নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
‘সংস্কৃতিচর্চার পরিবেশ চাই, মৌলবাদের আগ্রাসন নয়’—স্লোগানে শিল্পী রাহুল আনন্দের বাড়িতে হামলা ও বাদ্যযন্ত্র পুড়িয়ে দেওয়ায় গান গেয়ে, বাদ্য বাজিয়ে প্রতিবাদ করেছেন সিলেটের সাংস্কৃতিক কর্মীরা। রাহুল আনন্দের জনপ্রিয় গান ‘বকুল ফুল, বকুল ফুল সোনা দিয়া হাত কানও বান্ধাইলি’ গেয়ে শুরু হয় এই প্রতিবাদ।
আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে এই প্রতিবাদ করা হয়। এ সময় ‘এ লজ্জা আমাদের’ ‘আমিতো মানুষের জন্য গান করি, তবুও তারা আমার সবগুলো বাদ্যযন্ত্র পুড়িয়ে দিল’, ‘আমি একটা মানুষ বাচ্চাকে জীবিত নিয়ে বের হতে পেরেছি, বাকিরা পুড়ছে/লুট হয়েছে’ লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে দাঁড়ান সিলেটের সাংস্কৃতিক কর্মীরা।
শহীদ মিনার এলাকার আশপাশে বিভিন্ন কার্যক্রমে থাকা শিক্ষার্থীরাও এসে সাংস্কৃতিক কর্মীদের এই প্রতিবাদে এসে অংশ নেন। রাহুল আনন্দের গান ছাড়াও এ সময় সমবেত কণ্ঠে গাওয়া হয় দেশাত্মবোধক, লোক সংগীতসহ নানা ধরনের গান। প্রায় ৪০ মিনিট গান গেয়ে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত গেয়ে শেষ হয় এই সাংস্কৃতিক প্রতিবাদ।
এই প্রতিবাদী আয়োজনের সমন্বয়ক সংস্কৃতিকর্মী ও সাংবাদিক নয়ন সরকার বলেন, ‘আমরা চাই এই দেশে সকল জাতি ধর্মের মানুষ সমান অধিকার নিয়ে বসবাস করবে। এই গণ-অভ্যুত্থানের পর জলের গানের রাহুল আনন্দসহ অসংখ্য সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা-নির্যাতন বন্ধ, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়া, সংস্কৃতিচর্চার পরিবেশ তৈরি করা, মৌলবাদের আগ্রাসন রুখে দাঁড়াতেই ছিল আমাদের আজকের প্রতিবাদী আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য।’
নয়ন সরকার আরও বলেন, ‘গানের মানুষ, জলের গানের রাহুল আনন্দ। তিনি গানের মাধ্যমে গণমানুষের কথা বলেন, নিজের তৈরি বাদ্যযন্ত্র দিয়ে সংস্কৃতিকে ধারণ করেন। সেই রাহুল আনন্দের বাড়িতে হামলা হয়েছে। তাঁর বাড়ি, বাদ্যযন্ত্র পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। শুধু এক কাপড়ে পরিবারকে নিয়ে নিজের বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে হয়েছে তাঁকে। এই লজ্জা আমাদের। এমন নিকৃষ্ট ঘটনায় আমরা সিলেটে সাংস্কৃতিক কর্মীরা ক্ষুব্ধ।’
এই সাংস্কৃতিক প্রতিবাদে উপস্থিত ছিলেন—সাংস্কৃতিক কর্মী শামসুল বাসিত শেরো, সংক্ষুব্ধ নাগরিক আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল করিম কিম, সোহেল আহমদ, রেজাউল কিবরিয়া, অরূপ শ্যাম বাপ্পি, রুমানা বেগম রুজি, সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক কর্মী শাকিলা ববি, অনলাইন এক্টিভিস্ট সহিদুজ্জামান পাপলু, সাংস্কৃতিক কর্মী নাবিল ওয়াকার আদিব, রাজেশ্বরী বণীক, বিশাল দে বৃত্ত, দেবর্ষী চৌধুরী, প্রীতম চৌধুরী শাওন, রাজ দেবনাথ, সায়েম আহমেদ, দীপ দাস।
আরও উপস্থিত ছিলেন—সৌমিক চৌধুরী, মেহরাব চৌধুরী, কামরুল হক জুয়েল, ফারজানা সুমী, শুভ জিৎ চৌধুরী, প্রদ্যুৎ লিটন, সুদীপ্ত হাওলাদার, সুবর্ণ শুভ, হাবিবুর রহমান, প্রীতম দাস, চিন্ময় দেব, মাসুম খান, পরাগ রেণু দেব, নাহিদ পারভেজ বাবু, টিপু দেব কাব্য, সুহেল মিয়া, হাবিবুর রহমান, সুদীপ্ত হাওলাদার, রিয়াজ মোর্শেদ, সানী দাশ, প্রত্যুষি মিথিলা, রনি দাসসহ সিলেটের সর্বস্তরের সংস্কৃতিকর্মীরা।
উল্লেখ্য, ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পর দুর্বৃত্তরা ধানমন্ডির ৩২ নম্বর রোডে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে হামলা চালায়। পরে একই রোডে অবস্থিত রাহুল আনন্দের বাসায় হামলা করে। বাদ্যযন্ত্র ভাঙচুর করার পাশাপাশি বাড়ির সবকিছু লুট করে নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় বাড়িতে আগুন দেয় তারা।
‘সংস্কৃতিচর্চার পরিবেশ চাই, মৌলবাদের আগ্রাসন নয়’—স্লোগানে শিল্পী রাহুল আনন্দের বাড়িতে হামলা ও বাদ্যযন্ত্র পুড়িয়ে দেওয়ায় গান গেয়ে, বাদ্য বাজিয়ে প্রতিবাদ করেছেন সিলেটের সাংস্কৃতিক কর্মীরা। রাহুল আনন্দের জনপ্রিয় গান ‘বকুল ফুল, বকুল ফুল সোনা দিয়া হাত কানও বান্ধাইলি’ গেয়ে শুরু হয় এই প্রতিবাদ।
আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে এই প্রতিবাদ করা হয়। এ সময় ‘এ লজ্জা আমাদের’ ‘আমিতো মানুষের জন্য গান করি, তবুও তারা আমার সবগুলো বাদ্যযন্ত্র পুড়িয়ে দিল’, ‘আমি একটা মানুষ বাচ্চাকে জীবিত নিয়ে বের হতে পেরেছি, বাকিরা পুড়ছে/লুট হয়েছে’ লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে দাঁড়ান সিলেটের সাংস্কৃতিক কর্মীরা।
শহীদ মিনার এলাকার আশপাশে বিভিন্ন কার্যক্রমে থাকা শিক্ষার্থীরাও এসে সাংস্কৃতিক কর্মীদের এই প্রতিবাদে এসে অংশ নেন। রাহুল আনন্দের গান ছাড়াও এ সময় সমবেত কণ্ঠে গাওয়া হয় দেশাত্মবোধক, লোক সংগীতসহ নানা ধরনের গান। প্রায় ৪০ মিনিট গান গেয়ে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত গেয়ে শেষ হয় এই সাংস্কৃতিক প্রতিবাদ।
এই প্রতিবাদী আয়োজনের সমন্বয়ক সংস্কৃতিকর্মী ও সাংবাদিক নয়ন সরকার বলেন, ‘আমরা চাই এই দেশে সকল জাতি ধর্মের মানুষ সমান অধিকার নিয়ে বসবাস করবে। এই গণ-অভ্যুত্থানের পর জলের গানের রাহুল আনন্দসহ অসংখ্য সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা-নির্যাতন বন্ধ, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়া, সংস্কৃতিচর্চার পরিবেশ তৈরি করা, মৌলবাদের আগ্রাসন রুখে দাঁড়াতেই ছিল আমাদের আজকের প্রতিবাদী আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য।’
নয়ন সরকার আরও বলেন, ‘গানের মানুষ, জলের গানের রাহুল আনন্দ। তিনি গানের মাধ্যমে গণমানুষের কথা বলেন, নিজের তৈরি বাদ্যযন্ত্র দিয়ে সংস্কৃতিকে ধারণ করেন। সেই রাহুল আনন্দের বাড়িতে হামলা হয়েছে। তাঁর বাড়ি, বাদ্যযন্ত্র পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। শুধু এক কাপড়ে পরিবারকে নিয়ে নিজের বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে হয়েছে তাঁকে। এই লজ্জা আমাদের। এমন নিকৃষ্ট ঘটনায় আমরা সিলেটে সাংস্কৃতিক কর্মীরা ক্ষুব্ধ।’
এই সাংস্কৃতিক প্রতিবাদে উপস্থিত ছিলেন—সাংস্কৃতিক কর্মী শামসুল বাসিত শেরো, সংক্ষুব্ধ নাগরিক আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল করিম কিম, সোহেল আহমদ, রেজাউল কিবরিয়া, অরূপ শ্যাম বাপ্পি, রুমানা বেগম রুজি, সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক কর্মী শাকিলা ববি, অনলাইন এক্টিভিস্ট সহিদুজ্জামান পাপলু, সাংস্কৃতিক কর্মী নাবিল ওয়াকার আদিব, রাজেশ্বরী বণীক, বিশাল দে বৃত্ত, দেবর্ষী চৌধুরী, প্রীতম চৌধুরী শাওন, রাজ দেবনাথ, সায়েম আহমেদ, দীপ দাস।
আরও উপস্থিত ছিলেন—সৌমিক চৌধুরী, মেহরাব চৌধুরী, কামরুল হক জুয়েল, ফারজানা সুমী, শুভ জিৎ চৌধুরী, প্রদ্যুৎ লিটন, সুদীপ্ত হাওলাদার, সুবর্ণ শুভ, হাবিবুর রহমান, প্রীতম দাস, চিন্ময় দেব, মাসুম খান, পরাগ রেণু দেব, নাহিদ পারভেজ বাবু, টিপু দেব কাব্য, সুহেল মিয়া, হাবিবুর রহমান, সুদীপ্ত হাওলাদার, রিয়াজ মোর্শেদ, সানী দাশ, প্রত্যুষি মিথিলা, রনি দাসসহ সিলেটের সর্বস্তরের সংস্কৃতিকর্মীরা।
উল্লেখ্য, ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পর দুর্বৃত্তরা ধানমন্ডির ৩২ নম্বর রোডে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে হামলা চালায়। পরে একই রোডে অবস্থিত রাহুল আনন্দের বাসায় হামলা করে। বাদ্যযন্ত্র ভাঙচুর করার পাশাপাশি বাড়ির সবকিছু লুট করে নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় বাড়িতে আগুন দেয় তারা।
পার্বত্য খাগড়াছড়ির সীমান্তবর্তী পানছড়ির বিভিন্ন এলাকায় নির্বিচারে কাটা হচ্ছে পাহাড়। এতে ধ্বংস হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি চক্র এই পাহাড় কাটায় জড়িত বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগেমৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৫০ শয্যার। তবে তীব্র জনবল-সংকটে এখানে চিকিৎসাসেবা পাওয়া দুরূহ। সাতজন চিকিৎসা কর্মকর্তা (মেডিকেল অফিসার) থাকার কথা থাকলেও আছেন মাত্র একজন। ২৩ চিকিৎসকের জায়গায় রয়েছেন ১০ জন। চিকিৎসকের ঘাটতি মেটাতে সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিউনিটি মেডিকেল অফিসাররা
২ ঘণ্টা আগেনানা সমস্যায় জর্জরিত দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পৌরসভা। দীর্ঘদিন ধরে পৌর এলাকার রাস্তা ও ড্রেনের নাজুক অবস্থা, নেই পর্যাপ্ত ডাস্টবিন। ফলে যত্রতত্র গড়ে উঠেছে ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়। ফলে দুর্ভোগ বেড়েছে পৌরবাসীর। নাগরিকদের অভিযোগ, নামে প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হলেও বাড়েনি সেবার মান। তাই রাস্তা ও ড্রেনগুলো দ্রুত সংস্ক
২ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ৫ কোটির বেশি টাকায় নেওয়া শতাধিক প্রকল্পে লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সারমিনা সাত্তার ও উপজেলা প্রকৌশলী আয়েশা আখতার নিয়ম-বহির্ভূতভাবে প্রকল্প গ্রহণ ও ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে এই অনিয়ম করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি আড়াল করতে প্রকল্পের কাগজপত্র
২ ঘণ্টা আগে