রতিনিধিদলে জার্মান পররাষ্ট্র ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, দেশটির রপ্তানি ঋণ সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার কর্মকর
৭ ঘণ্টা আগেবিশ্বখ্যাত অডিট ফার্ম পিডব্লিউসি বিভিন্ন দেশ থেকে তাদের কার্যক্রম গুটিয়ে নিচ্ছে। বিশালাকার এই অ্যাকাউন্টিং ফার্মটির কর্তাব্যক্তিদের মতে, ছোট, ঝুঁকিপূর্ণ বা অলাভজনক বিবেচিত এক ডজনের বেশি দেশে ব্যবসা বন্ধ করেছে। কেলেঙ্কারির পুনরাবৃত্তি এড়াতেই তাদের এই পদক্ষেপ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল...
১০ ঘণ্টা আগেচলতি অর্থবছরের মাত্র তিন মাস বাকি থাকলেও বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নে এখনো খরচ করা বাকি রয়েছে ১ লাখ ৪৩ হাজার কোটি টাকা। পরিকল্পনা কমিশনের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) তথ্য বলছে, জুলাই-মার্চ পর্যন্ত ৯ মাসে খরচ হয়েছে ৮২ হাজার ৮৯৪ কোটি টাকা, যা মোট সংশোধিত এডিপির...
১৬ ঘণ্টা আগে