Ajker Patrika

মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে হবিগঞ্জে চা-শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ১৩ আগস্ট ২০২২, ১৪: ১৬
মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে হবিগঞ্জে চা-শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ

চা-শ্রমিকদের মজুরি ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করার দাবিতে চার দিনব্যাপী দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করে শ্রমিকেরা। কিন্তু দাবি আদায় না হওয়ায় আজ শনিবার থেকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করছেন তাঁরা।

আজ সকাল ১০টা থেকে হবিগঞ্জের ২৪টি বাগানে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন শ্রমিকেরা। বেলা ১২টার দিকে জেলার চুনারুঘাটে ঢাকা-সিলেট পুরাতন মহাসড়কের চান্দপুর এলাকায় অবরোধ করেন শত শত চা-শ্রমিক। পরে বিভিন্ন চা-শ্রমিক থেকে অবরোধে অংশ নেন শ্রমিকেরা।

চা-শ্রমিক ইউনিয়ন নেতারা জানান, প্রতিনিয়ত নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়ে চলেছে। অথচ বাংলাদেশের চা-শ্রমিকেরা ১২০ টাকা মজুরিতে কাজ করছেন। দুই বছর পর পর শ্রমিকদের সংগঠন বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন ও বাগান মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ চা সংসদ নেতৃবৃন্দের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি হয়। কিন্তু বিগত চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে। এরপর ১৯ মাস কেটে গেলেও মালিকপক্ষ শ্রমিকদের সঙ্গে নতুন চুক্তি করেনি।

নতুন চুক্তি না হওয়ার কারণে শ্রমিকদের বেতনও বাড়ছে না। জুনে বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ চা সংসদ নেতৃবৃন্দের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকা করার প্রস্তাব দেন শ্রমিক নেতৃবৃন্দ। পরে চা সংসদ নেতৃবৃন্দ মজুরি ১৪ টাকা বাড়িয়ে ১৩৪ টাকা করার প্রস্তাব দেন। তবে তা সন্তোষজনক না হওয়ায় তা প্রত্যাখ্যান করেন শ্রমিক নেতারা।

রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ মিছিল করছেন চা-শ্রমিকেরা। এরপর এক মাস অতিবাহিত হলেও মালিকপক্ষ আর কোনো সিদ্ধান্ত না জানানোর কারণে গত মঙ্গলবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত টানা চার দিন প্রতিদিন দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করেন শ্রমিকেরা। এতেও মালিক পক্ষের সাড়া না পেয়ে আজ সকাল থেকে পূর্ণদিবস কর্মসূচি পালন করেন শ্রমিকেরা।

চান্দপুর বাগানের পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি সাধন সাঁওতাল বলেন, ‘বাংলাদেশে চা-শ্রমিকদের একটা বিশাল অংশ রয়েছে। এ দেশের ভোটার হয়েও তাঁরা অবহেলিত। মৌলিক অধিকারও তাঁদের ভাগ্যে জোটে না। এ ছাড়া রোদে পুড়ে ও বৃষ্টিতে ভিজে ১২০ টাকা মজুরি পান। এভাবে আর আমরা চলতে পারছি না। আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে।’

বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) নৃপেন পাল বলেন, ‘মালিক-শ্রমিকের মধ্যে চুক্তির ১৯ মাস অতিবাহিত হলেও তারা শ্রমিকদের মজুরি বাড়ায়নি। এখন বলছে তারা ১৪ টাকা মজুরি বাড়াবে। তাই আমরা শ্রমিকদের স্বার্থে এই কর্মসূচি পালন করছি।’

সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা কোনো অশান্তি চাই না। আমরা আমাদের অধিকার চাই। সবকিছুর দাম বাড়ার কারণে আমাদের শ্রমিকেরা আর টিকে থাকতে পারছেন না। তাই যত দ্রুত সম্ভব শ্রমিকদের মজুরি ৩০০ টাকা করে তাদের কাজে ফিরিয়ে নিতে মালিকপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ক্যালিফোর্নিয়ার পরিবহন বিশেষজ্ঞ

‘তল্লাশির’ জন্য উসকানি দিয়েছে গুলশানের ওই বাসার সাবেক কেয়ারটেকার: প্রেস উইং

প্রধান উপদেষ্টার আরও দুই বিশেষ সহকারী নিয়োগ

তানভীর ইমামের বাড়ি ভেবে গুলশানের একটি বাসায় মধ্যরাতে শতাধিক ব্যক্তির অনুপ্রবেশ, তছনছ

৬ জ্যান্ত হাতি নিয়ে রাশিয়ায় মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান, উচ্ছ্বসিত পুতিন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত