মাহিদুল ইসলাম, কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার)
মৌলভীবাজারে বন্যার পরে খরায় পুড়ছে ফসলের খেত। ধান ও শীতকালীন সবজিখেতে সেচ দিতে না পারায় দুশ্চিন্তায় আছেন কৃষকেরা।
জেলার কমলগঞ্জ, রাজনগর ও কুলাউড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে জানা গেছে, জেলায় বন্যায় আমনের চারা নষ্ট হওয়ার পর কৃষকেরা দ্বিগুণ দামে চারা কিনে আবারও খেতে রোপণ করেন। গত তিন সপ্তাহ ধরে বৃষ্টি না হওয়ায় অতি গরমে আমনের জমি ফেটে গেছে। এতে রোপণ করা আমন ধানের চারা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। যদি এক সপ্তাহের মধ্যে বৃষ্টি বা সেচ দেওয়া না হয়, কৃষকেরা আবার ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এ ছাড়া তীব্র খরার প্রভাবে শীতকালীন সবজিসহ বিভিন্ন ফসল নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
কৃষকেরা জানান, সম্প্রতি বন্যায় অনেক খেতের আমন ফসল পচে গেছে। অনেক কৃষক দ্বিগুণ দামে চারা কিনে খেতে আবার রোপণ করেছেন। গত কয়েক দিনের তীব্র গরমে রোপণ করা জমি শুকিয়ে চৌচির হয়ে গেছে। বৃষ্টি না হলে এসব জমির আমন ধান নষ্ট হয়ে যাবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বন্যায় ৪০ হাজার ৪৮২ হেক্টর জমির আমন ফসল তলিয়ে যায়। বন্যার পানি কমার পর জেলায় ১৪ হাজার ৫৫১ হেক্টর আমন ফসল পচে নষ্ট হয়ে গেছে। বন্যা-পরবর্তী সময়ে কৃষকেরা বিভিন্ন জায়গা থেকে ধানের চারা সংগ্রহ করে আবার আমন ধানের চারা রোপণ করছেন। বর্তমানে জেলায় ১ লাখ ১ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করা হয়েছে। বৃষ্টি না হওয়ায় পানির অভাবে অনেক খেত শুকিয়ে গেছে। এসব জমিতে সেচ না দিলে চারা নষ্ট হয়ে যাবে।
জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার কৃষক আনোয়ার খান বলেন, ‘একরপ্রতি ১০ থেকে ১১ হাজার টাকা খরচ করে আমন ধানের চারা রোপণ করেছিলাম। বন্যায় ধানের চারা পচে নষ্ট হওয়ায় নতুন করে বিভিন্ন জায়গা থেকে দ্বিগুণ দামে আমন ধানের চারা কিনে আবার রোপণ করেছি। সব মিলে প্রতি একর জমিতে ২২ থেকে ২৩ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এখন বৃষ্টি না হওয়ায় জমি শুকিয়ে আবার ধানগাছ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সেচ দেওয়ার ব্যবস্থা নেই।’
রাজনগর উপজেলার কৃষক শওকত আলী বলেন, ‘আমার দুই একর জমির আমন ফসল পচে একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে। এরপর আবার চারা কিনে রোপণ করেছি। এখন গত কয়েক দিন ধরে পানির অভাবে আবার নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ধানগাছ। বোরো মৌসুমে সেচের ব্যবস্থা থাকলেও এখন খেতে কোনোভাবে পানি দিতে পারছি না। বারবার ঋণ করে আমন চাষ করেছি। এখন যদি খরায় আমন ধান নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে মানুষের কাছে হাত পেতে চলতে হবে।’
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, তীব্র গরমে অনেক আমন ফসলের মাঠ শুকিয়ে গেছে। ধানের চারা রক্ষার জন্য সেচ দিতে হবে। আমরা কৃষকদের দিয়েছি ‘পিও ভিট’ ও এমওপি (মিউরেট অব পটাশ) সার ব্যবহার করার জন্য। তাহলে খরতাপ থেকে ফসল কিছুটা রক্ষা পাবে।
মৌলভীবাজারে বন্যার পরে খরায় পুড়ছে ফসলের খেত। ধান ও শীতকালীন সবজিখেতে সেচ দিতে না পারায় দুশ্চিন্তায় আছেন কৃষকেরা।
জেলার কমলগঞ্জ, রাজনগর ও কুলাউড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে জানা গেছে, জেলায় বন্যায় আমনের চারা নষ্ট হওয়ার পর কৃষকেরা দ্বিগুণ দামে চারা কিনে আবারও খেতে রোপণ করেন। গত তিন সপ্তাহ ধরে বৃষ্টি না হওয়ায় অতি গরমে আমনের জমি ফেটে গেছে। এতে রোপণ করা আমন ধানের চারা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। যদি এক সপ্তাহের মধ্যে বৃষ্টি বা সেচ দেওয়া না হয়, কৃষকেরা আবার ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এ ছাড়া তীব্র খরার প্রভাবে শীতকালীন সবজিসহ বিভিন্ন ফসল নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
কৃষকেরা জানান, সম্প্রতি বন্যায় অনেক খেতের আমন ফসল পচে গেছে। অনেক কৃষক দ্বিগুণ দামে চারা কিনে খেতে আবার রোপণ করেছেন। গত কয়েক দিনের তীব্র গরমে রোপণ করা জমি শুকিয়ে চৌচির হয়ে গেছে। বৃষ্টি না হলে এসব জমির আমন ধান নষ্ট হয়ে যাবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বন্যায় ৪০ হাজার ৪৮২ হেক্টর জমির আমন ফসল তলিয়ে যায়। বন্যার পানি কমার পর জেলায় ১৪ হাজার ৫৫১ হেক্টর আমন ফসল পচে নষ্ট হয়ে গেছে। বন্যা-পরবর্তী সময়ে কৃষকেরা বিভিন্ন জায়গা থেকে ধানের চারা সংগ্রহ করে আবার আমন ধানের চারা রোপণ করছেন। বর্তমানে জেলায় ১ লাখ ১ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করা হয়েছে। বৃষ্টি না হওয়ায় পানির অভাবে অনেক খেত শুকিয়ে গেছে। এসব জমিতে সেচ না দিলে চারা নষ্ট হয়ে যাবে।
জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার কৃষক আনোয়ার খান বলেন, ‘একরপ্রতি ১০ থেকে ১১ হাজার টাকা খরচ করে আমন ধানের চারা রোপণ করেছিলাম। বন্যায় ধানের চারা পচে নষ্ট হওয়ায় নতুন করে বিভিন্ন জায়গা থেকে দ্বিগুণ দামে আমন ধানের চারা কিনে আবার রোপণ করেছি। সব মিলে প্রতি একর জমিতে ২২ থেকে ২৩ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এখন বৃষ্টি না হওয়ায় জমি শুকিয়ে আবার ধানগাছ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সেচ দেওয়ার ব্যবস্থা নেই।’
রাজনগর উপজেলার কৃষক শওকত আলী বলেন, ‘আমার দুই একর জমির আমন ফসল পচে একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে। এরপর আবার চারা কিনে রোপণ করেছি। এখন গত কয়েক দিন ধরে পানির অভাবে আবার নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ধানগাছ। বোরো মৌসুমে সেচের ব্যবস্থা থাকলেও এখন খেতে কোনোভাবে পানি দিতে পারছি না। বারবার ঋণ করে আমন চাষ করেছি। এখন যদি খরায় আমন ধান নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে মানুষের কাছে হাত পেতে চলতে হবে।’
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, তীব্র গরমে অনেক আমন ফসলের মাঠ শুকিয়ে গেছে। ধানের চারা রক্ষার জন্য সেচ দিতে হবে। আমরা কৃষকদের দিয়েছি ‘পিও ভিট’ ও এমওপি (মিউরেট অব পটাশ) সার ব্যবহার করার জন্য। তাহলে খরতাপ থেকে ফসল কিছুটা রক্ষা পাবে।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে প্রধান শিক্ষক ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে চলছে ১১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা। প্রধান শিক্ষকবিহীন এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে। অভিযোগ রয়েছে, যেসব ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হচ্ছে, তাঁদের অনেকেরই প্রধান শিক্ষক হওয়ার যোগ
৬ ঘণ্টা আগেদুই দশক কিছুটা শান্ত থাকার পর কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌপথে আবার ডাকাতের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে দুবার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ দুই ঘটনায় আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতিরোধেও কার্যকর উদ্যোগ নেই স্থানীয় প্রশাসনের। আবার ডাকাতি শুরু হওয়ায় ১৪ কিলোমিটার এই নৌপথের নৌযান, যাত্রী
৭ ঘণ্টা আগেরাত ১০টার দিকে ওই দুই যুবক মোটরসাইকেলে করে আড়ংঘাটা থানার লতার বাইপাস মোড় লিংক রোড থেকে বাইপাস মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। এ সময়ে আফিলগেট থেকে খুলনাগামী একটি বাস তাঁদের ধাক্কা দেয়।
৮ ঘণ্টা আগেনোয়াখালীর হাতিয়ায় গভীর রাতে বসতঘরে আগুন লেগে নিমাই চন্দ্র মজুমদার ও তাঁর স্ত্রী মিলনবালার মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারী) চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে বিকেল ৫টায় নিমাই চন্দ্রের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে পৌছার পর রাত ৯টার দিকে মিলন বালাও মারা যান।
৮ ঘণ্টা আগে