হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
চা-শ্রমিকদের মজুরি ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করার দাবিতে চার দিনব্যাপী দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করে শ্রমিকেরা। কিন্তু দাবি আদায় না হওয়ায় আজ শনিবার থেকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করছেন তাঁরা।
আজ সকাল ১০টা থেকে হবিগঞ্জের ২৪টি বাগানে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন শ্রমিকেরা। বেলা ১২টার দিকে জেলার চুনারুঘাটে ঢাকা-সিলেট পুরাতন মহাসড়কের চান্দপুর এলাকায় অবরোধ করেন শত শত চা-শ্রমিক। পরে বিভিন্ন চা-শ্রমিক থেকে অবরোধে অংশ নেন শ্রমিকেরা।
চা-শ্রমিক ইউনিয়ন নেতারা জানান, প্রতিনিয়ত নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়ে চলেছে। অথচ বাংলাদেশের চা-শ্রমিকেরা ১২০ টাকা মজুরিতে কাজ করছেন। দুই বছর পর পর শ্রমিকদের সংগঠন বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন ও বাগান মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ চা সংসদ নেতৃবৃন্দের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি হয়। কিন্তু বিগত চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে। এরপর ১৯ মাস কেটে গেলেও মালিকপক্ষ শ্রমিকদের সঙ্গে নতুন চুক্তি করেনি।
নতুন চুক্তি না হওয়ার কারণে শ্রমিকদের বেতনও বাড়ছে না। জুনে বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ চা সংসদ নেতৃবৃন্দের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকা করার প্রস্তাব দেন শ্রমিক নেতৃবৃন্দ। পরে চা সংসদ নেতৃবৃন্দ মজুরি ১৪ টাকা বাড়িয়ে ১৩৪ টাকা করার প্রস্তাব দেন। তবে তা সন্তোষজনক না হওয়ায় তা প্রত্যাখ্যান করেন শ্রমিক নেতারা।
এরপর এক মাস অতিবাহিত হলেও মালিকপক্ষ আর কোনো সিদ্ধান্ত না জানানোর কারণে গত মঙ্গলবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত টানা চার দিন প্রতিদিন দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করেন শ্রমিকেরা। এতেও মালিক পক্ষের সাড়া না পেয়ে আজ সকাল থেকে পূর্ণদিবস কর্মসূচি পালন করেন শ্রমিকেরা।
চান্দপুর বাগানের পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি সাধন সাঁওতাল বলেন, ‘বাংলাদেশে চা-শ্রমিকদের একটা বিশাল অংশ রয়েছে। এ দেশের ভোটার হয়েও তাঁরা অবহেলিত। মৌলিক অধিকারও তাঁদের ভাগ্যে জোটে না। এ ছাড়া রোদে পুড়ে ও বৃষ্টিতে ভিজে ১২০ টাকা মজুরি পান। এভাবে আর আমরা চলতে পারছি না। আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে।’
বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) নৃপেন পাল বলেন, ‘মালিক-শ্রমিকের মধ্যে চুক্তির ১৯ মাস অতিবাহিত হলেও তারা শ্রমিকদের মজুরি বাড়ায়নি। এখন বলছে তারা ১৪ টাকা মজুরি বাড়াবে। তাই আমরা শ্রমিকদের স্বার্থে এই কর্মসূচি পালন করছি।’
সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা কোনো অশান্তি চাই না। আমরা আমাদের অধিকার চাই। সবকিছুর দাম বাড়ার কারণে আমাদের শ্রমিকেরা আর টিকে থাকতে পারছেন না। তাই যত দ্রুত সম্ভব শ্রমিকদের মজুরি ৩০০ টাকা করে তাদের কাজে ফিরিয়ে নিতে মালিকপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’
চা-শ্রমিকদের মজুরি ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করার দাবিতে চার দিনব্যাপী দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করে শ্রমিকেরা। কিন্তু দাবি আদায় না হওয়ায় আজ শনিবার থেকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করছেন তাঁরা।
আজ সকাল ১০টা থেকে হবিগঞ্জের ২৪টি বাগানে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন শ্রমিকেরা। বেলা ১২টার দিকে জেলার চুনারুঘাটে ঢাকা-সিলেট পুরাতন মহাসড়কের চান্দপুর এলাকায় অবরোধ করেন শত শত চা-শ্রমিক। পরে বিভিন্ন চা-শ্রমিক থেকে অবরোধে অংশ নেন শ্রমিকেরা।
চা-শ্রমিক ইউনিয়ন নেতারা জানান, প্রতিনিয়ত নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়ে চলেছে। অথচ বাংলাদেশের চা-শ্রমিকেরা ১২০ টাকা মজুরিতে কাজ করছেন। দুই বছর পর পর শ্রমিকদের সংগঠন বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন ও বাগান মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ চা সংসদ নেতৃবৃন্দের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি হয়। কিন্তু বিগত চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে। এরপর ১৯ মাস কেটে গেলেও মালিকপক্ষ শ্রমিকদের সঙ্গে নতুন চুক্তি করেনি।
নতুন চুক্তি না হওয়ার কারণে শ্রমিকদের বেতনও বাড়ছে না। জুনে বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ চা সংসদ নেতৃবৃন্দের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকা করার প্রস্তাব দেন শ্রমিক নেতৃবৃন্দ। পরে চা সংসদ নেতৃবৃন্দ মজুরি ১৪ টাকা বাড়িয়ে ১৩৪ টাকা করার প্রস্তাব দেন। তবে তা সন্তোষজনক না হওয়ায় তা প্রত্যাখ্যান করেন শ্রমিক নেতারা।
এরপর এক মাস অতিবাহিত হলেও মালিকপক্ষ আর কোনো সিদ্ধান্ত না জানানোর কারণে গত মঙ্গলবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত টানা চার দিন প্রতিদিন দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করেন শ্রমিকেরা। এতেও মালিক পক্ষের সাড়া না পেয়ে আজ সকাল থেকে পূর্ণদিবস কর্মসূচি পালন করেন শ্রমিকেরা।
চান্দপুর বাগানের পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি সাধন সাঁওতাল বলেন, ‘বাংলাদেশে চা-শ্রমিকদের একটা বিশাল অংশ রয়েছে। এ দেশের ভোটার হয়েও তাঁরা অবহেলিত। মৌলিক অধিকারও তাঁদের ভাগ্যে জোটে না। এ ছাড়া রোদে পুড়ে ও বৃষ্টিতে ভিজে ১২০ টাকা মজুরি পান। এভাবে আর আমরা চলতে পারছি না। আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে।’
বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) নৃপেন পাল বলেন, ‘মালিক-শ্রমিকের মধ্যে চুক্তির ১৯ মাস অতিবাহিত হলেও তারা শ্রমিকদের মজুরি বাড়ায়নি। এখন বলছে তারা ১৪ টাকা মজুরি বাড়াবে। তাই আমরা শ্রমিকদের স্বার্থে এই কর্মসূচি পালন করছি।’
সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা কোনো অশান্তি চাই না। আমরা আমাদের অধিকার চাই। সবকিছুর দাম বাড়ার কারণে আমাদের শ্রমিকেরা আর টিকে থাকতে পারছেন না। তাই যত দ্রুত সম্ভব শ্রমিকদের মজুরি ৩০০ টাকা করে তাদের কাজে ফিরিয়ে নিতে মালিকপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’
‘আওয়ামী লীগের দোসর লুকিয়ে আছে’—এমন গুজব ছড়িয়ে ‘মব’ সৃষ্টি করে রাজধানীর গুলশানের একটি বাড়িতে লুটপাট চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গত মঙ্গলবার রাত ১২টায় তল্লাশির কথা বলে বাড়িটিতে ঢুকে স্বর্ণালংকারসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র লুট ও ভাঙচুর করে তারা। ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাস্থলে যান আইনশৃঙ্খলা
১ মিনিট আগেরমজানে মানুষকে লোডশেডিংয়ের ভোগান্তি থেকে মুক্ত রাখার অঙ্গীকার করেছেন সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। লোডশেড মুক্ত রাখতে গিয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে বেশি। এ ছাড়া শিল্প, কলকারখানায়ও গ্যাস সরবরাহ আগের তুলনায় বেড়েছে। আর এতেই টান পড়েছে বাসাবাড়ির
২০ মিনিট আগেগাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের সিন্ডিকেটের দাপটে এক যুগের বেশি সময় ধরে ন্যূনতম অ্যাম্বুলেস সেবা পাচ্ছে না এ জেলার বাসিন্দারা। জেলার ৩৫ লাখ মানুষের একমাত্র চিকিৎসাকেন্দ্র এটি। এদিকে অভিযোগ রয়েছে, সরকারি অ্যাম্বুলেন্সের সংকটের সুযোগ কাজে লাগিয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছেন প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্স ব্যবসায়ীরা।
২৪ মিনিট আগেযশোরে উদীচীর সম্মেলনে বোমা হামলার ২৬ বছর পূর্তি আজ ৬ মার্চ। ১৯৯৯ সালের এই দিনে যশোর টাউন হল মাঠে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর দ্বাদশ জাতীয় সম্মেলনে শক্তিশালী দুটি বোমা হামলা চালানো হয়। এতে শিল্পীসহ ১০ জন নিহত এবং আড়াই শতাধিক মানুষ আহত হয়।
৩১ মিনিট আগে