ওমর ফারুক, চট্টগ্রাম থেকে
কোরবানির পশুর চামড়া নিয়ে চট্টগ্রামে যেন ঘটেছে এক নীরব বিপর্যয়। এবার সাড়ে ৪ লাখ চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। কিন্তু ন্যায্যমূল্য না পেয়ে ক্ষুব্ধ মৌসুমি ব্যবসায়ীরা রাস্তায় ফেলে দিয়েছেন হাজার হাজার চামড়া। হতাশা ও ক্ষোভের সেই দৃশ্য ছিল চোখে পড়ার মতো—শহরের অলিগলি, সড়কজুড়ে ছড়িয়ে ছিল কোরবানির চামড়া। কেউ ৩০০ টাকায় কিনে ১০০ টাকায়ও বিক্রি করতে পারেননি, আবার কেউ পুরোটা ফেলে ফিরে গেছেন গন্তব্যে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন জানিয়েছে, দুই দিনে তারা নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় ১ লাখ পরিত্যক্ত চামড়া সরিয়ে ফেলেছে, আবর্জনার মতো। মৌসুমি ব্যবসায়ীরা বলছেন, এই মৌসুমে তাঁরা নিঃস্ব হয়ে গেছেন।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা ইখতিয়ার উদ্দিন আহমদ চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, কোরবানির দিন ও পরের দিন নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় প্রায় ১ লাখ চামড়া ডাম্পিং করতে হয়েছে তাঁদের।
সাতকানিয়া থেকে ৮০০ চামড়া ৩০০-৪০০ টাকা দরে কিনে চট্টগ্রামে আনেন মৌসুমি ব্যবসায়ী শাহেনুর মিন্টু। পরিবহনসহ খরচ পড়ে প্রায় ৩ লাখ টাকা। কিন্তু আড়তদারেরা সন্ধ্যায় দাম দেন ২০০ টাকা করে, রাত বাড়তেই ৮০০ চামড়ার দর নেমে আসে মাত্র ৫০ হাজার টাকায়—প্রতিটি ৬০ টাকার কম। মিন্টুর কথায়, ‘লাভ তো দূরে থাক, অপমান সইতে হলো। রাগে-ক্ষোভে সব চামড়া পথে ফেলে বাড়ি ফিরেছি।’
এমন অভিজ্ঞতা শুধু মিন্টুর নয়। রাতভর শহরের আতুরার ডিপো, চকবাজার, আগ্রাবাদ, চৌমুহনী, বহদ্দারহাট, দেওয়ানহাটসহ প্রায় প্রতিটি আড়তপাড়া চামড়া ফেলানোর ট্র্যাজিক চিত্র দেখেছে। ট্রাকে করে শহরে চামড়া এনেও চূড়ান্ত দরপতনের কারণে অনেকে চামড়া বিক্রি না করে তা রাস্তায় ফেলে ফিরে যান।
রফিকুল ইসলাম নামের আরেক মৌসুমি ব্যবসায়ী জানান, ১ হাজার চামড়া কিনে শহরে এনেছিলেন। প্রতিটি ৩০০-৪০০ টাকা দরে কেনা চামড়া বিক্রি করতে বাধ্য হন ২০০ থেকে ২৫০ টাকায়। তিনি বলেন, পচে যাওয়ার ভয় এবং ক্রেতা না থাকায় শেষ পর্যন্ত বড় ক্ষতি নিয়ে চামড়া বেচতে হয়েছে।
এই বিপর্যয়ের দায় নিচ্ছে না কেউই। অথচ সিটি করপোরেশনের বিধিনিষেধে দিনে লবণ ছাড়া কাঁচা চামড়া শহরে ঢুকতে না দেওয়ায় ব্যবসায়ীরা বাধ্য হয়ে রাত ১০টার পর তা এনেছেন। ততক্ষণে চামড়ায় না লবণ মেশানো সম্ভব হয়েছে, না ঠান্ডা রাখা। ফলে দ্রুত নষ্ট হতে থাকে।
ক্ষতির শিকার সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন, এটি শুধু আর্থিক ক্ষতির বিষয় নয়, এই সময়ে ব্যবস্থাপনা ও বাজারনীতির বড় ধরনের ব্যর্থতার প্রতিচ্ছবি।
চামড়ার স্থানীয় আড়তদার সমিতির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ মুসলিম এর দায় চাপান মৌসুমি ব্যবসায়ীদের কাঁধে। তিনি বলেন, ‘সরকার যে দামে লবণযুক্ত চামড়া নির্ধারণ করেছে, তা দিয়ে কাঁচা ও লবণহীন চামড়া কিনলে আমাদের লোকসান হতো। মৌসুমি ব্যবসায়ীরা বাজার না বুঝে বেশি দামে কিনেছেন, দর ধরে রেখেছেন—এ অজ্ঞতাই তাঁদের ক্ষতির কারণ।’
দীর্ঘদিনের মৌসুমি ব্যবসায়ী মো. আলম সওদাগরের মতে, পরিস্থিতি এ বছর নজিরবিহীন ছিল। তরুণ অনেকে ব্যবসায় নেমেছিলেন। ৬০০-৭০০ টাকা দরে চামড়া কিনলেও আড়তদারেরা তার দাম বলেন ১০০ থেকে ১৫০ টাকা। এ অবস্থায় তাঁরা পথে ফেলে গেছেন কষ্টের পুঁজিতে কেনা চামড়া।
কোরবানির পশুর চামড়া নিয়ে চট্টগ্রামে যেন ঘটেছে এক নীরব বিপর্যয়। এবার সাড়ে ৪ লাখ চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। কিন্তু ন্যায্যমূল্য না পেয়ে ক্ষুব্ধ মৌসুমি ব্যবসায়ীরা রাস্তায় ফেলে দিয়েছেন হাজার হাজার চামড়া। হতাশা ও ক্ষোভের সেই দৃশ্য ছিল চোখে পড়ার মতো—শহরের অলিগলি, সড়কজুড়ে ছড়িয়ে ছিল কোরবানির চামড়া। কেউ ৩০০ টাকায় কিনে ১০০ টাকায়ও বিক্রি করতে পারেননি, আবার কেউ পুরোটা ফেলে ফিরে গেছেন গন্তব্যে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন জানিয়েছে, দুই দিনে তারা নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় ১ লাখ পরিত্যক্ত চামড়া সরিয়ে ফেলেছে, আবর্জনার মতো। মৌসুমি ব্যবসায়ীরা বলছেন, এই মৌসুমে তাঁরা নিঃস্ব হয়ে গেছেন।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা ইখতিয়ার উদ্দিন আহমদ চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, কোরবানির দিন ও পরের দিন নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় প্রায় ১ লাখ চামড়া ডাম্পিং করতে হয়েছে তাঁদের।
সাতকানিয়া থেকে ৮০০ চামড়া ৩০০-৪০০ টাকা দরে কিনে চট্টগ্রামে আনেন মৌসুমি ব্যবসায়ী শাহেনুর মিন্টু। পরিবহনসহ খরচ পড়ে প্রায় ৩ লাখ টাকা। কিন্তু আড়তদারেরা সন্ধ্যায় দাম দেন ২০০ টাকা করে, রাত বাড়তেই ৮০০ চামড়ার দর নেমে আসে মাত্র ৫০ হাজার টাকায়—প্রতিটি ৬০ টাকার কম। মিন্টুর কথায়, ‘লাভ তো দূরে থাক, অপমান সইতে হলো। রাগে-ক্ষোভে সব চামড়া পথে ফেলে বাড়ি ফিরেছি।’
এমন অভিজ্ঞতা শুধু মিন্টুর নয়। রাতভর শহরের আতুরার ডিপো, চকবাজার, আগ্রাবাদ, চৌমুহনী, বহদ্দারহাট, দেওয়ানহাটসহ প্রায় প্রতিটি আড়তপাড়া চামড়া ফেলানোর ট্র্যাজিক চিত্র দেখেছে। ট্রাকে করে শহরে চামড়া এনেও চূড়ান্ত দরপতনের কারণে অনেকে চামড়া বিক্রি না করে তা রাস্তায় ফেলে ফিরে যান।
রফিকুল ইসলাম নামের আরেক মৌসুমি ব্যবসায়ী জানান, ১ হাজার চামড়া কিনে শহরে এনেছিলেন। প্রতিটি ৩০০-৪০০ টাকা দরে কেনা চামড়া বিক্রি করতে বাধ্য হন ২০০ থেকে ২৫০ টাকায়। তিনি বলেন, পচে যাওয়ার ভয় এবং ক্রেতা না থাকায় শেষ পর্যন্ত বড় ক্ষতি নিয়ে চামড়া বেচতে হয়েছে।
এই বিপর্যয়ের দায় নিচ্ছে না কেউই। অথচ সিটি করপোরেশনের বিধিনিষেধে দিনে লবণ ছাড়া কাঁচা চামড়া শহরে ঢুকতে না দেওয়ায় ব্যবসায়ীরা বাধ্য হয়ে রাত ১০টার পর তা এনেছেন। ততক্ষণে চামড়ায় না লবণ মেশানো সম্ভব হয়েছে, না ঠান্ডা রাখা। ফলে দ্রুত নষ্ট হতে থাকে।
ক্ষতির শিকার সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন, এটি শুধু আর্থিক ক্ষতির বিষয় নয়, এই সময়ে ব্যবস্থাপনা ও বাজারনীতির বড় ধরনের ব্যর্থতার প্রতিচ্ছবি।
চামড়ার স্থানীয় আড়তদার সমিতির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ মুসলিম এর দায় চাপান মৌসুমি ব্যবসায়ীদের কাঁধে। তিনি বলেন, ‘সরকার যে দামে লবণযুক্ত চামড়া নির্ধারণ করেছে, তা দিয়ে কাঁচা ও লবণহীন চামড়া কিনলে আমাদের লোকসান হতো। মৌসুমি ব্যবসায়ীরা বাজার না বুঝে বেশি দামে কিনেছেন, দর ধরে রেখেছেন—এ অজ্ঞতাই তাঁদের ক্ষতির কারণ।’
দীর্ঘদিনের মৌসুমি ব্যবসায়ী মো. আলম সওদাগরের মতে, পরিস্থিতি এ বছর নজিরবিহীন ছিল। তরুণ অনেকে ব্যবসায় নেমেছিলেন। ৬০০-৭০০ টাকা দরে চামড়া কিনলেও আড়তদারেরা তার দাম বলেন ১০০ থেকে ১৫০ টাকা। এ অবস্থায় তাঁরা পথে ফেলে গেছেন কষ্টের পুঁজিতে কেনা চামড়া।
রাশিয়ার জ্বালানি তেল আমদানি কমাতে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের বাড়তি চাপের মুখে অপরিশোধিত তেলের নতুন উৎস খুঁজছে ভারত। এই পরিস্থিতিতে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ গায়ানায় অবস্থিত মার্কিন কোম্পানির কাছ থেকে তেল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির শীর্ষ পরিশোধনাগারগুলো।
৮ ঘণ্টা আগেনাভরাতিল এক বিবৃতিতে বলেন, বিশ্ব বদলে যাচ্ছে। নেসলেকেও আরও দ্রুত বদলাতে হবে। এ প্রক্রিয়ায় কঠিন কিন্তু প্রয়োজনীয় কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হবে, যার মধ্যে আগামী দুই বছরে কর্মীর সংখ্যা কমানো হবে।
১২ ঘণ্টা আগে২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) রাজস্ব আদায় করেছে ৯০ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা, যা এযাবৎকালের যেকোনো অর্থবছরের প্রথম ৩ মাসের তুলনায় সর্বোচ্চ রাজস্ব আদায়। আজ শুক্রবার এনবিআর এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগেদেশে এখন আর ডলারের সংকট নেই। ফলে আমদানির ওপর কড়াকড়িও অনেকটা কমে গেছে। এর প্রভাব পড়েছে বাজারে। ভোগ্যপণ্য, শিল্পের কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতি আমদানি বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই ও আগস্ট দুই মাসে আমদানির জন্য ১১ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন ডলারের এলসি খোলা হয়েছে। আগের বছর একই সময়ে..
১ দিন আগে