অনলাইন ডেস্ক
শ্রমজীবী মানুষের অধিকার রক্ষায় এবং শ্রমখাতে সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে গঠিত শ্রম সংস্কার কমিশন চূড়ান্ত প্রতিবেদন সরকারের কাছে উপস্থাপন করেছে। এতে জাতীয় ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ থেকে শুরু করে শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষা, সংগঠনের অধিকার, সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা, শ্রম আদালতের কার্যকারিতা বৃদ্ধি, মাতৃত্বকালীন সুযোগ-সুবিধা ও শিশুশ্রম নির্মূলসহ ২৫টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সুপারিশ প্রস্তাব করা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে আজ সোমবার কমিশনের পক্ষ থেকে এই প্রতিবেদন আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়। পরে কমিশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহম্মদের সভাপতিত্বে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব সুপারিশের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, শ্রমজীবী মানুষের মর্যাদা ও ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করার মাধ্যমে একটি ন্যায়ভিত্তিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও কল্যাণমুখী সমাজ প্রতিষ্ঠা করাই এই সুপারিশমালার লক্ষ্য। কমিশন মনে করে, শ্রমখাত সংস্কার শুধু শ্রমিকদের জন্য নয়, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সামাজিক সুবিচার প্রতিষ্ঠার পথও সুগম করবে।
কমিশনের উল্লেখযোগ্য সুপারিশসমূহ
১. জাতীয় ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ ও মজুরি কমিশন গঠন
— সকল শ্রমিকের জন্য ন্যূনতম মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপন নিশ্চিত করতে জাতীয় ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ
— খাতভিত্তিক ন্যূনতম মজুরির পর্যালোচনার জন্য তিন বছর অন্তর মূল্যায়ন
— একটি স্থায়ী মজুরি কমিশন গঠনের প্রস্তাব
২. সব শ্রমিকের জন্য আইনি সুরক্ষা
— প্রাতিষ্ঠানিক, অপ্রাতিষ্ঠানিক, গৃহকর্মী, কৃষিশ্রমিকসহ সকল শ্রমিককে শ্রম আইনের আওতায় আনা।
— কাজের পরিচয়পত্র, নিয়োগপত্র, নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণ।
৩. শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা
— দুর্ঘটনা, অসুস্থতা, মাতৃত্বকালীন ছুটি ও কর্মক্ষমতা হারালে সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
— খাতভিত্তিক স্বাস্থ্য সেবা ও ক্ষতিপূরণ বিধান উন্নয়ন।
৪. সংগঠিত হওয়ার ও দরকষাকষির অধিকার
— শ্রমিকদের ইউনিয়ন গঠন ও দরকষাকষিতে অংশগ্রহণের সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সুপারিশ।
— নির্ভয়ে সংগঠিত হওয়ার পরিবেশ সৃষ্টি।
৫. মহিলা ও পিছিয়ে পড়া শ্রমিকদের জন্য সুযোগ সম্প্রসারণ
— মাতৃত্বকালীন ছুটি ৬ মাসে উন্নীত করা।
— নারী, শিশু, অটিজম, তৃতীয় লিঙ্গ, জাতিগত সংখ্যালঘু ও পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর শ্রমিকদের বিশেষ সুরক্ষা।
৬. শিশুশ্রম ও ঝুঁকিপূর্ণ শ্রম নির্মূল
— সব ধরনের শিশু ও জোরপূর্বক শ্রম বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ।
— আগাম দাদন বন্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা।
৭. শ্রম আদালতের সংস্কার ও বাংলায় বিচারপ্রক্রিয়া
— শ্রম আদালতের সংখ্যা বৃদ্ধি ও বিচার দ্রুত সম্পন্ন করার প্রস্তাব।
— শ্রম আদালতে বাংলা ভাষা প্রচলনের সুপারিশ।
৮. অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার
— অভিবাসী শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও সংগঠিত হওয়ার অধিকার নিশ্চিত করা।
— আন্তর্জাতিক সম্পর্ক শক্তিশালী করার প্রস্তাব।
৯. জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রযুক্তিগত রূপান্তরের প্রেক্ষিতে শ্রম বাজার প্রস্তুত করা
— টেকসই শিল্প, দক্ষতা উন্নয়ন ও প্রযুক্তি ব্যবহারে সমন্বিত উদ্যোগের পরামর্শ।
১০. স্থায়ী শ্রম কমিশন গঠন ও জাতীয় সংলাপ ফোরাম
— শ্রমখাতকে টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করতে একটি স্থায়ী শ্রম কমিশন গঠনের প্রস্তাব।
— একটি জাতীয় সামাজিক সংলাপ ফোরাম প্রতিষ্ঠার আহ্বান।
শ্রমজীবী মানুষের অধিকার রক্ষায় এবং শ্রমখাতে সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে গঠিত শ্রম সংস্কার কমিশন চূড়ান্ত প্রতিবেদন সরকারের কাছে উপস্থাপন করেছে। এতে জাতীয় ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ থেকে শুরু করে শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষা, সংগঠনের অধিকার, সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা, শ্রম আদালতের কার্যকারিতা বৃদ্ধি, মাতৃত্বকালীন সুযোগ-সুবিধা ও শিশুশ্রম নির্মূলসহ ২৫টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সুপারিশ প্রস্তাব করা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে আজ সোমবার কমিশনের পক্ষ থেকে এই প্রতিবেদন আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়। পরে কমিশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহম্মদের সভাপতিত্বে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব সুপারিশের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, শ্রমজীবী মানুষের মর্যাদা ও ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করার মাধ্যমে একটি ন্যায়ভিত্তিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও কল্যাণমুখী সমাজ প্রতিষ্ঠা করাই এই সুপারিশমালার লক্ষ্য। কমিশন মনে করে, শ্রমখাত সংস্কার শুধু শ্রমিকদের জন্য নয়, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সামাজিক সুবিচার প্রতিষ্ঠার পথও সুগম করবে।
কমিশনের উল্লেখযোগ্য সুপারিশসমূহ
১. জাতীয় ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ ও মজুরি কমিশন গঠন
— সকল শ্রমিকের জন্য ন্যূনতম মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপন নিশ্চিত করতে জাতীয় ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ
— খাতভিত্তিক ন্যূনতম মজুরির পর্যালোচনার জন্য তিন বছর অন্তর মূল্যায়ন
— একটি স্থায়ী মজুরি কমিশন গঠনের প্রস্তাব
২. সব শ্রমিকের জন্য আইনি সুরক্ষা
— প্রাতিষ্ঠানিক, অপ্রাতিষ্ঠানিক, গৃহকর্মী, কৃষিশ্রমিকসহ সকল শ্রমিককে শ্রম আইনের আওতায় আনা।
— কাজের পরিচয়পত্র, নিয়োগপত্র, নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণ।
৩. শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা
— দুর্ঘটনা, অসুস্থতা, মাতৃত্বকালীন ছুটি ও কর্মক্ষমতা হারালে সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
— খাতভিত্তিক স্বাস্থ্য সেবা ও ক্ষতিপূরণ বিধান উন্নয়ন।
৪. সংগঠিত হওয়ার ও দরকষাকষির অধিকার
— শ্রমিকদের ইউনিয়ন গঠন ও দরকষাকষিতে অংশগ্রহণের সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সুপারিশ।
— নির্ভয়ে সংগঠিত হওয়ার পরিবেশ সৃষ্টি।
৫. মহিলা ও পিছিয়ে পড়া শ্রমিকদের জন্য সুযোগ সম্প্রসারণ
— মাতৃত্বকালীন ছুটি ৬ মাসে উন্নীত করা।
— নারী, শিশু, অটিজম, তৃতীয় লিঙ্গ, জাতিগত সংখ্যালঘু ও পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর শ্রমিকদের বিশেষ সুরক্ষা।
৬. শিশুশ্রম ও ঝুঁকিপূর্ণ শ্রম নির্মূল
— সব ধরনের শিশু ও জোরপূর্বক শ্রম বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ।
— আগাম দাদন বন্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা।
৭. শ্রম আদালতের সংস্কার ও বাংলায় বিচারপ্রক্রিয়া
— শ্রম আদালতের সংখ্যা বৃদ্ধি ও বিচার দ্রুত সম্পন্ন করার প্রস্তাব।
— শ্রম আদালতে বাংলা ভাষা প্রচলনের সুপারিশ।
৮. অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার
— অভিবাসী শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও সংগঠিত হওয়ার অধিকার নিশ্চিত করা।
— আন্তর্জাতিক সম্পর্ক শক্তিশালী করার প্রস্তাব।
৯. জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রযুক্তিগত রূপান্তরের প্রেক্ষিতে শ্রম বাজার প্রস্তুত করা
— টেকসই শিল্প, দক্ষতা উন্নয়ন ও প্রযুক্তি ব্যবহারে সমন্বিত উদ্যোগের পরামর্শ।
১০. স্থায়ী শ্রম কমিশন গঠন ও জাতীয় সংলাপ ফোরাম
— শ্রমখাতকে টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করতে একটি স্থায়ী শ্রম কমিশন গঠনের প্রস্তাব।
— একটি জাতীয় সামাজিক সংলাপ ফোরাম প্রতিষ্ঠার আহ্বান।
বিআরবি হসপিটালসের ১১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন ও সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ সোমবার (২১ এপ্রিল) রাজধানীর পান্থপথে বিআরবি হসপিটালে বর্ণাঢ্য এবং জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেইস্পাত আমদানিতে সাময়িকভাবে ১২ শতাংশ শুল্ক আরোপ করতে যাচ্ছে ভারত সরকার। বার্তা সংস্থা রয়টার্স ভারতের সরকারি সূত্র জানিয়েছে, সস্তা ইস্পাতের আমদানি রুখতেই এই পদক্ষেপ। বিশেষ করে, চীন এবং অন্যান্য দেশ থেকে আসা ইস্পাত আমদানির বৃদ্ধি ঠেকাতে এই সিদ্ধান্ত।
২ ঘণ্টা আগেদেশে প্রতিবছর কর ইনসেনটিভ (ভর্তুকি) ও কর ব্যয় নিয়ে নানা অনাচার হয়। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিশাল অঙ্কের টাকা কর ভর্তুকি দেওয়া হয়। সরকারকে এসব বন্ধ করতে হবে। বিদ্যুতের মতো জায়গায় কোনোভাবেই করের টাকায় ভর্তুকি দেওয়া উচিত হবে না। সর্বোপরি দেশের স্বার্থে কর সিস্টেমসহ দেশের সামগ্রিক আর্থিক লেনদেন ডিজিটাল...
৩ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধ ও ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে মার্কিন বেসরকারি ইকুইটি খাত থেকে ধীরে ধীরে বিনিয়োগ সরিয়ে নিচ্ছে চীনা রাষ্ট্রায়ত্ত ফান্ডগুলো। একসময় শত শত কোটি ডলার বিনিয়োগ করা এসব তহবিল এখন নতুন করে যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব ও ইউরোপের অন্যান্য দেশে অর্থ স্থানান্তর করছে।
৩ ঘণ্টা আগে