নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পরবর্তী ছয় মাসের জন্য মুদ্রানীতি ঘোষণা করল বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে সুদের হার বাড়িয়ে ঋণপ্রবাহ কমানোর মধ্য দিয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের কথা বলা হয়েছে। তবে শুধু মূল্যস্ফীতি কমাতে গিয়ে অর্থনীতির অন্য সব খাত বিশেষ করে জিডিপি প্রবৃদ্ধি, বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান ও ব্যবসা-বাণিজ্যে কী প্রভাব পড়বে, ওই ব্যাপারে তেমন কিছু বলা হয়নি। তবে অর্থনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও ব্যাংকাররা মনে করেন, এতে প্রবৃদ্ধি কমবে এবং সার্বিক অর্থনীতির গতি কমবে।
ঘোষিত মুদ্রানীতি নিয়ে এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, সুদ ক্রমান্বয়ে অনেক বেড়েছে। করোনার পরে এত বেশি সুদ বৃদ্ধি ব্যবসায়ীদের কষ্ট বাড়াবে। শুধু মূল্যস্ফীতি কমাতে সুদ বাড়ানোটা যৌক্তিক না। সব দিক বিবেচনা করা দরকার। তা না হলে অর্থনীতির ক্ষতি হবে। মুদ্রানীতি ভালো ফল না-ও দিতে পারে।
বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের দেশে মুদ্রানীতি ঘোষণা দেওয়ার জন্য দেওয়া। এটা কার্যত কোনো সুফল বয়ে আনে না। মুদ্রানীতি ঘোষণার পর চলতি বছরের প্রথমার্ধে মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের কাছাকাছি ঘোরাফেরা করেছে। ঘোষিত মুদ্রানীতিতে সুদের যে হার বাড়ানো হয়েছে, এতে প্রাইভেট সেক্টরের গ্রোথ কমে যাবে। যদিও সরকার অ্যাগ্রেসিভলি মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনার জন্য কাজ করেছে। সফলতা কতখানি অর্জিত হবে, তা নিয়েও যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। সরকার একদিকে টাকা সাপ্লাই কমিয়ে বাজার থেকে টাকা তুলে নিচ্ছে, অন্যদিকে সুদের হারও বাড়িয়ে দিয়েছে। এতে ব্যাংকগুলো আরও তারল্যসংকটে পড়তে পারে।’
অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) সাবেক চেয়ারম্যান নূরুল আমীন বলেন, ‘সার্বিক বিবেচনায় এটি একটি সময়োপযোগী মুদ্রানীতি। কারণ, এখন আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা মূল্যস্ফীতি। এটা কমাতে হলে আমাদের সবাইকে কষ্ট করতে হবে। পলিসি রেট বাড়ানোর কারণে ঋণের মূল্য আরও বাড়বে। ফলে ব্যাংকগুলোকে টাকা ধার করার জন্য দিতে হবে অধিক সুদ। ফলে বাজারেও টাকার সরবরাহ কমে আসবে। বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি কমানোর কারণে কর্মসংস্থানে সরাসরি প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন তিনি। বেসরকারি খাতে ঋণ যদি না বাড়ে, তাহলে কর্মসংস্থান বাড়বে না। দেশের উন্নয়ন ব্যাহত হবে। কিন্তু সার্বিক অর্থনীতির কথা বিবেচনা করে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি কমানো হয়েছে। ছয়টা মাস কষ্ট করতে পারলে এবং মুদ্রানীতি ঠিকঠাক বাস্তবায়ন করতে পারলে সবার জন্যই মঙ্গল।’
পরবর্তী ছয় মাসের জন্য মুদ্রানীতি ঘোষণা করল বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে সুদের হার বাড়িয়ে ঋণপ্রবাহ কমানোর মধ্য দিয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের কথা বলা হয়েছে। তবে শুধু মূল্যস্ফীতি কমাতে গিয়ে অর্থনীতির অন্য সব খাত বিশেষ করে জিডিপি প্রবৃদ্ধি, বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান ও ব্যবসা-বাণিজ্যে কী প্রভাব পড়বে, ওই ব্যাপারে তেমন কিছু বলা হয়নি। তবে অর্থনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও ব্যাংকাররা মনে করেন, এতে প্রবৃদ্ধি কমবে এবং সার্বিক অর্থনীতির গতি কমবে।
ঘোষিত মুদ্রানীতি নিয়ে এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, সুদ ক্রমান্বয়ে অনেক বেড়েছে। করোনার পরে এত বেশি সুদ বৃদ্ধি ব্যবসায়ীদের কষ্ট বাড়াবে। শুধু মূল্যস্ফীতি কমাতে সুদ বাড়ানোটা যৌক্তিক না। সব দিক বিবেচনা করা দরকার। তা না হলে অর্থনীতির ক্ষতি হবে। মুদ্রানীতি ভালো ফল না-ও দিতে পারে।
বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের দেশে মুদ্রানীতি ঘোষণা দেওয়ার জন্য দেওয়া। এটা কার্যত কোনো সুফল বয়ে আনে না। মুদ্রানীতি ঘোষণার পর চলতি বছরের প্রথমার্ধে মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের কাছাকাছি ঘোরাফেরা করেছে। ঘোষিত মুদ্রানীতিতে সুদের যে হার বাড়ানো হয়েছে, এতে প্রাইভেট সেক্টরের গ্রোথ কমে যাবে। যদিও সরকার অ্যাগ্রেসিভলি মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনার জন্য কাজ করেছে। সফলতা কতখানি অর্জিত হবে, তা নিয়েও যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। সরকার একদিকে টাকা সাপ্লাই কমিয়ে বাজার থেকে টাকা তুলে নিচ্ছে, অন্যদিকে সুদের হারও বাড়িয়ে দিয়েছে। এতে ব্যাংকগুলো আরও তারল্যসংকটে পড়তে পারে।’
অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) সাবেক চেয়ারম্যান নূরুল আমীন বলেন, ‘সার্বিক বিবেচনায় এটি একটি সময়োপযোগী মুদ্রানীতি। কারণ, এখন আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা মূল্যস্ফীতি। এটা কমাতে হলে আমাদের সবাইকে কষ্ট করতে হবে। পলিসি রেট বাড়ানোর কারণে ঋণের মূল্য আরও বাড়বে। ফলে ব্যাংকগুলোকে টাকা ধার করার জন্য দিতে হবে অধিক সুদ। ফলে বাজারেও টাকার সরবরাহ কমে আসবে। বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি কমানোর কারণে কর্মসংস্থানে সরাসরি প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন তিনি। বেসরকারি খাতে ঋণ যদি না বাড়ে, তাহলে কর্মসংস্থান বাড়বে না। দেশের উন্নয়ন ব্যাহত হবে। কিন্তু সার্বিক অর্থনীতির কথা বিবেচনা করে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি কমানো হয়েছে। ছয়টা মাস কষ্ট করতে পারলে এবং মুদ্রানীতি ঠিকঠাক বাস্তবায়ন করতে পারলে সবার জন্যই মঙ্গল।’
অসুস্থতা, দুর্ঘটনাসহ বিপদে-আপদে বিশ্বজুড়ে মানুষের ভরসার কেন্দ্র ‘বিমা’। বিমা পলিসি করা থাকলেই হাসপাতালের বিল পরিশোধ বা দুর্ঘটনার ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কোনো চিন্তা করতে হয় না গ্রাহককে। গ্রাহকের হয়ে বিমা কোম্পানিই সব শোধ করে দেয়। কিন্তু বাংলাদেশের বিমা খাত এখনো সেই ভরসার জায়গা হয়ে উঠতে পারেনি।
১৫ মিনিট আগেপেঁয়াজের মৌসুম এখনো শেষ হয়নি। তার আগেই দাম বাড়তে শুরু করেছে। বাজারে দাম আরও বাড়বে; সেই আশায় কৃষক, ফড়িয়া, ব্যবসায়ী—সবাই সাধ্যমতো পেঁয়াজ ধরে রাখছেন, সুবিধামতো সময়ে ছাড়ছেন অল্প অল্প করে। আর এতেই মোকামে বাড়ছে পণ্যটির দাম, যার প্রভাব পড়ছে পাইকারি ও খুচরা বাজারে।
৩৩ মিনিট আগেদক্ষিণ এশিয়ার বাণিজ্য মানচিত্রে বাংলাদেশের অবস্থান বদলে দিতে যাচ্ছে মাতারবাড়ী। বহুল কাঙ্ক্ষিত গভীর সমুদ্রবন্দর প্রকল্পটি এখন আর কাগজে আঁকা স্বপ্ন নয়, সেটি বাস্তবায়নের মোক্ষম বাঁক পেরিয়ে প্রবেশ করতে যাচ্ছে নির্মাণপর্বে। এ লক্ষ্যে আগামীকাল মঙ্গলবার ঢাকায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে জাপানের দুটি
১ ঘণ্টা আগে৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ কর্মসূচির আওতায় চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ ছাড় নিয়ে বাংলাদেশ সফর শেষ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধিদল। তবে এবারের মিশনে পূর্বের মতো সফরের শেষে ‘স্টাফ লেভেল অ্যাগ্রিমেন্ট’ হয়নি। আইএমএফের এই সিদ্ধান্ত, অর্থাৎ চুক্তি ছাড়াই মিশন শেষ করা, পূর্বের রীতি থেকে একটি বড়
১ ঘণ্টা আগে