Ajker Patrika

চিরকুটে শিক্ষাব্যবস্থাকে দায়ী করে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষার্থীর ‘আত্মহত্যা’

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ মে ২০২৫, ২১: ৩১
ধ্রুবজিৎ কর্মকার। ছবি: সংগৃহীত
ধ্রুবজিৎ কর্মকার। ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের আবাসিক হল থেকে ধ্রুবজিৎ কর্মকার নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাঁর কক্ষ থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়। তাঁর এই মৃত্যুর জন্য দেশের শিক্ষাব্যবস্থা দায়ী বলে চিরকুটে লেখা রয়েছে।

আজ রোববার দুপুরে কলেজের অমর একুশে হলের ৩০৭ নম্বর কক্ষে ফ্যানের সঙ্গে গামছা দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় ধ্রুবজিৎ কর্মকারের লাশ পাওয়া যায়।

চিরকুটে লেখা রয়েছে, ‘সরি মা, বাবা। আমি ধ্রুবজিৎ, সবার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। কার্ডের পিন (.......), টাকাগুলো মাকে দিয়ে দিও। আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা। পরেরবার ফার্মেসি নিয়ে পড়ব। এত চাপ আমার পক্ষে নেওয়া কোনোভাবেই সম্ভব ছিল না। বিদায়। হরে কৃষ্ণ।’

জানা গেছে, শিক্ষার্থী ধ্রুবজিৎ কর্মকার ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার বিজয়পুর গ্রামের মনোতোষ কর্মকার ও সুপ্তা কর্মকার দম্পতির ছেলে। তিনি ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের তৃতীয় বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষার্থী ছিলেন।

ধ্রুবজিৎ কর্মকারের কক্ষ থেকে উদ্ধার চিরকুট। ছবি: সংগৃহীত
ধ্রুবজিৎ কর্মকারের কক্ষ থেকে উদ্ধার চিরকুট। ছবি: সংগৃহীত

কলেজ অধ্যক্ষ প্রকৌশলী অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, শিক্ষার্থী ধ্রুবজিৎ চিরকুট লিখে আত্মহত্যা করেছেন। তাঁর একাডেমিক পরীক্ষা চলছিল। আজও পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষার হলে তিনি নকলসহ ধরা পড়েন। এ সময় দায়িত্বরত শিক্ষকেরা তাঁর খাতা নিয়ে তাঁকে হল থেকে বের করে দেন। এ ঘটনার পর ধ্রুবজিৎ তাঁর কক্ষে গিয়ে আত্মহত্যা করেন। বিষয়টি টের পেয়ে তাৎক্ষণিক তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

অধ্যক্ষ আরও বলেন, ধ্রুবজিৎ কিছুদিন ধরেই হতাশাগ্রস্ত ছিলেন। হয়তো পরীক্ষায় নকল নিয়ে ধরা পড়ে তিনি মানসিকভাবে আরও ভেঙে পড়েছিলেন। ঘটনাটি অত্যন্ত মর্মান্তিক ও দুঃখজনক। ঘটনাটি তাঁর পরিবারকে জানানো হয়েছে।

ধ্রুবজিৎ কর্মকারের সহপাঠীরা জানান, পরীক্ষার হলে নকল নিয়ে ধরা পড়ার পর বহিষ্কারের ভয়ে স্যারদের পায়ে ধরে অনেক কান্নাকাটি করেছিলেন ধ্রুবজিৎ। এরপরই তিনি হলে এসে ফ্যানের সঙ্গে গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। এ সময় তাঁর কক্ষের সহপাঠীরা পরীক্ষার হলে ছিলেন।

কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক সজীব কুমার বাড়ই বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। ওই শিক্ষার্থীর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সারজিসের পোস্টে কমেন্ট করে বরখাস্ত মৎস্য মন্ত্রণালয়ের কর্মচারী

আলটিমেটাম শেষ হওয়ার আগেই আসতে পারে অন্তর্বর্তী প্রশাসনের ঘোষণা

পাইপলাইনে জ্বালানি পরিবহন: ৮ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প স্থবির

নূর ধান-২: এক চালেই হবে ভাত পোলাও খিচুড়ি বিরিয়ানি তেহারি

‘৩ শর্তে’ সশস্ত্র বাহিনীর চাকরিচ্যুতদের বিক্ষোভ স্থগিত

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত