Ajker Patrika

সোহাগ হত্যা মামলার আসামি সাগর ৪ দিনের রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মিটফোর্ড এলাকায় সোহাগের ওপর হামলার ঘটনার চিত্র। ইনসেটে সোহাগ। ছবি: সংগৃহীত
মিটফোর্ড এলাকায় সোহাগের ওপর হামলার ঘটনার চিত্র। ইনসেটে সোহাগ। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর পুরান ঢাকায় ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে মো. সোহাগকে (৪৩) পাথর দিয়ে আঘাত করে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার মো. সাগরকে (৩৬) চার দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্র রিমান্ডে নেওয়ার এই আদেশ দেন।

সাগরকে বিকেলে আদালতে হাজির করে কোতোয়ালি থানা-পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কোতোয়ালি থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই তানভীর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গতকাল সোমবার দিবাগত ভোররাতে কেরানীগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে মো. সাগর (৩৬) নামের ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করে ডিএমপির কোতোয়ালি থানা–পুলিশ।

এ নিয়ে এ মামলায় ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিরা হলেন মাহমুদুল হাসান মহিন, টিটন গাজী, মো. আলমগীর, মনির ওরফে লম্বা মনির, তারেক রহমান রবিন, সজীব ব্যাপারী, মো. রাজীব ব্যাপারী, নান্নু কাজী, রিজওয়ান উদ্দীন ওরফে অভিজিৎ বসু, মো. পারভেজ ও মো. জহিরুল ইসলাম। মহিনসহ নয়জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ইতিমধ্যে দিয়েছেন। এ ছাড়া রিমান্ড শেষে রাজীব পারভেজ ও জহিরুলকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

৯ জুলাই (বুধবার) সন্ধ্যা ৬টার দিকে মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটসংলগ্ন রজনী ঘোষ লেনে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। মিটফোর্ড এলাকায় চার নম্বর রজনী ঘোষ লেনে দীর্ঘদিন ধরে ভাঙারি সামগ্রীর ব্যবসা করতেন সোহাগ। ভাঙারি ব্যবসা নিয়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তাঁকে পাথর দিয়ে আঘাত করে নৃশংসভাবে হত্যা করেন মহিনসহ তাঁর সহযোগীরা।

নিহত মো. সোহাগ কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পূর্ব নামাবাড়ী গ্রামের ইউসুফ আলী হাওলাদারের ছেলে। এ ঘটনায় নিহত সোহাগের বোন মঞ্জুয়ারা বেগম বাদী হয়ে ১৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।

মামলার এজাহারে বাদী বলেছেন, সোহাগ দীর্ঘদিন ওই এলাকায় ব্যবসা করায় ব্যবসায়িক বিভিন্ন বিষয়সহ আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আসামিদের সঙ্গে তাঁর বিরোধ চলছিল। এর জেরে তাঁরা সোহাগের গুদাম তালাবদ্ধ করে রেখেছিলেন। সেই সঙ্গে তাঁকে এলাকাছাড়া করতে নানা রকম ভয় দেখিয়ে আসছিলেন। এরপর ৯ জুলাই সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে তাঁরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সোহাগের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ঢুকে তাঁকে টেনেহিঁচড়ে বের করেন। সোহাগকে মারধর করে মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর ফটকের ভেতরে নিয়ে যান। একপর্যায়ে রড, লাঠি, সিমেন্টের ব্লক বা ইট দিয়ে আঘাত করেন। মারতে মারতে তাঁকে বিবস্ত্র করে ফেলেন। একপর্যায়ে সোহাগ নিস্তেজ হয়ে ড্রেনের পাশে লুটিয়ে পড়েন। তখন তাঁর নিথর দেহ টেনে হাসপাতালের সামনের রাস্তায় নিয়ে যাওয়া হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত