এডিপি অনুমোদন
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য সংকুচিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) রাখা হচ্ছে মোট ১ হাজার ১৭১টি প্রকল্প। এতে মোট ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার যে উন্নয়ন ব্যয়ের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, তাতে সরকারের অগ্রাধিকারভিত্তিক ১০ খাতেই খরচ করা হবে ৭৪.৪০ শতাংশ; টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ ১ লাখ ৬৩ হাজার ৯৯ কোটি টাকা। দারিদ্র্য নিরসন ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধির মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব টেকসই উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিতেই এ পরিকল্পনা; যা গতকাল রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এনইসি সভায় চূড়ান্ত হয়েছে।
সভা শেষে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ জানিয়েছেন, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের যে বাজেট আসছে, এটা শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারের বাজেট। এবারের বাজেট দায়িত্বজ্ঞানহীন বাজেট নয়। বাজেট ছোট হলেও বাস্তবসম্মত ও বাস্তবায়নযোগ্য হবে। একই সঙ্গে প্রয়োজনীয় ও জনগুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোই বরাদ্দে অগ্রাধিকার পাবে।
তথ্যমতে, আসন্ন বাজেটে এডিপিতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ পেতে যাওয়া খাত হচ্ছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। এ খাত বা বিভাগটি বরাদ্দ পাচ্ছে ৩৬ হাজার কোটি টাকা। এ ছাড়া সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক মন্ত্রণালয় পাচ্ছে ৩২ হাজার কোটি টাকা। বিদ্যুৎ বিভাগকে দেওয়া হচ্ছে ২০ হাজার কোটি টাকা। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষায় বরাদ্দ রাখা হচ্ছে সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকা। এরপরই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ১২ হাজার কোটি, স্বাস্থ্যসেবা ১১ হাজার কোটি টাকা পাচ্ছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে দেওয়া হচ্ছে ১১ হাজার কোটি টাকা। এ ছাড়া নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়কে ৯ হাজার কোটি, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে ৮ হাজার কোটি এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়কে ৭ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে।
সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, অনুমোদিত ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার এডিপির মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে দেওয়া হবে ১ লাখ ৪৪ হাজার কোটি টাকা। বৈদেশিক ঋণ নেওয়া হবে ৮৬ হাজার কোটি টাকা। এ ছাড়া সিটি করপোরেশনের মতো স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের এডিপি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মোট এডিপি ৮ হাজার ৫৯৯ কোটি ৭১ লাখ টাকা। অন্যদিকে আগামী অর্থবছরের এডিপিতে বরাদ্দ করা প্রকল্পগুলোর মধ্যে সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ৭৫৪টি, বৈদেশিক ঋণ পাওয়া সুবিধার জন্য ২০০টি এবং স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নে ৩৬টি প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, এডিপিতে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়নি। কারণ, এ খাতে অনেক অবকাঠামো (হাসপাতাল-স্বাস্থ্যকেন্দ্র) তৈরি হয়েছে, কিন্তু কোথাও চিকিৎসক নেই। এ জন্য বরাদ্দ কম দেওয়া হয়েছে। তবুও সেটা গত অর্থবছরের তুলনায় বেশি আছে। তবে শিক্ষা খাতে এডিপিতে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। কারণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসের সমস্যা রয়েছে, স্কুলে অবকাঠামো ভেঙে গেছে, নষ্ট হয়ে গেছে—এগুলো সংস্কার এবং নির্মাণ করা দরকার। এ জন্য বরাদ্দ বেশি দেওয়া হয়েছে। এটা অনেক বড় কিছু না; তবে এখান থেকে শুরু করা হলে ভবিষ্যতে এই ধারাবাহিকতায় বরাদ্দ বাড়তে থাকবে।
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘এবার দায়িত্বজ্ঞানহীন বাজেট হচ্ছে না। বাজেট ব্যবস্থাপনা টেকসই করাই হলো আমাদের মূল লক্ষ্য। এই বাজেটে আমাদের রাজস্ব বৃদ্ধির চেষ্টা থাকবে। একই সঙ্গে জিডিপি ৪ শতাংশের মধ্যে রাখার চেষ্টা করা হবে। টাকা ছাপিয়ে বাজেট বাস্তবায়নে যাবে না সরকার। এর প্রভাব সঙ্গে সঙ্গে না পড়লেও কিছুদিন পরে তা মূল্যস্ফীতির ওপর পড়ে।’
আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য সংকুচিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) রাখা হচ্ছে মোট ১ হাজার ১৭১টি প্রকল্প। এতে মোট ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার যে উন্নয়ন ব্যয়ের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, তাতে সরকারের অগ্রাধিকারভিত্তিক ১০ খাতেই খরচ করা হবে ৭৪.৪০ শতাংশ; টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ ১ লাখ ৬৩ হাজার ৯৯ কোটি টাকা। দারিদ্র্য নিরসন ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধির মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব টেকসই উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিতেই এ পরিকল্পনা; যা গতকাল রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এনইসি সভায় চূড়ান্ত হয়েছে।
সভা শেষে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ জানিয়েছেন, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের যে বাজেট আসছে, এটা শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারের বাজেট। এবারের বাজেট দায়িত্বজ্ঞানহীন বাজেট নয়। বাজেট ছোট হলেও বাস্তবসম্মত ও বাস্তবায়নযোগ্য হবে। একই সঙ্গে প্রয়োজনীয় ও জনগুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোই বরাদ্দে অগ্রাধিকার পাবে।
তথ্যমতে, আসন্ন বাজেটে এডিপিতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ পেতে যাওয়া খাত হচ্ছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। এ খাত বা বিভাগটি বরাদ্দ পাচ্ছে ৩৬ হাজার কোটি টাকা। এ ছাড়া সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক মন্ত্রণালয় পাচ্ছে ৩২ হাজার কোটি টাকা। বিদ্যুৎ বিভাগকে দেওয়া হচ্ছে ২০ হাজার কোটি টাকা। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষায় বরাদ্দ রাখা হচ্ছে সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকা। এরপরই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ১২ হাজার কোটি, স্বাস্থ্যসেবা ১১ হাজার কোটি টাকা পাচ্ছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে দেওয়া হচ্ছে ১১ হাজার কোটি টাকা। এ ছাড়া নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়কে ৯ হাজার কোটি, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে ৮ হাজার কোটি এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়কে ৭ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে।
সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, অনুমোদিত ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার এডিপির মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে দেওয়া হবে ১ লাখ ৪৪ হাজার কোটি টাকা। বৈদেশিক ঋণ নেওয়া হবে ৮৬ হাজার কোটি টাকা। এ ছাড়া সিটি করপোরেশনের মতো স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের এডিপি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মোট এডিপি ৮ হাজার ৫৯৯ কোটি ৭১ লাখ টাকা। অন্যদিকে আগামী অর্থবছরের এডিপিতে বরাদ্দ করা প্রকল্পগুলোর মধ্যে সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ৭৫৪টি, বৈদেশিক ঋণ পাওয়া সুবিধার জন্য ২০০টি এবং স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নে ৩৬টি প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, এডিপিতে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়নি। কারণ, এ খাতে অনেক অবকাঠামো (হাসপাতাল-স্বাস্থ্যকেন্দ্র) তৈরি হয়েছে, কিন্তু কোথাও চিকিৎসক নেই। এ জন্য বরাদ্দ কম দেওয়া হয়েছে। তবুও সেটা গত অর্থবছরের তুলনায় বেশি আছে। তবে শিক্ষা খাতে এডিপিতে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। কারণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসের সমস্যা রয়েছে, স্কুলে অবকাঠামো ভেঙে গেছে, নষ্ট হয়ে গেছে—এগুলো সংস্কার এবং নির্মাণ করা দরকার। এ জন্য বরাদ্দ বেশি দেওয়া হয়েছে। এটা অনেক বড় কিছু না; তবে এখান থেকে শুরু করা হলে ভবিষ্যতে এই ধারাবাহিকতায় বরাদ্দ বাড়তে থাকবে।
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘এবার দায়িত্বজ্ঞানহীন বাজেট হচ্ছে না। বাজেট ব্যবস্থাপনা টেকসই করাই হলো আমাদের মূল লক্ষ্য। এই বাজেটে আমাদের রাজস্ব বৃদ্ধির চেষ্টা থাকবে। একই সঙ্গে জিডিপি ৪ শতাংশের মধ্যে রাখার চেষ্টা করা হবে। টাকা ছাপিয়ে বাজেট বাস্তবায়নে যাবে না সরকার। এর প্রভাব সঙ্গে সঙ্গে না পড়লেও কিছুদিন পরে তা মূল্যস্ফীতির ওপর পড়ে।’
স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক, খাদ্য, প্লাস্টিক, তুলাসহ ছয় ধরনের পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করেছে ভারত। এতে বিপাকে পড়েছেন রপ্তানিকারকেরা। এমন সিদ্ধান্তে প্রতিবেশী দেশটিতে এসব পণ্য রপ্তানিতে ভাটা পড়ার আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। অর্থনীতিবিদেরা একে দেখছেন দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের জন্য বড় বাধা হিসেবে।
৫ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম কাস্টম হাউস চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) ৬২ হাজার ৮১৮ কোটি ৯২ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় করেছে, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৩.১৪ শতাংশ বেশি। এপ্রিল মাসে এ প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়ায় ২৩.৬৭ শতাংশে, যা বর্তমান অর্থনৈতিক পরিবেশে একটি ব্যতিক্রমী অর্জন হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
৫ ঘণ্টা আগেদেশে এক বছরের ব্যবধানে বেকারের সংখ্যা বেড়েছে ১ লাখ ৬০ হাজার। একই সঙ্গে কমেছে কর্মক্ষম ও কর্মে নিয়োজিত জনগোষ্ঠী। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রকাশিত শ্রমশক্তি জরিপ ২০২৪-এ উঠে এসেছে এ চিত্র।
৭ ঘণ্টা আগেপুঁজিবাজারকে শক্তিশালী ও গতিশীল করতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণের অঙ্গীকার করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী এবং পুঁজিবাজার উন্নয়ন কমিটির সভাপতি ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী। গতকাল রোববার রাজধানীর নিকুঞ্জে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) পরিদর্শনকালে এক মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, ‘পুঁজিবাজারের উন্নয়নে
৭ ঘণ্টা আগে