Ajker Patrika

সরকারের মনোযোগ নেই পুঁজিবাজারে, অভিযোগ বিনিয়োগকারীদের

আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা
আপডেট : ০৮ নভেম্বর ২০২৩, ১০: ১২
সরকারের মনোযোগ নেই পুঁজিবাজারে, অভিযোগ বিনিয়োগকারীদের

ফ্লোর প্রাইস, অর্থনৈতিক সংকট ও রাজনৈতিক অস্থিরতায় পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থাহীনতা চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। লেনদেনের খরায় পুড়ছে পুঁজিবাজার। এমন সময়ে পুঁজিবাজারের প্রতি সরকার বা নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির কোনো মনোযোগ নেই বলে অভিযোগ বিনিয়োগকারীদের। বিনিয়োগকারীরা বলছেন, বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের নামে উন্নত দেশগুলোতে রোড শো করতেই ব্যস্ত বিএসইসি।

অথচ পুঁজিবাজার ধুঁকছে। এমনকি সম্প্রতি কয়েকটি কোম্পানি একীভূত হওয়ার কারণে নীতিগত জটিলতায় বিনিয়োগকারীরা ক্ষতির সম্মুখীন হলেও সমস্যার সমাধানে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, তিন মাসের বেশি সময় পুঁজিবাজারে হাজার কোটি টাকার ঘরে লেনদেন হয়নি। সর্বশেষ পুঁজিবাজারে ১ হাজার ৪৪ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছিল চলতি বছরের ১৮ জুলাই। বর্তমানে লেনদেন ৪০০-৫০০ কোটির ঘরে ওঠানামা করছে। কখনো কখনো তা ২০০ কোটির ঘরেও নেমে আসতে দেখা গেছে। 

জিএম মাহির নামের এক বিনিয়োগকারী বলেন, চরম আস্থার সংকট রয়েছে পুঁজিবাজারে। বর্তমান কমিশনের সময়ে পুঁজিবাজারে আসা কোম্পানির ৮০ শতাংশই খারাপ। এদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। এরা টাকা তুলে সব বাইরে নিয়ে চলে গেছে। বিনিয়োগকারী মাসুম জামান বলেন, ‘রোড শো করে বিদেশি বিনিয়োগ আনার কথা বলেন। কিন্তু আসলে কী আসে? যে সময়ে আপনি বিদেশে রোড শো করে বিনিয়োগ আহ্বান করছেন, সেই সময়ে আপনার পুঁজিবাজারের অবস্থা খারাপ। এটা দেখে কেউ কি বিনিয়োগ করতে চাইবে?’

এ বিষয়ে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, ফ্লোর প্রাইস রেখে যতই বক্তৃতা দেওয়া হোক, কোনো লাভ নেই। কাজে আসবে না। পুঁজিবাজারে প্রতি সরকার বা নিয়ন্ত্রক সংস্থার বিশেষ মনোযোগের অভাব রয়েছে বলে মনে করেন তিনি। ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়া বা পুঁজিবাজারে প্রাণ ফেরাতে তৎপর না হওয়ার কারণ হিসেবে আসন্ন নির্বাচন অনুঘটক হিসেবে কাজ করছে বলে মনে করেন আবু আহমেদ। তিনি বলেন, এরা মনে হয় নির্বাচনের জন্য বসে আছে। নিশ্চিত নই, হয়তো তাই। 

সম্প্রতি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ফার কেমিক্যালস এবং আর এন স্পিনিং মিলস অন্য দুটি কোম্পানির সঙ্গে একীভূত হয়। এতে একটি কোম্পানির ক্ষেত্রে প্রতি ৩টি শেয়ার পরিণত হয়েছে ১টিতে। আরেকটি কোম্পানির প্রতি ৫.৫৯টি শেয়ার পরিণত হয়েছে ১টিতে। শেয়ার কমে যাওয়ার পর দুটি কোম্পানিরই দাম সমন্বয় হয়েছে। কিন্তু সেই হিসাবে ফ্লোর প্রাইস সমন্বয় করে বাড়িয়ে না দেওয়ায় দুই দিনেই বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েন বিনিয়োগকারীরা।

বিনিয়োগকারী মাসুম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘ফ্লোর প্রাইস অ্যাডজাস্ট না করায় বিনিয়োগকারীদের যে ক্ষতি হলো, তা পূরণ করবে কে? অবাক করা বিষয়, প্রায় এক সপ্তাহ পরে এসে এ বিষয়ে উদ্যোগ নিল বিএসইসি। আমার প্রশ্ন, আগে কেন করলেন না আপনারা?’

এ বিষয়ে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আল আমিন বলেন, ‘অনিয়ম এবং আরও নানা বিষয়ে আমি অনেক ফোরামে কথা বলেছি, কিন্তু কোথাও কিছু হয়নি, আর হবে বলে মনেও হয় না। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

বগুড়ায় ছাত্রদল নেতার ওপর হামলা, পাঁচ নেতা-কর্মীকে শোকজ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত