নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
শেষ দুই কার্যদিবসে উত্থান হলেও বিদায়ী সপ্তাহে দরপতন হয়েছে পুঁজিবাজারে। এর মধ্য দিয়ে টানা ছয় সপ্তাহ পতন দেখলেন বিনিয়োগকারীরা। এতে করে বিদায়ী সপ্তাহে প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মূলধন বা বিনিয়োগকারীদের পুঁজি কমেছে ৭ হাজার কোটি টাকা। আর গত ছয় সপ্তাহে মূলধন কমেছে ৭৯ হাজার ৯৮৬ কোটি টাকা।
ঘুরেফিরে অনেক বিষয় আলোচনায় এলেও পুঁজিবাজারে টানা পতনের সুনির্দিষ্ট এবং সাময়িক কারণ দেখছেন না বিনিয়োগকারীরা। তবে তাঁদের পুঁজি কমছে, বাড়ছে লোকসান। ক্ষতি প্রশমন করতে অনেকেই লোকসানে শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন।
সানী মাহমুদ নামের এক বিনিয়োগকারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কয়েক সপ্তাহে আমাদের বিনিয়োগের ২০ থেকে ৪০ শতাংশ কমে গেছে। অনেকেই আরও বেশি আর্থিক ক্ষতির হাত থেকে বাঁচতে লোকসানে শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন আগেই।’
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দর বেড়েছে ১৩৩টির, কমেছে ২২৯টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৩৩টির। অর্থাৎ ৫৮ শতাংশের দাম কমেছে। এতে করে প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২৬ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৪৪ শতাংশ। আর গত ৬ সপ্তাহের ব্যবধানে সূচকটি কমেছে ৪৩২ পয়েন্টের মতো।
পতনের কারণে সপ্তাহের শেষে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৯২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা, যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৬ লাখ ৯৯ হাজার ৬৩৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ এই সময়ে মূলধন কমেছে ৭ হাজার ৯৫ কোটি টাকা।
আগের সপ্তাহে বাজার মূলধন কমে ৪৯ হাজার ১৯২ কোটি টাকা। তার আগের চার সপ্তাহে কমে যথাক্রমে ১১ হাজার ৮৯৬ কোটি টাকা, ১ হাজার ২৯১ কোটি টাকা, ৪ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা এবং ৬ হাজার ৬০ কোটি টাকা। অর্থাৎ ছয় সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন বা বিনিয়োগকারীদের পুঁজি কমেছে ৭৯ হাজার ৯৮৬ কোটি টাকা।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, লোকসান হবে, সেটা আবার পুষিয়েও যাবে। এটাই পুঁজিবাজারের নিয়ম।
এদিকে বিদায়ী সপ্তাহে প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৪৯৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা, যা আগের সপ্তাহের প্রতিদিনের চেয়ে ৬২ কোটি ৪৯ লাখ টাকা বা ১১ দশমিক ১৮ শতাংশ কম। আর সপ্তাহজুড়ে মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৯৮৫ কোটি ১৪ লাখ টাকা, যা আগের সপ্তাহের চেয়ে ৮০৮ কোটি ৭৪ লাখ টাকা কম।
পুঁজিবাজারে চলমান দরপতনের পেছনে সুদের হার বেশি হওয়ায় তারল্যসংকট, গুজব, লভ্যাংশ-পরবর্তী দর সমন্বয়, প্যানিক সেল, মার্জিন ঋণের ফোর্সড সেল, নিয়ন্ত্রক সংস্থার ঘন ঘন সিদ্ধান্ত বদল ও অহেতুক ঘোষণার মতো বিষয়গুলো কাজ করেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
তবে এই পতনের পেছনে দীর্ঘমেয়াদি অনেক কারণ দেখছেন বিনিয়োগকারীরা। এ বিষয়ে সানী মাহমুদ বলেন, ২০২২ সাল থেকে বাজার স্থবির। কারণ, টাকা উত্তোলন ও পাচার হয়েছে। ফ্লোর প্রাইস দিয়ে সব আটকে দেওয়া হয়েছিল। কোম্পানিগুলো ভালো লভ্যাংশ দিতে চায় না। নিয়ম মানার মানসিকতা কম। সব ধরনের বিনিয়োগকারী অপরিপক্ব আচরণ করেছে। অতি দ্রুত ধনী হতে চায় সবাই। ধনী হওয়ার মজার খেলার মাঠ হলো পুঁজিবাজার।
শেষ দুই কার্যদিবসে উত্থান হলেও বিদায়ী সপ্তাহে দরপতন হয়েছে পুঁজিবাজারে। এর মধ্য দিয়ে টানা ছয় সপ্তাহ পতন দেখলেন বিনিয়োগকারীরা। এতে করে বিদায়ী সপ্তাহে প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মূলধন বা বিনিয়োগকারীদের পুঁজি কমেছে ৭ হাজার কোটি টাকা। আর গত ছয় সপ্তাহে মূলধন কমেছে ৭৯ হাজার ৯৮৬ কোটি টাকা।
ঘুরেফিরে অনেক বিষয় আলোচনায় এলেও পুঁজিবাজারে টানা পতনের সুনির্দিষ্ট এবং সাময়িক কারণ দেখছেন না বিনিয়োগকারীরা। তবে তাঁদের পুঁজি কমছে, বাড়ছে লোকসান। ক্ষতি প্রশমন করতে অনেকেই লোকসানে শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন।
সানী মাহমুদ নামের এক বিনিয়োগকারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কয়েক সপ্তাহে আমাদের বিনিয়োগের ২০ থেকে ৪০ শতাংশ কমে গেছে। অনেকেই আরও বেশি আর্থিক ক্ষতির হাত থেকে বাঁচতে লোকসানে শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন আগেই।’
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দর বেড়েছে ১৩৩টির, কমেছে ২২৯টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৩৩টির। অর্থাৎ ৫৮ শতাংশের দাম কমেছে। এতে করে প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২৬ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৪৪ শতাংশ। আর গত ৬ সপ্তাহের ব্যবধানে সূচকটি কমেছে ৪৩২ পয়েন্টের মতো।
পতনের কারণে সপ্তাহের শেষে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৯২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা, যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৬ লাখ ৯৯ হাজার ৬৩৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ এই সময়ে মূলধন কমেছে ৭ হাজার ৯৫ কোটি টাকা।
আগের সপ্তাহে বাজার মূলধন কমে ৪৯ হাজার ১৯২ কোটি টাকা। তার আগের চার সপ্তাহে কমে যথাক্রমে ১১ হাজার ৮৯৬ কোটি টাকা, ১ হাজার ২৯১ কোটি টাকা, ৪ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা এবং ৬ হাজার ৬০ কোটি টাকা। অর্থাৎ ছয় সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন বা বিনিয়োগকারীদের পুঁজি কমেছে ৭৯ হাজার ৯৮৬ কোটি টাকা।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, লোকসান হবে, সেটা আবার পুষিয়েও যাবে। এটাই পুঁজিবাজারের নিয়ম।
এদিকে বিদায়ী সপ্তাহে প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৪৯৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা, যা আগের সপ্তাহের প্রতিদিনের চেয়ে ৬২ কোটি ৪৯ লাখ টাকা বা ১১ দশমিক ১৮ শতাংশ কম। আর সপ্তাহজুড়ে মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৯৮৫ কোটি ১৪ লাখ টাকা, যা আগের সপ্তাহের চেয়ে ৮০৮ কোটি ৭৪ লাখ টাকা কম।
পুঁজিবাজারে চলমান দরপতনের পেছনে সুদের হার বেশি হওয়ায় তারল্যসংকট, গুজব, লভ্যাংশ-পরবর্তী দর সমন্বয়, প্যানিক সেল, মার্জিন ঋণের ফোর্সড সেল, নিয়ন্ত্রক সংস্থার ঘন ঘন সিদ্ধান্ত বদল ও অহেতুক ঘোষণার মতো বিষয়গুলো কাজ করেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
তবে এই পতনের পেছনে দীর্ঘমেয়াদি অনেক কারণ দেখছেন বিনিয়োগকারীরা। এ বিষয়ে সানী মাহমুদ বলেন, ২০২২ সাল থেকে বাজার স্থবির। কারণ, টাকা উত্তোলন ও পাচার হয়েছে। ফ্লোর প্রাইস দিয়ে সব আটকে দেওয়া হয়েছিল। কোম্পানিগুলো ভালো লভ্যাংশ দিতে চায় না। নিয়ম মানার মানসিকতা কম। সব ধরনের বিনিয়োগকারী অপরিপক্ব আচরণ করেছে। অতি দ্রুত ধনী হতে চায় সবাই। ধনী হওয়ার মজার খেলার মাঠ হলো পুঁজিবাজার।
পাঁচ বছরের সরকার ব্যবস্থার প্রস্তাব করেছে আমজনতার দল। তবে উচ্চকক্ষে অনির্বাচিত প্রতিনিধি রাখার যে সুযোগের কথা বলা হচ্ছে, তার তীব্র বিরোধিতা করেছে এই দলটি। এ ছাড়া জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কর্তৃক প্রস্তাবিত জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিলের (এনসিসি) বিষয়ে নীতিগতভাবে একমত পোষণ করেছে আমজনতার দল। তবে এই কাউন্সিলের
১ ঘণ্টা আগেভারত ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করলেও বাংলাদেশের রপ্তানি কমবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তিনি আরও বলেন, নিজেদের সক্ষমতার সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে খরচ কমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এতে দেশের ব্যবসায়ীদের রপ্তানি খরচ আরও কমে যাবে। রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ দুটি প্রকল্পে অর্থায়ন করবে বিশ্ব ব্যাংক। এ লক্ষ্যে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে দুটি চুক্তি সই করেছে সরকার। গতকাল বুধবার বিশ্বব্যাংকের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৭ ঘণ্টা আগেতেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর জোট ওপেক প্লাস আগামী জুন মাস থেকে উৎপাদন বাড়াবে এমন আলোচনা চাউর হয়েছে বাজারে। আর এই আলোচনা চাউর হওয়ার পরপরই গতকাল বুধবার বিশ্ববাজারে তেলের দামে পতন হয়েছে। এদিন দর কমেছে প্রায় ২ শতাংশ। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনা পণ্যের ওপরে শুল্ক কমাতে পারেন—এমন খবরে দরপতন কি
৭ ঘণ্টা আগে