Ajker Patrika

খাটে জামায়াত নেত্রীর ছুরিকাহত লাশ, নিচে অক্ষত ৭ মাসের ছেলে

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৯: ১৫
হবিগঞ্জের বাহুবলে নিজ ঘরে ছুরিকাঘাতে খুন হওয়া জামায়াত নেত্রী মিনারা আক্তারের শিশুপুত্র। নানার কোলে শিশুটি। ছবি: সংগৃহীত
হবিগঞ্জের বাহুবলে নিজ ঘরে ছুরিকাঘাতে খুন হওয়া জামায়াত নেত্রী মিনারা আক্তারের শিশুপুত্র। নানার কোলে শিশুটি। ছবি: সংগৃহীত

হবিগঞ্জের বাহুবলে নিজ ঘরে ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছেন জামায়াত নেত্রী মিনারা আক্তার (৩৫)। তাঁর সাত মাস বয়সী শিশুসন্তানকে পাওয়া গেছে খাটের নিচে, তবে সে অক্ষত রয়েছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় বাহুবল উপজেলার মিরপুর ইউনিয়নের পশ্চিম জয়পুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এই হত্যাকাণ্ডের কারণ ও কারা এর সঙ্গে জড়িত, তা এখনো স্পষ্ট নয়। পরিবারও কাউকে সন্দেহ করতে পারছে না। পুলিশ বলছে, তারা সবদিক বিবেচনায় রেখেই তদন্ত করছে।

মিনারা বাহুবল উপজেলা জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারি ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি আব্দুল আহাদের স্ত্রী। মিনারা জামায়াতে ইসলামীর মহিলা বিভাগের রুকন (সদস্য) এবং বাহুবলের মিরপুর পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষিকা ছিলেন। এই হত্যাকাণ্ডে মিনারার সহকর্মী, শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, গতকাল শুক্রবার সকালে আব্দুল আহাদ বাড়ি থেকে বের হন। স্ত্রী মিনারা আক্তার তখন বাড়িতে ছিলেন সাত মাস বয়সী শিশুসন্তানসহ। তাঁদের বড় মেয়ে ছিল নানাবাড়িতে।

আব্দুল আহাদ বলেন, ‘সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে দেখি দরজা খোলা এবং ঘর পুরো অন্ধকার। পরে ঢুকে লাইট জ্বালিয়ে দেখি স্ত্রীর রক্তাক্ত লাশ বিছানায় পড়ে রয়েছে। ঘটনাটি দেখে আমি মুহূর্তেই বাক্‌রুদ্ধ হয়ে যাই। আমি চিৎকার দিলে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। পরে বিছানার (খাট) নিচে আমার ৭ মাসের পুত্রসন্তানকে নিস্তেজ অবস্থায় পাওয়া যায়।’

আহাদ বলেন, ‘আমি ৪ মাস আগে এখানে বাড়ি বানিয়ে বসবাস শুরু করেছি। এখানে আমার কোনো শত্রু নেই। কে বা কারা, কী কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, সে সম্পর্কে আমার ধারণা নেই।’

আজ শনিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মিনারার লাশ হবিগঞ্জ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করেছে।

হবিগঞ্জ জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি কাজী মহসিন আহমেদ বলেন, ‘এটি খুবই মর্মান্তিক ও দুঃখজনক ঘটনা। আমরা চাই, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দ্রুত দোষীদের খুঁজে বের করুক এবং আইনের আওতায় আনুক। যদি দ্রুত সময়ের মধ্যে দোষীদের আইনের আওতায় না আনা হয়, তাহলে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বাড়তে পারে।’

হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার এ এন এম সাজেদুর রহমান বলেন, ‘আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছি। কীভাবে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হলো, কারা এর সঙ্গে জড়িত, সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। আমরা সবদিক বিবেচনায় নিয়ে তদন্ত এগোচ্ছি।’ তিনি জানান, এখনো মামলা করা হয়নি। স্বজনেরা বলছেন, লাশ দাফন সম্পন্ন করে মামলা করবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত