Ajker Patrika

সঞ্চয়পত্র বিক্রির চেয়ে পরিশোধ বেশি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯: ৩৯
সঞ্চয়পত্র বিক্রির চেয়ে পরিশোধ বেশি

সরকারের বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ। এ জন্য সরকারের আর্থিক সমস্যা থাকা সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ঋণ নিচ্ছে না। আবার আর্থিক দৈন্যের কারণে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ থেকে অনেকটাই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে সাধারণ মানুষ। এতে সঞ্চয়পত্র বিক্রিতে ধস নেমেছে। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) সঞ্চয়পত্রের নিট বিক্রির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৬৩ কোটি টাকা ঋণাত্মক। এই অর্থ সরকার আগের বিক্রি হওয়া সঞ্চয়পত্রের সুদ-আসল পরিশোধে ব্যয় করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক প্রকাশিত সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। 

তথ্য বলছে, ডিসেম্বর মাসে সঞ্চয়পত্রের নিট বিক্রির পরিমাণ ছিল ২ হাজার ২০৪ কোটি ৩২ লাখ টাকা ঋণাত্মক। চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে এই খাতে বিনিয়োগ বেশ বেড়েছিল। জুলাইয়ে নিট বিক্রির পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ২৫০ কোটি টাকা। আগস্টে ছিল ২ হাজার ৩১২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। সেপ্টেম্বরে নিট বিক্রি ঋণাত্মক ধারায় ফেরে। ওই মাসে সঞ্চয়পত্র বিক্রি থেকে সরকার যে পরিমাণ ধার করেছিল, তার চেয়ে ১৪৮ কোটি টাকা বেশি ব্যয় করতে হয়েছে। 

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘সঞ্চয়পত্র বিক্রির নিট নেগেটিভ হয়েছে। এ জন্য সরকারকে কোষাগার থেকে সুদ-আসল পরিশোধ করতে হচ্ছে। নেপথ্যে ছিল মূল্যস্ফীতি। কেননা, বাজারে সব জিনিসের দামই চড়া। মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের ওপরে। পরিবহন, শিক্ষা, চিকিৎসাসহ অন্য সব খাতেই খরচ বেড়েছে। এতে মানুষের সঞ্চয় করার ক্ষমতা কমে গেছে। এর প্রভাবে সঞ্চয়পত্র বিক্রিতে ধস নেমেছে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সিরিয়ায় রাশিয়ার ঘাঁটি রাখতে যুক্তরাষ্ট্রে ইসরায়েলের তদবির

চকরিয়া থানার ওসিকে প্রত্যাহারের নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার

‘আমাদের অনুমতি ছাড়া কাউকে গ্রেপ্তার করলে থানা ঘেরাও করব’, সরকারি কর্মকর্তার বক্তব্য ভাইরাল

এনসিপির কর্মীদের ঢাকায় আনতে সরকারের বাস রিকুইজিশন, সমালোচনার ঝড়

সৈয়দ জামিলের অভিযোগের জবাবে যা লিখলেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত