মৌলভীবাজারের তিন উপজেলায় এখনো পানিবন্দী ২ লাখ মানুষ। হাকালুকি হাওরের পানি স্থিতিশীল থাকায় এসব উপজেলায় বন্যার পানি কমছে না। অনেক মানুষ অবস্থান করছে আশ্রয়কেন্দ্রে। গত এক সপ্তাহে খুব অল্প পরিমাণে পানি কমলেও এখনো মানুষের বাড়ি-ঘরে পানি রয়েছে। জেলা প্রশাসকের পক্ষে থেকে ত্রাণের কোনো সংকট নেই বলা হলেও বন্যাকবলিত এলাকার অনেকেই ত্রাণ পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ তাঁদের।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত দুই সপ্তাহ ধরে কুলাউড়া, বড়লেখা ও জুড়ী—এই তিন উপজেলায় নদ-নদী ও হাকালুকি হাওরের পানি বাড়ায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। জেলার অন্যান্য উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও এই তিন উপজেলায় এখনো পানিবন্দী ২ লাখ মানুষ। ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে কুশিয়ারা নদীর পানি না কমায় হাকালুকি হাওরের পানি কমেছে না। ফলে এই তিন উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে। খুব অল্প পরিমাণে পানি কমছে। বন্যাকবলিত মানুষের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। গত দুই সপ্তাহ ধরে পানি না কমায় অনেকের বাড়ি-ঘর ভেঙে পড়েছে। তারা বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র ও আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে উঠেছে। যেসব এলাকায় পানি কমেছে, সেসব এলাকার মানুষ বাড়িতে গেলেও ঘরে বসবাসের অনুপযোগী।
এদিকে গবাদি পশু নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে বন্যাকবলিত এলাকার মানুষ। বন্যায় ডুবে গেছে চারণভূমি। এতে গোখাদ্যের চরম সংকট দেখা দিয়েছে। খাদ্যের অভাবে অনেক গবাদিপশু অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
বন্যাকবলিত মানুষ জানায়, হাকালুকি হাওরের পানি না কমায় আমাদের এলাকায় এখনো ঘরবাড়িতে পানি রয়েছে। অনেকে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে উঠেছে। কারণ বন্যায় কারও ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, কারও ঘরে পানি উঠেছে। এই অবস্থায় ঘরে টিকতে না পেরে তারা বাধ্য হয়ে ঘর ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছে। কেউ আবার আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে উঠেছে। এতে জনভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। সরকারের পক্ষ থেকে ত্রাণ দেওয়া হলেও সবকিছু মিলে ২০-২৫ শতাংশ মানুষ ত্রাণ পেয়েছে।
কুলাউড়া উপজেলার গৌরিশঙ্কর গ্রামের বাসিন্দা দিপক দাস বলেন, ‘আমার পরিবারে ২০ জন সদস্য আছে। গত দুই সপ্তাহ ধরে আমরা পানিবন্দী। আমাদের নিকটবর্তী কোনো আশ্রয়কেন্দ্র নেই। বাধ্য হয়ে আত্মীয়বাড়িতে উঠেছি। আমরা কোনো ত্রাণ পাইনি।’
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোহাম্মদ ছাদু মিয়া বলেন, ‘জেলার সাতটি উপজেলার মধ্যে কুলাউড়া, বড়লেখা ও জুড়ী উপজেলায় এখনো প্রায় ২ লাখ মানুষ পানিবন্দী আছে। তিনটি উপজেলার বন্যাকবলিত ইউনিয়নগুলোতে ত্রাণ দেওয়া হয়েছে। আগের চেয়ে পানি কমেছে, তবে ধীরগতিতে।’
মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম বলেন, তিনটি উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি খুব ধীরগতিতে উন্নতি হচ্ছে। ত্রাণের কোনো সংকট নেই। আমাদের কাছে পর্যাপ্ত ত্রাণ আছে। এগুলো বন্যাকবলিত এলাকায় বিতরণ করা হচ্ছে। কুশিয়ারা নদীর পানি কমলে হাকালুকি হাওরের পানি কমে যাবে। আশ্রয়কেন্দ্রে যারা আছে, তাদের শুকনো খাবারের পাশাপাশি চাল দেওয়া হচ্ছে। পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও খাওয়ার স্যালাইনও দেওয়া হচ্ছে। সার্বক্ষণিক পানিবন্দী মানুষের খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
মৌলভীবাজারের তিন উপজেলায় এখনো পানিবন্দী ২ লাখ মানুষ। হাকালুকি হাওরের পানি স্থিতিশীল থাকায় এসব উপজেলায় বন্যার পানি কমছে না। অনেক মানুষ অবস্থান করছে আশ্রয়কেন্দ্রে। গত এক সপ্তাহে খুব অল্প পরিমাণে পানি কমলেও এখনো মানুষের বাড়ি-ঘরে পানি রয়েছে। জেলা প্রশাসকের পক্ষে থেকে ত্রাণের কোনো সংকট নেই বলা হলেও বন্যাকবলিত এলাকার অনেকেই ত্রাণ পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ তাঁদের।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত দুই সপ্তাহ ধরে কুলাউড়া, বড়লেখা ও জুড়ী—এই তিন উপজেলায় নদ-নদী ও হাকালুকি হাওরের পানি বাড়ায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। জেলার অন্যান্য উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও এই তিন উপজেলায় এখনো পানিবন্দী ২ লাখ মানুষ। ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে কুশিয়ারা নদীর পানি না কমায় হাকালুকি হাওরের পানি কমেছে না। ফলে এই তিন উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে। খুব অল্প পরিমাণে পানি কমছে। বন্যাকবলিত মানুষের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। গত দুই সপ্তাহ ধরে পানি না কমায় অনেকের বাড়ি-ঘর ভেঙে পড়েছে। তারা বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র ও আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে উঠেছে। যেসব এলাকায় পানি কমেছে, সেসব এলাকার মানুষ বাড়িতে গেলেও ঘরে বসবাসের অনুপযোগী।
এদিকে গবাদি পশু নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে বন্যাকবলিত এলাকার মানুষ। বন্যায় ডুবে গেছে চারণভূমি। এতে গোখাদ্যের চরম সংকট দেখা দিয়েছে। খাদ্যের অভাবে অনেক গবাদিপশু অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
বন্যাকবলিত মানুষ জানায়, হাকালুকি হাওরের পানি না কমায় আমাদের এলাকায় এখনো ঘরবাড়িতে পানি রয়েছে। অনেকে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে উঠেছে। কারণ বন্যায় কারও ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, কারও ঘরে পানি উঠেছে। এই অবস্থায় ঘরে টিকতে না পেরে তারা বাধ্য হয়ে ঘর ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছে। কেউ আবার আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে উঠেছে। এতে জনভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। সরকারের পক্ষ থেকে ত্রাণ দেওয়া হলেও সবকিছু মিলে ২০-২৫ শতাংশ মানুষ ত্রাণ পেয়েছে।
কুলাউড়া উপজেলার গৌরিশঙ্কর গ্রামের বাসিন্দা দিপক দাস বলেন, ‘আমার পরিবারে ২০ জন সদস্য আছে। গত দুই সপ্তাহ ধরে আমরা পানিবন্দী। আমাদের নিকটবর্তী কোনো আশ্রয়কেন্দ্র নেই। বাধ্য হয়ে আত্মীয়বাড়িতে উঠেছি। আমরা কোনো ত্রাণ পাইনি।’
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোহাম্মদ ছাদু মিয়া বলেন, ‘জেলার সাতটি উপজেলার মধ্যে কুলাউড়া, বড়লেখা ও জুড়ী উপজেলায় এখনো প্রায় ২ লাখ মানুষ পানিবন্দী আছে। তিনটি উপজেলার বন্যাকবলিত ইউনিয়নগুলোতে ত্রাণ দেওয়া হয়েছে। আগের চেয়ে পানি কমেছে, তবে ধীরগতিতে।’
মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম বলেন, তিনটি উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি খুব ধীরগতিতে উন্নতি হচ্ছে। ত্রাণের কোনো সংকট নেই। আমাদের কাছে পর্যাপ্ত ত্রাণ আছে। এগুলো বন্যাকবলিত এলাকায় বিতরণ করা হচ্ছে। কুশিয়ারা নদীর পানি কমলে হাকালুকি হাওরের পানি কমে যাবে। আশ্রয়কেন্দ্রে যারা আছে, তাদের শুকনো খাবারের পাশাপাশি চাল দেওয়া হচ্ছে। পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও খাওয়ার স্যালাইনও দেওয়া হচ্ছে। সার্বক্ষণিক পানিবন্দী মানুষের খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
যশোরের অভয়নগরে ফশিয়ার রহমান (৭৯) নামের এক কৃষকের বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার (৩০ জুন) বিকেলে উপজেলার প্রেমবাগ ইউনিয়নের বনগ্রাম গ্রামে বজ্রপাতে এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ইউপি সদস্য রাজিব হাসান এই মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
১৮ মিনিট আগেচট্টগ্রামে বিগত সরকারের আমলে নিজের আবাদি জমিতে যেতে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) একটি পতিত জমি রাস্তা হিসেবে ব্যবহারের শর্তে ভাড়া নিয়েছিলেন আব্দুল মান্নান নামের স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা। পরে শর্ত ভঙ্গ করে তিনি চলাচলের রাস্তায় আধা পাকা দোকানঘর বানিয়ে ভাড়া দেন। সম্প্রতি সিডিএ এসব অবৈধ স্থাপন
২১ মিনিট আগেমুরাদনগরের ঘটনা আজ গোটা দেশের প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছে। সরকার দেশের মব ভায়োলেন্সকে নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হচ্ছে। সরকারের এই ব্যর্থতা ও পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা অপরাধীদের উৎসাহিত করছে। প্রতিনিয়ত হত্যা, ধর্ষণ, নারী নির্যাতন ও মব ভায়োলেন্সের মতো ঘটনা ঘটলেও এর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারছে না।
২৭ মিনিট আগেচাঁদপুরের হাইমচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অভিযান চালিয়ে রোগীদের খাবারে ব্যাপক অনিয়ম, চিকিৎসকদের অনুপস্থিতি এবং অন্যান্য অব্যবস্থাপনার প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে। সোমবার (৩০ জুন) দুপুরে দুদক চাঁদপুর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আজগর হোসেনের নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়।
২৯ মিনিট আগে