নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা: দেশের তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ আসছে অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে ব্যবসাবান্ধব বলেই মনে করছে। পোশাক খাতের দিক থেকে এই বাজেটকে এক শ নম্বরের মধ্যে ৭৫ দিয়েছেন তারা।
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান আজ শনিবার সংগঠনের কার্যালয়ে ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তাদের মূল্যায়ন তুলে ধরেন। এ সময় নিজেদের বিভিন্ন দাবিও উপস্থাপন করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে ফারুক হাসান বলেন, ভালো বাজেট পেশ করা হয়েছে। করোনার সময় চ্যালেঞ্জিং বাজেট। এটা অবাস্তব বাজেট নয়। এটা ব্যবসাবান্ধব বাজেট। কিছু খাতে প্রণোদনা চালু রাখা হয়েছে। আমরা পোশাক শিল্পকে আরও এগিয়ে নেওয়ার জন্য কিছু প্রস্তাবনা দিয়েছি। আমাদের প্রস্তাবগুলো বিবেচনায় নেওয়া হলে এক্সপোর্ট আরও বাড়াতে পারব। নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
বাজেটে কর্মসংস্থানকে প্রাধান্য দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীকে ধন্যবাদও জানান বিজিএমইএ সভাপতি। তিনি বলেন, কর্মসংস্থান ধরে রাখতে আমরা কাজ করছি। মহামারির মধ্যে কস্ট প্রাইজের নিচেও অর্ডার নিয়েছি। চ্যালেঞ্জগুলোকে সুযোগে রূপান্তর করে আরও কর্মসংস্থান করতে পারব। তবে কত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে তা বলা যাচ্ছে না।
রপ্তানি বাড়াতে পারলে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে জানিয়ে ফারুক হাসান বলেন, কাস্টমস, বন্ড, পোর্টে আমাদের আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় পড়তে হয়। এগুলোকে আরও ব্যবসাবান্ধব করতে পারলে দেশের অর্থনীতি ভালো হবে।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, বিদেশ থেকে লোন করে টাকা পাওয়ায় সুযোগ আছে। সরকার এগুলোকে একটু সহজ করে দিলে আমরা বাইরে থেকেও ঋণ আনতে পারব। নন-কটন টেক্সটাইল খাতে ১০ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা পাওয়া গেলে বাজার ধরতে পারব। রপ্তানির ওপর বর্তমান উৎস কর হার ০.০৫ শতাংশ আগামী পাঁচ বছরের জন্য স্থিতিশীল রাখার অনুরোধ করছি। এটি করা হলে উদ্যোক্তারা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে মধ্যমেয়াদি ব্যবসায়িক ও বিনিয়োগ পরিকল্পনা গ্রহণ করতে পারবেন।
ফারুক হাসান বলেন, নগদ সহায়তার ওপর ১০ শতাংশ কর প্রত্যাহারে আমাদের অনুরোধটি পুনর্বিবেচনার আবেদন করছি। এই সংকটময় সময়ে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা হবে। মহামারির মধ্যে নতুন বাজারগুলো অর্থনৈতিকভাবে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এসব বাজারে রপ্তানি কমে এসেছে। তাই নতুন ও অপ্রচলিত বাজারে রপ্তানি ধরে রাখতে প্রণোদনার হার চার শতাংশ থেকে পাঁচ শতাংশ করার আবেদন করছি।
বিজিএমইএ সভাপতি আরও বলেন, করোনার কারণে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পগুলো ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। এসব কারখানাগুলোকে বিশেষ সহায়তা দেওয়ার জন্য ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের প্রণোদনার আওতা পাঁচ মিলিয়ন ডলার থেকে বাড়িয়ে ১০ মিলিয়ন ডলার করলে ব্যাপকসংখ্যক কারখানা বিপর্যয় এগিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হবে।
করোনা মহামারির মধ্যে শ্রমিকদের মজুরি বাবদ দেওয়া সরকারে ঋণ পরিশোধের সময় বাড়ানোরও দাবি বিবেচনা করতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।
উল্লেখ্য, মানুষের জীবন-জীবিকা বাঁচিয়ে অর্থনীতি জাগানোর চ্যালেঞ্জ নিয়ে গত ৩ জুন জাতীয় সংসদে আগামী অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
ঢাকা: দেশের তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ আসছে অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে ব্যবসাবান্ধব বলেই মনে করছে। পোশাক খাতের দিক থেকে এই বাজেটকে এক শ নম্বরের মধ্যে ৭৫ দিয়েছেন তারা।
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান আজ শনিবার সংগঠনের কার্যালয়ে ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তাদের মূল্যায়ন তুলে ধরেন। এ সময় নিজেদের বিভিন্ন দাবিও উপস্থাপন করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে ফারুক হাসান বলেন, ভালো বাজেট পেশ করা হয়েছে। করোনার সময় চ্যালেঞ্জিং বাজেট। এটা অবাস্তব বাজেট নয়। এটা ব্যবসাবান্ধব বাজেট। কিছু খাতে প্রণোদনা চালু রাখা হয়েছে। আমরা পোশাক শিল্পকে আরও এগিয়ে নেওয়ার জন্য কিছু প্রস্তাবনা দিয়েছি। আমাদের প্রস্তাবগুলো বিবেচনায় নেওয়া হলে এক্সপোর্ট আরও বাড়াতে পারব। নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
বাজেটে কর্মসংস্থানকে প্রাধান্য দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীকে ধন্যবাদও জানান বিজিএমইএ সভাপতি। তিনি বলেন, কর্মসংস্থান ধরে রাখতে আমরা কাজ করছি। মহামারির মধ্যে কস্ট প্রাইজের নিচেও অর্ডার নিয়েছি। চ্যালেঞ্জগুলোকে সুযোগে রূপান্তর করে আরও কর্মসংস্থান করতে পারব। তবে কত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে তা বলা যাচ্ছে না।
রপ্তানি বাড়াতে পারলে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে জানিয়ে ফারুক হাসান বলেন, কাস্টমস, বন্ড, পোর্টে আমাদের আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় পড়তে হয়। এগুলোকে আরও ব্যবসাবান্ধব করতে পারলে দেশের অর্থনীতি ভালো হবে।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, বিদেশ থেকে লোন করে টাকা পাওয়ায় সুযোগ আছে। সরকার এগুলোকে একটু সহজ করে দিলে আমরা বাইরে থেকেও ঋণ আনতে পারব। নন-কটন টেক্সটাইল খাতে ১০ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা পাওয়া গেলে বাজার ধরতে পারব। রপ্তানির ওপর বর্তমান উৎস কর হার ০.০৫ শতাংশ আগামী পাঁচ বছরের জন্য স্থিতিশীল রাখার অনুরোধ করছি। এটি করা হলে উদ্যোক্তারা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে মধ্যমেয়াদি ব্যবসায়িক ও বিনিয়োগ পরিকল্পনা গ্রহণ করতে পারবেন।
ফারুক হাসান বলেন, নগদ সহায়তার ওপর ১০ শতাংশ কর প্রত্যাহারে আমাদের অনুরোধটি পুনর্বিবেচনার আবেদন করছি। এই সংকটময় সময়ে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা হবে। মহামারির মধ্যে নতুন বাজারগুলো অর্থনৈতিকভাবে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এসব বাজারে রপ্তানি কমে এসেছে। তাই নতুন ও অপ্রচলিত বাজারে রপ্তানি ধরে রাখতে প্রণোদনার হার চার শতাংশ থেকে পাঁচ শতাংশ করার আবেদন করছি।
বিজিএমইএ সভাপতি আরও বলেন, করোনার কারণে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পগুলো ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। এসব কারখানাগুলোকে বিশেষ সহায়তা দেওয়ার জন্য ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের প্রণোদনার আওতা পাঁচ মিলিয়ন ডলার থেকে বাড়িয়ে ১০ মিলিয়ন ডলার করলে ব্যাপকসংখ্যক কারখানা বিপর্যয় এগিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হবে।
করোনা মহামারির মধ্যে শ্রমিকদের মজুরি বাবদ দেওয়া সরকারে ঋণ পরিশোধের সময় বাড়ানোরও দাবি বিবেচনা করতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।
উল্লেখ্য, মানুষের জীবন-জীবিকা বাঁচিয়ে অর্থনীতি জাগানোর চ্যালেঞ্জ নিয়ে গত ৩ জুন জাতীয় সংসদে আগামী অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষিত বর্ধিত শুল্ক এড়াতে পণ্যের প্রকৃত উৎস গোপন করে দক্ষিণ কোরিয়ার নামে রপ্তানির চেষ্টা করছে প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলো। এরই মধ্যে ২ কোটি ডলারের বেশি মূল্যের পণ্য রপ্তানিতে এ ধরনের জালিয়াতি ধরা পড়েছে। এসব পণ্যের মধ্যে ৯৭ শতাংশেরই গন্তব্য ছিল যুক্তরাষ্ট্র।
২ মিনিট আগেসৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে আজ সোমবার (২১ এপ্রিল) থেকে সরাসরি ফ্লাইট শুরু করেছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস। ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বেলা ২টা ১০ মিনিটে ৪২৩ জন যাত্রী নিয়ে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের ১৪তম আন্তর্জাতিক গন্তব্য রিয়াদের উদ্দেশে যাত্রা করে।
১৯ মিনিট আগেশিল্প খাতে গ্যাসের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে দাম পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় ১১টি ব্যবসায়িক সংগঠনের নেতা ও দুটি শিল্পগোষ্ঠীর উদ্যোক্তা। তাঁরা বলেছেন, এই অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধি শিল্প ও বাণিজ্যের মারাত্মক ক্ষতি করবে।
২ ঘণ্টা আগেঅসুস্থতা, দুর্ঘটনাসহ বিপদে-আপদে বিশ্বজুড়ে মানুষের ভরসার কেন্দ্র ‘বিমা’। বিমা পলিসি করা থাকলেই হাসপাতালের বিল পরিশোধ বা দুর্ঘটনার ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কোনো চিন্তা করতে হয় না গ্রাহককে। গ্রাহকের হয়ে বিমা কোম্পানিই সব শোধ করে দেয়। কিন্তু বাংলাদেশের বিমা খাত এখনো সেই ভরসার জায়গা হয়ে উঠতে পারেনি।
১৩ ঘণ্টা আগে