নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিমা খাতে কোনো ধরনের দুর্নীতি সহ্য করা হবে না। নিজে দুর্নীতি করব না, অন্যকে দুর্নীতি করতে দেব না বলে অঙ্গীকার জানিয়েছেন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইএ) প্রেসিডেন্ট সাঈদ আহমদ। তিনি বলেন, বিমা আহরণের ক্ষেত্রে দেশের কোম্পানিগুলোর মধ্যে একটা অসম প্রতিযোগিতা চলছে। এটাকে আমরা বন্ধের জন্য নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে কথা বলব। এই অসম প্রতিযোগিতা দেশের বিমা খাতকে আরও সমস্যায় ফেলবে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর পল্টনে ক্যাপিটাল মার্কেটে জার্নালিস্টস ফোরাম (সিএমজেএফ) আয়োজিত নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট এসব কথা জানান। সিএমজেএফ সভাপতি গোলাম সামদানি ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবু আলী।
সাঈদ আহমদ বলেন, দেশের অর্থনীতি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু আমাদের দেশের বিমা খাত বৃদ্ধি পাচ্ছে না। দেশের অর্থনীতির আকারের তুলনায় বেসরকারি বিমা কোম্পানি ৮০টি। বিমা খাত অনেক চ্যালেঞ্জের মুখে, নিয়ন্ত্রক সংস্থার আরও সমন্বয় করা প্রয়োজন। আমাদের দেশে ৮০টি বিমা কোম্পানি রয়েছে। ৩৫টি জীবন বিমা এবং ৪৫টি সাধারণ বিমা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যারা সম্মিলিতভাবে প্রায় ১ দশমিক ৮৯ কোটি ব্যক্তিকে বিমার আওতায় এনেছে। কিন্তু এত অগ্রগতির পরেও বাংলাদেশে ইন্স্যুরেন্সের অবদান জিডিপির ০ দশমিক ৫ শতাংশ, যা আন্তর্জাতিক মানের তুলনায় অনেক কম। যেখানে প্রতিবেশী দেশ ভারতে ৪ শতাংশ, শ্রীলঙ্কায় ১ দশমিক ২ শতাংশ, পাকিস্তানে ০ দশমিক ৮ শতাংশ।
গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্সের এই চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমাদের বিমা খাত বর্তমানে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখে। যেমন করোনা-পরবর্তী পরিস্থিতি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, গাজা-ইসরায়েল যুদ্ধ, ডলারের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি বিশ্বব্যাপী, দেশের অর্থনীতির অস্থিরতা, বৈদেশিক মুদ্রার নেতিবাচক রিজার্ভ ইত্যাদির কারণে বিমা খাতের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন সম্ভব হয়নি।’
এই খাতের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা তুলে ধরে সাঈদ আহমদ বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। শিল্পায়ন, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি এবং গড় আয়ু বৃদ্ধির পরেও আমাদের ইন্স্যুরেন্স শিল্প এখনো তার পূর্ণ সম্ভাবনা অর্জন করতে পারেনি। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ আমাদের সামনে রয়েছে। এর মধ্যে বিমা সচেতনতা ও সাধারণ মানুষ এবং ব্যবসায়ীরা এখনো বিমার গুরুত্ব ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় এর ভূমিকা পুরোপুরি বোঝে না। নিয়ন্ত্রক সংস্থা কর্তৃক নীতিমালার সংস্কার চলমান থাকলেও, কার্যকারিতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াতে আরও সমন্বয় প্রয়োজন। ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে, গ্রাহকদের আরও সহজে বিমার আওতায় আনা প্রয়োজন। বিশ্বাসের অভাব ও দ্রুততম সময়ে দাবি নিষ্পত্তি, স্বচ্ছতা এবং উন্নত সেবার মাধ্যমে গ্রাহকদের আস্থা অর্জন করতে হবে।
চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় করণীয় তুলে ধরে তিনি বলেন, বিমার প্রতি জনগণের আস্থা বৃদ্ধি, সময়মতো সকল প্রকার দাবি পরিশোধ, এনজিও কর্তৃক বিমা করার অধিকার রহিতকরণ, ব্যাংকের ঋণগ্রহীতাদের জীবন বিমা পলিসি গ্রহণ বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব, বিমাশিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় বিধিবিধান প্রণয়ন, ভ্যাট-ট্যাক্সসংক্রান্ত সমস্যাবলির সমাধান, মোটর ইন্স্যুরেন্স বাধ্যতামূলককরণ, বেসরকারি খাতে পুনঃবিমা কোম্পানি গঠন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে ভ্যাট, দ্বৈতকর ও করহার হ্রাসকরণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ, বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি স্থাবর ও অস্থাবর সম্মতির বিমা করা বাধ্যতামূলককরণ। তবে, প্রতিটি চ্যালেঞ্জের মধ্যেই সম্ভাবনা থাকে। নতুন উদ্ভাবন, নীতিমালা সংস্কার এবং কৌশলগত অংশীদারত্ব কাজে লাগিয়ে আমরা বাংলাদেশের ইন্স্যুরেন্স শিল্পের প্রকৃত সম্ভাবনাকে বাস্তবায়ন করতে পারব।
প্রশ্নের জবাবে সাঈদ আহমদ বলেন, ‘বিমা কোম্পানি সেবামূলক কাজ করছে। সেখানে তারা সেবার নামে কেন টাকা নেবে, এটা হতে দিতে পারি না। সেবার নামে বাণিজ্য করবেন তা হতে দেব না।’
অপর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘জনগণের টাকা তছরুপ করবে ছিনিমিনি খেলবে বিআইএ তা হতে দেবে না। আমরা তা মানব না। আমরা এটা নিয়ে কাজ করব। কয়েকটি সংস্থার জন্য পুরো খাত প্রশ্নের মুখে পড়বে এটা হতে দেব না।’ তিনি বলেন, এই খাতের উন্নয়নে সরকারের ভূমিকা বেশি। কারণ এই খাতের উন্নয়নে পলিসি করার দায়িত্ব সরকারের। সরকার যদি বাধ্যতামূলক করে দেয় তাহলে খাতটির বিকাশ ঘটবে এবং জিডিপিতে অবদান বাড়বে।
বিমা খাতে কোনো ধরনের দুর্নীতি সহ্য করা হবে না। নিজে দুর্নীতি করব না, অন্যকে দুর্নীতি করতে দেব না বলে অঙ্গীকার জানিয়েছেন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইএ) প্রেসিডেন্ট সাঈদ আহমদ। তিনি বলেন, বিমা আহরণের ক্ষেত্রে দেশের কোম্পানিগুলোর মধ্যে একটা অসম প্রতিযোগিতা চলছে। এটাকে আমরা বন্ধের জন্য নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে কথা বলব। এই অসম প্রতিযোগিতা দেশের বিমা খাতকে আরও সমস্যায় ফেলবে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর পল্টনে ক্যাপিটাল মার্কেটে জার্নালিস্টস ফোরাম (সিএমজেএফ) আয়োজিত নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট এসব কথা জানান। সিএমজেএফ সভাপতি গোলাম সামদানি ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবু আলী।
সাঈদ আহমদ বলেন, দেশের অর্থনীতি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু আমাদের দেশের বিমা খাত বৃদ্ধি পাচ্ছে না। দেশের অর্থনীতির আকারের তুলনায় বেসরকারি বিমা কোম্পানি ৮০টি। বিমা খাত অনেক চ্যালেঞ্জের মুখে, নিয়ন্ত্রক সংস্থার আরও সমন্বয় করা প্রয়োজন। আমাদের দেশে ৮০টি বিমা কোম্পানি রয়েছে। ৩৫টি জীবন বিমা এবং ৪৫টি সাধারণ বিমা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যারা সম্মিলিতভাবে প্রায় ১ দশমিক ৮৯ কোটি ব্যক্তিকে বিমার আওতায় এনেছে। কিন্তু এত অগ্রগতির পরেও বাংলাদেশে ইন্স্যুরেন্সের অবদান জিডিপির ০ দশমিক ৫ শতাংশ, যা আন্তর্জাতিক মানের তুলনায় অনেক কম। যেখানে প্রতিবেশী দেশ ভারতে ৪ শতাংশ, শ্রীলঙ্কায় ১ দশমিক ২ শতাংশ, পাকিস্তানে ০ দশমিক ৮ শতাংশ।
গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্সের এই চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমাদের বিমা খাত বর্তমানে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখে। যেমন করোনা-পরবর্তী পরিস্থিতি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, গাজা-ইসরায়েল যুদ্ধ, ডলারের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি বিশ্বব্যাপী, দেশের অর্থনীতির অস্থিরতা, বৈদেশিক মুদ্রার নেতিবাচক রিজার্ভ ইত্যাদির কারণে বিমা খাতের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন সম্ভব হয়নি।’
এই খাতের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা তুলে ধরে সাঈদ আহমদ বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। শিল্পায়ন, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি এবং গড় আয়ু বৃদ্ধির পরেও আমাদের ইন্স্যুরেন্স শিল্প এখনো তার পূর্ণ সম্ভাবনা অর্জন করতে পারেনি। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ আমাদের সামনে রয়েছে। এর মধ্যে বিমা সচেতনতা ও সাধারণ মানুষ এবং ব্যবসায়ীরা এখনো বিমার গুরুত্ব ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় এর ভূমিকা পুরোপুরি বোঝে না। নিয়ন্ত্রক সংস্থা কর্তৃক নীতিমালার সংস্কার চলমান থাকলেও, কার্যকারিতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াতে আরও সমন্বয় প্রয়োজন। ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে, গ্রাহকদের আরও সহজে বিমার আওতায় আনা প্রয়োজন। বিশ্বাসের অভাব ও দ্রুততম সময়ে দাবি নিষ্পত্তি, স্বচ্ছতা এবং উন্নত সেবার মাধ্যমে গ্রাহকদের আস্থা অর্জন করতে হবে।
চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় করণীয় তুলে ধরে তিনি বলেন, বিমার প্রতি জনগণের আস্থা বৃদ্ধি, সময়মতো সকল প্রকার দাবি পরিশোধ, এনজিও কর্তৃক বিমা করার অধিকার রহিতকরণ, ব্যাংকের ঋণগ্রহীতাদের জীবন বিমা পলিসি গ্রহণ বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব, বিমাশিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় বিধিবিধান প্রণয়ন, ভ্যাট-ট্যাক্সসংক্রান্ত সমস্যাবলির সমাধান, মোটর ইন্স্যুরেন্স বাধ্যতামূলককরণ, বেসরকারি খাতে পুনঃবিমা কোম্পানি গঠন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে ভ্যাট, দ্বৈতকর ও করহার হ্রাসকরণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ, বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি স্থাবর ও অস্থাবর সম্মতির বিমা করা বাধ্যতামূলককরণ। তবে, প্রতিটি চ্যালেঞ্জের মধ্যেই সম্ভাবনা থাকে। নতুন উদ্ভাবন, নীতিমালা সংস্কার এবং কৌশলগত অংশীদারত্ব কাজে লাগিয়ে আমরা বাংলাদেশের ইন্স্যুরেন্স শিল্পের প্রকৃত সম্ভাবনাকে বাস্তবায়ন করতে পারব।
প্রশ্নের জবাবে সাঈদ আহমদ বলেন, ‘বিমা কোম্পানি সেবামূলক কাজ করছে। সেখানে তারা সেবার নামে কেন টাকা নেবে, এটা হতে দিতে পারি না। সেবার নামে বাণিজ্য করবেন তা হতে দেব না।’
অপর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘জনগণের টাকা তছরুপ করবে ছিনিমিনি খেলবে বিআইএ তা হতে দেবে না। আমরা তা মানব না। আমরা এটা নিয়ে কাজ করব। কয়েকটি সংস্থার জন্য পুরো খাত প্রশ্নের মুখে পড়বে এটা হতে দেব না।’ তিনি বলেন, এই খাতের উন্নয়নে সরকারের ভূমিকা বেশি। কারণ এই খাতের উন্নয়নে পলিসি করার দায়িত্ব সরকারের। সরকার যদি বাধ্যতামূলক করে দেয় তাহলে খাতটির বিকাশ ঘটবে এবং জিডিপিতে অবদান বাড়বে।
৭৯ বছর বয়সে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বুধবার (স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৩১ মিনিটে, বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টা ৩১ মিনিটে) তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানির নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি হচ্ছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে দেশটিতে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ৮০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪৫ দশমিক ৯৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছরের জানুয়ারিতে দেশের রপ্তানিকারকেরা ৫৪ কোটি ৭৯ লাখ ডলারের পোশাক রপ্তানি...
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর শাখা অফিস এবং লিয়াজোঁ অফিস প্রতিষ্ঠা সত্ত্বেও তাদের আয়ের ওপর যথাযথ কর আদায় হচ্ছে না, যার ফলে সরকারের রাজস্বের পরিমাণ কমে যাচ্ছে। বর্তমানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) শুধু উৎসে কর আদায়ের ওপর সন্তুষ্ট, কিন্তু ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএ
১১ ঘণ্টা আগেমোংলা বন্দরের আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণের জন্য ৪ হাজার ৬৮ কোটি ২২ লাখ টাকার উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে সরকার। চীন সরকারের আর্থিক সহায়তায় ‘জি টু জি’ (সরকার থেকে সরকার) ভিত্তিতে বাস্তবায়ন হতে যাওয়া এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কন্সট্রাকশন করপোরেশন (সিসিইসিসি)। গতকাল মঙ্গলবার সচিবা
১১ ঘণ্টা আগে