Ajker Patrika

লন্ডনে টেমস নদী থেকে বাংলাদেশি নারীর লাশ উদ্ধার, স্বামী গ্রেপ্তার

জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৩ মে ২০২৩, ১০: ৩১
Thumbnail image

লন্ডনে টেমস নদী থেকে সুমা বেগম নামে এক বাংলাদেশি নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার (১১ মে) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ওই নারীর স্বামী আমিনুর রহমানকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

লন্ডন পুলিশ গণমাধ্যমকে জানায়, বর্তমানে সুমা বেগমের (২৪) মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। সুমার স্বামী আমিনুর রহমানের বিরুদ্ধে আদালতে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। সুমা বেগম সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামের ঠাকুর মিয়ার মেয়ে।

সুনামগঞ্জে সুমার স্বজনেরা জানান, চার বছর আগে বোনের দেবর ছাতক উপজেলার জাউয়া বাজার ইউনিয়নের ঘোড়াডুমবুর গ্রামের যুক্তরাজ্যপ্রবাসী আমিনুর রহমানের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় সুমা বেগমের। বিয়ের কিছুদিন পর স্বামীর সঙ্গে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান সুমা। পূর্ব লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটসের অরচার্ড প্যালেসের একটি বাসায় থাকতেন এই দম্পতি। তাঁদের আড়াই বছর ও চার মাসের দুটি সন্তান রয়েছে।

লন্ডন পুলিশ জানায়, গত ৩০ এপ্রিল আমিনুর রহমানকে দুই শিশু সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে রাস্তায় ঘোরাঘুরি করতে দেখে সন্দেহ হলে স্থানীয়রা পুলিশকে জানায়। পুলিশ এসে আমিনুরকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি পুলিশকে বলেন তাঁর স্ত্রী সুমাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পরে এ ব্যাপারে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন আমিনুর।

এরপর থেকে সুমাকে খুঁজতে শুরু করে পুলিশ। এর মধ্যে সুমার স্বামী আমিনুর আত্মগোপন করলে পুলিশের সন্দেহ হয়। পরে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে।

লন্ডন মহানগর পুলিশ স্থানীয় এক বাসিন্দার ফোন কল পেয়ে গত বুধবার (১০ মে) সকালে টেমস নদী থেকে সুমার লাশ উদ্ধার করে।

পুলিশ ১১ দিন খোঁজার পর টেমস নদীতে ফেলে দেওয়া স্থান থেকে প্রায় ছয় মাইল দূর থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার সুমার মরদেহ উদ্ধার করে। 

লন্ডনের দ্য ইনডিপেনডেন্ট পত্রিকা এক প্রতিবেদনে জানায়, গত ৯ মে আমিনুর রহমানকে ফৌজদারি আদালতে উপস্থাপন করা হয়। আগামী ২৫ জুলাই আমিনুরের রিমান্ড আবেদনের শুনানির দিন ধার্য করেছেন বিচারক নাইজেল লিকলি কেসি। 

আদালতের কৌঁসুলি টম ব্রুমফিল্ডের উদ্ধৃতি দিয়ে লন্ডনের দ্য সান পত্রিকা এক প্রতিবেদনে জানায়, ‘সুমা বেগমকে হত্যা করে বা জীবিত অবস্থায় হাত-পা বেঁধে স্যুটকেসে ভরে টেমস নদীতে ফেলে দেওয়া হয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত