নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভরত চাকরিচ্যুত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা কর্মসূচি স্থগিত করেছেন। আজ রোববার বিকেলে দাবিদাওয়া বিবেচনার আশ্বাস এবং কয়েক ঘণ্টা আলোচনার পর চাকরিচ্যুতদের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
তিনটি শর্তে বিক্ষোভ স্থগিত করা হয়েছে বলে সন্ধ্যার পরে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেওয়া আট সদস্য জানান। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বরখাস্ত করা সৈনিক মো. কামরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের সৈনিক নাইমুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বর্তমানে সে কারাগারে। আগামীকাল সেনাবাহিনীর সদস্যরা ও আমাদের আট প্রতিনিধি গিয়ে তিনিসহ গ্রেপ্তার সবাইকে ছাড়িয়ে আনার ব্যবস্থা করা হবে।’
কামরুজ্জামান আরও বলেন, ‘১০ বছরের নিচে যেসব সৈনিকের চাকরির বয়স ছিল, তাঁদের পুনর্বহালের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন সেনা কর্মকর্তারা। যাঁদের চাকরির বয়স নেই, তাঁদের পেনশনের আওতাভুক্ত করা হবে বলে আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে। তবে নাইমুলসহ অন্যদের মুক্তি না দিলে ফের কর্মসূচি দেওয়া হবে। সেই পর্যন্ত সবাইকে ঢাকায় অবস্থান করার আহ্বান জানানো হয়েছে।’
এর আগে আজ দুপুর থেকে স্ত্রী ও সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিক্ষোভ শুরু করেন চাকরিচ্যুতরা। কর্মসূচির মধ্যেই সেনাবাহিনীর ভেটেরান ডিরেক্টর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিনুর রহমানসহ সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাঁদের কথা শোনেন।
বিকেলে প্রথম দফার আলোচনা শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা তাদের দাবিদাওয়াগুলো শুনেছি। আমরা সব দাবিদাওয়া নোট করেছি। এগুলো নিয়ে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আমিনুর রহমান বলেন, ‘তাদের বলেছি, সবাইকে আলাদা আলাদা করে আবেদন করতে। আবেদনের ঠিকানা আমরা দিয়ে গেছি। ইনডিভিজুয়াল কেসের মেরিট অনুযায়ী আমরা বসব, আলাপ-আলোচনা করে আপনাদের যত দ্রুত সম্ভব, যতখানি দেওয়া সম্ভব, আমরা অ্যাড্রেস করব। এটাও বলেছি যে, সেনাবাহিনীর যে আইনশৃঙ্খলা, এটা অবশ্যই মেইনটেইন করতে হবে। আমরা মানবিকভাবে যতটুকু সাহায্য করার করব।’
তাঁরা কি আপনাদের কথা মেনেছেন—এমন প্রশ্নের জবাবে আমিনুর রহমান বলেন, ‘হ্যাঁ, তাঁরা মেনেছেন। তাঁরা অপেক্ষা করবেন। আমাদের কার্যক্রম চলবে।’
গতকাল শনিবার তাঁদের একজনকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে আমিনুর রহমান বলেন, ‘ওটা একটা আইনগত বিষয়; মামলার বিষয় এবং তাঁকে আমাদের পক্ষ থেকে যতটুকু সহায়তা করা যায়, আমরা করব। ৮০০-এর মতো অ্যাপ্লিকেশন পড়েছে, যার মধ্যে এক শর বেশি আমরা অ্যাড্রেস করেছি।
আপনাদের কথায় তাঁরা সন্তুষ্ট কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মনে তো হলো সন্তুষ্ট।’ সবশেষে তিনি এই কর্মসূচি সমাপ্ত করার অনুরোধ জানান।
পরে চাকরিচ্যুত নৌবাহিনীর নাবিক বাহাউদ্দিন বলেন, ‘নয় মাস ধরে আমাদের দাবিটি করে আসছি। আমাদের ব্যাপারটা কালক্ষেপণ হয়ে গিয়েছিল। তাই আমরা একটা অবস্থান কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। আমাদের প্রধান সমন্বয়ককে ধরে নেওয়া হয়েছিল। প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তারা বলেছে, কালকে বা পরশু দিনের মধ্যে প্রথম ধাপে একটা ফলাফল দেবে। চাকরিচ্যুত সবাইকেই বিশেষ বিবেচনায় নিয়ে আসবে। যে অপরাধ করেনি, তাকে বিশেষ বিবেচনায় নিয়ে আসা হবে। তবে গুরুতর অপরাধীকে দেওয়া যাবে না।’
বাহাউদ্দিন বলেন, ‘তাদের প্রতি বিশ্বাস রেখে আমরাও ধৈর্য ধরছি। তাদের প্রতি বিশ্বাস রাখছি। তারা চাইলে আমাদের বিষয়গুলোর ডিসপোজাল দিতে পারে। তারা অবশ্যই দেবে, এই বিশ্বাস রয়েছে।’
এরপর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে প্রেসক্লাব থেকে বের হওয়ার সময় ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিনুর রহমানের গাড়িবহরের সামনে চাকরিচ্যুতরা শুয়ে পড়েন। পরে প্রেসক্লাবের ভেতর থেকে গাড়ি আর বের হতে পারেনি। পরে আমিনুর রহমান আবার গাড়ি থেকে নেমে সবাইকে বোঝান। তাঁর কথার বিপরীতে চাকরিচ্যুতরা প্রেসক্লাবে বসেই সমাধান করতে বলেন।
সন্ধ্যা পৌনে ৬টা পর্যন্ত এর কোনো সমাধান হয়নি। তখন থেকে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা চলছিল। প্রেসক্লাবের ভেতরে শতাধিক সেনাসদস্য উপস্থিত ছিলেন। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সমঝোতার পর পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা প্রেসক্লাব থেকে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেন। এরপর সেনা কর্মকর্তা সেখান থেকে বেরিয়ে যান।
এদিকে এই অবস্থান কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ঢাকা সেনানিবাসের প্রবেশমুখ ও চারপাশে ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়া পাহারা। সকাল থেকে জাহাংগীর গেট, বিএএফ শাহীন কলেজ, মহাখালী রেলগেট, কাকলী, বনানীতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়, ছিলেন সেনাবাহিনীর সদস্যরাও।
সরেজমিনে দেখা গেছে, জাহাংগীর গেট এলাকায় উভয় পাশে পুলিশ ও সেনাবাহিনী দিনব্যাপী কড়া পাহারায় ছিল। এ ছাড়া বিএএফ শাহীন কলেজের সামনে মহাখালী রেলগেটে, কাকলী, বনানী ও কচুক্ষেতেও ছিলেন পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা। তবে এসব এলাকায় কাউকে জড়ো হতে দেখা যায়নি।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভরত চাকরিচ্যুত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা কর্মসূচি স্থগিত করেছেন। আজ রোববার বিকেলে দাবিদাওয়া বিবেচনার আশ্বাস এবং কয়েক ঘণ্টা আলোচনার পর চাকরিচ্যুতদের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
তিনটি শর্তে বিক্ষোভ স্থগিত করা হয়েছে বলে সন্ধ্যার পরে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেওয়া আট সদস্য জানান। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বরখাস্ত করা সৈনিক মো. কামরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের সৈনিক নাইমুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বর্তমানে সে কারাগারে। আগামীকাল সেনাবাহিনীর সদস্যরা ও আমাদের আট প্রতিনিধি গিয়ে তিনিসহ গ্রেপ্তার সবাইকে ছাড়িয়ে আনার ব্যবস্থা করা হবে।’
কামরুজ্জামান আরও বলেন, ‘১০ বছরের নিচে যেসব সৈনিকের চাকরির বয়স ছিল, তাঁদের পুনর্বহালের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন সেনা কর্মকর্তারা। যাঁদের চাকরির বয়স নেই, তাঁদের পেনশনের আওতাভুক্ত করা হবে বলে আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে। তবে নাইমুলসহ অন্যদের মুক্তি না দিলে ফের কর্মসূচি দেওয়া হবে। সেই পর্যন্ত সবাইকে ঢাকায় অবস্থান করার আহ্বান জানানো হয়েছে।’
এর আগে আজ দুপুর থেকে স্ত্রী ও সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিক্ষোভ শুরু করেন চাকরিচ্যুতরা। কর্মসূচির মধ্যেই সেনাবাহিনীর ভেটেরান ডিরেক্টর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিনুর রহমানসহ সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাঁদের কথা শোনেন।
বিকেলে প্রথম দফার আলোচনা শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা তাদের দাবিদাওয়াগুলো শুনেছি। আমরা সব দাবিদাওয়া নোট করেছি। এগুলো নিয়ে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আমিনুর রহমান বলেন, ‘তাদের বলেছি, সবাইকে আলাদা আলাদা করে আবেদন করতে। আবেদনের ঠিকানা আমরা দিয়ে গেছি। ইনডিভিজুয়াল কেসের মেরিট অনুযায়ী আমরা বসব, আলাপ-আলোচনা করে আপনাদের যত দ্রুত সম্ভব, যতখানি দেওয়া সম্ভব, আমরা অ্যাড্রেস করব। এটাও বলেছি যে, সেনাবাহিনীর যে আইনশৃঙ্খলা, এটা অবশ্যই মেইনটেইন করতে হবে। আমরা মানবিকভাবে যতটুকু সাহায্য করার করব।’
তাঁরা কি আপনাদের কথা মেনেছেন—এমন প্রশ্নের জবাবে আমিনুর রহমান বলেন, ‘হ্যাঁ, তাঁরা মেনেছেন। তাঁরা অপেক্ষা করবেন। আমাদের কার্যক্রম চলবে।’
গতকাল শনিবার তাঁদের একজনকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে আমিনুর রহমান বলেন, ‘ওটা একটা আইনগত বিষয়; মামলার বিষয় এবং তাঁকে আমাদের পক্ষ থেকে যতটুকু সহায়তা করা যায়, আমরা করব। ৮০০-এর মতো অ্যাপ্লিকেশন পড়েছে, যার মধ্যে এক শর বেশি আমরা অ্যাড্রেস করেছি।
আপনাদের কথায় তাঁরা সন্তুষ্ট কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মনে তো হলো সন্তুষ্ট।’ সবশেষে তিনি এই কর্মসূচি সমাপ্ত করার অনুরোধ জানান।
পরে চাকরিচ্যুত নৌবাহিনীর নাবিক বাহাউদ্দিন বলেন, ‘নয় মাস ধরে আমাদের দাবিটি করে আসছি। আমাদের ব্যাপারটা কালক্ষেপণ হয়ে গিয়েছিল। তাই আমরা একটা অবস্থান কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। আমাদের প্রধান সমন্বয়ককে ধরে নেওয়া হয়েছিল। প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তারা বলেছে, কালকে বা পরশু দিনের মধ্যে প্রথম ধাপে একটা ফলাফল দেবে। চাকরিচ্যুত সবাইকেই বিশেষ বিবেচনায় নিয়ে আসবে। যে অপরাধ করেনি, তাকে বিশেষ বিবেচনায় নিয়ে আসা হবে। তবে গুরুতর অপরাধীকে দেওয়া যাবে না।’
বাহাউদ্দিন বলেন, ‘তাদের প্রতি বিশ্বাস রেখে আমরাও ধৈর্য ধরছি। তাদের প্রতি বিশ্বাস রাখছি। তারা চাইলে আমাদের বিষয়গুলোর ডিসপোজাল দিতে পারে। তারা অবশ্যই দেবে, এই বিশ্বাস রয়েছে।’
এরপর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে প্রেসক্লাব থেকে বের হওয়ার সময় ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিনুর রহমানের গাড়িবহরের সামনে চাকরিচ্যুতরা শুয়ে পড়েন। পরে প্রেসক্লাবের ভেতর থেকে গাড়ি আর বের হতে পারেনি। পরে আমিনুর রহমান আবার গাড়ি থেকে নেমে সবাইকে বোঝান। তাঁর কথার বিপরীতে চাকরিচ্যুতরা প্রেসক্লাবে বসেই সমাধান করতে বলেন।
সন্ধ্যা পৌনে ৬টা পর্যন্ত এর কোনো সমাধান হয়নি। তখন থেকে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা চলছিল। প্রেসক্লাবের ভেতরে শতাধিক সেনাসদস্য উপস্থিত ছিলেন। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সমঝোতার পর পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা প্রেসক্লাব থেকে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেন। এরপর সেনা কর্মকর্তা সেখান থেকে বেরিয়ে যান।
এদিকে এই অবস্থান কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ঢাকা সেনানিবাসের প্রবেশমুখ ও চারপাশে ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়া পাহারা। সকাল থেকে জাহাংগীর গেট, বিএএফ শাহীন কলেজ, মহাখালী রেলগেট, কাকলী, বনানীতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়, ছিলেন সেনাবাহিনীর সদস্যরাও।
সরেজমিনে দেখা গেছে, জাহাংগীর গেট এলাকায় উভয় পাশে পুলিশ ও সেনাবাহিনী দিনব্যাপী কড়া পাহারায় ছিল। এ ছাড়া বিএএফ শাহীন কলেজের সামনে মহাখালী রেলগেটে, কাকলী, বনানী ও কচুক্ষেতেও ছিলেন পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা। তবে এসব এলাকায় কাউকে জড়ো হতে দেখা যায়নি।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভরত চাকরিচ্যুত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা কর্মসূচি স্থগিত করেছেন। আজ রোববার বিকেলে দাবিদাওয়া বিবেচনার আশ্বাস এবং কয়েক ঘণ্টা আলোচনার পর চাকরিচ্যুতদের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
তিনটি শর্তে বিক্ষোভ স্থগিত করা হয়েছে বলে সন্ধ্যার পরে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেওয়া আট সদস্য জানান। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বরখাস্ত করা সৈনিক মো. কামরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের সৈনিক নাইমুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বর্তমানে সে কারাগারে। আগামীকাল সেনাবাহিনীর সদস্যরা ও আমাদের আট প্রতিনিধি গিয়ে তিনিসহ গ্রেপ্তার সবাইকে ছাড়িয়ে আনার ব্যবস্থা করা হবে।’
কামরুজ্জামান আরও বলেন, ‘১০ বছরের নিচে যেসব সৈনিকের চাকরির বয়স ছিল, তাঁদের পুনর্বহালের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন সেনা কর্মকর্তারা। যাঁদের চাকরির বয়স নেই, তাঁদের পেনশনের আওতাভুক্ত করা হবে বলে আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে। তবে নাইমুলসহ অন্যদের মুক্তি না দিলে ফের কর্মসূচি দেওয়া হবে। সেই পর্যন্ত সবাইকে ঢাকায় অবস্থান করার আহ্বান জানানো হয়েছে।’
এর আগে আজ দুপুর থেকে স্ত্রী ও সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিক্ষোভ শুরু করেন চাকরিচ্যুতরা। কর্মসূচির মধ্যেই সেনাবাহিনীর ভেটেরান ডিরেক্টর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিনুর রহমানসহ সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাঁদের কথা শোনেন।
বিকেলে প্রথম দফার আলোচনা শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা তাদের দাবিদাওয়াগুলো শুনেছি। আমরা সব দাবিদাওয়া নোট করেছি। এগুলো নিয়ে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আমিনুর রহমান বলেন, ‘তাদের বলেছি, সবাইকে আলাদা আলাদা করে আবেদন করতে। আবেদনের ঠিকানা আমরা দিয়ে গেছি। ইনডিভিজুয়াল কেসের মেরিট অনুযায়ী আমরা বসব, আলাপ-আলোচনা করে আপনাদের যত দ্রুত সম্ভব, যতখানি দেওয়া সম্ভব, আমরা অ্যাড্রেস করব। এটাও বলেছি যে, সেনাবাহিনীর যে আইনশৃঙ্খলা, এটা অবশ্যই মেইনটেইন করতে হবে। আমরা মানবিকভাবে যতটুকু সাহায্য করার করব।’
তাঁরা কি আপনাদের কথা মেনেছেন—এমন প্রশ্নের জবাবে আমিনুর রহমান বলেন, ‘হ্যাঁ, তাঁরা মেনেছেন। তাঁরা অপেক্ষা করবেন। আমাদের কার্যক্রম চলবে।’
গতকাল শনিবার তাঁদের একজনকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে আমিনুর রহমান বলেন, ‘ওটা একটা আইনগত বিষয়; মামলার বিষয় এবং তাঁকে আমাদের পক্ষ থেকে যতটুকু সহায়তা করা যায়, আমরা করব। ৮০০-এর মতো অ্যাপ্লিকেশন পড়েছে, যার মধ্যে এক শর বেশি আমরা অ্যাড্রেস করেছি।
আপনাদের কথায় তাঁরা সন্তুষ্ট কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মনে তো হলো সন্তুষ্ট।’ সবশেষে তিনি এই কর্মসূচি সমাপ্ত করার অনুরোধ জানান।
পরে চাকরিচ্যুত নৌবাহিনীর নাবিক বাহাউদ্দিন বলেন, ‘নয় মাস ধরে আমাদের দাবিটি করে আসছি। আমাদের ব্যাপারটা কালক্ষেপণ হয়ে গিয়েছিল। তাই আমরা একটা অবস্থান কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। আমাদের প্রধান সমন্বয়ককে ধরে নেওয়া হয়েছিল। প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তারা বলেছে, কালকে বা পরশু দিনের মধ্যে প্রথম ধাপে একটা ফলাফল দেবে। চাকরিচ্যুত সবাইকেই বিশেষ বিবেচনায় নিয়ে আসবে। যে অপরাধ করেনি, তাকে বিশেষ বিবেচনায় নিয়ে আসা হবে। তবে গুরুতর অপরাধীকে দেওয়া যাবে না।’
বাহাউদ্দিন বলেন, ‘তাদের প্রতি বিশ্বাস রেখে আমরাও ধৈর্য ধরছি। তাদের প্রতি বিশ্বাস রাখছি। তারা চাইলে আমাদের বিষয়গুলোর ডিসপোজাল দিতে পারে। তারা অবশ্যই দেবে, এই বিশ্বাস রয়েছে।’
এরপর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে প্রেসক্লাব থেকে বের হওয়ার সময় ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিনুর রহমানের গাড়িবহরের সামনে চাকরিচ্যুতরা শুয়ে পড়েন। পরে প্রেসক্লাবের ভেতর থেকে গাড়ি আর বের হতে পারেনি। পরে আমিনুর রহমান আবার গাড়ি থেকে নেমে সবাইকে বোঝান। তাঁর কথার বিপরীতে চাকরিচ্যুতরা প্রেসক্লাবে বসেই সমাধান করতে বলেন।
সন্ধ্যা পৌনে ৬টা পর্যন্ত এর কোনো সমাধান হয়নি। তখন থেকে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা চলছিল। প্রেসক্লাবের ভেতরে শতাধিক সেনাসদস্য উপস্থিত ছিলেন। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সমঝোতার পর পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা প্রেসক্লাব থেকে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেন। এরপর সেনা কর্মকর্তা সেখান থেকে বেরিয়ে যান।
এদিকে এই অবস্থান কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ঢাকা সেনানিবাসের প্রবেশমুখ ও চারপাশে ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়া পাহারা। সকাল থেকে জাহাংগীর গেট, বিএএফ শাহীন কলেজ, মহাখালী রেলগেট, কাকলী, বনানীতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়, ছিলেন সেনাবাহিনীর সদস্যরাও।
সরেজমিনে দেখা গেছে, জাহাংগীর গেট এলাকায় উভয় পাশে পুলিশ ও সেনাবাহিনী দিনব্যাপী কড়া পাহারায় ছিল। এ ছাড়া বিএএফ শাহীন কলেজের সামনে মহাখালী রেলগেটে, কাকলী, বনানী ও কচুক্ষেতেও ছিলেন পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা। তবে এসব এলাকায় কাউকে জড়ো হতে দেখা যায়নি।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভরত চাকরিচ্যুত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা কর্মসূচি স্থগিত করেছেন। আজ রোববার বিকেলে দাবিদাওয়া বিবেচনার আশ্বাস এবং কয়েক ঘণ্টা আলোচনার পর চাকরিচ্যুতদের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
তিনটি শর্তে বিক্ষোভ স্থগিত করা হয়েছে বলে সন্ধ্যার পরে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেওয়া আট সদস্য জানান। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বরখাস্ত করা সৈনিক মো. কামরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের সৈনিক নাইমুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বর্তমানে সে কারাগারে। আগামীকাল সেনাবাহিনীর সদস্যরা ও আমাদের আট প্রতিনিধি গিয়ে তিনিসহ গ্রেপ্তার সবাইকে ছাড়িয়ে আনার ব্যবস্থা করা হবে।’
কামরুজ্জামান আরও বলেন, ‘১০ বছরের নিচে যেসব সৈনিকের চাকরির বয়স ছিল, তাঁদের পুনর্বহালের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন সেনা কর্মকর্তারা। যাঁদের চাকরির বয়স নেই, তাঁদের পেনশনের আওতাভুক্ত করা হবে বলে আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে। তবে নাইমুলসহ অন্যদের মুক্তি না দিলে ফের কর্মসূচি দেওয়া হবে। সেই পর্যন্ত সবাইকে ঢাকায় অবস্থান করার আহ্বান জানানো হয়েছে।’
এর আগে আজ দুপুর থেকে স্ত্রী ও সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিক্ষোভ শুরু করেন চাকরিচ্যুতরা। কর্মসূচির মধ্যেই সেনাবাহিনীর ভেটেরান ডিরেক্টর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিনুর রহমানসহ সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাঁদের কথা শোনেন।
বিকেলে প্রথম দফার আলোচনা শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা তাদের দাবিদাওয়াগুলো শুনেছি। আমরা সব দাবিদাওয়া নোট করেছি। এগুলো নিয়ে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আমিনুর রহমান বলেন, ‘তাদের বলেছি, সবাইকে আলাদা আলাদা করে আবেদন করতে। আবেদনের ঠিকানা আমরা দিয়ে গেছি। ইনডিভিজুয়াল কেসের মেরিট অনুযায়ী আমরা বসব, আলাপ-আলোচনা করে আপনাদের যত দ্রুত সম্ভব, যতখানি দেওয়া সম্ভব, আমরা অ্যাড্রেস করব। এটাও বলেছি যে, সেনাবাহিনীর যে আইনশৃঙ্খলা, এটা অবশ্যই মেইনটেইন করতে হবে। আমরা মানবিকভাবে যতটুকু সাহায্য করার করব।’
তাঁরা কি আপনাদের কথা মেনেছেন—এমন প্রশ্নের জবাবে আমিনুর রহমান বলেন, ‘হ্যাঁ, তাঁরা মেনেছেন। তাঁরা অপেক্ষা করবেন। আমাদের কার্যক্রম চলবে।’
গতকাল শনিবার তাঁদের একজনকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে আমিনুর রহমান বলেন, ‘ওটা একটা আইনগত বিষয়; মামলার বিষয় এবং তাঁকে আমাদের পক্ষ থেকে যতটুকু সহায়তা করা যায়, আমরা করব। ৮০০-এর মতো অ্যাপ্লিকেশন পড়েছে, যার মধ্যে এক শর বেশি আমরা অ্যাড্রেস করেছি।
আপনাদের কথায় তাঁরা সন্তুষ্ট কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মনে তো হলো সন্তুষ্ট।’ সবশেষে তিনি এই কর্মসূচি সমাপ্ত করার অনুরোধ জানান।
পরে চাকরিচ্যুত নৌবাহিনীর নাবিক বাহাউদ্দিন বলেন, ‘নয় মাস ধরে আমাদের দাবিটি করে আসছি। আমাদের ব্যাপারটা কালক্ষেপণ হয়ে গিয়েছিল। তাই আমরা একটা অবস্থান কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। আমাদের প্রধান সমন্বয়ককে ধরে নেওয়া হয়েছিল। প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তারা বলেছে, কালকে বা পরশু দিনের মধ্যে প্রথম ধাপে একটা ফলাফল দেবে। চাকরিচ্যুত সবাইকেই বিশেষ বিবেচনায় নিয়ে আসবে। যে অপরাধ করেনি, তাকে বিশেষ বিবেচনায় নিয়ে আসা হবে। তবে গুরুতর অপরাধীকে দেওয়া যাবে না।’
বাহাউদ্দিন বলেন, ‘তাদের প্রতি বিশ্বাস রেখে আমরাও ধৈর্য ধরছি। তাদের প্রতি বিশ্বাস রাখছি। তারা চাইলে আমাদের বিষয়গুলোর ডিসপোজাল দিতে পারে। তারা অবশ্যই দেবে, এই বিশ্বাস রয়েছে।’
এরপর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে প্রেসক্লাব থেকে বের হওয়ার সময় ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিনুর রহমানের গাড়িবহরের সামনে চাকরিচ্যুতরা শুয়ে পড়েন। পরে প্রেসক্লাবের ভেতর থেকে গাড়ি আর বের হতে পারেনি। পরে আমিনুর রহমান আবার গাড়ি থেকে নেমে সবাইকে বোঝান। তাঁর কথার বিপরীতে চাকরিচ্যুতরা প্রেসক্লাবে বসেই সমাধান করতে বলেন।
সন্ধ্যা পৌনে ৬টা পর্যন্ত এর কোনো সমাধান হয়নি। তখন থেকে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা চলছিল। প্রেসক্লাবের ভেতরে শতাধিক সেনাসদস্য উপস্থিত ছিলেন। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সমঝোতার পর পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা প্রেসক্লাব থেকে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেন। এরপর সেনা কর্মকর্তা সেখান থেকে বেরিয়ে যান।
এদিকে এই অবস্থান কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ঢাকা সেনানিবাসের প্রবেশমুখ ও চারপাশে ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়া পাহারা। সকাল থেকে জাহাংগীর গেট, বিএএফ শাহীন কলেজ, মহাখালী রেলগেট, কাকলী, বনানীতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়, ছিলেন সেনাবাহিনীর সদস্যরাও।
সরেজমিনে দেখা গেছে, জাহাংগীর গেট এলাকায় উভয় পাশে পুলিশ ও সেনাবাহিনী দিনব্যাপী কড়া পাহারায় ছিল। এ ছাড়া বিএএফ শাহীন কলেজের সামনে মহাখালী রেলগেটে, কাকলী, বনানী ও কচুক্ষেতেও ছিলেন পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা। তবে এসব এলাকায় কাউকে জড়ো হতে দেখা যায়নি।
শুনানিতে আইনজীবী শরীফ ভূঁইয়া বলেন, ‘সাংবিধানিক বিষয় ব্যাখ্যা করার কিছু পদ্ধতি বা রীতিনীতি আছে। বিচারপতি খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের যে রায়ের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করা হয়েছিল, সেখানে ওই রীতিনীতি প্রয়োগ করতে ভুল করেছেন আপিল বিভাগ। সংবিধান ব্যাখ্যা করতে ভুল করার কারণে তাঁরা
৩ মিনিট আগে২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনে যা কিছু প্রয়োজন, তা করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে সরকারের প্রস্তুতি নিয়ে বিএনপির নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।
২৯ মিনিট আগেস্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া আজ মঙ্গলবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগেপ্রসিকিউটর তামিম বলেন, গুমের দুটি মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বেশ কয়েকজন সাবেক ও চাকরিরত সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। আগামীকাল বুধবার ওই মামলা দুটির নির্ধারিত তারিখ রয়েছে। পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল এই পরোয়ানা কার্যকর করার জন্য।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে আপিল বিভাগে শুনানি শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বেঞ্চে এই শুনানি শুরু হয়। সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচজনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া।
এ সময় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির এবং রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
শুনানিতে আইনজীবী শরীফ ভূঁইয়া বলেন, ‘সাংবিধানিক বিষয় ব্যাখ্যা করার কিছু পদ্ধতি বা রীতিনীতি আছে। বিচারপতি খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের যে রায়ের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করা হয়েছিল, সেখানে ওই রীতিনীতি প্রয়োগ করতে ভুল করেছেন আপিল বিভাগ। সংবিধান ব্যাখ্যা করতে ভুল করার কারণে তাঁরা ভুল সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন।
‘বিচারপতি খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ রায়ে বলেছিলেন, নির্দলীয় সরকারব্যবস্থা গণতন্ত্রের পরিপন্থী। কারণ, তারা অনির্বাচিত। অনির্বাচিত ব্যক্তি ক্ষমতায় থাকলে গণতান্ত্রিক চরিত্র নষ্ট হয়ে যায়। তারা বুঝিয়ে ছিল, একদিনও অনির্বাচিত ব্যক্তি ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। সংবিধানের যে ব্যাখ্যা তাঁরা দিলেন, তার ফলাফল হলো ১০ বছরের বেশি অনির্বাচিত সরকার দ্বারা পরিচালিত হয়েছি।’
তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের পর যেসব নির্বাচন হয়েছে, সেগুলো কোনো নির্বাচনই হয়নি। এসব একতরফা সিলেকশন হয়েছে। সংবিধান ব্যাখ্যা করতে হলে দেশের রাজনৈতিক বাস্তবতা ও ফলাফল কী দাঁড়াবে—এগুলো বিবেচনায় নিতে হয়। ত্রয়োদশ সংশোধনী বৃহত্তর রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে গৃহীত হয়েছিল। ’৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সংবিধানে গৃহীত হয়। এটা মূলত আওয়ামী লীগের দাবি ছিল। সবাই যা মেনে নিয়েছিল। সবারই দাবি ছিল, নিরপেক্ষ সরকারব্যবস্থা চালু করতে হবে। এটি বাতিল করলে কী হবে, বিচারপতি খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারপতিরা সেটি বিবেচনায় নেননি। তাঁরা দেশের বাস্তবতা আমলে নেননি।
২০১১ সালের ১০ মে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা-সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আপিল বিভাগের ওই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেন বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি। পরে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারও রিভিউ আবেদন করেন।
এ ছাড়া নওগাঁর রানীনগরের নারায়ণপাড়ার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেনও আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে করা আবেদনের শুনানি শেষে আপিলের অনুমতি দেওয়া হয় গত ২৭ আগস্ট। সে অনুযায়ী আপিল বিভাগে শুনানি চলছে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে আপিল বিভাগে শুনানি শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বেঞ্চে এই শুনানি শুরু হয়। সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচজনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া।
এ সময় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির এবং রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
শুনানিতে আইনজীবী শরীফ ভূঁইয়া বলেন, ‘সাংবিধানিক বিষয় ব্যাখ্যা করার কিছু পদ্ধতি বা রীতিনীতি আছে। বিচারপতি খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের যে রায়ের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করা হয়েছিল, সেখানে ওই রীতিনীতি প্রয়োগ করতে ভুল করেছেন আপিল বিভাগ। সংবিধান ব্যাখ্যা করতে ভুল করার কারণে তাঁরা ভুল সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন।
‘বিচারপতি খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ রায়ে বলেছিলেন, নির্দলীয় সরকারব্যবস্থা গণতন্ত্রের পরিপন্থী। কারণ, তারা অনির্বাচিত। অনির্বাচিত ব্যক্তি ক্ষমতায় থাকলে গণতান্ত্রিক চরিত্র নষ্ট হয়ে যায়। তারা বুঝিয়ে ছিল, একদিনও অনির্বাচিত ব্যক্তি ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। সংবিধানের যে ব্যাখ্যা তাঁরা দিলেন, তার ফলাফল হলো ১০ বছরের বেশি অনির্বাচিত সরকার দ্বারা পরিচালিত হয়েছি।’
তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের পর যেসব নির্বাচন হয়েছে, সেগুলো কোনো নির্বাচনই হয়নি। এসব একতরফা সিলেকশন হয়েছে। সংবিধান ব্যাখ্যা করতে হলে দেশের রাজনৈতিক বাস্তবতা ও ফলাফল কী দাঁড়াবে—এগুলো বিবেচনায় নিতে হয়। ত্রয়োদশ সংশোধনী বৃহত্তর রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে গৃহীত হয়েছিল। ’৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সংবিধানে গৃহীত হয়। এটা মূলত আওয়ামী লীগের দাবি ছিল। সবাই যা মেনে নিয়েছিল। সবারই দাবি ছিল, নিরপেক্ষ সরকারব্যবস্থা চালু করতে হবে। এটি বাতিল করলে কী হবে, বিচারপতি খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারপতিরা সেটি বিবেচনায় নেননি। তাঁরা দেশের বাস্তবতা আমলে নেননি।
২০১১ সালের ১০ মে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা-সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আপিল বিভাগের ওই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেন বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি। পরে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারও রিভিউ আবেদন করেন।
এ ছাড়া নওগাঁর রানীনগরের নারায়ণপাড়ার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেনও আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে করা আবেদনের শুনানি শেষে আপিলের অনুমতি দেওয়া হয় গত ২৭ আগস্ট। সে অনুযায়ী আপিল বিভাগে শুনানি চলছে।
জাতীয় প্রেসক্লাবে কয়েক ঘণ্টা বিক্ষোভ ও আলোচনার পর চাকরিচ্যুত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা তিনটি শর্তে কর্মসূচি স্থগিত করেন। ভেতরে শতাধিক সেনাসদস্য উপস্থিত ছিলেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সমঝোতার পর পুলিশ ও সেনাবাহিনীরা সদস্য প্রেসক্লাব থেকে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেন।
১৮ মে ২০২৫২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনে যা কিছু প্রয়োজন, তা করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে সরকারের প্রস্তুতি নিয়ে বিএনপির নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।
২৯ মিনিট আগেস্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া আজ মঙ্গলবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগেপ্রসিকিউটর তামিম বলেন, গুমের দুটি মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বেশ কয়েকজন সাবেক ও চাকরিরত সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। আগামীকাল বুধবার ওই মামলা দুটির নির্ধারিত তারিখ রয়েছে। পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল এই পরোয়ানা কার্যকর করার জন্য।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনে যা কিছু প্রয়োজন, তা করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে সরকারের প্রস্তুতি নিয়ে বিএনপির নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।
প্রেস উইং থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বিএনপি নেতাদের জানান, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা হিসেবে নির্বাচনের আগে প্রশাসনের যাবতীয় রদবদল সরাসরি তাঁর তত্ত্বাবধানে হবে। তিনি বলেন, জেলা প্রশাসক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে যোগ্যতার ভিত্তিতেই কর্মকর্তাদের বাছাই করে নির্বাচনের আগে যথোপযুক্ত স্থানে নিয়োগ দেওয়া হবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের দায়িত্ব নিরপেক্ষ থাকা। নির্বাচন একটি মহা আয়োজন। এখানে যিনি শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সক্ষম, সেই ব্যক্তিকেই আমরা বেছে নেব। এটি আমার তত্ত্বাবধানে থাকবে। নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ করার জন্য যা কিছু প্রয়োজন, আমরা তা করব।’
বিতর্কিত কোনো কর্মকর্তা, বিশেষ করে, স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ শাসনামলে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করেছেন—এমন কর্মকর্তাদের নির্বাচনে দায়িত্ব পালন থেকে নিবৃত্ত রাখার জন্য প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির নেতারা।
নির্বাচনের আগে প্রশাসনে রদবদলে নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রাখতে প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানান বিএনপির নেতারা।
বৈঠকে পুলিশের নিয়োগ ও বদলিপ্রক্রিয়া নিয়ে কিছু পর্যবেক্ষণ প্রধান উপদেষ্টার কাছে জানান বিএনপির নেতারা।
এর পাশাপাশি সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থাপনায় একাধিক অগ্নিকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা। এসব ঘটনা অন্তর্ঘাতমূলক কি না, এ বিষয়ে অনুসন্ধানেরও আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।
বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমদ। সরকারের পক্ষ থেকে ছিলেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল ও শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনে যা কিছু প্রয়োজন, তা করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে সরকারের প্রস্তুতি নিয়ে বিএনপির নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।
প্রেস উইং থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বিএনপি নেতাদের জানান, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা হিসেবে নির্বাচনের আগে প্রশাসনের যাবতীয় রদবদল সরাসরি তাঁর তত্ত্বাবধানে হবে। তিনি বলেন, জেলা প্রশাসক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে যোগ্যতার ভিত্তিতেই কর্মকর্তাদের বাছাই করে নির্বাচনের আগে যথোপযুক্ত স্থানে নিয়োগ দেওয়া হবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের দায়িত্ব নিরপেক্ষ থাকা। নির্বাচন একটি মহা আয়োজন। এখানে যিনি শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সক্ষম, সেই ব্যক্তিকেই আমরা বেছে নেব। এটি আমার তত্ত্বাবধানে থাকবে। নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ করার জন্য যা কিছু প্রয়োজন, আমরা তা করব।’
বিতর্কিত কোনো কর্মকর্তা, বিশেষ করে, স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ শাসনামলে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করেছেন—এমন কর্মকর্তাদের নির্বাচনে দায়িত্ব পালন থেকে নিবৃত্ত রাখার জন্য প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির নেতারা।
নির্বাচনের আগে প্রশাসনে রদবদলে নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রাখতে প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানান বিএনপির নেতারা।
বৈঠকে পুলিশের নিয়োগ ও বদলিপ্রক্রিয়া নিয়ে কিছু পর্যবেক্ষণ প্রধান উপদেষ্টার কাছে জানান বিএনপির নেতারা।
এর পাশাপাশি সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থাপনায় একাধিক অগ্নিকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা। এসব ঘটনা অন্তর্ঘাতমূলক কি না, এ বিষয়ে অনুসন্ধানেরও আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।
বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমদ। সরকারের পক্ষ থেকে ছিলেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল ও শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
জাতীয় প্রেসক্লাবে কয়েক ঘণ্টা বিক্ষোভ ও আলোচনার পর চাকরিচ্যুত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা তিনটি শর্তে কর্মসূচি স্থগিত করেন। ভেতরে শতাধিক সেনাসদস্য উপস্থিত ছিলেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সমঝোতার পর পুলিশ ও সেনাবাহিনীরা সদস্য প্রেসক্লাব থেকে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেন।
১৮ মে ২০২৫শুনানিতে আইনজীবী শরীফ ভূঁইয়া বলেন, ‘সাংবিধানিক বিষয় ব্যাখ্যা করার কিছু পদ্ধতি বা রীতিনীতি আছে। বিচারপতি খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের যে রায়ের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করা হয়েছিল, সেখানে ওই রীতিনীতি প্রয়োগ করতে ভুল করেছেন আপিল বিভাগ। সংবিধান ব্যাখ্যা করতে ভুল করার কারণে তাঁরা
৩ মিনিট আগেস্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া আজ মঙ্গলবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগেপ্রসিকিউটর তামিম বলেন, গুমের দুটি মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বেশ কয়েকজন সাবেক ও চাকরিরত সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। আগামীকাল বুধবার ওই মামলা দুটির নির্ধারিত তারিখ রয়েছে। পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল এই পরোয়ানা কার্যকর করার জন্য।
২ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
সাভার পৌরসভা ও আশুলিয়া নিয়ে সাভার সিটি করপোরেশন গঠন করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ ছাড়া কেরানীগঞ্জকে ‘ক’ শ্রেণির পৌরসভা বা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া আজ মঙ্গলবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন।
পোস্টে উপদেষ্টা বলেন, ‘সাভার পৌরসভা ও আশুলিয়া মিলিয়ে সাভার সিটি করপোরেশন এবং কেরানীগঞ্জকে ‘‘ক’’ শ্রেণির পৌরসভা বা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।’
এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানান, সাভারকে সিটি করপোরেশন ঘোষণা করতে ঢাকার জেলা প্রশাসক মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে প্রস্তাব পাঠিয়েছিলেন। এরপর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ বিষয়ে সিদ্ধান্তের জন্য প্রধান উপদেষ্টার কাছে পাঠায়। পরে প্রধান উপদেষ্টা নীতিগত সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। এখন এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ স্থানীয় সরকার বিভাগে চিঠি পাঠিয়েছে।
সাভার পৌরসভা ও আশুলিয়া নিয়ে সাভার সিটি করপোরেশন গঠন করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ ছাড়া কেরানীগঞ্জকে ‘ক’ শ্রেণির পৌরসভা বা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া আজ মঙ্গলবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন।
পোস্টে উপদেষ্টা বলেন, ‘সাভার পৌরসভা ও আশুলিয়া মিলিয়ে সাভার সিটি করপোরেশন এবং কেরানীগঞ্জকে ‘‘ক’’ শ্রেণির পৌরসভা বা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।’
এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানান, সাভারকে সিটি করপোরেশন ঘোষণা করতে ঢাকার জেলা প্রশাসক মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে প্রস্তাব পাঠিয়েছিলেন। এরপর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ বিষয়ে সিদ্ধান্তের জন্য প্রধান উপদেষ্টার কাছে পাঠায়। পরে প্রধান উপদেষ্টা নীতিগত সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। এখন এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ স্থানীয় সরকার বিভাগে চিঠি পাঠিয়েছে।
জাতীয় প্রেসক্লাবে কয়েক ঘণ্টা বিক্ষোভ ও আলোচনার পর চাকরিচ্যুত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা তিনটি শর্তে কর্মসূচি স্থগিত করেন। ভেতরে শতাধিক সেনাসদস্য উপস্থিত ছিলেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সমঝোতার পর পুলিশ ও সেনাবাহিনীরা সদস্য প্রেসক্লাব থেকে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেন।
১৮ মে ২০২৫শুনানিতে আইনজীবী শরীফ ভূঁইয়া বলেন, ‘সাংবিধানিক বিষয় ব্যাখ্যা করার কিছু পদ্ধতি বা রীতিনীতি আছে। বিচারপতি খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের যে রায়ের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করা হয়েছিল, সেখানে ওই রীতিনীতি প্রয়োগ করতে ভুল করেছেন আপিল বিভাগ। সংবিধান ব্যাখ্যা করতে ভুল করার কারণে তাঁরা
৩ মিনিট আগে২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনে যা কিছু প্রয়োজন, তা করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে সরকারের প্রস্তুতি নিয়ে বিএনপির নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।
২৯ মিনিট আগেপ্রসিকিউটর তামিম বলেন, গুমের দুটি মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বেশ কয়েকজন সাবেক ও চাকরিরত সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। আগামীকাল বুধবার ওই মামলা দুটির নির্ধারিত তারিখ রয়েছে। পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল এই পরোয়ানা কার্যকর করার জন্য।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে করা দুটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়া সেনা কর্মকর্তারা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির না হলে বা হাজির করা না হলে তাঁদের আত্মসমর্পণ করতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম।
আজ মঙ্গলবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ট্রাইব্যুনালে তিনি এ কথা জানান।
প্রসিকিউটর তামিম বলেন, গুমের দুটি মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বেশ কয়েকজন সাবেক ও চাকরিরত সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। আগামীকাল বুধবার ওই মামলা দুটির নির্ধারিত তারিখ রয়েছে। পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল এই পরোয়ানা কার্যকর করার জন্য। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এই পরোয়ানার কপি পাঠানো হয়েছিল। এখন আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে তাঁরা আদালতে আত্মসমর্পণ করতে পারেন অথবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেপ্তার করে তাঁদের ট্রাইব্যুনালে নিয়ে আসতে পারে।
তামিম আরও বলেন, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়া সেনা কর্মকর্তারা যদি আদালতে হাজির হন বা তাঁদের গ্রেপ্তার করে হাজির করা হয়, ট্রাইব্যুনাল চাইলে তাঁদের জামিন দিতে পারেন, যদি তাঁরা জামিন চান বা জামিনের গ্রাউন্ড থাকে; অথবা কারাগারে পাঠাতে পারেন। কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিলে কারা কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে কোন কারাগারে রাখবে। যদি তাঁরা কাল হাজির না হন বা তাঁদের হাজির করা না হয়, তাহলে আইন অনুযায়ী তাঁদের ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে দুটি জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। এরপরও হাজির না হলে তাঁদের পলাতক দেখিয়ে তাঁদের পক্ষে রাষ্ট্র আইনজীবী নিয়োগ দিয়ে মামলা পরিচালনা করতে পারবে। এটাই হলো আইনের বিধান।
মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে করা দুটি মামলায় ৮ অক্টোবর সেনাবাহিনীর ২৫ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
এরপর ১১ অক্টোবর ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স মেস এ-তে এক সংবাদ সম্মেলনে সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান জানান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দুটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়া ২৫ কর্মকর্তার মধ্যে ১৫ জন এখনো সেনাবাহিনীতে কর্মরত আছেন। একজন অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটিতে (এলপিআর) আছেন। এই ১৬ জনের মধ্যে গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক সামরিক সচিব মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ ছাড়া অন্যরা সবাই সেনা হেফাজতে রয়েছেন।
