Ajker Patrika

ফেসবুক-টিকটক সূত্রে পরিণয়, তরুণীকে ভারতে পাচার

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ মে ২০২২, ১৯: ২১
Thumbnail image

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও টিকটকের মাধ্যমে পরিচয়। পরে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। সেই প্রেমের সুবাদে প্রলোভন দিয়ে ভারতে নিয়ে যাওয়া হয় তরুণীকে। সেখানে তাঁকে দিয়ে করানো হয় দেহব্যবসা। কিছুদিন পর দেশে ফিরে বিয়ে করেন দুজন।

এরপর আবারও ওই তরুণীকে কৌশলে ভারতে পাচার করে দেওয়া হয়। সেখানে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে কিছুদিন পর কৌশলে দেশে পালিয়ে এসে পাঁচ যুবকের বিরুদ্ধে মামলা করেন ভুক্তভোগী তরুণী। মামলা দায়েরের পর পুলিশ লালমনিরহাট থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। 

এরপর আজ মঙ্গলবার সকালে মামলার প্রধান আসামি সোহেল মিয়াকে (২৫) মৌলভীবাজার থেকে গ্রেপ্তার করেন র‍্যাব-৯ হবিগঞ্জ ক্যাম্পের সদস্যরা। সোহেল মিয়া হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার বেতাপুর গ্রামের কিবরিয়া মিয়ার ছেলে।

মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাব-৯ হবিগঞ্জ ক্যাম্পের অধিনায়ক লে. নাহিদ হাসান বলেন, সোহেল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, তিন বছর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও টিকটকের মাধ্যমে তাঁর সঙ্গে ভুক্তভোগী তরুণীর (২২) পরিচয় হয়। পরিচয়ের সুবাদে তাঁদের মধ্যে গভীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর সোহেল তরুণীর ভালোবাসার দুর্বলতার সুযোগে তাঁকে গত বছরের মার্চে সাতক্ষীরা জেলার সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতের কলকাতায় নিয়ে যান। এ সময় সেখানে তাঁকে ভারতে আটকে রেখে দেহব্যবসা করতে বাধ্য করেন সোহেল।

নাহিদ হাসান বলেন, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে দেশে ফিরে সোহেল ও ওই তরুণী বিয়ে করেন। পরে আবারও তরুণীকে কৌশলে ভারত পাচার করে দেন সোহেল। সেখানে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে ১৫ মে কৌশলে দেশে পালিয়ে আসেন তরুণী। 

র‍্যাব কর্মকর্তা বলেন, ২১ মে লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম থানায় পাঁচ যুবকের বিরুদ্ধে মামলা করেন ভুক্তভোগী তরুণী। মামলার প্রধান আসামি সোহেলকে মঙ্গলবার গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। এর আগে তিন আসামিকে পাটগ্রাম থানা-পুলিশ গ্রেপ্তার করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত