নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশে নিত্যপণ্যের দাম মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। সিপিডি বলছে, নিত্যপণ্যের দাম মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধিতে মানুষের জীবনমানে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের উন্নয়নে স্বাধীন পর্যালোচনার আওতায় ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি ২০২১-২০২২, প্রথম অন্তর্বর্তীকালীন পর্যালোচনা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন। সিপিডির ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
ফাহমিদা খাতুন বলেন, মহামারি করোনার সময় একদিকে সাধারণ মানুষের আয় কমেছে, অনেকে হারিয়েছেন কর্মসংস্থান। এমন অবস্থায় নিত্য পণ্যের দামের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বড় উদ্বেগের বিষয়। তিনি বলেন, জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধির ফলে মানুষের জীবনযাত্রার মানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধির কারণে পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে সেটা ঠিক। তবে দেশের অভ্যন্তরীণ বাজার ব্যবস্থায় সুশাসনের অভাবও নিত্যপ্ণ্যের মাত্রাতিরিক্ত দাম বাড়ার আরেকটি বড় কারণ।
তিনি বলেন, অক্টোবর মাসে মূল্যস্ফীতির হার ৫ দশমিক ৪ শতাংশ এবং খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৩ শতাংশ বলা হলেও বাস্তবতার সঙ্গে যার বিরাট ফারাক রয়েছে। করোনার সময়ে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা সরকারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে সিপিডির সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা জানি সারের জন্য ৯ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি হিসেবে রাখা হয়েছে। কিন্তু এখন যেভাবে দাম বেড়েছে, তাতে ২২ থেকে ২৩ হাজার কোটি টাকার মতো প্রয়োজন হবে।
বিষয়টি সরকার কিভাবে সমন্বয় করবে-এ প্রশ্ন উত্থাপন করে তিনি বলেন, আবার গ্যাসের দামও বাড়ছে। যেভাবে রাজস্ব আহরণ হচ্ছে, তার মাধ্যমে মূল্য সমন্বয় করে বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়াবে।
সিপিডির মূল্য প্রবন্ধে আরো বলা হয়েছে, এডিপি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সবচেয়ে দুঃখজনক হলো স্বাস্থ্য খাতের বাস্তবায়ন মাত্র ৬ দশমিক ৪ শতাংশ। এমনিতেই এডিপি বাস্তবায়ন কম হয়, সেখানে করোনার সময় স্বাস্থ্য খাতের এমন এডিপি বাস্তবায়ন খুবই নগণ্য। এছাড়া বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপরও একটা চাপ পড়ছে।
রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রায় পূরণ খুবই কষ্টসাধ্য উল্লেখ করে সিপিডি বলছে, এখন পর্যন্ত জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ১৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধিতে রাজস্ব আহরণ করছে। লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে বাকি সময়ে ৩০ শতাংশ হারে রাজস্ব আদায় করতে হবে। যা খুবই কষ্টকর। লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে শুল্ক ও ভ্যাট মিলিয়ে পরোক্ষ করের ক্ষেত্রে ৩২ শতাংশের বেশি হারে আদায় করতে হবে। অন্যদিকে আয়করের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে কর আদায় করতে হবে ২৭ শতাংশ হারে।
এছাড়া রাজস্ব আহরণের যে পদক্ষেপ, সেখানে কর আহরণ বৃদ্ধি করার খুব বেশি সুযোগও নেই। আর রাজস্ব আহরণের ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন না হলে বাজেট বাস্তবায়ন বড় হুমকির মুখে পড়তে পারে বলেও মনে করে সিপিডি।
দেশে নিত্যপণ্যের দাম মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। সিপিডি বলছে, নিত্যপণ্যের দাম মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধিতে মানুষের জীবনমানে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের উন্নয়নে স্বাধীন পর্যালোচনার আওতায় ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি ২০২১-২০২২, প্রথম অন্তর্বর্তীকালীন পর্যালোচনা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন। সিপিডির ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
ফাহমিদা খাতুন বলেন, মহামারি করোনার সময় একদিকে সাধারণ মানুষের আয় কমেছে, অনেকে হারিয়েছেন কর্মসংস্থান। এমন অবস্থায় নিত্য পণ্যের দামের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বড় উদ্বেগের বিষয়। তিনি বলেন, জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধির ফলে মানুষের জীবনযাত্রার মানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধির কারণে পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে সেটা ঠিক। তবে দেশের অভ্যন্তরীণ বাজার ব্যবস্থায় সুশাসনের অভাবও নিত্যপ্ণ্যের মাত্রাতিরিক্ত দাম বাড়ার আরেকটি বড় কারণ।
তিনি বলেন, অক্টোবর মাসে মূল্যস্ফীতির হার ৫ দশমিক ৪ শতাংশ এবং খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৩ শতাংশ বলা হলেও বাস্তবতার সঙ্গে যার বিরাট ফারাক রয়েছে। করোনার সময়ে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা সরকারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে সিপিডির সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা জানি সারের জন্য ৯ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি হিসেবে রাখা হয়েছে। কিন্তু এখন যেভাবে দাম বেড়েছে, তাতে ২২ থেকে ২৩ হাজার কোটি টাকার মতো প্রয়োজন হবে।
বিষয়টি সরকার কিভাবে সমন্বয় করবে-এ প্রশ্ন উত্থাপন করে তিনি বলেন, আবার গ্যাসের দামও বাড়ছে। যেভাবে রাজস্ব আহরণ হচ্ছে, তার মাধ্যমে মূল্য সমন্বয় করে বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়াবে।
সিপিডির মূল্য প্রবন্ধে আরো বলা হয়েছে, এডিপি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সবচেয়ে দুঃখজনক হলো স্বাস্থ্য খাতের বাস্তবায়ন মাত্র ৬ দশমিক ৪ শতাংশ। এমনিতেই এডিপি বাস্তবায়ন কম হয়, সেখানে করোনার সময় স্বাস্থ্য খাতের এমন এডিপি বাস্তবায়ন খুবই নগণ্য। এছাড়া বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপরও একটা চাপ পড়ছে।
রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রায় পূরণ খুবই কষ্টসাধ্য উল্লেখ করে সিপিডি বলছে, এখন পর্যন্ত জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ১৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধিতে রাজস্ব আহরণ করছে। লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে বাকি সময়ে ৩০ শতাংশ হারে রাজস্ব আদায় করতে হবে। যা খুবই কষ্টকর। লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে শুল্ক ও ভ্যাট মিলিয়ে পরোক্ষ করের ক্ষেত্রে ৩২ শতাংশের বেশি হারে আদায় করতে হবে। অন্যদিকে আয়করের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে কর আদায় করতে হবে ২৭ শতাংশ হারে।
এছাড়া রাজস্ব আহরণের যে পদক্ষেপ, সেখানে কর আহরণ বৃদ্ধি করার খুব বেশি সুযোগও নেই। আর রাজস্ব আহরণের ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন না হলে বাজেট বাস্তবায়ন বড় হুমকির মুখে পড়তে পারে বলেও মনে করে সিপিডি।
অসুস্থতা, দুর্ঘটনাসহ বিপদে-আপদে বিশ্বজুড়ে মানুষের ভরসার কেন্দ্র ‘বিমা’। বিমা পলিসি করা থাকলেই হাসপাতালের বিল পরিশোধ বা দুর্ঘটনার ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কোনো চিন্তা করতে হয় না গ্রাহককে। গ্রাহকের হয়ে বিমা কোম্পানিই সব শোধ করে দেয়। কিন্তু বাংলাদেশের বিমা খাত এখনো সেই ভরসার জায়গা হয়ে উঠতে পারেনি।
৯ ঘণ্টা আগেপেঁয়াজের মৌসুম এখনো শেষ হয়নি। তার আগেই দাম বাড়তে শুরু করেছে। বাজারে দাম আরও বাড়বে; সেই আশায় কৃষক, ফড়িয়া, ব্যবসায়ী—সবাই সাধ্যমতো পেঁয়াজ ধরে রাখছেন, সুবিধামতো সময়ে ছাড়ছেন অল্প অল্প করে। আর এতেই মোকামে বাড়ছে পণ্যটির দাম, যার প্রভাব পড়ছে পাইকারি ও খুচরা বাজারে।
১০ ঘণ্টা আগেদক্ষিণ এশিয়ার বাণিজ্য মানচিত্রে বাংলাদেশের অবস্থান বদলে দিতে যাচ্ছে মাতারবাড়ী। বহুল কাঙ্ক্ষিত গভীর সমুদ্রবন্দর প্রকল্পটি এখন আর কাগজে আঁকা স্বপ্ন নয়, সেটি বাস্তবায়নের মোক্ষম বাঁক পেরিয়ে প্রবেশ করতে যাচ্ছে নির্মাণপর্বে। এ লক্ষ্যে আগামীকাল মঙ্গলবার ঢাকায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে জাপানের দুটি
১০ ঘণ্টা আগে৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ কর্মসূচির আওতায় চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ ছাড় নিয়ে বাংলাদেশ সফর শেষ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধিদল। তবে এবারের মিশনে পূর্বের মতো সফরের শেষে ‘স্টাফ লেভেল অ্যাগ্রিমেন্ট’ হয়নি। আইএমএফের এই সিদ্ধান্ত, অর্থাৎ চুক্তি ছাড়াই মিশন শেষ করা, পূর্বের রীতি থেকে একটি বড়
১০ ঘণ্টা আগে