সেনা কর্মকর্তাদের সেনা হেফাজতে থাকার বিষয়ে আজ প্রসিকিউটর তামিমকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, প্রসিকিউশনের কাছে এ রকম কোনো তথ্য আসবে না। কারণ, পরোয়ানা জারি করেছেন ট্রাইব্যুনাল। আর যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দিয়েছে ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রি অফিস। রেজিস্ট্রার অফিসের কাছেই এ-সংক্রান্ত তথ্য আসবে। প্রসিকিউশন যদি ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে জানতে পারে—নন-এক্সিকিউশন রিপোর্ট এসেছে, তখন প্রসিকিউশন বলবে পরবর্তী ধাপ কী হবে। আইন এ বিষয়ে শুধু আইনের ধারা বা বিধি লক্ষ করবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা গণমাধ্যমে কী জানতে পেরেছে, এটা ধর্তব্য নয়।
মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে করা দুটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়া সেনা কর্মকর্তারা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির না হলে বা হাজির করা না হলে তাঁদের আত্মসমর্পণ করতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম।
আজ মঙ্গলবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ট্রাইব্যুনালে তিনি এ কথা জানান।
প্রসিকিউটর তামিম বলেন, গুমের দুটি মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বেশ কয়েকজন সাবেক ও চাকরিরত সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। আগামীকাল বুধবার ওই মামলা দুটির নির্ধারিত তারিখ রয়েছে। পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল এই পরোয়ানা কার্যকর করার জন্য। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এই পরোয়ানার কপি পাঠানো হয়েছিল। এখন আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে তাঁরা আদালতে আত্মসমর্পণ করতে পারেন অথবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেপ্তার করে তাঁদের ট্রাইব্যুনালে নিয়ে আসতে পারে।
তামিম আরও বলেন, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়া সেনা কর্মকর্তারা যদি আদালতে হাজির হন বা তাঁদের গ্রেপ্তার করে হাজির করা হয়, ট্রাইব্যুনাল চাইলে তাঁদের জামিন দিতে পারেন, যদি তাঁরা জামিন চান বা জামিনের গ্রাউন্ড থাকে; অথবা কারাগারে পাঠাতে পারেন। কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিলে কারা কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে কোন কারাগারে রাখবে। যদি তাঁরা কাল হাজির না হন বা তাঁদের হাজির করা না হয়, তাহলে আইন অনুযায়ী তাঁদের ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে দুটি জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। এরপরও হাজির না হলে তাঁদের পলাতক দেখিয়ে তাঁদের পক্ষে রাষ্ট্র আইনজীবী নিয়োগ দিয়ে মামলা পরিচালনা করতে পারবে। এটাই হলো আইনের বিধান।
মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে করা দুটি মামলায় ৮ অক্টোবর সেনাবাহিনীর ২৫ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
এরপর ১১ অক্টোবর ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স মেস এ-তে এক সংবাদ সম্মেলনে সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান জানান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দুটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়া ২৫ কর্মকর্তার মধ্যে ১৫ জন এখনো সেনাবাহিনীতে কর্মরত আছেন। একজন অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটিতে (এলপিআর) আছেন। এই ১৬ জনের মধ্যে গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক সামরিক সচিব মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ ছাড়া অন্যরা সবাই সেনা হেফাজতে রয়েছেন।
সেনা কর্মকর্তাদের সেনা হেফাজতে থাকার বিষয়ে আজ প্রসিকিউটর তামিমকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, প্রসিকিউশনের কাছে এ রকম কোনো তথ্য আসবে না। কারণ, পরোয়ানা জারি করেছেন ট্রাইব্যুনাল। আর যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দিয়েছে ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রি অফিস। রেজিস্ট্রার অফিসের কাছেই এ-সংক্রান্ত তথ্য আসবে। প্রসিকিউশন যদি ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে জানতে পারে—নন-এক্সিকিউশন রিপোর্ট এসেছে, তখন প্রসিকিউশন বলবে পরবর্তী ধাপ কী হবে। আইন এ বিষয়ে শুধু আইনের ধারা বা বিধি লক্ষ করবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা গণমাধ্যমে কী জানতে পেরেছে, এটা ধর্তব্য নয়।
জাতীয় প্রেসক্লাবে কয়েক ঘণ্টা বিক্ষোভ ও আলোচনার পর চাকরিচ্যুত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা তিনটি শর্তে কর্মসূচি স্থগিত করেন। ভেতরে শতাধিক সেনাসদস্য উপস্থিত ছিলেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সমঝোতার পর পুলিশ ও সেনাবাহিনীরা সদস্য প্রেসক্লাব থেকে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেন।
১৮ মে ২০২৫শুনানিতে আইনজীবী শরীফ ভূঁইয়া বলেন, ‘সাংবিধানিক বিষয় ব্যাখ্যা করার কিছু পদ্ধতি বা রীতিনীতি আছে। বিচারপতি খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের যে রায়ের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করা হয়েছিল, সেখানে ওই রীতিনীতি প্রয়োগ করতে ভুল করেছেন আপিল বিভাগ। সংবিধান ব্যাখ্যা করতে ভুল করার কারণে তাঁরা
৩ মিনিট আগে২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনে যা কিছু প্রয়োজন, তা করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে সরকারের প্রস্তুতি নিয়ে বিএনপির নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।
২৯ মিনিট আগেস্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া আজ মঙ্গলবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে