অনলাইন ডেস্ক
বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট-সুবিধা বাতিল করার বিষয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে ভারত। আজ বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (এমইএ) জানিয়েছে, লজিস্টিক সীমাবদ্ধতার কারণে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সাংবাদিকদের উদ্দেশে মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘এর আগে দুই দেশের বাণিজ্যসুবিধা বন্ধে বাংলাদেশ কী কী পদক্ষেপ নিয়েছিল, তা একটু খতিয়ে দেখবেন।’
সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ভারতীয় বন্দর ও বিমানবন্দরে ক্রমবর্ধমান ভিড়ের কারণে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘ট্রান্সশিপমেন্ট-সুবিধাসংক্রান্ত বাণিজ্য বিষয়ে, আমাদের বন্দর ও বিমানবন্দরে ভিড়ের কারণে আমরা এ পদক্ষেপ নিয়েছি। আমি আপনাদের মনে করিয়ে দিতে চাই, এর আগে বাংলাদেশ যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, তা দয়া করে বিবেচনা করুন।’
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কয়েকটি সূত্র ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সিএনএন-নিউজ১৮কে জানিয়েছে, ঢাকার তিনটি সিদ্ধান্ত ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধার বর্তমান অবস্থার জন্য দায়ী হতে পারে।
প্রথমত, সম্প্রতি বাংলাদেশ খরচের পার্থক্যের কারণ দেখিয়ে ভারত থেকে সুতা আমদানির ক্ষেত্রে স্থলবন্দর ব্যবহার বন্ধ করে দিয়েছে। এই পদক্ষেপের ফলে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিকারকদের মধ্যে তীব্র সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে। তাঁরা এই সিদ্ধান্তকে তৈরি পোশাক (আরএমজি) খাতের জন্য ‘আত্মঘাতী’ বলে অভিহিত করেছেন।
ট্রান্সশিপমেন্ট-সুবিধা বলতে এমন একটি প্রক্রিয়াকে বোঝায়, যেখানে একটি বন্দর বা হাবে পণ্য বা কার্গো একটি জাহাজ, যানবাহন বা পরিবহনমাধ্যম থেকে অন্যটিতে স্থানান্তরিত হয় এবং তারপর চূড়ান্ত গন্তব্যে পাঠানো হয়। ২০২০ সালে ভারত বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট-সুবিধা চালু করে, যার মাধ্যমে বাংলাদেশি রপ্তানিকারকেরা ভুটান, নেপাল ও মিয়ানমারের মতো তৃতীয় দেশগুলোতে পণ্য পরিবহনের জন্য ভারতীয় ল্যান্ড কাস্টমস স্টেশন (এলসিএস) ব্যবহার করতে পারতেন। উদ্যোগটি বাণিজ্য প্রক্রিয়া সহজ করতে, লজিস্টিক খরচ কমাতে এবং পরিবহন সময় ও খরচ হ্রাস করে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতকে সমর্থন করার লক্ষ্যে গৃহীত হয়েছিল।
এ সিদ্ধান্তের পেছনে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের বেইজিং সফরের প্রভাব রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। সেখানে তিনি ভারতের সেভেন সিস্টার্স নিয়ে একটি বিতর্কিত বক্তব্য দিয়েছিলেন। তিনি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে চীনের শক্তিশালী বাণিজ্য সম্পর্কের পক্ষে কথা বলেন এবং এ প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশের বন্দর ব্যবহারের পরামর্শ দেন।
সূত্রগুলো আরও জানিয়েছে, বাংলাদেশ সরকারের দ্বিতীয় পদক্ষেপ হিসেবে একটি প্যানেল গঠন করা হয়। এই প্যানেল আর্থিক ক্ষতি ও নিষ্ক্রিয়তার কারণ দেখিয়ে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে তিনটি স্থলবন্দর সম্পূর্ণ বন্ধ করার সুপারিশ করে। একই প্যানেল আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দরের কার্যক্রম স্থগিত করার পরামর্শ দিয়েছিল।
তৃতীয়ত, বাংলাদেশের অন্যতম ব্যস্ত স্থলবন্দর বেনাপোল কাস্টম হাউস একটি বিশেষ তদন্ত ও ব্যবস্থাপনা ইউনিট গঠন করেছে। এ ইউনিটের লক্ষ্য রাজস্ব তদারকি ও প্রয়োগ কঠোর করা, যার ফলে বাণিজ্য করিডরে নিয়ন্ত্রণ আরও কঠোর হয়েছে।
আরও খবর পড়ুন:
বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট-সুবিধা বাতিল করার বিষয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে ভারত। আজ বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (এমইএ) জানিয়েছে, লজিস্টিক সীমাবদ্ধতার কারণে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সাংবাদিকদের উদ্দেশে মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘এর আগে দুই দেশের বাণিজ্যসুবিধা বন্ধে বাংলাদেশ কী কী পদক্ষেপ নিয়েছিল, তা একটু খতিয়ে দেখবেন।’
সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ভারতীয় বন্দর ও বিমানবন্দরে ক্রমবর্ধমান ভিড়ের কারণে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘ট্রান্সশিপমেন্ট-সুবিধাসংক্রান্ত বাণিজ্য বিষয়ে, আমাদের বন্দর ও বিমানবন্দরে ভিড়ের কারণে আমরা এ পদক্ষেপ নিয়েছি। আমি আপনাদের মনে করিয়ে দিতে চাই, এর আগে বাংলাদেশ যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, তা দয়া করে বিবেচনা করুন।’
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কয়েকটি সূত্র ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সিএনএন-নিউজ১৮কে জানিয়েছে, ঢাকার তিনটি সিদ্ধান্ত ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধার বর্তমান অবস্থার জন্য দায়ী হতে পারে।
প্রথমত, সম্প্রতি বাংলাদেশ খরচের পার্থক্যের কারণ দেখিয়ে ভারত থেকে সুতা আমদানির ক্ষেত্রে স্থলবন্দর ব্যবহার বন্ধ করে দিয়েছে। এই পদক্ষেপের ফলে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিকারকদের মধ্যে তীব্র সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে। তাঁরা এই সিদ্ধান্তকে তৈরি পোশাক (আরএমজি) খাতের জন্য ‘আত্মঘাতী’ বলে অভিহিত করেছেন।
ট্রান্সশিপমেন্ট-সুবিধা বলতে এমন একটি প্রক্রিয়াকে বোঝায়, যেখানে একটি বন্দর বা হাবে পণ্য বা কার্গো একটি জাহাজ, যানবাহন বা পরিবহনমাধ্যম থেকে অন্যটিতে স্থানান্তরিত হয় এবং তারপর চূড়ান্ত গন্তব্যে পাঠানো হয়। ২০২০ সালে ভারত বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট-সুবিধা চালু করে, যার মাধ্যমে বাংলাদেশি রপ্তানিকারকেরা ভুটান, নেপাল ও মিয়ানমারের মতো তৃতীয় দেশগুলোতে পণ্য পরিবহনের জন্য ভারতীয় ল্যান্ড কাস্টমস স্টেশন (এলসিএস) ব্যবহার করতে পারতেন। উদ্যোগটি বাণিজ্য প্রক্রিয়া সহজ করতে, লজিস্টিক খরচ কমাতে এবং পরিবহন সময় ও খরচ হ্রাস করে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতকে সমর্থন করার লক্ষ্যে গৃহীত হয়েছিল।
এ সিদ্ধান্তের পেছনে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের বেইজিং সফরের প্রভাব রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। সেখানে তিনি ভারতের সেভেন সিস্টার্স নিয়ে একটি বিতর্কিত বক্তব্য দিয়েছিলেন। তিনি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে চীনের শক্তিশালী বাণিজ্য সম্পর্কের পক্ষে কথা বলেন এবং এ প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশের বন্দর ব্যবহারের পরামর্শ দেন।
সূত্রগুলো আরও জানিয়েছে, বাংলাদেশ সরকারের দ্বিতীয় পদক্ষেপ হিসেবে একটি প্যানেল গঠন করা হয়। এই প্যানেল আর্থিক ক্ষতি ও নিষ্ক্রিয়তার কারণ দেখিয়ে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে তিনটি স্থলবন্দর সম্পূর্ণ বন্ধ করার সুপারিশ করে। একই প্যানেল আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দরের কার্যক্রম স্থগিত করার পরামর্শ দিয়েছিল।
তৃতীয়ত, বাংলাদেশের অন্যতম ব্যস্ত স্থলবন্দর বেনাপোল কাস্টম হাউস একটি বিশেষ তদন্ত ও ব্যবস্থাপনা ইউনিট গঠন করেছে। এ ইউনিটের লক্ষ্য রাজস্ব তদারকি ও প্রয়োগ কঠোর করা, যার ফলে বাণিজ্য করিডরে নিয়ন্ত্রণ আরও কঠোর হয়েছে।
আরও খবর পড়ুন:
সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চলতি মাসের ২৭ এপ্রিল থেকে কার্গো অপারেশন চালুর প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এ কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যালোচনায় আজ বিমানবন্দরটি পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া।
১১ ঘণ্টা আগেচলতি মাসে উচ্চপর্যায়ের একটি জার্মান ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফর করেছে। এই সফরের উদ্দেশ্য ছিল দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক সম্প্রসারণের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা। এই প্রতিনিধিদলে জার্মান পররাষ্ট্র ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, দেশটির রপ্তানি ঋণ সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার কর্মকর
১৮ ঘণ্টা আগেবিশ্বখ্যাত অডিট ফার্ম পিডব্লিউসি বিভিন্ন দেশ থেকে তাদের কার্যক্রম গুটিয়ে নিচ্ছে। বিশালাকার এই অ্যাকাউন্টিং ফার্মটির কর্তাব্যক্তিদের মতে, ছোট, ঝুঁকিপূর্ণ বা অলাভজনক বিবেচিত এক ডজনের বেশি দেশে ব্যবসা বন্ধ করেছে। কেলেঙ্কারির পুনরাবৃত্তি এড়াতেই তাদের এই পদক্ষেপ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল...
২১ ঘণ্টা আগেচলতি অর্থবছরের মাত্র তিন মাস বাকি থাকলেও বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নে এখনো খরচ করা বাকি রয়েছে ১ লাখ ৪৩ হাজার কোটি টাকা। পরিকল্পনা কমিশনের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) তথ্য বলছে, জুলাই-মার্চ পর্যন্ত ৯ মাসে খরচ হয়েছে ৮২ হাজার ৮৯৪ কোটি টাকা, যা মোট সংশোধিত এডিপির...
১ দিন আগে