নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পানি, গ্যাস, বিদ্যুৎসহ বিভিন্ন পরিষেবার (ইউটিলিটি সার্ভিস) বিল প্রদান, রেমিট্যান্স পাঠানো, পরীক্ষার ফি প্রদান এবং কেনাকাটার বিল পরিশোধের মতো সুবিধাকে কেন্দ্র করে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে মোবাইল ব্যাংকিং। ইন্টারনেটভিত্তিক এই সেবাকে আনুষ্ঠানিকভাবে বলা হয় মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (এমএফএস)। তবে গত জুলাই মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে বেশ কয়েক দিন ইন্টারনেট বন্ধ রাখে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। এর প্রভাবে ব্যাপক বাধাগ্রস্ত হয় এমএফএস সেবা। এতে জুনের তুলনায় জুলাই মাসে লেনদেন কমেছে ৩২ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা। একই সময়ে গ্রাহক বেড়েছে ৭ লাখ। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জুলাই মাসে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে ১ লাখ ২২ হাজার ৯২২ কোটি টাকা। আগের মাস জুনে লেনদেন হয়েছিল ১ লাখ ৫৫ হাজার ৮৩৫ কোটি টাকা। সেই হিসাবে জুনের তুলনায় জুলাই মাসে লেনদেন কমেছে ৩২ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা বা ২৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক বলেন, মোবাইল ব্যাংকিং একটি ইন্টারনেটভিত্তিক সেবা। গত জুলাই মাসে আন্দোলন প্রতিহত করতে দীর্ঘ কয়েক দিন ইন্টারনেট সীমিত করা হয়। এমনকি কয়েক দিন শতভাগ বন্ধ ছিল ইন্টারনেট। যার প্রভাবে তখন মোবাইল ব্যাংকিং বাধাগ্রস্ত হয়। এ কারণে লেনদেন কমবে এটাই স্বাভাবিক। তবে সরকার বদলের পরে লেনদেন বেড়েছে। সামনে ইতিবাচক ধারা দেখা যাবে বলে আশা করা যায়।
প্রতিবেদন বলছে, জুলাই মাসে এমএফএসগুলোতে জমা (ক্যাশ ইন) হয়েছে ৩৫ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা। আর আগের মাস জুনে এমএফএসগুলোতে জমা (ক্যাশ ইন) হয়েছিল ৪৩ হাজার ৫৬২ কোটি। সেই হিসাবে জুন মাসের তুলনায় জুলাই মাসে ক্যাশ ইন কম হয়েছে ৮ হাজার ২২৬ কোটি টাকা। এ ছাড়া জুলাই মাসে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে উত্তোলন (ক্যাশ আউট) হয়েছে ৪০ হাজার ১১৪ কোটি টাকা। তার আগের মাসে এমএফএসের মাধ্যমে উত্তোলন (ক্যাশ আউট) হয়েছিল ৫১ হাজার ৩৫৪ কোটি টাকা। সেই হিসাবে জুনের তুলনায় জুলাই মাসে ক্যাশ আউট কম হয়েছে ১১ হাজার ২৪০ কোটি টাকা। তবে লেনদেন কমলেও ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে হিসাবসংখ্যা। চলতি বছরের জুলাই মাসে হিসাবসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৩ কোটি ৩১ লাখ ২৭ হাজার ৮৫৬টিতে। জুন মাসে হিসাবসংখ্যা ছিল ২৩ কোটি ২৪ লাখ ১৮ হাজার ২০৬টি। সে হিসাবে হিসাবসংখ্যা বেড়েছে ৭ লাখ ৯ হাজার ৬৫০টি।
বর্তমানে দেশে মোবাইল ব্যাংকিং সেবার সিংহভাগই বিকাশের দখলে। এরপর নগদের অবস্থান। লেনদেন ছাড়াও মোবাইল ব্যাংকিংয়ে যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন সেবাও। বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির বিল অর্থাৎ সেবামূল্য পরিশোধ, কেনাকাটার বিল পরিশোধ, মোবাইল রিচার্জ, বেতন-ভাতা প্রদান, বিদেশ থেকে টাকা পাঠানো অর্থাৎ রেমিট্যান্স প্রেরণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সেবা দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে বিকাশ, রকেট, ইউক্যাশ, মাই ক্যাশ, শিওর ক্যাশসহ নানা নামে ১৩টির মতো ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠান এমএফএস সেবা দিচ্ছে।
২০১০ সালে মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। পরের বছর ৩১ মার্চ বেসরকারি খাতের ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালুর মধ্য দিয়ে দেশে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) যাত্রা শুরু হয়। এরপর ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু করে বিকাশ।
পানি, গ্যাস, বিদ্যুৎসহ বিভিন্ন পরিষেবার (ইউটিলিটি সার্ভিস) বিল প্রদান, রেমিট্যান্স পাঠানো, পরীক্ষার ফি প্রদান এবং কেনাকাটার বিল পরিশোধের মতো সুবিধাকে কেন্দ্র করে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে মোবাইল ব্যাংকিং। ইন্টারনেটভিত্তিক এই সেবাকে আনুষ্ঠানিকভাবে বলা হয় মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (এমএফএস)। তবে গত জুলাই মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে বেশ কয়েক দিন ইন্টারনেট বন্ধ রাখে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। এর প্রভাবে ব্যাপক বাধাগ্রস্ত হয় এমএফএস সেবা। এতে জুনের তুলনায় জুলাই মাসে লেনদেন কমেছে ৩২ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা। একই সময়ে গ্রাহক বেড়েছে ৭ লাখ। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জুলাই মাসে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে ১ লাখ ২২ হাজার ৯২২ কোটি টাকা। আগের মাস জুনে লেনদেন হয়েছিল ১ লাখ ৫৫ হাজার ৮৩৫ কোটি টাকা। সেই হিসাবে জুনের তুলনায় জুলাই মাসে লেনদেন কমেছে ৩২ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা বা ২৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক বলেন, মোবাইল ব্যাংকিং একটি ইন্টারনেটভিত্তিক সেবা। গত জুলাই মাসে আন্দোলন প্রতিহত করতে দীর্ঘ কয়েক দিন ইন্টারনেট সীমিত করা হয়। এমনকি কয়েক দিন শতভাগ বন্ধ ছিল ইন্টারনেট। যার প্রভাবে তখন মোবাইল ব্যাংকিং বাধাগ্রস্ত হয়। এ কারণে লেনদেন কমবে এটাই স্বাভাবিক। তবে সরকার বদলের পরে লেনদেন বেড়েছে। সামনে ইতিবাচক ধারা দেখা যাবে বলে আশা করা যায়।
প্রতিবেদন বলছে, জুলাই মাসে এমএফএসগুলোতে জমা (ক্যাশ ইন) হয়েছে ৩৫ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা। আর আগের মাস জুনে এমএফএসগুলোতে জমা (ক্যাশ ইন) হয়েছিল ৪৩ হাজার ৫৬২ কোটি। সেই হিসাবে জুন মাসের তুলনায় জুলাই মাসে ক্যাশ ইন কম হয়েছে ৮ হাজার ২২৬ কোটি টাকা। এ ছাড়া জুলাই মাসে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে উত্তোলন (ক্যাশ আউট) হয়েছে ৪০ হাজার ১১৪ কোটি টাকা। তার আগের মাসে এমএফএসের মাধ্যমে উত্তোলন (ক্যাশ আউট) হয়েছিল ৫১ হাজার ৩৫৪ কোটি টাকা। সেই হিসাবে জুনের তুলনায় জুলাই মাসে ক্যাশ আউট কম হয়েছে ১১ হাজার ২৪০ কোটি টাকা। তবে লেনদেন কমলেও ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে হিসাবসংখ্যা। চলতি বছরের জুলাই মাসে হিসাবসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৩ কোটি ৩১ লাখ ২৭ হাজার ৮৫৬টিতে। জুন মাসে হিসাবসংখ্যা ছিল ২৩ কোটি ২৪ লাখ ১৮ হাজার ২০৬টি। সে হিসাবে হিসাবসংখ্যা বেড়েছে ৭ লাখ ৯ হাজার ৬৫০টি।
বর্তমানে দেশে মোবাইল ব্যাংকিং সেবার সিংহভাগই বিকাশের দখলে। এরপর নগদের অবস্থান। লেনদেন ছাড়াও মোবাইল ব্যাংকিংয়ে যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন সেবাও। বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির বিল অর্থাৎ সেবামূল্য পরিশোধ, কেনাকাটার বিল পরিশোধ, মোবাইল রিচার্জ, বেতন-ভাতা প্রদান, বিদেশ থেকে টাকা পাঠানো অর্থাৎ রেমিট্যান্স প্রেরণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সেবা দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে বিকাশ, রকেট, ইউক্যাশ, মাই ক্যাশ, শিওর ক্যাশসহ নানা নামে ১৩টির মতো ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠান এমএফএস সেবা দিচ্ছে।
২০১০ সালে মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। পরের বছর ৩১ মার্চ বেসরকারি খাতের ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালুর মধ্য দিয়ে দেশে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) যাত্রা শুরু হয়। এরপর ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু করে বিকাশ।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি হামি ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির চার বছরের আর্থিক প্রতিবেদন ও অন্যান্য বিষয় তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এ লক্ষ্যে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের বিকল্প রপ্তানি বাজার খুঁজতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) চেয়ারম্যান ও অর্থনীতিবিদ রেহমান সোবহান। তিনি বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক নীতির প্রধান লক্ষ্যবস্তু চীন। তাদের মধ্যকার সম্পর্ক কেমন হবে, তা এখনো নির্ধারিত হয়নি।
১ ঘণ্টা আগেআইএমএফের প্রতিনিধিদল ঋণের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি ছাড়ে কোনো সমঝোতা ছাড়াই বাংলাদেশ মিশন শেষ করেছে। প্রাথমিকভাবে কিস্তি ছাড় না হলেও প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণে অগ্রগতি হলে জুনের শেষদিকে অর্থ ছাড়ের সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিয়েছে সংস্থাটি। মূল্যস্ফীতি, কর সংস্কার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বাধীনতার মতো বিষয়ে সংস্কারের
১ ঘণ্টা আগে২৪ ও ২৫ এপ্রিল প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চলবে এ প্রদর্শনী। প্রদর্শনীতে ১২০ টির বেশি দেশীয় কোম্পানি অংশ নিচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে