অনলাইন ডেস্ক
ঋণ অনিয়ম এবং খেলাপি ঋণের চাপে নড়বড়ে অবস্থায় রয়েছে দেশের বেশির ভাগ ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফআই)। এসব প্রতিষ্ঠানের ওপর গ্রাহকদের আস্থা-সংকটের ফলে আমানত ও ঋণ বিতরণ দু-ই কমেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে এনবিএফআইগুলোর মোট ঋণ বিতরণ কমে ৭৩ হাজার ৬৬২ কোটি টাকায় নেমেছে, যা গত জুনে ছিল ৭৪ হাজার ৫৩৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ মাত্র তিন মাসে ঋণ বিতরণ কমেছে ৮৭২ কোটি টাকা। একইভাবে গত বছরের জুনে আমানতের পরিমাণ ছিল ৪৭ হাজার ৯০৬ কোটি টাকা। এরপর গত সেপ্টেম্বরে কমে দাঁড়িয়েছে ৪৭ হাজার ৮৩৮ টাকা। সেই হিসাবে আমানতের পরিমাণ কমেছে ৬৮ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, এনবিএফআইগুলোর খেলাপি ঋণের হার ক্রমাগত বাড়ছে। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৬ হাজার ১৬৩ কোটি টাকায়, যা মোট ঋণের ৩৫.৫২ শতাংশ। এর আগে, জুন প্রান্তিকে এই খেলাপি ঋণ ছিল ২৪ হাজার ৭১১ কোটি টাকা (৩৩.১৫ শতাংশ)। অর্থাৎ মাত্র তিন মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা।
পি কে হালদারসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোতে পরিস্থিতি খুবই করুণ। এফএএস ফিন্যান্সের খেলাপি ঋণ ৯৯ দশমিক ৯২ শতাংশ, যা টাকার অঙ্কে ১ হাজার ৮২০ কোটি টাকা। ফারইস্ট ফিন্যান্সের খেলাপি ঋণ ৯৮ শতাংশ, যা টাকার অঙ্কে ৮৭২ কোটি টাকা। ৯৭ শতাংশ ঋণখেলাপি বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি (বিআইএফসি) ও পিপলস লিজিংয়ের। এ ছাড়া ৯০ শতাংশের কমবেশি খেলাপি ঋণ ইউনিয়ন ক্যাপিটাল, ফিনিক্স ফাইন্যান্স, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং, ফার্স্ট ফিন্যান্স, আভিভা ফিন্যান্সসহ কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অনেক আর্থিক প্রতিষ্ঠান নিয়ম ভেঙে জাল কাগজপত্রের মাধ্যমে ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ বিতরণ করেছে। একাধিক প্রতিষ্ঠানের এসব অনিয়মের চিত্র কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। এ ধরনের অনিয়মের কারণে বর্তমানে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান কার্যত বন্ধ হওয়ার উপক্রম। সাতটি প্রতিষ্ঠান মৃতপ্রায় অবস্থায় রয়েছে, আর যেসব প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণের হার ৫০ শতাংশের বেশি, সেগুলো খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স কোম্পানির সাবেক চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম বলেন, অধিকাংশ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের খারাপ অবস্থা সৃষ্টি করেছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পর্ষদ। অনেক পরিচালনা পর্ষদ নিজেদের স্বার্থে অযোগ্য প্রতিষ্ঠানে ঋণ দিয়ে এনবিএফআই খাতকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানকে একীভূত বা বন্ধ করে দেওয়া উচিত। তবে ছোট আমানতকারীদের টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
দেশের প্রথম বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইপিডিসি ফিন্যান্স লিমিটেড। এটি ১৯৮১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠানটি করপোরেট, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) এবং খুচরা গ্রাহকদের জন্য আর্থিক সেবা প্রদান করে থাকে। বর্তমানে দেশে ৩৫টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
ঋণ অনিয়ম এবং খেলাপি ঋণের চাপে নড়বড়ে অবস্থায় রয়েছে দেশের বেশির ভাগ ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফআই)। এসব প্রতিষ্ঠানের ওপর গ্রাহকদের আস্থা-সংকটের ফলে আমানত ও ঋণ বিতরণ দু-ই কমেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে এনবিএফআইগুলোর মোট ঋণ বিতরণ কমে ৭৩ হাজার ৬৬২ কোটি টাকায় নেমেছে, যা গত জুনে ছিল ৭৪ হাজার ৫৩৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ মাত্র তিন মাসে ঋণ বিতরণ কমেছে ৮৭২ কোটি টাকা। একইভাবে গত বছরের জুনে আমানতের পরিমাণ ছিল ৪৭ হাজার ৯০৬ কোটি টাকা। এরপর গত সেপ্টেম্বরে কমে দাঁড়িয়েছে ৪৭ হাজার ৮৩৮ টাকা। সেই হিসাবে আমানতের পরিমাণ কমেছে ৬৮ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, এনবিএফআইগুলোর খেলাপি ঋণের হার ক্রমাগত বাড়ছে। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৬ হাজার ১৬৩ কোটি টাকায়, যা মোট ঋণের ৩৫.৫২ শতাংশ। এর আগে, জুন প্রান্তিকে এই খেলাপি ঋণ ছিল ২৪ হাজার ৭১১ কোটি টাকা (৩৩.১৫ শতাংশ)। অর্থাৎ মাত্র তিন মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা।
পি কে হালদারসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোতে পরিস্থিতি খুবই করুণ। এফএএস ফিন্যান্সের খেলাপি ঋণ ৯৯ দশমিক ৯২ শতাংশ, যা টাকার অঙ্কে ১ হাজার ৮২০ কোটি টাকা। ফারইস্ট ফিন্যান্সের খেলাপি ঋণ ৯৮ শতাংশ, যা টাকার অঙ্কে ৮৭২ কোটি টাকা। ৯৭ শতাংশ ঋণখেলাপি বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি (বিআইএফসি) ও পিপলস লিজিংয়ের। এ ছাড়া ৯০ শতাংশের কমবেশি খেলাপি ঋণ ইউনিয়ন ক্যাপিটাল, ফিনিক্স ফাইন্যান্স, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং, ফার্স্ট ফিন্যান্স, আভিভা ফিন্যান্সসহ কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অনেক আর্থিক প্রতিষ্ঠান নিয়ম ভেঙে জাল কাগজপত্রের মাধ্যমে ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ বিতরণ করেছে। একাধিক প্রতিষ্ঠানের এসব অনিয়মের চিত্র কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। এ ধরনের অনিয়মের কারণে বর্তমানে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান কার্যত বন্ধ হওয়ার উপক্রম। সাতটি প্রতিষ্ঠান মৃতপ্রায় অবস্থায় রয়েছে, আর যেসব প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণের হার ৫০ শতাংশের বেশি, সেগুলো খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স কোম্পানির সাবেক চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম বলেন, অধিকাংশ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের খারাপ অবস্থা সৃষ্টি করেছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পর্ষদ। অনেক পরিচালনা পর্ষদ নিজেদের স্বার্থে অযোগ্য প্রতিষ্ঠানে ঋণ দিয়ে এনবিএফআই খাতকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানকে একীভূত বা বন্ধ করে দেওয়া উচিত। তবে ছোট আমানতকারীদের টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
দেশের প্রথম বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইপিডিসি ফিন্যান্স লিমিটেড। এটি ১৯৮১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠানটি করপোরেট, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) এবং খুচরা গ্রাহকদের জন্য আর্থিক সেবা প্রদান করে থাকে। বর্তমানে দেশে ৩৫টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
কৃষকের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে ওএমএসের মাধ্যমে আলু বিক্রির চিন্তাভাবনা করছে সরকার। কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আজ সোমবার সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান।
৪১ মিনিট আগেসরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে মোট ৯ লাখ টন চাল আমদানির পরিকল্পনা করেছে বাংলাদেশ। আর বাংলাদেশের এই পরিকল্পনায় আশায় বুক বাঁধছেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা। গত বছরের আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক তলানিতে ঠেকে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে ভারতীয় রপ্তানি...
৩ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় আর্থিক অন্তর্ভুক্তি একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। তবে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির সুযোগ থেকে এখনো বঞ্চিত কোটি কোটি মানুষ। আধুনিক ব্যাংকিং ও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের সুবিধা নিতে না পারার কারণে দেশের বিপুল জনগোষ্ঠী রয়েছে অর্থনৈতিক লেনদেনের আনুষ্ঠানিক ব্যবস্থার বাইরে।
১০ ঘণ্টা আগেপুঁজিবাজার স্থিতিশীলতা তহবিল বা ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডকে (সিএমএসএফ) কেন্দ্রীয় লভ্যাংশ বিতরণকারী সংস্থা বা ‘ডিভিডেন্ড হাব’ হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এই লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটির আইনগত ভিত্তি জোরদার করা এবং কার্যপরিধি বাড়ানোর প্রক্রিয়া চলছে।
১০ ঘণ্টা আগে