ডা. আলিম আল রাজি

রিনি দাস যখন আইসিইউতে এলেন তখনো জানতাম না ২৮ বছরের এই মেয়েটাকে নিয়ে শেষ পর্যন্ত এই গল্পটা লিখব বা লিখতে পারব।
গল্পটা শুধু ২৮ বছর বয়সী রিনি দাসের নয় এই গল্পটা তাঁর জরায়ুতে থাকা ২২ সপ্তাহের শিশুটিরও… এবং এই গল্পটা আমাদেরও।
প্রেগনেন্সি এবং কোভিড–এই শতকের সবচেয়ে ভয়ংকর যুগল! পুরো পৃথিবীর মতো আমাদের আইসিইউও সাক্ষী হয়ে আছে এমন অনেক ঘটনার। জরায়ুতে ঋণাত্মক বয়সের শিশু এবং বুকের ভেতর এক পৃথিবী স্বপ্ন নিয়ে পৃথিবী থেকেই চলে যেতে হয়েছে রোকেয়া বেগম কিংবা মরিয়ম আক্তারকে!
...রিনি দাসও চলে যাচ্ছেন! আমাদের চোখের সামনেই!
১০.৮.২০২১, রাত ১২টা ১০ মিনিট। সাব্বির এবং আমি সেই কঠিন পরিস্থিতে পড়লাম।
রিনি দাস মারা যাচ্ছেন! হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা যন্ত্রটা বিপবিপ শব্দ করছে, তাঁর পক্ষে এর চেয়ে বেশি অক্সিজেন দেওয়া সম্ভব না।
এদিকে মনিটর দেখাচ্ছে, রিনি দাসের রক্তে অক্সিজেন প্রায় নেই! ৫৬ শতাংশ!
ইসিজি বলছে, একটু পরেই হার্ট বন্ধ হয়ে যাবে!
আমার ক্ষুদ্র ডাক্তারি জীবন। তার এক-পঞ্চমাংশ অধ্যায় কেটে গেছে কোভিড আইসিইউ নামক নন্দিত নরকে। সাব্বির এবং আমি দুজনই বুঝতে পারছি, এটাই শেষ মুহূর্ত। আর কয়েক মিনিট পরই রিনি দাসের হৃৎপিণ্ড আঁকাবাঁকা নৃত্য থামিয়ে দিয়ে সরলরেখা তৈরি করবে। ...দা ফ্ল্যাট লাইন!
রিনি দাসের চোখ বুঝে আসছে। ২৮ বছরের মেয়েটি কোটি বছরের অভিমান এবং যন্ত্রণা নিয়ে ভারী চোখ তুলে আমাদের দিকে তাকাল একবার। আমরা রিনি দাস এবং তাঁর সন্তানের কিছুই করতে পারছি না! কিছুই না!
আসলে আমাদের হাতে আর কিছুই নেই। শেষ যে ভেন্টিলেটর মেশিনটা ছিল সেটা বিকেলে চলে গেছে অন্য আরেকজনের ভাগ্যে!
রিনি দাস মারা যাচ্ছেন, তাঁর ২২ সপ্তাহ বয়সী সন্তান এই গ্রহে শ্বাস নেওয়ার আগেই তার মা শেষ শ্বাস নিয়ে নিচ্ছেন!
সাব্বির আমার দিকে তাকায়, আমি সাব্বিরের দিকে তাকাই।
হঠাৎ মনে হলো, ভেন্টিলেটর মেশিন নেই তো কী হয়েছে, হাত তো আছে! ফুসফুসে টিউব দিয়ে, সেই টিউবে বেলুন চেপে অক্সিজেন দেব।
এটা একটু বেশি জুয়া হয়ে যায়। কোভিড পেশেন্টকে ইন্টুবেট করা মানে তাঁর আর মৃত্যুর দূরত্ব আরও কমিয়ে দেওয়া। তা ছাড়া হাত দিয়ে চাপবই বা কতক্ষণ!
তাও… হাত দিয়ে চেপে রাতটা যদি কাটিয়ে দেওয়া যায় তাহলে সকালে হয়তো কোনো একটা ব্যবস্থা হয়ে যাবে।
আমরা ইন্টুবেট করার যাবতীয় প্রস্তুতি নিলাম।
ঠিক তখন ঘটল একটা ঘটনা, যে ঘটনার চিত্রনাট্য পৃথিবীতে লেখা সম্ভব না। কোনো লেখকের ক্ষমতা নেই মর্ত্যের কালি দিয়ে এই চিত্রনাট্য লিখবে!
অন্য এক বেডের বৃদ্ধা রোগী রাতের খাবার খাননি। বৃদ্ধার মেয়ে রোগীর সিপ্যাপ মাস্ক অল্প একটু খুলে তাঁকে খাবার দিচ্ছিলেন। আমি একটু চোখ কচলে তাকালাম! দেখি এই মাস্ক খোলা অবস্থাতেও রোগীর অক্সিজেন লেভেল খুব একটা কমছে না। সাব্বিরকে ডাক দিয়ে দেখালাম। আমার দিকে তাকিয়ে সাব্বির সাথে সাথে বুঝে গেল কী করতে চাচ্ছি।
সাব্বির আমাকে বলল, ‘ভাই বিষয়টা কি ঠিক হবে? এই রোগীও ক্রিটিক্যাল। মেশিন রিনি দাসকে দিয়ে দেওয়ার পর এই বৃদ্ধা যদি খারাপ হন, তাহলে আমাদের তারা সোজা মেরে ফেলবে! আর একবার দিয়ে দেওয়ার পর যদি রিনি দাস থেকে আবার মেশিন খুলতে যান তাহলে রিনি দাসের আত্মীয়রা আমাদের মেরে ফেলবে।’
আমি বললাম, ‘মার তো খাবই, কাল সকালে পত্রিকায় ছবিসহ খবর আসবে–মেশিন কেড়ে নিয়ে রোগী মেরে ফেললেন দুই ডাক্তার!’
কিন্তু এই ঝুঁকি নেওয়া ছাড়া তো উপায়ও নেই!
বৃদ্ধার স্বজনদের ডেকে বোঝালাম–২৮ বছরের অন্তঃসত্ত্বা মেয়েটা মারা যাচ্ছে। আপনার মেশিনটা তাঁর লাগবে। পুরো পৃথিবীতে যুদ্ধ চলছে। যুদ্ধাবস্থায় এভাবেই বাঁচতে হয়, বাঁচাতে হয়।
খুব অনিচ্ছা নিয়ে হলেও তাঁরা রাজি হলেন।
রিনি দাসের স্বজনদের ডেকে বোঝালাম–মেশিনের বন্দোবস্ত হয়েছে। তবে যদি বৃদ্ধার আবার দরকার হয় তাহলে মেশিনটা হয়তো নিয়ে যেতে হবে। তাই এখন আপনাদের কাজ বাড়ল। আপনার রোগীর জন্যও দোয়া করতে হবে, বৃদ্ধার জন্যও দোয়া করতে হবে।
রিনি দাসকে সিপ্যাপ দেওয়া হলো। মেশিন সর্বোচ্চ প্রেশারে ধাক্কা দিয়ে অক্সিজেন পৌঁছে দিল তাঁর ফুসফুসে।
পুরা রাত ধরে ধীরে ধীরে তাঁর অক্সিজেন লেভেল বাড়তে থাকল। সকালের ইসিজিতে সাব্বির দেখল হার্টও ঠিকঠাক কাজ করছে!
আমি বাসায় ফিরলাম রাত ৩টার দিকে। আম্মা বললেন, ‘এত রাত পর্যন্ত কী করলি?’
আম্মাকে বললাম রিনি দাসের কথা।
আম্মা নামাজ পড়ে দোয়া করলেন মেয়েটার জন্য।
ওসমানী মেডিকেল কলেজ এবং শামসুদ্দিন হাসপাতাল সমন্বয় করে পরের দিন মেডিকেল বোর্ড হলো। সব ডিসিপ্লিনের বিশেষজ্ঞরা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখলেন রিনি দাসকে।
আলট্রাসনোগ্রাম করলেন ডাক্তার কান্তা নাহিদ। দেখা গেল এই মহা প্রলয়ংকরী রাত পার করেও শিশুটি এখনো বেঁচে আছে!
আমার ডিউটি শেষ হলো ১৪ তারিখ। তারপর ফয়সাল কবীর ভাই, তানভীর নাবিল মুসাসহ বাকিরা সবাই আপ্রাণ চেষ্টা করলেন।
রিনি দাসের অক্সিজেন চাহিদা ধীরে ধীরে কমে এল। এক মাস যুদ্ধের পর তাঁর অক্সিজেন লাগছে মাত্র ১ লিটার। কালকেই হয়তো তাঁকে আমরা আইসিইউ থেকে কেবিনে শিফট করে দেব।
তারপর আমরা অপেক্ষায় থাকব সেই যুদ্ধজয়ী শিশুটির জন্য।
গত দেড় বছরে এখান থেকে কত মানুষ সুস্থ হয়ে ফিরেছেন! তবে রিনি দাসের সুস্থ হওয়াটা আমাদের জন্য অতি বিশেষ একটি ঘটনা হয়ে থাকবে।
২.
গল্পটা লিখে রাখলাম।
অনেক বছর পর আমার সন্তান যখন জিজ্ঞেস করবে, ‘তোমাদের আইসিইউতে কি কখনো ভালো কিছু ঘটেনি?’ তখন এই লেখাটা দেখিয়ে তাকে বলব সেই নন্দিত নরকেও মাঝে মাঝে স্বর্গের দূত নেমে আসতেন, তারপর তিনি নিজের হাতে লিখে যেতেন এই সব অপার্থিব গল্প।
লেখক: মেডিকেল অফিসার, আইসিইউ
শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতাল, সিলেট

রিনি দাস যখন আইসিইউতে এলেন তখনো জানতাম না ২৮ বছরের এই মেয়েটাকে নিয়ে শেষ পর্যন্ত এই গল্পটা লিখব বা লিখতে পারব।
গল্পটা শুধু ২৮ বছর বয়সী রিনি দাসের নয় এই গল্পটা তাঁর জরায়ুতে থাকা ২২ সপ্তাহের শিশুটিরও… এবং এই গল্পটা আমাদেরও।
প্রেগনেন্সি এবং কোভিড–এই শতকের সবচেয়ে ভয়ংকর যুগল! পুরো পৃথিবীর মতো আমাদের আইসিইউও সাক্ষী হয়ে আছে এমন অনেক ঘটনার। জরায়ুতে ঋণাত্মক বয়সের শিশু এবং বুকের ভেতর এক পৃথিবী স্বপ্ন নিয়ে পৃথিবী থেকেই চলে যেতে হয়েছে রোকেয়া বেগম কিংবা মরিয়ম আক্তারকে!
...রিনি দাসও চলে যাচ্ছেন! আমাদের চোখের সামনেই!
১০.৮.২০২১, রাত ১২টা ১০ মিনিট। সাব্বির এবং আমি সেই কঠিন পরিস্থিতে পড়লাম।
রিনি দাস মারা যাচ্ছেন! হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা যন্ত্রটা বিপবিপ শব্দ করছে, তাঁর পক্ষে এর চেয়ে বেশি অক্সিজেন দেওয়া সম্ভব না।
এদিকে মনিটর দেখাচ্ছে, রিনি দাসের রক্তে অক্সিজেন প্রায় নেই! ৫৬ শতাংশ!
ইসিজি বলছে, একটু পরেই হার্ট বন্ধ হয়ে যাবে!
আমার ক্ষুদ্র ডাক্তারি জীবন। তার এক-পঞ্চমাংশ অধ্যায় কেটে গেছে কোভিড আইসিইউ নামক নন্দিত নরকে। সাব্বির এবং আমি দুজনই বুঝতে পারছি, এটাই শেষ মুহূর্ত। আর কয়েক মিনিট পরই রিনি দাসের হৃৎপিণ্ড আঁকাবাঁকা নৃত্য থামিয়ে দিয়ে সরলরেখা তৈরি করবে। ...দা ফ্ল্যাট লাইন!
রিনি দাসের চোখ বুঝে আসছে। ২৮ বছরের মেয়েটি কোটি বছরের অভিমান এবং যন্ত্রণা নিয়ে ভারী চোখ তুলে আমাদের দিকে তাকাল একবার। আমরা রিনি দাস এবং তাঁর সন্তানের কিছুই করতে পারছি না! কিছুই না!
আসলে আমাদের হাতে আর কিছুই নেই। শেষ যে ভেন্টিলেটর মেশিনটা ছিল সেটা বিকেলে চলে গেছে অন্য আরেকজনের ভাগ্যে!
রিনি দাস মারা যাচ্ছেন, তাঁর ২২ সপ্তাহ বয়সী সন্তান এই গ্রহে শ্বাস নেওয়ার আগেই তার মা শেষ শ্বাস নিয়ে নিচ্ছেন!
সাব্বির আমার দিকে তাকায়, আমি সাব্বিরের দিকে তাকাই।
হঠাৎ মনে হলো, ভেন্টিলেটর মেশিন নেই তো কী হয়েছে, হাত তো আছে! ফুসফুসে টিউব দিয়ে, সেই টিউবে বেলুন চেপে অক্সিজেন দেব।
এটা একটু বেশি জুয়া হয়ে যায়। কোভিড পেশেন্টকে ইন্টুবেট করা মানে তাঁর আর মৃত্যুর দূরত্ব আরও কমিয়ে দেওয়া। তা ছাড়া হাত দিয়ে চাপবই বা কতক্ষণ!
তাও… হাত দিয়ে চেপে রাতটা যদি কাটিয়ে দেওয়া যায় তাহলে সকালে হয়তো কোনো একটা ব্যবস্থা হয়ে যাবে।
আমরা ইন্টুবেট করার যাবতীয় প্রস্তুতি নিলাম।
ঠিক তখন ঘটল একটা ঘটনা, যে ঘটনার চিত্রনাট্য পৃথিবীতে লেখা সম্ভব না। কোনো লেখকের ক্ষমতা নেই মর্ত্যের কালি দিয়ে এই চিত্রনাট্য লিখবে!
অন্য এক বেডের বৃদ্ধা রোগী রাতের খাবার খাননি। বৃদ্ধার মেয়ে রোগীর সিপ্যাপ মাস্ক অল্প একটু খুলে তাঁকে খাবার দিচ্ছিলেন। আমি একটু চোখ কচলে তাকালাম! দেখি এই মাস্ক খোলা অবস্থাতেও রোগীর অক্সিজেন লেভেল খুব একটা কমছে না। সাব্বিরকে ডাক দিয়ে দেখালাম। আমার দিকে তাকিয়ে সাব্বির সাথে সাথে বুঝে গেল কী করতে চাচ্ছি।
সাব্বির আমাকে বলল, ‘ভাই বিষয়টা কি ঠিক হবে? এই রোগীও ক্রিটিক্যাল। মেশিন রিনি দাসকে দিয়ে দেওয়ার পর এই বৃদ্ধা যদি খারাপ হন, তাহলে আমাদের তারা সোজা মেরে ফেলবে! আর একবার দিয়ে দেওয়ার পর যদি রিনি দাস থেকে আবার মেশিন খুলতে যান তাহলে রিনি দাসের আত্মীয়রা আমাদের মেরে ফেলবে।’
আমি বললাম, ‘মার তো খাবই, কাল সকালে পত্রিকায় ছবিসহ খবর আসবে–মেশিন কেড়ে নিয়ে রোগী মেরে ফেললেন দুই ডাক্তার!’
কিন্তু এই ঝুঁকি নেওয়া ছাড়া তো উপায়ও নেই!
বৃদ্ধার স্বজনদের ডেকে বোঝালাম–২৮ বছরের অন্তঃসত্ত্বা মেয়েটা মারা যাচ্ছে। আপনার মেশিনটা তাঁর লাগবে। পুরো পৃথিবীতে যুদ্ধ চলছে। যুদ্ধাবস্থায় এভাবেই বাঁচতে হয়, বাঁচাতে হয়।
খুব অনিচ্ছা নিয়ে হলেও তাঁরা রাজি হলেন।
রিনি দাসের স্বজনদের ডেকে বোঝালাম–মেশিনের বন্দোবস্ত হয়েছে। তবে যদি বৃদ্ধার আবার দরকার হয় তাহলে মেশিনটা হয়তো নিয়ে যেতে হবে। তাই এখন আপনাদের কাজ বাড়ল। আপনার রোগীর জন্যও দোয়া করতে হবে, বৃদ্ধার জন্যও দোয়া করতে হবে।
রিনি দাসকে সিপ্যাপ দেওয়া হলো। মেশিন সর্বোচ্চ প্রেশারে ধাক্কা দিয়ে অক্সিজেন পৌঁছে দিল তাঁর ফুসফুসে।
পুরা রাত ধরে ধীরে ধীরে তাঁর অক্সিজেন লেভেল বাড়তে থাকল। সকালের ইসিজিতে সাব্বির দেখল হার্টও ঠিকঠাক কাজ করছে!
আমি বাসায় ফিরলাম রাত ৩টার দিকে। আম্মা বললেন, ‘এত রাত পর্যন্ত কী করলি?’
আম্মাকে বললাম রিনি দাসের কথা।
আম্মা নামাজ পড়ে দোয়া করলেন মেয়েটার জন্য।
ওসমানী মেডিকেল কলেজ এবং শামসুদ্দিন হাসপাতাল সমন্বয় করে পরের দিন মেডিকেল বোর্ড হলো। সব ডিসিপ্লিনের বিশেষজ্ঞরা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখলেন রিনি দাসকে।
আলট্রাসনোগ্রাম করলেন ডাক্তার কান্তা নাহিদ। দেখা গেল এই মহা প্রলয়ংকরী রাত পার করেও শিশুটি এখনো বেঁচে আছে!
আমার ডিউটি শেষ হলো ১৪ তারিখ। তারপর ফয়সাল কবীর ভাই, তানভীর নাবিল মুসাসহ বাকিরা সবাই আপ্রাণ চেষ্টা করলেন।
রিনি দাসের অক্সিজেন চাহিদা ধীরে ধীরে কমে এল। এক মাস যুদ্ধের পর তাঁর অক্সিজেন লাগছে মাত্র ১ লিটার। কালকেই হয়তো তাঁকে আমরা আইসিইউ থেকে কেবিনে শিফট করে দেব।
তারপর আমরা অপেক্ষায় থাকব সেই যুদ্ধজয়ী শিশুটির জন্য।
গত দেড় বছরে এখান থেকে কত মানুষ সুস্থ হয়ে ফিরেছেন! তবে রিনি দাসের সুস্থ হওয়াটা আমাদের জন্য অতি বিশেষ একটি ঘটনা হয়ে থাকবে।
২.
গল্পটা লিখে রাখলাম।
অনেক বছর পর আমার সন্তান যখন জিজ্ঞেস করবে, ‘তোমাদের আইসিইউতে কি কখনো ভালো কিছু ঘটেনি?’ তখন এই লেখাটা দেখিয়ে তাকে বলব সেই নন্দিত নরকেও মাঝে মাঝে স্বর্গের দূত নেমে আসতেন, তারপর তিনি নিজের হাতে লিখে যেতেন এই সব অপার্থিব গল্প।
লেখক: মেডিকেল অফিসার, আইসিইউ
শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতাল, সিলেট

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে টেন্ডার ছাড়াই সরকারি রাস্তার ছয় শতাধিক নিষিদ্ধ ইউক্যালিপটাসগাছ কাটা হচ্ছে প্রকাশ্যে। গাছ কাটার খবর পেয়েও প্রশাসনের নীরব ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। তিন দিন ধরে উপজেলার শাখাহার ইউনিয়নের শালপাড়া থেকে মিরিপুকুর পর্যন্ত এবং কামদিয়া-পানিতলা রাস্তা থেকে শালপাড়া...
৯ মিনিট আগে
সুন্দরবনের দুবলারচরে আজ রোববার থেকে শুঁটকি উৎপাদনের মৌসুম শুরু হচ্ছে। বন বিভাগের অনুমতি নিয়ে বঙ্গোপসাগরের উপকূলীয় বিভিন্ন চরের উদ্দেশে গতকাল শনিবার মধ্যরাত থেকে শত শত ট্রলারে যাত্রা করেন জেলেরা।
৩৯ মিনিট আগে
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস—রূপান্তরিত জাতীয় ছাত্রশক্তি) আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার তাঁর মোটরসাইকেল লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগে
বিআরটিএর চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, মহাসড়কে কোনো অবৈধ যানবাহন চলতে পারবে না। এ বিষয়ে পুলিশ, বিআরটিএসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেআনোয়ার হোসেন শামীম, গাইবান্ধা

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে টেন্ডার ছাড়াই সরকারি রাস্তার ছয় শতাধিক নিষিদ্ধ ইউক্যালিপটাসগাছ কাটা হচ্ছে প্রকাশ্যে। গাছ কাটার খবর পেয়েও প্রশাসনের নীরব ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। তিন দিন ধরে উপজেলার শাখাহার ইউনিয়নের শালপাড়া থেকে মিরিপুকুর পর্যন্ত এবং কামদিয়া-পানিতলা রাস্তা থেকে শালপাড়া পর্যন্ত এলাকায় এসব গাছ কাটা হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শালপাড়া যুব উন্নয়ন ক্লাব ও শালপাড়া এম এ মান্নান ক্লাবের সদস্যদের না জানিয়ে সভাপতি মাহমুদ হাসান ইউএনওর কথিত ‘মৌখিক অনুমতি’ দেখিয়ে স্থানীয় কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে ঠিকাদারের কাছে গাছগুলো বিক্রি করেন ২৮ লাখ টাকায়। অথচ বন বিভাগের তালিকায় এসব গাছের দাম ধরা হয়েছে মাত্র সাড়ে ১২ লাখ টাকা।
জানা গেছে, ২০০৬ সালে শালপাড়া যুব উন্নয়ন ক্লাব ও শালপাড়া এম এ মান্নান ক্লাবের সদস্যরা প্রায় ২ কিলোমিটার এলাকায় ৬০০টির বেশি ইউক্যালিপটাসগাছ রোপণ করেন। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সঙ্গে করা চুক্তি অনুযায়ী, গাছ বিক্রির সময় বিক্রয়মূল্যের ২০ শতাংশ ইউপি ও ১০ শতাংশ জমির মালিক পাবেন। এর মধ্যে সমিতির সভাপতি মাহমুদ ও বেলাল নামের দুজনে গোপনে চেয়ারম্যানের কাছে গাছ কাটার আবেদন করলে চেয়ারম্যান বিষয়টি ইউএনওকে জানান।
নিয়ম অনুযায়ী, মূল্য নির্ধারণের পর গাছগুলো বিক্রির জন্য টেন্ডারের সব ব্যবস্থা করবেন ইউপির চেয়ারম্যান। কিন্তু এ বিষয়ে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির বলেন, ‘সব কাজ ক্লাবের সভাপতি করেছেন।’
গত শুক্রবার সরেজমিনে দেখা গেছে, শ্রমিকেরা ট্রাক ও ট্রলিতে করে দ্রুতগতিতে কাটা গাছ সরিয়ে নিচ্ছেন। সকাল থেকে বেলা ৩টার মধ্যে তিন শতাধিক গাছ কাটা হয়। ক্লাবের সভাপতি মাহমুদ ও তাঁর সহযোগী বেলাল সেখানে উপস্থিত ছিলেন। ক্লাবের সদস্য নুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের বলা হয়েছিল গাছ ১২ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কিন্তু ব্যবসায়ীরা বলছেন দাম ২৮ লাখ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। আমরা টাকা পাইনি, তিনি আমাদের সঙ্গে জালিয়াতি করেছেন। আমরা এর শাস্তি চাই।’
জানতে চাইলে গাছ বিক্রির সঙ্গে জড়িত বেলাল হোসেন বলেন, ‘যেখানে কাগজপত্র দেখানোর, সেখানে দেখানো হবে। না হলে মামলা করুক।’ গাছ ক্রেতা এমরান জানান, ‘সব কাগজপত্র সভাপতির কাছে আছে। আমি তাদের কাছ থেকেই গাছ কিনেছি। দাম প্রায় ১৮ লাখ টাকার মতো।’
অন্য ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমি ২৫ লাখ টাকা অফার করেছিলাম। কিন্তু সভাপতি আরও বেশি দাম আশা করায় বিক্রি করেননি।’ ক্লাবের সদস্য মুনছুর আলী বলেন, নিয়ম না মেনে গাছ বিক্রি করা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ ও জমির মালিক কেউই টাকার অংশ পায়নি। টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রি হলে দাম আরও বেশি পাওয়া যেত।
সভাপতি মাহমুদ হাসান বলেন, ‘ইউএনওর মৌখিক নির্দেশে গাছ বিক্রি করেছি। বন বিভাগের মূল্য অনুযায়ী দাম ১২ লাখ টাকা। ২৮ লাখ টাকায় বিক্রির অভিযোগ সঠিক নয়।’ এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ সামাজিক বনায়ন বিভাগের ফরেস্টার মিজানুর রহমান বলেন, দাম কমবেশি হতে পারে; কিন্তু সরকারি জায়গার গাছ টেন্ডারের বাইরে বিক্রির কোনো সুযোগ নেই।
গোবিন্দগঞ্জ ইউএনও ইয়াসমিন সুলতানা বলেন, ‘উপজেলা সমন্বয় সভায় গাছ বিক্রির অনুমোদনের কথা বলা হয়েছিল। তবে পরবর্তী সময়ে তাঁরা কীভাবে গাছ কাটছেন, তা আমার জানা নেই।’
এ বিষয়ে গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জেম আহমদ বলেন, ‘সরকারি জায়গার গাছ বিক্রি করতে হলে অবশ্যই টেন্ডারের মাধ্যমে করতে হবে। এ ছাড়া বিকল্প কোনো পথ নেই। তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে ইউএনওকে বলে দিচ্ছি।’

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে টেন্ডার ছাড়াই সরকারি রাস্তার ছয় শতাধিক নিষিদ্ধ ইউক্যালিপটাসগাছ কাটা হচ্ছে প্রকাশ্যে। গাছ কাটার খবর পেয়েও প্রশাসনের নীরব ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। তিন দিন ধরে উপজেলার শাখাহার ইউনিয়নের শালপাড়া থেকে মিরিপুকুর পর্যন্ত এবং কামদিয়া-পানিতলা রাস্তা থেকে শালপাড়া পর্যন্ত এলাকায় এসব গাছ কাটা হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শালপাড়া যুব উন্নয়ন ক্লাব ও শালপাড়া এম এ মান্নান ক্লাবের সদস্যদের না জানিয়ে সভাপতি মাহমুদ হাসান ইউএনওর কথিত ‘মৌখিক অনুমতি’ দেখিয়ে স্থানীয় কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে ঠিকাদারের কাছে গাছগুলো বিক্রি করেন ২৮ লাখ টাকায়। অথচ বন বিভাগের তালিকায় এসব গাছের দাম ধরা হয়েছে মাত্র সাড়ে ১২ লাখ টাকা।
