নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পুঁজিবাজারে দরপতনের শেষ কোথায়—এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বেড়াচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। পুঁজিবাজারে সুশাসন নিশ্চিত করতে না পারা, খারাপ কোম্পানির আইপিও অনুমোদন দেওয়া এবং পুঁজির সুরক্ষা দিতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির কার্যকর উদ্যোগ নেই বলে অভিযোগ তুলেছেন বিনিয়োগকারীরা। তবে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে কাজ করা হচ্ছে বলে দাবি করছে বিএসইসি।
ঈদের ছুটিতে যাওয়ার আগে ব্যাপক দরপতনে প্রায় আড়াই মাসে ডিএসইর বাজার মূলধন বা মোট শেয়ারের সম্মিলিতভাবে দাম কমে যায় ১ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকার মতো। ঈদের পর বাজার ঘুরে দাঁড়াবে বলে প্রত্যাশা ছিল সবার। কিন্তু ছুটি শেষে পুঁজিবাজারে টানা ছয় কর্মদিবস পতন হয়।
এমন পরিস্থিতিতে গত সোমবার ব্রোকার ও ডিলারদের সঙ্গে বৈঠক করে বিএসইসি। বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানায় সংস্থাটি। এই খবরে ওই দিন সূচক বাড়ে। তবে পরের দিনই আবার পতন দেখা দেয়।
গতকাল বুধবারসহ ঈদের পর লেনদেনের আট কর্মদিবসের মধ্যে পতন হয়েছে সাত দিনই। এতে ঈদের পর ডিএসইর সূচক কমেছে ২৮৫ পয়েন্ট।
ধারাবাহিক পতনের কারণে গত মঙ্গলবার মতিঝিলে মানববন্ধন করেন বিনিয়োগকারীরা। তাঁরা নিয়ন্ত্রক সংস্থার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। পুঁজিবাজারে খারাপ কোম্পানি তালিকাভুক্তের অনুমোদন, স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে না পারা এবং পতন রোধে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের প্রতিবাদ জানান তাঁরা।
এরপর গতকাল দরপতনের সর্বনিম্ন সীমা ৩ শতাংশ বেঁধে দেয় বিএসইসি। তবে মূল্যবৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা আগের মতোই ১০ শতাংশ রয়েছে।
তবে বিএসইসির এসব উদ্যোগ খুব বেশি কার্যকর হবে বলে মনে করেন না বিনিয়োগকারী, বিশ্লেষক ও বাজারসংশ্লিষ্টরা। এ বিষয়ে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পুঁজিবাজারের স্থায়ী উন্নয়নের জন্য কিছু করতে পারে এনবিআর, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং অর্থ মন্ত্রণালয়। সংস্থাগুলোর সঙ্গে বৈঠক করলে নীতিসহায়তা দিতে পারে। কিন্তু ব্রোকারদের সঙ্গে মিটিং করে লাভ নেই। সার্কিট ব্রেকার নির্ধারণ করে দিয়েই কী হবে? এটা তো ফ্লোর প্রাইসের মতোই হয়ে গেল। এগুলো টেকসই উন্নয়ন এনে দেবে না।’
আবু আহমেদ বলেন, বিএসইসি সশরীরে কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা বন্ধ করে দিয়েছে। এটা তো বিনিয়োগকারীদের কথা বলার প্ল্যাটফর্ম ছিল। এসব বিষয়ে কাজ করতে হবে।
বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, অনেকেই নেটিং (একটি শেয়ার বিক্রয় করে একই দিনে ওই শেয়ার কেনা) করে সূচক ফেলত। সেটা আর করতে পারবে না।
বিনিয়োগকারীদের অভিযোগের বিষয়ে বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের নামে যারা এসব (অভিযোগ) কথা বলছে, তারা একশ্রেণির চাঁদাবাজ। তারা অনৈতিক সুবিধা না পেলে মানুষের নামে দুর্নাম ছড়াতে থাকে।’
বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম বলেন, ‘ব্রোকার ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে। আশা করি, বড় বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ শুরু করবেন। তাহলেই বাজার ঘুরে দাঁড়াবে।’
তিনি বলেন, কমিশন পুঁজিবাজারে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। যদি কেউ কারসাজি বা অনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করে, তাহলে দ্রুতই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুঁজিবাজারে দরপতনের শেষ কোথায়—এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বেড়াচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। পুঁজিবাজারে সুশাসন নিশ্চিত করতে না পারা, খারাপ কোম্পানির আইপিও অনুমোদন দেওয়া এবং পুঁজির সুরক্ষা দিতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির কার্যকর উদ্যোগ নেই বলে অভিযোগ তুলেছেন বিনিয়োগকারীরা। তবে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে কাজ করা হচ্ছে বলে দাবি করছে বিএসইসি।
ঈদের ছুটিতে যাওয়ার আগে ব্যাপক দরপতনে প্রায় আড়াই মাসে ডিএসইর বাজার মূলধন বা মোট শেয়ারের সম্মিলিতভাবে দাম কমে যায় ১ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকার মতো। ঈদের পর বাজার ঘুরে দাঁড়াবে বলে প্রত্যাশা ছিল সবার। কিন্তু ছুটি শেষে পুঁজিবাজারে টানা ছয় কর্মদিবস পতন হয়।
এমন পরিস্থিতিতে গত সোমবার ব্রোকার ও ডিলারদের সঙ্গে বৈঠক করে বিএসইসি। বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানায় সংস্থাটি। এই খবরে ওই দিন সূচক বাড়ে। তবে পরের দিনই আবার পতন দেখা দেয়।
গতকাল বুধবারসহ ঈদের পর লেনদেনের আট কর্মদিবসের মধ্যে পতন হয়েছে সাত দিনই। এতে ঈদের পর ডিএসইর সূচক কমেছে ২৮৫ পয়েন্ট।
ধারাবাহিক পতনের কারণে গত মঙ্গলবার মতিঝিলে মানববন্ধন করেন বিনিয়োগকারীরা। তাঁরা নিয়ন্ত্রক সংস্থার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। পুঁজিবাজারে খারাপ কোম্পানি তালিকাভুক্তের অনুমোদন, স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে না পারা এবং পতন রোধে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের প্রতিবাদ জানান তাঁরা।
এরপর গতকাল দরপতনের সর্বনিম্ন সীমা ৩ শতাংশ বেঁধে দেয় বিএসইসি। তবে মূল্যবৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা আগের মতোই ১০ শতাংশ রয়েছে।
তবে বিএসইসির এসব উদ্যোগ খুব বেশি কার্যকর হবে বলে মনে করেন না বিনিয়োগকারী, বিশ্লেষক ও বাজারসংশ্লিষ্টরা। এ বিষয়ে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পুঁজিবাজারের স্থায়ী উন্নয়নের জন্য কিছু করতে পারে এনবিআর, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং অর্থ মন্ত্রণালয়। সংস্থাগুলোর সঙ্গে বৈঠক করলে নীতিসহায়তা দিতে পারে। কিন্তু ব্রোকারদের সঙ্গে মিটিং করে লাভ নেই। সার্কিট ব্রেকার নির্ধারণ করে দিয়েই কী হবে? এটা তো ফ্লোর প্রাইসের মতোই হয়ে গেল। এগুলো টেকসই উন্নয়ন এনে দেবে না।’
আবু আহমেদ বলেন, বিএসইসি সশরীরে কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা বন্ধ করে দিয়েছে। এটা তো বিনিয়োগকারীদের কথা বলার প্ল্যাটফর্ম ছিল। এসব বিষয়ে কাজ করতে হবে।
বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, অনেকেই নেটিং (একটি শেয়ার বিক্রয় করে একই দিনে ওই শেয়ার কেনা) করে সূচক ফেলত। সেটা আর করতে পারবে না।
বিনিয়োগকারীদের অভিযোগের বিষয়ে বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের নামে যারা এসব (অভিযোগ) কথা বলছে, তারা একশ্রেণির চাঁদাবাজ। তারা অনৈতিক সুবিধা না পেলে মানুষের নামে দুর্নাম ছড়াতে থাকে।’
বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম বলেন, ‘ব্রোকার ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে। আশা করি, বড় বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ শুরু করবেন। তাহলেই বাজার ঘুরে দাঁড়াবে।’
তিনি বলেন, কমিশন পুঁজিবাজারে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। যদি কেউ কারসাজি বা অনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করে, তাহলে দ্রুতই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত একাধিক বহুজাতিক কোম্পানি গত অর্থবছরের মুনাফার তুলনায় বেশি পরিমাণ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এতে প্রশ্ন উঠছে, এই প্রতিষ্ঠানগুলো কি বাংলাদেশে তাদের পুনর্বিনিয়োগের আগ্রহ হারাচ্ছে? পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এটি সরাসরি একটি ‘বিনিয়োগ প্রত্যাহার’-এর কৌশল, যা দেশের অর্থনীতি...
১৭ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শুল্ক জটিলতা ও অস্থিরতা যখন নতুন চ্যালেঞ্জ, তখন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি আরও বেড়েছে বাংলাদেশের। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত ৫ মাসে বাজারটিতে রপ্তানি হয়েছে ৯৬৮ কোটি ৮ লাখ ৭০ হাজার ডলারের পণ্য, যা ২০২৪ সালের একই সময়ে ছিল ৮২৩ কোটি...
১৭ ঘণ্টা আগেদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দরে টানা তিন অর্থবছর ধরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম রাজস্ব আদায় হয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এ ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২১৪ কোটি টাকা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ফল ও কৃষিপণ্য আমদানি বন্ধ থাকায় এবং দুই দেশের সম্পর্কের টানাপোড়েনে এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
১৮ ঘণ্টা আগেস্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কমিটির ৫০তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার (২৩ জুলাই) ঢাকায় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বোর্ড রুমে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
২১ ঘণ্টা আগে