শাহ আলম খান ও জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা
সঞ্চয়পত্রে সুদের হার বাড়ছে। এরই মধ্যে নতুন স্কিমে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। এখন গেজেট প্রকাশ সাপেক্ষে ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে বর্ধিত সুদের নতুন সঞ্চয় স্কিম। এই অবস্থায় ব্যাংকে রাখা আমানতের তুলনায় বেশি মুনাফার আশায় সঞ্চয়পত্রে আগ্রহ বেড়েছে বিনিয়োগকারীদের। এরই মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকে সঞ্চয়পত্র কিনতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন মানুষ।
কিন্তু জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের সার্ভার আপগ্রেডেশন (হালনাগাদ) কার্যক্রম চলমান থাকায় দেখা দিয়েছে ভোগান্তি। সঞ্চয়পত্র বিক্রির বুথ ও পয়েন্টগুলোতে কর্মরত কর্মকর্তাদের ধারণা, সার্ভারের সমস্যা দূর হলে সঞ্চয়পত্র কিনতে আসা মানুষের ভিড় আরও বাড়বে।
বাংলাদেশ ব্যাংকে সঞ্চয়পত্রে কিনতে আসা মো. আশরাফ হোসেন নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘একটু বেশি লাভের আশায় ব্যাংকের টাকা তুলে সঞ্চয়পত্র কিনতে এসেছি। এখানে দেখছি কোনো সিস্টেম কাজ করছে না। আমার মতো অনেকে খালি হাতে ফিরে যাচ্ছেন।’
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিসের এক অতিরিক্ত পরিচালক বলেন, ‘গত বুধবার থেকে সার্ভার ডাউন আছে। কবে ঠিক হবে, এ বিষয়ে কিছু জানি না। সার্ভার ঠিক হলে সবাই সেবা পাবেন। তবে সার্ভার ঠিক না হওয়া পর্যন্ত কেউ ফরম নিতে পারছেন না, জমাও হচ্ছে না।’
সঞ্চয়পত্র অধিদপ্তর জানিয়েছে, সার্ভার আপগ্রেডেশনের কাজ চলমান। এতে বিক্রি সাময়িক বন্ধ রয়েছে। মঙ্গলবার থেকে (আজ) আবার আগের মতোই সেবা পাবেন গ্রাহকেরা।
বর্তমানে স্কিমের ধরন অনুযায়ী সঞ্চয়পত্রে মুনাফার হার ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ থেকে ১১.৭৬ শতাংশের মধ্যে রয়েছে। সরকার সঞ্চয় কর্মসূচিগুলোর সুদহার বাড়ানোর যে উদ্যোগ নিয়েছে, তাতে নতুন স্কিমের ধরন অনুযায়ী মুনাফার হার ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
জানা গেছে, ১ জানুয়ারি থেকে সঞ্চয়পত্রে বাড়তি মুনাফা কার্যকর করার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এরই মধ্যে প্রস্তাব অনুমোদন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সঞ্চয়পত্রের মুনাফার নতুন হার যেদিন থেকে কার্যকর হবে, সেদিন বা তার পরে যাঁরা সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করবেন, তাঁরাই বর্ধিত হারে মুনাফা পাবেন। আর যাঁরা আগে সঞ্চয়পত্র কিনে রেখেছেন, তাঁরা আগের নির্ধারিত হারে মুনাফা পাবেন। উৎসে কর আগের হারে কাটা হবে, নাকি কোনো পরিবর্তন আসবে, তা পরে সমন্বয় করার বিধান রাখা হয়েছে।
সুদহার বাড়ার খবরে মানুষের আগ্রহ বেড়েছে সঞ্চয়পত্রে। অনেকে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে সঞ্চয়পত্র কেনার জন্য লাইন ধরছেন। কারণ, ব্যাংকে আমানতের চেয়ে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগে লাভ বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত নভেম্বর পর্যন্ত সরকারি ব্যাংকে এক বছর মেয়াদি স্থায়ী আমানতের গড় সুদহার ছিল ৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ। আর এক বছরের বেশি মেয়াদের স্থায়ী আমানত ও ডিপিএসের ক্ষেত্রে গড় সুদহার ৮ দশমিক ২২ শতাংশ। বিশেষায়িত ব্যাংকের ক্ষেত্রে এক বছরের কম মেয়াদি স্থায়ী আমানতের ক্ষেত্রে গড় সুদহার ৭ দশমিক ৯১ শতাংশ। সব মিলিয়ে কোনো ব্যাংকের আমানতের গড় সুদ ১০ শতাংশের নিচে।
বাংলাদেশ ব্যাংকে সঞ্চয়পত্র কিনতে আসা নুরুন্নাহার শিরিন বলেন, ‘ব্যাংকে টাকা রেখে লাভ নেই। অনেক ব্যাংক সময়মতো টাকা ফেরত দিতে পারেনি; এখনো পারছে না। আবার সুদের হারও কম। সে জন্য সঞ্চয়পত্র কিনতে এসেছি। সঞ্চয়পত্র কিনলে ঝুঁকি নেই।’
অর্থ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, নতুন নিয়মে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগকারীদের দুটি ধাপ নির্ধারণ করা হয়েছে। একটি ধাপে ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার নিচের বিনিয়োগকারী; অন্য ধাপটি হলো ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার ওপরের বিনিয়োগকারী। বর্তমানে বিনিয়োগকারীদের তিনটি ধাপ রয়েছে: ১ লাখ থেকে ১৫ লাখ টাকা, ১৫ লাখ ১ টাকা থেকে ৩০ লাখ টাকা এবং ৩০ লাখ ১ টাকার বেশি।
সঞ্চয়পত্রের মুনাফার নতুন হার ৫ বছর মেয়াদি এবং ২ বছর মেয়াদি ট্রেজারি বন্ডের গড় সুদহার অনুযায়ী করার সুপারিশ করেছে অর্থ বিভাগ। এ দুই ধরনের ট্রেজারি বন্ডের সর্বশেষ ছয়টি নিলাম বিবেচনায় নিয়ে নতুন মুনাফার হার নির্ধারণ করা হবে। এ ক্ষেত্রে ছয় মাসের বন্ডের গড় সুদহার ঠিক করা হয়েছে ১২ দশমিক ২৫ থেকে ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ পর্যন্ত।
২০২১ সালে নির্ধারণ করা হার অনুযায়ী, এই সঞ্চয়পত্রে প্রথম বছরে সাড়ে ৯ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১০ শতাংশ, তৃতীয় বছরে সাড়ে ১০ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ১১ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরে ১১ দশমিক ৫২ শতাংশ হারে মুনাফা পাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। তবে নতুন নিয়মে পরিবার সঞ্চয়পত্র শুধু ৫ বছর মেয়াদি রাখা হয়েছে এবং এর মুনাফার সম্ভাব্য হার নির্ধারিত হয়েছে সাড়ে ৭ লাখ টাকা বা তার নিচের বিনিয়োগকারীদের জন্য সাড়ে ১২ শতাংশ। সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য সম্ভাব্য মুনাফার হার ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
যোগাযোগ করা হলে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেন, ‘অর্থ বিভাগ থেকে সঞ্চয়পত্রে মুনাফার হার নির্ধারণে যে সুপারিশ করা হয়েছে, তা নিয়ে আমরা কাজ করছি। নতুন হার যেদিন থেকে কার্যকর হবে, সেদিন বা তার পরে যাঁরা সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করবেন, তাঁরাই এই হারে মুনাফা পাবেন। আর যাঁরা আগে সঞ্চয়পত্র কিনেছেন, তাঁরা আগের হারে মুনাফা পাবেন।
তথ্য বিশ্লেষণে জানা গেছে, আগে এক লাখ টাকার পাঁচ বছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্র কিনলে বছরে ১১ হাজার ৫২০ টাকা মুনাফা পেতেন বিনিয়োগকারীরা। নতুন নিয়মে সাড়ে ৭ লাখ টাকার কম বিনিয়োগ করলে এক লাখে বছরে ১২ হাজার ৫০০ টাকা মুনাফা পাওয়া যাবে। আর সাড়ে ৭ লাখ টাকার ওপরে বিনিয়োগ করলে এক লাখে বছরে মুনাফা পাওয়া যাবে ১২ হাজার ৩৭০ টাকা।
অবসরভোগী সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী, সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্য, মৃত চাকরিজীবীর পারিবারিক পেনশন সুবিধাভোগী স্বামী, স্ত্রী, সন্তানেরা সঞ্চয়পত্র কিনতে পারেন।
পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) চেয়ারম্যান ড. জায়েদী সাত্তার বলেন, আইএমএফের নির্দেশনা অনুযায়ী, সরকার অভ্যন্তরীণ সঞ্চয় থেকে এক-চতুর্থাংশের বেশি ঋণ নিতে পারবে না। তবে বাজারভিত্তিক সুদের ফলে সঞ্চয়ের প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়বে।
সঞ্চয়পত্রে সুদের হার বাড়ছে। এরই মধ্যে নতুন স্কিমে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। এখন গেজেট প্রকাশ সাপেক্ষে ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে বর্ধিত সুদের নতুন সঞ্চয় স্কিম। এই অবস্থায় ব্যাংকে রাখা আমানতের তুলনায় বেশি মুনাফার আশায় সঞ্চয়পত্রে আগ্রহ বেড়েছে বিনিয়োগকারীদের। এরই মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকে সঞ্চয়পত্র কিনতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন মানুষ।
কিন্তু জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের সার্ভার আপগ্রেডেশন (হালনাগাদ) কার্যক্রম চলমান থাকায় দেখা দিয়েছে ভোগান্তি। সঞ্চয়পত্র বিক্রির বুথ ও পয়েন্টগুলোতে কর্মরত কর্মকর্তাদের ধারণা, সার্ভারের সমস্যা দূর হলে সঞ্চয়পত্র কিনতে আসা মানুষের ভিড় আরও বাড়বে।
বাংলাদেশ ব্যাংকে সঞ্চয়পত্রে কিনতে আসা মো. আশরাফ হোসেন নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘একটু বেশি লাভের আশায় ব্যাংকের টাকা তুলে সঞ্চয়পত্র কিনতে এসেছি। এখানে দেখছি কোনো সিস্টেম কাজ করছে না। আমার মতো অনেকে খালি হাতে ফিরে যাচ্ছেন।’
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিসের এক অতিরিক্ত পরিচালক বলেন, ‘গত বুধবার থেকে সার্ভার ডাউন আছে। কবে ঠিক হবে, এ বিষয়ে কিছু জানি না। সার্ভার ঠিক হলে সবাই সেবা পাবেন। তবে সার্ভার ঠিক না হওয়া পর্যন্ত কেউ ফরম নিতে পারছেন না, জমাও হচ্ছে না।’
সঞ্চয়পত্র অধিদপ্তর জানিয়েছে, সার্ভার আপগ্রেডেশনের কাজ চলমান। এতে বিক্রি সাময়িক বন্ধ রয়েছে। মঙ্গলবার থেকে (আজ) আবার আগের মতোই সেবা পাবেন গ্রাহকেরা।
বর্তমানে স্কিমের ধরন অনুযায়ী সঞ্চয়পত্রে মুনাফার হার ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ থেকে ১১.৭৬ শতাংশের মধ্যে রয়েছে। সরকার সঞ্চয় কর্মসূচিগুলোর সুদহার বাড়ানোর যে উদ্যোগ নিয়েছে, তাতে নতুন স্কিমের ধরন অনুযায়ী মুনাফার হার ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
জানা গেছে, ১ জানুয়ারি থেকে সঞ্চয়পত্রে বাড়তি মুনাফা কার্যকর করার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এরই মধ্যে প্রস্তাব অনুমোদন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সঞ্চয়পত্রের মুনাফার নতুন হার যেদিন থেকে কার্যকর হবে, সেদিন বা তার পরে যাঁরা সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করবেন, তাঁরাই বর্ধিত হারে মুনাফা পাবেন। আর যাঁরা আগে সঞ্চয়পত্র কিনে রেখেছেন, তাঁরা আগের নির্ধারিত হারে মুনাফা পাবেন। উৎসে কর আগের হারে কাটা হবে, নাকি কোনো পরিবর্তন আসবে, তা পরে সমন্বয় করার বিধান রাখা হয়েছে।
সুদহার বাড়ার খবরে মানুষের আগ্রহ বেড়েছে সঞ্চয়পত্রে। অনেকে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে সঞ্চয়পত্র কেনার জন্য লাইন ধরছেন। কারণ, ব্যাংকে আমানতের চেয়ে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগে লাভ বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত নভেম্বর পর্যন্ত সরকারি ব্যাংকে এক বছর মেয়াদি স্থায়ী আমানতের গড় সুদহার ছিল ৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ। আর এক বছরের বেশি মেয়াদের স্থায়ী আমানত ও ডিপিএসের ক্ষেত্রে গড় সুদহার ৮ দশমিক ২২ শতাংশ। বিশেষায়িত ব্যাংকের ক্ষেত্রে এক বছরের কম মেয়াদি স্থায়ী আমানতের ক্ষেত্রে গড় সুদহার ৭ দশমিক ৯১ শতাংশ। সব মিলিয়ে কোনো ব্যাংকের আমানতের গড় সুদ ১০ শতাংশের নিচে।
বাংলাদেশ ব্যাংকে সঞ্চয়পত্র কিনতে আসা নুরুন্নাহার শিরিন বলেন, ‘ব্যাংকে টাকা রেখে লাভ নেই। অনেক ব্যাংক সময়মতো টাকা ফেরত দিতে পারেনি; এখনো পারছে না। আবার সুদের হারও কম। সে জন্য সঞ্চয়পত্র কিনতে এসেছি। সঞ্চয়পত্র কিনলে ঝুঁকি নেই।’
অর্থ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, নতুন নিয়মে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগকারীদের দুটি ধাপ নির্ধারণ করা হয়েছে। একটি ধাপে ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার নিচের বিনিয়োগকারী; অন্য ধাপটি হলো ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার ওপরের বিনিয়োগকারী। বর্তমানে বিনিয়োগকারীদের তিনটি ধাপ রয়েছে: ১ লাখ থেকে ১৫ লাখ টাকা, ১৫ লাখ ১ টাকা থেকে ৩০ লাখ টাকা এবং ৩০ লাখ ১ টাকার বেশি।
সঞ্চয়পত্রের মুনাফার নতুন হার ৫ বছর মেয়াদি এবং ২ বছর মেয়াদি ট্রেজারি বন্ডের গড় সুদহার অনুযায়ী করার সুপারিশ করেছে অর্থ বিভাগ। এ দুই ধরনের ট্রেজারি বন্ডের সর্বশেষ ছয়টি নিলাম বিবেচনায় নিয়ে নতুন মুনাফার হার নির্ধারণ করা হবে। এ ক্ষেত্রে ছয় মাসের বন্ডের গড় সুদহার ঠিক করা হয়েছে ১২ দশমিক ২৫ থেকে ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ পর্যন্ত।
২০২১ সালে নির্ধারণ করা হার অনুযায়ী, এই সঞ্চয়পত্রে প্রথম বছরে সাড়ে ৯ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে ১০ শতাংশ, তৃতীয় বছরে সাড়ে ১০ শতাংশ, চতুর্থ বছরে ১১ শতাংশ এবং পঞ্চম বছরে ১১ দশমিক ৫২ শতাংশ হারে মুনাফা পাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। তবে নতুন নিয়মে পরিবার সঞ্চয়পত্র শুধু ৫ বছর মেয়াদি রাখা হয়েছে এবং এর মুনাফার সম্ভাব্য হার নির্ধারিত হয়েছে সাড়ে ৭ লাখ টাকা বা তার নিচের বিনিয়োগকারীদের জন্য সাড়ে ১২ শতাংশ। সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য সম্ভাব্য মুনাফার হার ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
যোগাযোগ করা হলে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেন, ‘অর্থ বিভাগ থেকে সঞ্চয়পত্রে মুনাফার হার নির্ধারণে যে সুপারিশ করা হয়েছে, তা নিয়ে আমরা কাজ করছি। নতুন হার যেদিন থেকে কার্যকর হবে, সেদিন বা তার পরে যাঁরা সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করবেন, তাঁরাই এই হারে মুনাফা পাবেন। আর যাঁরা আগে সঞ্চয়পত্র কিনেছেন, তাঁরা আগের হারে মুনাফা পাবেন।
তথ্য বিশ্লেষণে জানা গেছে, আগে এক লাখ টাকার পাঁচ বছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্র কিনলে বছরে ১১ হাজার ৫২০ টাকা মুনাফা পেতেন বিনিয়োগকারীরা। নতুন নিয়মে সাড়ে ৭ লাখ টাকার কম বিনিয়োগ করলে এক লাখে বছরে ১২ হাজার ৫০০ টাকা মুনাফা পাওয়া যাবে। আর সাড়ে ৭ লাখ টাকার ওপরে বিনিয়োগ করলে এক লাখে বছরে মুনাফা পাওয়া যাবে ১২ হাজার ৩৭০ টাকা।
অবসরভোগী সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী, সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্য, মৃত চাকরিজীবীর পারিবারিক পেনশন সুবিধাভোগী স্বামী, স্ত্রী, সন্তানেরা সঞ্চয়পত্র কিনতে পারেন।
পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) চেয়ারম্যান ড. জায়েদী সাত্তার বলেন, আইএমএফের নির্দেশনা অনুযায়ী, সরকার অভ্যন্তরীণ সঞ্চয় থেকে এক-চতুর্থাংশের বেশি ঋণ নিতে পারবে না। তবে বাজারভিত্তিক সুদের ফলে সঞ্চয়ের প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়বে।
দেশের ব্যাংক খাতে এখন নগদ টাকার ঘাটতি নেই, ঘাটতি শুধু আস্থার। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে ২০২৫ সালের জুন শেষে নিট উদ্বৃত্ত তারল্য ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা, যা চাহিদার প্রায় দ্বিগুণ। অথচ এই বিপুল অর্থ বাজারে প্রবাহিত হচ্ছে না।
৮ ঘণ্টা আগেবিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের লাভজনক সরকারি কোম্পানিগুলোকে সরাসরি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। গত সোমবার রেলভবনে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ-সংক্রান্ত করণীয় নির্ধারণে আলোচনা হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি...
৮ ঘণ্টা আগেদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থের প্রায় ৭৫ শতাংশই বাণিজ্যের আড়ালে পাচার হচ্ছে, যেখানে আমদানি-রপ্তানির সময় মিথ্যা ঘোষণার আশ্রয়ে বিদেশে অর্থ স্থানান্তর করা হয়। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) আয়োজিত এক গোলটেবিল আলোচনায় উপস্থাপিত গবেষণাপত্রে এই উদ্বেগজনক তথ্য তুলে ধরা হয়।
৮ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম বন্দরে বছরের পর বছর পড়ে থাকা হাজারো কনটেইনারের অনেকেই জন্মেছে গাছ, কিছু মরিচা পড়ে ভেঙে গেছে। এসব অচল কনটেইনার দখল করে রেখেছে মূল্যবান জায়গা, কমিয়ে দিয়েছে রাজস্ব, ক্ষতিগ্রস্ত করেছে শিপিং লাইন। সেই অচলাবস্থা কাটিয়ে বন্দরের কার্যকারিতা ফেরাতে এবার ব্যবহারযোগ্য ৪৫৬ কনটেইনার পণ্য নিলামে...
৮ ঘণ্টা আগে