জানা গেছে, ২০০৬ সালে শালপাড়া যুব উন্নয়ন ক্লাব ও শালপাড়া এম এ মান্নান ক্লাবের সদস্যরা প্রায় ২ কিলোমিটার এলাকায় ৬০০টির বেশি ইউক্যালিপটাসগাছ রোপণ করেন। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সঙ্গে করা চুক্তি অনুযায়ী, গাছ বিক্রির সময় বিক্রয়মূল্যের ২০ শতাংশ ইউপি ও ১০ শতাংশ জমির মালিক পাবেন। এর মধ্যে সমিতির সভাপতি মাহমুদ ও বেলাল নামের দুজনে গোপনে চেয়ারম্যানের কাছে গাছ কাটার আবেদন করলে চেয়ারম্যান বিষয়টি ইউএনওকে জানান।
নিয়ম অনুযায়ী, মূল্য নির্ধারণের পর গাছগুলো বিক্রির জন্য টেন্ডারের সব ব্যবস্থা করবেন ইউপির চেয়ারম্যান। কিন্তু এ বিষয়ে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির বলেন, ‘সব কাজ ক্লাবের সভাপতি করেছেন।’
গত শুক্রবার সরেজমিনে দেখা গেছে, শ্রমিকেরা ট্রাক ও ট্রলিতে করে দ্রুতগতিতে কাটা গাছ সরিয়ে নিচ্ছেন। সকাল থেকে বেলা ৩টার মধ্যে তিন শতাধিক গাছ কাটা হয়। ক্লাবের সভাপতি মাহমুদ ও তাঁর সহযোগী বেলাল সেখানে উপস্থিত ছিলেন। ক্লাবের সদস্য নুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের বলা হয়েছিল গাছ ১২ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কিন্তু ব্যবসায়ীরা বলছেন দাম ২৮ লাখ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। আমরা টাকা পাইনি, তিনি আমাদের সঙ্গে জালিয়াতি করেছেন। আমরা এর শাস্তি চাই।’
জানতে চাইলে গাছ বিক্রির সঙ্গে জড়িত বেলাল হোসেন বলেন, ‘যেখানে কাগজপত্র দেখানোর, সেখানে দেখানো হবে। না হলে মামলা করুক।’ গাছ ক্রেতা এমরান জানান, ‘সব কাগজপত্র সভাপতির কাছে আছে। আমি তাদের কাছ থেকেই গাছ কিনেছি। দাম প্রায় ১৮ লাখ টাকার মতো।’
অন্য ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমি ২৫ লাখ টাকা অফার করেছিলাম। কিন্তু সভাপতি আরও বেশি দাম আশা করায় বিক্রি করেননি।’ ক্লাবের সদস্য মুনছুর আলী বলেন, নিয়ম না মেনে গাছ বিক্রি করা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ ও জমির মালিক কেউই টাকার অংশ পায়নি। টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রি হলে দাম আরও বেশি পাওয়া যেত।
সভাপতি মাহমুদ হাসান বলেন, ‘ইউএনওর মৌখিক নির্দেশে গাছ বিক্রি করেছি। বন বিভাগের মূল্য অনুযায়ী দাম ১২ লাখ টাকা। ২৮ লাখ টাকায় বিক্রির অভিযোগ সঠিক নয়।’ এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ সামাজিক বনায়ন বিভাগের ফরেস্টার মিজানুর রহমান বলেন, দাম কমবেশি হতে পারে; কিন্তু সরকারি জায়গার গাছ টেন্ডারের বাইরে বিক্রির কোনো সুযোগ নেই।
গোবিন্দগঞ্জ ইউএনও ইয়াসমিন সুলতানা বলেন, ‘উপজেলা সমন্বয় সভায় গাছ বিক্রির অনুমোদনের কথা বলা হয়েছিল। তবে পরবর্তী সময়ে তাঁরা কীভাবে গাছ কাটছেন, তা আমার জানা নেই।’
এ বিষয়ে গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জেম আহমদ বলেন, ‘সরকারি জায়গার গাছ বিক্রি করতে হলে অবশ্যই টেন্ডারের মাধ্যমে করতে হবে। এ ছাড়া বিকল্প কোনো পথ নেই। তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে ইউএনওকে বলে দিচ্ছি।’

রিনি দাস যখন আইসিইউতে এলেন তখনো জানতাম না ২৮ বছরের এই মেয়েটাকে নিয়ে শেষ পর্যন্ত এই গল্পটা লিখব বা লিখতে পারব।
০৩ সেপ্টেম্বর ২০২১
সুন্দরবনের দুবলারচরে আজ রোববার থেকে শুঁটকি উৎপাদনের মৌসুম শুরু হচ্ছে। বন বিভাগের অনুমতি নিয়ে বঙ্গোপসাগরের উপকূলীয় বিভিন্ন চরের উদ্দেশে গতকাল শনিবার মধ্যরাত থেকে শত শত ট্রলারে যাত্রা করেন জেলেরা।
৩৯ মিনিট আগে
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস—রূপান্তরিত জাতীয় ছাত্রশক্তি) আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার তাঁর মোটরসাইকেল লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগে
বিআরটিএর চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, মহাসড়কে কোনো অবৈধ যানবাহন চলতে পারবে না। এ বিষয়ে পুলিশ, বিআরটিএসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেসুমেল সারাফাত, মোংলা (বাগেরহাট)

সুন্দরবনের দুবলারচরে আজ রোববার থেকে শুঁটকি উৎপাদনের মৌসুম শুরু হচ্ছে। বন বিভাগের অনুমতি নিয়ে বঙ্গোপসাগরের উপকূলীয় বিভিন্ন চরের উদ্দেশে গতকাল শনিবার মধ্যরাত থেকে শত শত ট্রলারে যাত্রা করেন জেলেরা। আগামী ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চার মাস সামুদ্রিক মাছ আহরণ করে সেগুলো দিয়ে শুঁটকি তৈরি করবেন জেলে ও শ্রমিকেরা। তবে কয়েক মাস ধরে সুন্দরবনকেন্দ্রিক জলদস্যুরা বেপরোয়া হয়ে ওঠায় জেলেরা আতঙ্কে রয়েছেন। শুঁটকি মৌসুম ঘিরে নিরাপত্তাব্যবস্থা নিতে কোস্ট গার্ডের কাছে চিঠিও দিয়েছে বন বিভাগ।
কোস্ট গার্ডসহ বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, সুন্দরবনে বর্তমানে ১৪টি জলদস্যু বাহিনী সক্রিয় রয়েছে। এর মধ্যে দুলাভাই বাহিনী, মজনু বাহিনী, অয়ন কোম্পানি, আবু সালেহ কোম্পানি, হোসেন কোম্পানি, শহিদুল কোম্পানি, কামরুল কোম্পানি, বিপুল কোম্পানি, মিন্টু কোম্পানি, রিয়াসাদ কোম্পানি, খোকন কোম্পানি ও শাহীন কোম্পানি বেপরোয়া।
বিকাশ কোম্পানি মজনু ডাকাতের ঘনিষ্ঠ হিসেবে বেশ আলোচিত। বিকাশ মারা যাওয়ার পর কোম্পানিটির ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ এখন তাঁর স্বজনদের হাতে। এ ছাড়া ইলিয়াস বাহিনীর প্রধান ইলিয়াস মারা যাওয়ার পর দলের দায়িত্ব নিয়েছেন তাঁর বোনের স্বামী রবিউল; যিনি দুলাভাই নামে পরিচিত।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তালিকায় চিহ্নিত মজনু, করিম শরীফ, দয়াল, রবিউল, আবদুল্লাহ, মামা-ভাগনে, আসাবুর, দুলাভাই, আল-আমীন, জাহাঙ্গীর, আফজাল, কাজল-মুন্না, রাঙ্গা ও ছোট সুমন বাহিনী জেলেদের অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করেছে। এর মধ্যে সাতটি বাহিনী নতুন।
কোস্ট গার্ডের একটি সূত্র জানিয়েছে, বনদস্যু আল-আমীন আত্মসমর্পণ করেছিলেন। কিন্তু গত ১৮ এপ্রিল তিনি অস্ত্রসহ কোস্ট গার্ডের হাতে ধরা পড়েন। এরপর জামিনে মুক্তি পেয়ে আবার দস্যুতায় নামেন। একইভাবে ২০১৮ সালে আত্মসমর্পণ করা করিম শরীফও আবার বনে সক্রিয় হয়েছেন। সাতক্ষীরার মুন্সিগঞ্জের আত্মসমর্পণকারী মিলন পাটোয়ারী মজনু বাহিনীর সঙ্গে দস্যুতায় ফিরেছেন। শ্যামনগরের গাবুরার খোকাবাবুও আবার দস্যুতায় নেমেছেন।
দস্যুতায় ফেরা আসাবুর বাহিনীর প্রধান আসাবুর সানাসহ দুই ডাকাতকে গত বছরের ১২ নভেম্বর সুন্দরবনের ঠাকুরবাড়ি ঘাট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে কোস্ট গার্ড। তবে জামিনে মুক্তি পেয়ে আবারও অস্ত্র হাতে বনে নেমেছেন তাঁরা। গত ৪ আগস্ট সুন্দরবনের শিবসা নদীর শরবতখালী এলাকা থেকে আসাবুরের দুই সহযোগীকে আটক করা হয়। তবে তিনি পালিয়ে যান।
কোস্ট গার্ডের তথ্য অনুযায়ী, গত ৬ মাসে সুন্দরবনে অভিযান চালিয়ে ১৮ দস্যুকে গ্রেপ্তার এবং ১৬টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ২২৮টি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। মামলা করা হয়েছে ১২টি।
ইলিশ শিকারে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে গতকাল শনিবার দুপুরে নৌকা নিয়ে জেলে ও শ্রমিকদের সুন্দরবনসংলগ্ন বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার মোংলা নদী ও পশুর নদে এসে জড়ো হতে দেখা যায়।
এ সময় বাগেরহাটের রায়েন্দার জেলে মহাজন আবুল হোসেন বলেন, ‘২০১৮ সালে সুন্দরবনের দস্যুরা আত্মসমর্পণ করার পর কয়েক বছর সুন্দরবন ও সাগরে খুব একটা জলদস্যুর ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু চলতি বছরের শুরু থেকে আবার জলদস্যুতা বেড়ে গেছে। গত বছরও আমার জেলেদের জিম্মি করে পৌনে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ নিয়েছে। আমাদের ভয় এসব জলদুস্যকে নিয়ে।’
জেলে আবদুর জব্বার বলেন, ‘আগামী চার-পাঁচ মাস মাছ ধরে যে আয় হবে, তা দিয়ে আমাদের পুরো বছরের সংসার চলবে। কিন্তু এখন বনে বাঘের উপদ্রব বেড়েছে। বেড়েছে দস্যুতা। তাই আমরা আতঙ্কে আছি। জানি না, আমাদের ভাগ্যে কী আছে।’
দুবলা ফিশারম্যান গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. কামাল উদ্দিন বলেন, ‘শুধু জলদস্যুতা নয়, রাজনৈতিক পরিচয়ে কতিপয় ব্যক্তি অবৈধ সুবিধা নিতে দুবলারচরে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছে। একই সঙ্গে সুন্দরবনে দস্যুতা বেড়েছে। তাই আমরা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে কোস্ট গার্ডের দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।’
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ২৬ অক্টোবর থেকে দুবলারচরে শুঁটকি মৌসুম শুরু হচ্ছ, শেষ হবে আগামী বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি। এ মৌসুমের চার মাস ধরে জেলেরা দুবলারচর, আলোরকোল, অফিসকেল্লা, নারকেলবাড়িয়া ও শেলারচরে অবস্থান করবেন। চরগুলোতে জেলেদের থাকার জন্য ৯০০টি ঘর ও ৮০টি দোকান তৈরির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মাছ বেচাকেনার জন্য ডিপোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে ১০০টি। তবে এ সবের জন্য কোনোভাবেই বনের গাছ কাটা ও ব্যবহার করা যাবে না।
রেজাউল করিম চৌধুরী, গত মৌসুমে শুঁটকি থেকে বন বিভাগের ৬ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছিল। এবার ৭ কোটি টাকারও বেশি রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
কোস্ট গার্ডের গণমাধ্যম কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক বলেন, বর্তমানে সুন্দরবনের ভেতরে সক্রিয় দস্যুদের রুখে দেওয়ার পাশাপাশি দস্যু নির্মূলে ধারাবাহিক ও নিয়মিত অভিযান চলছে। এরই মধ্যে অপহৃত বহু জেলে ও বাওয়ালিকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘গত বছর শুঁটকি মৌসুম ঘিরে সাগরে জলদস্যুদের উপদ্রব বেশি ছিল। বিষয়টি মাথায় রেখে বন বিভাগের প্রস্তুতির পাশাপাশি আমরা কোস্ট গার্ডকে চিঠি দিয়েছি; তারা যেন নিরাপত্তাব্যবস্থা নেয়। এ ছাড়া মৌখিকভাবে র্যাবেরও সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।’

সুন্দরবনের দুবলারচরে আজ রোববার থেকে শুঁটকি উৎপাদনের মৌসুম শুরু হচ্ছে। বন বিভাগের অনুমতি নিয়ে বঙ্গোপসাগরের উপকূলীয় বিভিন্ন চরের উদ্দেশে গতকাল শনিবার মধ্যরাত থেকে শত শত ট্রলারে যাত্রা করেন জেলেরা। আগামী ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চার মাস সামুদ্রিক মাছ আহরণ করে সেগুলো দিয়ে শুঁটকি তৈরি করবেন জেলে ও শ্রমিকেরা। তবে কয়েক মাস ধরে সুন্দরবনকেন্দ্রিক জলদস্যুরা বেপরোয়া হয়ে ওঠায় জেলেরা আতঙ্কে রয়েছেন। শুঁটকি মৌসুম ঘিরে নিরাপত্তাব্যবস্থা নিতে কোস্ট গার্ডের কাছে চিঠিও দিয়েছে বন বিভাগ।
কোস্ট গার্ডসহ বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, সুন্দরবনে বর্তমানে ১৪টি জলদস্যু বাহিনী সক্রিয় রয়েছে। এর মধ্যে দুলাভাই বাহিনী, মজনু বাহিনী, অয়ন কোম্পানি, আবু সালেহ কোম্পানি, হোসেন কোম্পানি, শহিদুল কোম্পানি, কামরুল কোম্পানি, বিপুল কোম্পানি, মিন্টু কোম্পানি, রিয়াসাদ কোম্পানি, খোকন কোম্পানি ও শাহীন কোম্পানি বেপরোয়া।
বিকাশ কোম্পানি মজনু ডাকাতের ঘনিষ্ঠ হিসেবে বেশ আলোচিত। বিকাশ মারা যাওয়ার পর কোম্পানিটির ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ এখন তাঁর স্বজনদের হাতে। এ ছাড়া ইলিয়াস বাহিনীর প্রধান ইলিয়াস মারা যাওয়ার পর দলের দায়িত্ব নিয়েছেন তাঁর বোনের স্বামী রবিউল; যিনি দুলাভাই নামে পরিচিত।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তালিকায় চিহ্নিত মজনু, করিম শরীফ, দয়াল, রবিউল, আবদুল্লাহ, মামা-ভাগনে, আসাবুর, দুলাভাই, আল-আমীন, জাহাঙ্গীর, আফজাল, কাজল-মুন্না, রাঙ্গা ও ছোট সুমন বাহিনী জেলেদের অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করেছে। এর মধ্যে সাতটি বাহিনী নতুন।
কোস্ট গার্ডের একটি সূত্র জানিয়েছে, বনদস্যু আল-আমীন আত্মসমর্পণ করেছিলেন। কিন্তু গত ১৮ এপ্রিল তিনি অস্ত্রসহ কোস্ট গার্ডের হাতে ধরা পড়েন। এরপর জামিনে মুক্তি পেয়ে আবার দস্যুতায় নামেন। একইভাবে ২০১৮ সালে আত্মসমর্পণ করা করিম শরীফও আবার বনে সক্রিয় হয়েছেন। সাতক্ষীরার মুন্সিগঞ্জের আত্মসমর্পণকারী মিলন পাটোয়ারী মজনু বাহিনীর সঙ্গে দস্যুতায় ফিরেছেন। শ্যামনগরের গাবুরার খোকাবাবুও আবার দস্যুতায় নেমেছেন।
দস্যুতায় ফেরা আসাবুর বাহিনীর প্রধান আসাবুর সানাসহ দুই ডাকাতকে গত বছরের ১২ নভেম্বর সুন্দরবনের ঠাকুরবাড়ি ঘাট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে কোস্ট গার্ড। তবে জামিনে মুক্তি পেয়ে আবারও অস্ত্র হাতে বনে নেমেছেন তাঁরা। গত ৪ আগস্ট সুন্দরবনের শিবসা নদীর শরবতখালী এলাকা থেকে আসাবুরের দুই সহযোগীকে আটক করা হয়। তবে তিনি পালিয়ে যান।
কোস্ট গার্ডের তথ্য অনুযায়ী, গত ৬ মাসে সুন্দরবনে অভিযান চালিয়ে ১৮ দস্যুকে গ্রেপ্তার এবং ১৬টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ২২৮টি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। মামলা করা হয়েছে ১২টি।
ইলিশ শিকারে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে গতকাল শনিবার দুপুরে নৌকা নিয়ে জেলে ও শ্রমিকদের সুন্দরবনসংলগ্ন বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার মোংলা নদী ও পশুর নদে এসে জড়ো হতে দেখা যায়।
এ সময় বাগেরহাটের রায়েন্দার জেলে মহাজন আবুল হোসেন বলেন, ‘২০১৮ সালে সুন্দরবনের দস্যুরা আত্মসমর্পণ করার পর কয়েক বছর সুন্দরবন ও সাগরে খুব একটা জলদস্যুর ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু চলতি বছরের শুরু থেকে আবার জলদস্যুতা বেড়ে গেছে। গত বছরও আমার জেলেদের জিম্মি করে পৌনে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ নিয়েছে। আমাদের ভয় এসব জলদুস্যকে নিয়ে।’
জেলে আবদুর জব্বার বলেন, ‘আগামী চার-পাঁচ মাস মাছ ধরে যে আয় হবে, তা দিয়ে আমাদের পুরো বছরের সংসার চলবে। কিন্তু এখন বনে বাঘের উপদ্রব বেড়েছে। বেড়েছে দস্যুতা। তাই আমরা আতঙ্কে আছি। জানি না, আমাদের ভাগ্যে কী আছে।’
দুবলা ফিশারম্যান গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. কামাল উদ্দিন বলেন, ‘শুধু জলদস্যুতা নয়, রাজনৈতিক পরিচয়ে কতিপয় ব্যক্তি অবৈধ সুবিধা নিতে দুবলারচরে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছে। একই সঙ্গে সুন্দরবনে দস্যুতা বেড়েছে। তাই আমরা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে কোস্ট গার্ডের দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।’
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ২৬ অক্টোবর থেকে দুবলারচরে শুঁটকি মৌসুম শুরু হচ্ছ, শেষ হবে আগামী বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি। এ মৌসুমের চার মাস ধরে জেলেরা দুবলারচর, আলোরকোল, অফিসকেল্লা, নারকেলবাড়িয়া ও শেলারচরে অবস্থান করবেন। চরগুলোতে জেলেদের থাকার জন্য ৯০০টি ঘর ও ৮০টি দোকান তৈরির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মাছ বেচাকেনার জন্য ডিপোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে ১০০টি। তবে এ সবের জন্য কোনোভাবেই বনের গাছ কাটা ও ব্যবহার করা যাবে না।
রেজাউল করিম চৌধুরী, গত মৌসুমে শুঁটকি থেকে বন বিভাগের ৬ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছিল। এবার ৭ কোটি টাকারও বেশি রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
কোস্ট গার্ডের গণমাধ্যম কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক বলেন, বর্তমানে সুন্দরবনের ভেতরে সক্রিয় দস্যুদের রুখে দেওয়ার পাশাপাশি দস্যু নির্মূলে ধারাবাহিক ও নিয়মিত অভিযান চলছে। এরই মধ্যে অপহৃত বহু জেলে ও বাওয়ালিকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘গত বছর শুঁটকি মৌসুম ঘিরে সাগরে জলদস্যুদের উপদ্রব বেশি ছিল। বিষয়টি মাথায় রেখে বন বিভাগের প্রস্তুতির পাশাপাশি আমরা কোস্ট গার্ডকে চিঠি দিয়েছি; তারা যেন নিরাপত্তাব্যবস্থা নেয়। এ ছাড়া মৌখিকভাবে র্যাবেরও সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।’

রিনি দাস যখন আইসিইউতে এলেন তখনো জানতাম না ২৮ বছরের এই মেয়েটাকে নিয়ে শেষ পর্যন্ত এই গল্পটা লিখব বা লিখতে পারব।
০৩ সেপ্টেম্বর ২০২১
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে টেন্ডার ছাড়াই সরকারি রাস্তার ছয় শতাধিক নিষিদ্ধ ইউক্যালিপটাসগাছ কাটা হচ্ছে প্রকাশ্যে। গাছ কাটার খবর পেয়েও প্রশাসনের নীরব ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। তিন দিন ধরে উপজেলার শাখাহার ইউনিয়নের শালপাড়া থেকে মিরিপুকুর পর্যন্ত এবং কামদিয়া-পানিতলা রাস্তা থেকে শালপাড়া...
৯ মিনিট আগে
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস—রূপান্তরিত জাতীয় ছাত্রশক্তি) আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার তাঁর মোটরসাইকেল লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগে
বিআরটিএর চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, মহাসড়কে কোনো অবৈধ যানবাহন চলতে পারবে না। এ বিষয়ে পুলিশ, বিআরটিএসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস—রূপান্তরিত জাতীয় ছাত্রশক্তি) আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার তাঁর মোটরসাইকেল লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) রাত ৮টার পর রাজধানীর শাহবাগে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান তিনি।
রাত ৮টা ৩৪ মিনিটে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে আবু বাকের মজুমদার লিখেছেন, ‘কিছুক্ষণ আগে ৮টা ২৩-২৪ মিনিটের সময় ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে আমার বাইকের সামনে ককটেল মারা হয়েছে। রূপায়ণ টাওয়ারে সাংগঠনিক মিটিংয়ের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলাম। রাজনৈতিক কারণে এক্সটার্নাল এবং ইন্টারনাল অনেকের শত্রু হয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ, এখনো সুস্থ আছি, দোয়া করবেন।’
হামলার প্রতিবাদে রাত ১০টার দিকে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) তাদের কার্যালয়ের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল করে।

বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস—রূপান্তরিত জাতীয় ছাত্রশক্তি) আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার তাঁর মোটরসাইকেল লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) রাত ৮টার পর রাজধানীর শাহবাগে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান তিনি।
রাত ৮টা ৩৪ মিনিটে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে আবু বাকের মজুমদার লিখেছেন, ‘কিছুক্ষণ আগে ৮টা ২৩-২৪ মিনিটের সময় ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে আমার বাইকের সামনে ককটেল মারা হয়েছে। রূপায়ণ টাওয়ারে সাংগঠনিক মিটিংয়ের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলাম। রাজনৈতিক কারণে এক্সটার্নাল এবং ইন্টারনাল অনেকের শত্রু হয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ, এখনো সুস্থ আছি, দোয়া করবেন।’
হামলার প্রতিবাদে রাত ১০টার দিকে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) তাদের কার্যালয়ের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল করে।

রিনি দাস যখন আইসিইউতে এলেন তখনো জানতাম না ২৮ বছরের এই মেয়েটাকে নিয়ে শেষ পর্যন্ত এই গল্পটা লিখব বা লিখতে পারব।
০৩ সেপ্টেম্বর ২০২১
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে টেন্ডার ছাড়াই সরকারি রাস্তার ছয় শতাধিক নিষিদ্ধ ইউক্যালিপটাসগাছ কাটা হচ্ছে প্রকাশ্যে। গাছ কাটার খবর পেয়েও প্রশাসনের নীরব ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। তিন দিন ধরে উপজেলার শাখাহার ইউনিয়নের শালপাড়া থেকে মিরিপুকুর পর্যন্ত এবং কামদিয়া-পানিতলা রাস্তা থেকে শালপাড়া...
৯ মিনিট আগে
সুন্দরবনের দুবলারচরে আজ রোববার থেকে শুঁটকি উৎপাদনের মৌসুম শুরু হচ্ছে। বন বিভাগের অনুমতি নিয়ে বঙ্গোপসাগরের উপকূলীয় বিভিন্ন চরের উদ্দেশে গতকাল শনিবার মধ্যরাত থেকে শত শত ট্রলারে যাত্রা করেন জেলেরা।
৩৯ মিনিট আগে
বিআরটিএর চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, মহাসড়কে কোনো অবৈধ যানবাহন চলতে পারবে না। এ বিষয়ে পুলিশ, বিআরটিএসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেপঞ্চগড় প্রতিনিধি

বিআরটিএর চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, মহাসড়কে কোনো অবৈধ যানবাহন চলতে পারবে না। এ বিষয়ে পুলিশ, বিআরটিএসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) রাতে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে জেলা প্রশাসন ও বিআরটিএ যৌথ আয়োজনে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিআরটিএর চেয়ারম্যান বলেন, ‘কোনো লক্কড়ঝক্কড় গাড়ি আমরা মহাসড়কে চলতে দেব না। এ জন্য বিআরটিএ, প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর একসঙ্গে কাজ করছে। সরকারি গাড়িগুলোও ছাড় পাবে না, এমনকি আমি নিজেই বিআরটিএর গাড়ি ডাম্প করেছি।’

বিআরটিএর চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, মহাসড়কে কোনো অবৈধ যানবাহন চলতে পারবে না। এ বিষয়ে পুলিশ, বিআরটিএসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) রাতে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে জেলা প্রশাসন ও বিআরটিএ যৌথ আয়োজনে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিআরটিএর চেয়ারম্যান বলেন, ‘কোনো লক্কড়ঝক্কড় গাড়ি আমরা মহাসড়কে চলতে দেব না। এ জন্য বিআরটিএ, প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর একসঙ্গে কাজ করছে। সরকারি গাড়িগুলোও ছাড় পাবে না, এমনকি আমি নিজেই বিআরটিএর গাড়ি ডাম্প করেছি।’

রিনি দাস যখন আইসিইউতে এলেন তখনো জানতাম না ২৮ বছরের এই মেয়েটাকে নিয়ে শেষ পর্যন্ত এই গল্পটা লিখব বা লিখতে পারব।
০৩ সেপ্টেম্বর ২০২১
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে টেন্ডার ছাড়াই সরকারি রাস্তার ছয় শতাধিক নিষিদ্ধ ইউক্যালিপটাসগাছ কাটা হচ্ছে প্রকাশ্যে। গাছ কাটার খবর পেয়েও প্রশাসনের নীরব ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। তিন দিন ধরে উপজেলার শাখাহার ইউনিয়নের শালপাড়া থেকে মিরিপুকুর পর্যন্ত এবং কামদিয়া-পানিতলা রাস্তা থেকে শালপাড়া...
৯ মিনিট আগে
সুন্দরবনের দুবলারচরে আজ রোববার থেকে শুঁটকি উৎপাদনের মৌসুম শুরু হচ্ছে। বন বিভাগের অনুমতি নিয়ে বঙ্গোপসাগরের উপকূলীয় বিভিন্ন চরের উদ্দেশে গতকাল শনিবার মধ্যরাত থেকে শত শত ট্রলারে যাত্রা করেন জেলেরা।
৩৯ মিনিট আগে
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস—রূপান্তরিত জাতীয় ছাত্রশক্তি) আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার তাঁর মোটরসাইকেল লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগে