মাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংকটের কারণে আগের সরকারের মতো বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারও বিদেশি ঋণের দিকে বেশি নজর দিচ্ছে। সরকার উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে সহায়তা চাইছে, তবে তারা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা এখনো পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে দেশের বৈদেশিক ঋণের প্রবাহ কমে গেছে, আর ডলারের অভাবে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে।
এমন পরিস্থিতিতে চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে আগের ঋণের অর্থছাড় কমেছে, পাশাপাশি নতুন ঋণের প্রতিশ্রুতি আরও কমেছে। এ ছাড়া আগের নেওয়া ঋণের পরিশোধের চাপ বেড়েছে এবং বিদেশি ঋণের সুদ পরিশোধের চাপও ক্রমেই বাড়ছে। ফলে প্রতিবার সরকার যে ঋণ নিচ্ছে, তার বড় অংশই সুদ ও মূলধন পরিশোধে চলে যাচ্ছে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
এ বিষয়ে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা ইনস্টিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইএনএম) নির্বাহী পরিচালক অর্থনীতিবিদ ড. মুস্তফা কে মুজেরী বলেন, প্রকল্পের অর্থছাড় হয়ে থাকে কাজের অগ্রগতির ওপর। রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে গত ছয় মাসে প্রকল্পগুলোর কাজের গতি কমেছে, তাই ঋণের অর্থছাড়ও কমে গেছে। তবে কাজের গতি বাড়লে অর্থছাড়ও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
ইআরডির তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) প্রকল্পগুলোয় ৩৫৩ কোটি ২৪ লাখ ডলার বৈদেশিক ঋণের অর্থছাড় হয়েছে, যার মধ্যে ১৯৮ কোটি ১৭ লাখ ডলার গেছে আগের ঋণ পরিশোধে। অর্থাৎ দেশে আসা ঋণের ৫৬.২৪% পুরোনো ঋণ পরিশোধেই ব্যবহৃত হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে সরকার ঋণ পরিশোধ করেছে ১৯৮ কোটি ১৭ লাখ ডলার, যা ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ের ১৫৬ কোটি ৭৮ লাখ ডলার থেকে ৪১ কোটি ৩৯ লাখ ডলার বেশি।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে সরকার ঋণের বিপরীতে সুদ পরিশোধ করেছে ৭৪ কোটি ৭৫ লাখ ডলার, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের ৬৪ কোটি ১৬ লাখ ডলার থেকে ১০ কোটি ৫৯ লাখ ডলার বেশি।
ইআরডির তথ্য অনুযায়ী, গত ৬ মাসে সরকার ঋণের আসল পরিশোধ করেছে ১২৩ কোটি ডলার, যা দেশীয় মুদ্রায় ১৪ হাজার ৭৩৬ কোটি ৪২ লাখ টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ৯২ কোটি ৬১ লাখ ডলার বা ১০ হাজার ১৮৪ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। বাকি ১১ হাজার ৬০১ কোটি ৮৩ লাখ টাকা সুদ হিসেবে পরিশোধ করা হয়েছে।
সুদ-আসলসহ ঋণ পরিশোধের চাপ বাড়লেও কমেছে অর্থছাড়। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে বিদেশি ঋণের অর্থছাড় হয়েছে ৩৫৩ কোটি ২৪ লাখ ডলার, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৪০৬ কোটি ৩৮ লাখ ডলার। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে ৫৩ কোটি ১৩ লাখ ডলার বা ১৩ শতাংশ কমেছে অর্থছাড়। দেশে ঋণ সংকটের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থ ছাড় করেছে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি), ১০৫ কোটি ডলার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অর্থ ছাড় করেছে বিশ্বব্যাংক, ৮০ কোটি ডলার। এ সময় রাশিয়া দিয়েছে ৫৩ কোটি ১৬ লাখ ডলার, জাপান ৪৪ কোটি, চীন ২৬ কোটি ৭৮ লাখ, ভারত ৭ কোটি ২১ লাখ ডলার এবং অন্যান্য দাতা সংস্থা দিয়েছে সাড়ে ৩৫ কোটি ডলার।
অর্থছাড় কমার পাশাপাশি উন্নয়ন সহযোগীদের ঋণের প্রতিশ্রুতিতেও অনিহা দেখা গেছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে ঋণের প্রতিশ্রুতি ছিল ২২৯ কোটি ৮৬ লাখ ডলার, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৬৯৮ কোটি ৯৮ লাখ ডলার। অর্থাৎ ঋণের প্রতিশ্রুতি কমেছে ৪৬৯ কোটি ১২ লাখ ডলার।
চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে সবচেয়ে বেশি ঋণ প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (আইডিএ) থেকে, যার পরিমাণ ৯১ কোটি ৪৫ লাখ ডলার। এডিবি থেকে ৭০ কোটি, জাপান থেকে ২৫ কোটি ২১ লাখ, এআইআইবি থেকে ১৬ কোটি এবং অন্যান্য সংস্থা থেকে ২৭ কোটি ২০ লাখ ডলার প্রতিশ্রুতি এসেছে। তবে রাশিয়া, চীন ও ভারতের কাছ থেকে কোনো ঋণ প্রতিশ্রুতি পাওয়া যায়নি।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংকটের কারণে আগের সরকারের মতো বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারও বিদেশি ঋণের দিকে বেশি নজর দিচ্ছে। সরকার উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে সহায়তা চাইছে, তবে তারা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা এখনো পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে দেশের বৈদেশিক ঋণের প্রবাহ কমে গেছে, আর ডলারের অভাবে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে।
এমন পরিস্থিতিতে চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে আগের ঋণের অর্থছাড় কমেছে, পাশাপাশি নতুন ঋণের প্রতিশ্রুতি আরও কমেছে। এ ছাড়া আগের নেওয়া ঋণের পরিশোধের চাপ বেড়েছে এবং বিদেশি ঋণের সুদ পরিশোধের চাপও ক্রমেই বাড়ছে। ফলে প্রতিবার সরকার যে ঋণ নিচ্ছে, তার বড় অংশই সুদ ও মূলধন পরিশোধে চলে যাচ্ছে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
এ বিষয়ে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা ইনস্টিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইএনএম) নির্বাহী পরিচালক অর্থনীতিবিদ ড. মুস্তফা কে মুজেরী বলেন, প্রকল্পের অর্থছাড় হয়ে থাকে কাজের অগ্রগতির ওপর। রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে গত ছয় মাসে প্রকল্পগুলোর কাজের গতি কমেছে, তাই ঋণের অর্থছাড়ও কমে গেছে। তবে কাজের গতি বাড়লে অর্থছাড়ও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
ইআরডির তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) প্রকল্পগুলোয় ৩৫৩ কোটি ২৪ লাখ ডলার বৈদেশিক ঋণের অর্থছাড় হয়েছে, যার মধ্যে ১৯৮ কোটি ১৭ লাখ ডলার গেছে আগের ঋণ পরিশোধে। অর্থাৎ দেশে আসা ঋণের ৫৬.২৪% পুরোনো ঋণ পরিশোধেই ব্যবহৃত হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে সরকার ঋণ পরিশোধ করেছে ১৯৮ কোটি ১৭ লাখ ডলার, যা ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ের ১৫৬ কোটি ৭৮ লাখ ডলার থেকে ৪১ কোটি ৩৯ লাখ ডলার বেশি।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে সরকার ঋণের বিপরীতে সুদ পরিশোধ করেছে ৭৪ কোটি ৭৫ লাখ ডলার, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের ৬৪ কোটি ১৬ লাখ ডলার থেকে ১০ কোটি ৫৯ লাখ ডলার বেশি।
ইআরডির তথ্য অনুযায়ী, গত ৬ মাসে সরকার ঋণের আসল পরিশোধ করেছে ১২৩ কোটি ডলার, যা দেশীয় মুদ্রায় ১৪ হাজার ৭৩৬ কোটি ৪২ লাখ টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ৯২ কোটি ৬১ লাখ ডলার বা ১০ হাজার ১৮৪ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। বাকি ১১ হাজার ৬০১ কোটি ৮৩ লাখ টাকা সুদ হিসেবে পরিশোধ করা হয়েছে।
সুদ-আসলসহ ঋণ পরিশোধের চাপ বাড়লেও কমেছে অর্থছাড়। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে বিদেশি ঋণের অর্থছাড় হয়েছে ৩৫৩ কোটি ২৪ লাখ ডলার, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৪০৬ কোটি ৩৮ লাখ ডলার। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে ৫৩ কোটি ১৩ লাখ ডলার বা ১৩ শতাংশ কমেছে অর্থছাড়। দেশে ঋণ সংকটের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থ ছাড় করেছে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি), ১০৫ কোটি ডলার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অর্থ ছাড় করেছে বিশ্বব্যাংক, ৮০ কোটি ডলার। এ সময় রাশিয়া দিয়েছে ৫৩ কোটি ১৬ লাখ ডলার, জাপান ৪৪ কোটি, চীন ২৬ কোটি ৭৮ লাখ, ভারত ৭ কোটি ২১ লাখ ডলার এবং অন্যান্য দাতা সংস্থা দিয়েছে সাড়ে ৩৫ কোটি ডলার।
অর্থছাড় কমার পাশাপাশি উন্নয়ন সহযোগীদের ঋণের প্রতিশ্রুতিতেও অনিহা দেখা গেছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে ঋণের প্রতিশ্রুতি ছিল ২২৯ কোটি ৮৬ লাখ ডলার, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৬৯৮ কোটি ৯৮ লাখ ডলার। অর্থাৎ ঋণের প্রতিশ্রুতি কমেছে ৪৬৯ কোটি ১২ লাখ ডলার।
চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে সবচেয়ে বেশি ঋণ প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (আইডিএ) থেকে, যার পরিমাণ ৯১ কোটি ৪৫ লাখ ডলার। এডিবি থেকে ৭০ কোটি, জাপান থেকে ২৫ কোটি ২১ লাখ, এআইআইবি থেকে ১৬ কোটি এবং অন্যান্য সংস্থা থেকে ২৭ কোটি ২০ লাখ ডলার প্রতিশ্রুতি এসেছে। তবে রাশিয়া, চীন ও ভারতের কাছ থেকে কোনো ঋণ প্রতিশ্রুতি পাওয়া যায়নি।
সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চলতি মাসের ২৭ এপ্রিল থেকে কার্গো অপারেশন চালুর প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এ কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যালোচনায় আজ বিমানবন্দরটি পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া।
৭ ঘণ্টা আগেচলতি মাসে উচ্চপর্যায়ের একটি জার্মান ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফর করেছে। এই সফরের উদ্দেশ্য ছিল দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক সম্প্রসারণের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা। এই প্রতিনিধিদলে জার্মান পররাষ্ট্র ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, দেশটির রপ্তানি ঋণ সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার কর্মকর
১৩ ঘণ্টা আগেবিশ্বখ্যাত অডিট ফার্ম পিডব্লিউসি বিভিন্ন দেশ থেকে তাদের কার্যক্রম গুটিয়ে নিচ্ছে। বিশালাকার এই অ্যাকাউন্টিং ফার্মটির কর্তাব্যক্তিদের মতে, ছোট, ঝুঁকিপূর্ণ বা অলাভজনক বিবেচিত এক ডজনের বেশি দেশে ব্যবসা বন্ধ করেছে। কেলেঙ্কারির পুনরাবৃত্তি এড়াতেই তাদের এই পদক্ষেপ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল...
১৬ ঘণ্টা আগেচলতি অর্থবছরের মাত্র তিন মাস বাকি থাকলেও বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নে এখনো খরচ করা বাকি রয়েছে ১ লাখ ৪৩ হাজার কোটি টাকা। পরিকল্পনা কমিশনের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) তথ্য বলছে, জুলাই-মার্চ পর্যন্ত ৯ মাসে খরচ হয়েছে ৮২ হাজার ৮৯৪ কোটি টাকা, যা মোট সংশোধিত এডিপির...
১ দিন আগে