Ajker Patrika

সিলেট স্টেশনে দুদকের অভিযান, রেলে কেঁচো খুঁড়তে বেরিয়ে এল সাপ

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট  
সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রীদের সেবায় হয়রানি, ট্রেনের টিকিট কালোবাজারিসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে দুদক টিম। ছবি: আজকের পত্রিকা
সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রীদের সেবায় হয়রানি, ট্রেনের টিকিট কালোবাজারিসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে দুদক টিম। ছবি: আজকের পত্রিকা

সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রীদের সেবায় হয়রানি, ট্রেনের টিকিট কালোবাজারিসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার দুপুরে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, সিলেটের তিনজন সহকারী পরিচালকের একটি টিম এই অভিযান চালায়।

দুদক জানায়, অভিযানে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি, ভুয়া বিল-ভাউচারে মাসে ৭০ লাখ টাকা আত্মসাৎ, ট্রেনের অ্যাটেনডেন্টদের বেতন না দিয়ে উল্টো তাঁদের কাছ থেকে প্রতি মাসে টাকা নেওয়া, রড বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতির সত্যতা পাওয়া গেছে।

দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, সিলেটের সহকারী পরিচালক মো. আশরাফ উদ্দিনের নেতৃত্বে আভিযানিক দলের সদস্য ছিলেন সহকারী পরিচালক জুয়েল মজুমদার ও সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেল।

অভিযান শেষে দুদক কর্মকর্তারা জানান, তাঁদের অভিযানের মূল উদ্দেশ্য ছিল ঈদ উপলক্ষে টিকিট কালোবাজারি ও যাত্রী হয়রানি রোধ। কিন্তু এখানে এসে একের পর এক ভয়াবহ অনিয়মের চিত্র তাঁরা পেয়েছেন। কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে সাপ বেরিয়ে এল!

অভিযানকালে দেখা যায়, সিলেট-ঢাকা-সিলেটগামী আন্তনগর (কালনী, জয়ন্তিকা, পারাবত, উপবন) এবং সিলেট-চট্টগ্রাম-সিলেটগামী আন্তনগর (পাহাড়িকা, উদয়ন) ট্রেনে যাত্রীসেবার জন্য (সাবান, টিস্যু, তোয়ালে, অডোনিল, অ্যারোসল, ফিনাইল, হারপিক, ডাস্টার, ঝাড়ু, হাত ব্রাশ, কমোড ব্রাশ, ডাস্টার ক্লথ, গ্লাস ক্লিনার, ডিটারজেন্ট, মগ, বেলচা, বালতি, বদনা, ঝুড়ি ইত্যাদি) প্রায় ১৮ ধরনের সামগ্রীসহ দুজন ক্লিনার থাকার নিয়ম রয়েছে। বাস্তবে একজন ক্লিনারের মাধ্যমে কেবল এসি বগিতে সাবান ও টিস্যু ছাড়া অন্য কোনো সামগ্রী সরবরাহ করা হয় না। অভিযানকালে সাবান ও টিস্যু ছাড়া আর কোনো সামগ্রী পাওয়া যায়নি। এভাবে প্রতি মাসে প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভুয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়।

দুদক কর্মকর্তারা জানান, বাংলাদেশ রেলওয়ে অন-বোর্ড ট্রেনের যাত্রীসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে লোক নিয়োগ করে থাকে, যাঁদের অ্যাটেনডেন্ট বলা হয়। কালনী ও পারাবত ট্রেনে প্রগতি এন্টারপ্রাইজ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে অন-বোর্ড যাত্রীসেবা দেওয়া হয়। এসব ট্রেনের অ্যাটেনডেন্টদের মাসিক বেতন ১৬ হাজার টাকা। কিন্তু অভিযানকালে অ্যাটেনডেন্টদের অনেকে দুদক কর্মকর্তাদের জানান, বাস্তবে তাঁদের বেতন দেওয়া হয় না, বরং তাঁদের উল্টো প্রতি মাসে কয়েক হাজার টাকা দিতে হয়। না হলে চাকরি থেকে বাদ দেওয়া হয়। অ্যাটেনডেন্টরা আরও জানান, সেই টাকা বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তাকেও দিতে হয়। ফলে তাঁরা বাধ্য হয়ে বিনা টিকিটে যাত্রী যাতায়াতের ব্যবস্থা করেন এবং যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করতে হয়।

দুদক কর্মকর্তারা আরও জানান, পুরোনো প্ল্যাটফর্ম ভেঙে আনুমানিক সাড়ে তিন টন রড পাওয়া যায়। ওই রড আনুমানিক ১ লাখ ১৭হাজার টাকায় বিক্রি করে তা সরকারি তহবিলে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করা হয়েছে। অভিযানকালে ১ ও ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে নির্মাণকাজ করারও প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। তা ছাড়া রেলওয়ে স্টাফ কোয়ার্টারে বহিরাগতদের ভাড়া দেওয়ার অনিয়মের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। রেলওয়ে লাইনের পাথরগুলো কোনো ধরনের পরিমাপ বা জরিপ ছাড়াই ওয়াগনে লোড করা হয়। ওই লোড করা পাথরের পরিমাণ সম্পর্কে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ কোনো সুস্পষ্ট জবাব দিতে পারেনি। টিকিট কালোবাজারির বিষয়েও অভিযানে সত্যতা পাওয়া গেছে। আজিজ নামের এক ব্যক্তি স্লিপার ক্লাসের টিকিটের জন্য ১২০০ টাকার পরিবর্তে ২০০০ টাকা দাবি করেন, যিনি স্টেশনে গেটকিপারের দায়িত্বে রয়েছেন।

বুধবার রাতে আজকের পত্রিকাকে এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, সিলেটের সহকারী পরিচালক জুয়েল মজুমদার। তিনি বলেন, ‘নকশা এখনো অনুমোদিত নয়, অথচ সেই অনুযায়ী কাজ চলছে। যদি সরকার নকশা বাতিল করে, তাহলে জনগণের দুই কোটি টাকা পানিতে যাবে। টিকিট থাকার কথা অনলাইনে। অথচ দালালেরা সেগুলো কীভাবে নিজেদের কাছে রেখে দেয়, সেটি খতিয়ে দেখা হবে। টিকিট কালোবাজারি, ভুয়া বিল-ভাউচারে মাসে ৭০ লাখ টাকা আত্মসাৎ, ট্রেনের অ্যাটেনডেন্টদের বেতন না দিয়ে উল্টো তাঁদের কাছ থেকে প্রতি মাসে টাকা নেওয়া, রড বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতির প্রাথমিক সত্যতা রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়। দোষীদের যথাযথ প্রক্রিয়ায় আইনের আওতায় আনা হবে।’

এ বিষয়ে সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক নুরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজিজ গেটকিপার, তাঁর টিকিট বিক্রির সুযোগ নেই। মাঝেমধ্যে ছোটখাটো কাজ করে। এখন অভিযোগ উঠেছে, আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেব। আর ভুয়া বিল-ভাউচার মেকানিক্যাল বিভাগ, রড বিক্রির বিষয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ বলতে পারবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাশিয়ার জব্দ ১৬২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ইউক্রেনের জন্য কোথা থেকে অস্ত্র কেনা হবে, তা নিয়ে বিভক্ত ইইউ

প্রধান উপদেষ্টাকে সাংবিধানিক আদেশ জারির প্রস্তাব আবেগতাড়িত, রাষ্ট্র আবেগের ওপর চলে না: সালাহউদ্দিন

‎টঙ্গী থেকে নিখোঁজ ইমামকে পঞ্চগড়ে উদ্ধার

আসামিদের কোনো অনুশোচনা নেই, উল্টো সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকে দিয়েছে: চিফ প্রসিকিউটর

শেখ হাসিনা ও কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রায়ের দিন নির্ধারণ ১৩ নভেম্বর

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সবার সহযোগিতা ছাড়া কর্ণফুলীর যানজট নিরসন সম্ভব নয়: সিএমপি উপকমিশনার

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
‘কর্ণফুলী ব্রিজ এলাকার যানজট নিরসনে করণীয় শীর্ষক’ গোলটেবিল আলোচনায় অতিথিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
‘কর্ণফুলী ব্রিজ এলাকার যানজট নিরসনে করণীয় শীর্ষক’ গোলটেবিল আলোচনায় অতিথিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

কর্ণফুলী সেতু এলাকার যানজট নিয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) উপকমিশনার নেছার আহমেদ বলেছেন, ‘যানজট নিরসনে ট্রাফিক বিভাগ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে। কারণ এটা আমাদের দায়িত্ব। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সবার মিলিত সহযোগিতা ছাড়া যানজট নিরসন সম্ভব নয়।’

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউট হলে অনুষ্ঠিত ‘কর্ণফুলী ব্রিজ এলাকার যানজট নিরসনে করণীয় শীর্ষক’ গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।

এই বিষয়ে কর্ণফুলী সেতুর টোল ম্যানেজার কাজী মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের টোল গ্রহণের ১০টি বুথ রয়েছে। আরও বুথ বাড়ানো ও টোল আদায় প্রক্রিয়া আধুনিকায়ন করলে এতে ভালো ফল পাওয়া যাবে।’

মাল্টি পার্টি অ্যাডভোকেসি ফোরামের সেক্রেটারি জসিম উদদীন চৌধুরীর সঞ্চালনায় আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ, ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগ চট্টগ্রামের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাশিয়ার জব্দ ১৬২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ইউক্রেনের জন্য কোথা থেকে অস্ত্র কেনা হবে, তা নিয়ে বিভক্ত ইইউ

প্রধান উপদেষ্টাকে সাংবিধানিক আদেশ জারির প্রস্তাব আবেগতাড়িত, রাষ্ট্র আবেগের ওপর চলে না: সালাহউদ্দিন

‎টঙ্গী থেকে নিখোঁজ ইমামকে পঞ্চগড়ে উদ্ধার

আসামিদের কোনো অনুশোচনা নেই, উল্টো সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকে দিয়েছে: চিফ প্রসিকিউটর

শেখ হাসিনা ও কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রায়ের দিন নির্ধারণ ১৩ নভেম্বর

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কোম্পানির প্রোপাগান্ডায় বাধাগ্রস্ত ‘তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন’ সংশোধনের উদ্যোগ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনৈতিক গবেষণা ব্যুরোর (বিইআর) সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত ‘তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণ ও কর বৃদ্ধিতে কোম্পানির প্রোপাগান্ডা মোকাবিলায় করণীয়’ শীর্ষক কর্মশালা। ছবি:  আজকের পত্রিকা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনৈতিক গবেষণা ব্যুরোর (বিইআর) সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত ‘তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণ ও কর বৃদ্ধিতে কোম্পানির প্রোপাগান্ডা মোকাবিলায় করণীয়’ শীর্ষক কর্মশালা। ছবি: আজকের পত্রিকা

জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাকের ব্যবহার কমাতে সরকার বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন আরও শক্তিশালী করার উদ্যোগ নিয়েছে। পাশাপাশি তামাকজাত দ্রব্যকে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে রাখতে প্রতিবছর সরকার মূল্য ও করহার বৃদ্ধি করে আসছে। কিন্তু এসব উদ্যোগ ঠেকাতে তামাক কোম্পানিগুলো মিথ্যা তথ্য ও প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে সরকারকে বিভ্রান্ত করছে—এমন অভিযোগ তুলেছেন গবেষক ও বিশেষজ্ঞরা।

আজ বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনৈতিক গবেষণা ব্যুরোর (বিইআর) সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত ‘তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণ ও কর বৃদ্ধিতে কোম্পানির প্রোপাগান্ডা মোকাবিলায় করণীয়’ শীর্ষক কর্মশালায় বক্তারা এসব মন্তব্য করেন। কর্মশালার আয়োজন করে বিইআর ও বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর টোব্যাকো ট্যাক্স পলিসি (বিএনটিটিপি)।

বিইআরের প্রকল্প পরিচালক হামিদুল ইসলাম হিল্লোল মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে বলেন, তামাক কোম্পানিগুলো চোরাচালানের মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে মূল্য ও করহার বৃদ্ধির উদ্যোগকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে। প্রতিবছর বাজেটের আগে আগে গণমাধ্যমে হঠাৎ চোরাচালানের খবর বেড়ে যায়, যা আসলে সাজানো ও বিভ্রান্তিকর।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে সিগারেটের দাম প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় অনেক কম। তাই চোরাচালানের গল্পের কোনো ভিত্তি নেই। বরং গত ১৫ বছরে রাজস্ব আয় নিয়মিতভাবে বেড়েছে। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে সিগারেট থেকে রাজস্ব আয় ছিল ৫ হাজার ১২২ কোটি টাকা, যা ২০২২-২৩ অর্থবছরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১ হাজার ৭৭ কোটি টাকায়। অর্থাৎ তামাক আইন শক্তিশালী হওয়ার পরও রাজস্ব কখনো কমেনি।

প্যানেল আলোচক ও তামাক নিয়ন্ত্রণ গবেষক সুশান্ত সিনহা বলেন, বহুজাতিক তামাক কোম্পানিগুলো ইচ্ছাকৃতভাবে পরিচালন ব্যয় বেশি দেখিয়ে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে। তারা সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যের চেয়ে বেশি দামে সিগারেট বিক্রি করে প্রতিবছর প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে, অথচ তারাই রাজস্ব ক্ষতির ভয় দেখিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করছে।

তিনি বলেন, বর্তমানে প্রচলিত বহু স্তরভিত্তিক অ্যাডভেলরেম কর কাঠামো রাজস্ব ফাঁকি বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। রাজস্ব বৃদ্ধি ও জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় এখনই সুনির্দিষ্ট কর কাঠামো চালু করতে হবে। প্রাথমিকভাবে প্রতি শলাকা সিগারেটে এক টাকা হারে সুনির্দিষ্ট কর আরোপ করলে প্রতিদিন সরকারের রাজস্ব আয় ২০ কোটি টাকা পর্যন্ত বাড়তে পারে।

বক্তারা আরও বলেন, সরকারের উচিত তামাক কোম্পানির মিথ্যা তথ্য আমলে না নিয়ে দ্রুত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন, একটি পূর্ণাঙ্গ তামাক করনীতি প্রণয়ন এবং কোম্পানিগুলোর অবৈধ হস্তক্ষেপ ও আইন অমান্যের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

কর্মশালায় দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের ২০ জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিইআরের সিনিয়র প্রজেক্ট ও কমিউনিকেশন অফিসার ইব্রাহীম খলিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাশিয়ার জব্দ ১৬২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ইউক্রেনের জন্য কোথা থেকে অস্ত্র কেনা হবে, তা নিয়ে বিভক্ত ইইউ

প্রধান উপদেষ্টাকে সাংবিধানিক আদেশ জারির প্রস্তাব আবেগতাড়িত, রাষ্ট্র আবেগের ওপর চলে না: সালাহউদ্দিন

‎টঙ্গী থেকে নিখোঁজ ইমামকে পঞ্চগড়ে উদ্ধার

আসামিদের কোনো অনুশোচনা নেই, উল্টো সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকে দিয়েছে: চিফ প্রসিকিউটর

শেখ হাসিনা ও কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রায়ের দিন নির্ধারণ ১৩ নভেম্বর

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গুদাম থেকে ২০ লাখ টাকার কারেন্ট জাল জব্দ

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি ও ভৈরব সংবাদদাতা
অভিযানে জব্দ কারেন্ট জালের বস্তা। ছবি: আজকের পত্রিকা
অভিযানে জব্দ কারেন্ট জালের বস্তা। ছবি: আজকের পত্রিকা

কিশোরগঞ্জের ভৈরব বাজারের দুটি গুদামে অভিযান চালিয়ে আনুমানিক ২০ লাখ টাকার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল জব্দ করেছে উপজেলা প্রশাসন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে শহরের ভৈরব চক বাজার এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এইচ এম আজিমুল হক এই অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে সহযোগিতা করেন উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা, ভূমি অফিস, পৌরসভার কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ ভৈরব শহর ফাঁড়ি থানা-পুলিশ।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, আজ বিকেলে ভৈরব বাজারের দুটি জালের গুদামে অভিযান চালিয়ে ২১ বস্তা কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়, যার আনুমানিক বাজারমূল্য ২০ লাখ টাকা। জাল ও সুতা ব্যবসায়ী শামসুল ইসলামের গুদাম থেকে ১৮ বস্তা ও সাগর মিয়ার গুদাম থেকে ৩ বস্তা কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। জব্দ জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এ এইচ এম আজিমুল হক বলেন, কারেন্ট জাল ব্যবহার, ক্রয়-বিক্রি ও সংরক্ষণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে সরকার। মৎস্য সংরক্ষণ ও সুরক্ষা আইনের আওতায় শামসুল ইসলাম ও সাগর মিয়ার গুদাম থেকে ২১ বস্তা নিষিদ্ধ জাল জব্দ করা হয়। তাঁদের প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শবনম শারমিন বলেন, ‘দেশীয় প্রজাতির মাছ সংরক্ষণ ও মাছের প্রজনন মৌসুমে মা মাছ রক্ষা করা আমাদের সবার দায়িত্ব। নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ ধরা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। ভ্রাম্যমাণ আদালতের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাশিয়ার জব্দ ১৬২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ইউক্রেনের জন্য কোথা থেকে অস্ত্র কেনা হবে, তা নিয়ে বিভক্ত ইইউ

প্রধান উপদেষ্টাকে সাংবিধানিক আদেশ জারির প্রস্তাব আবেগতাড়িত, রাষ্ট্র আবেগের ওপর চলে না: সালাহউদ্দিন

‎টঙ্গী থেকে নিখোঁজ ইমামকে পঞ্চগড়ে উদ্ধার

আসামিদের কোনো অনুশোচনা নেই, উল্টো সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকে দিয়েছে: চিফ প্রসিকিউটর

শেখ হাসিনা ও কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রায়ের দিন নির্ধারণ ১৩ নভেম্বর

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে আধুনিক কম্পিউটার ল্যাব উদ্বোধন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
অনুষ্ঠান শেষে ফিতা কেটে কম্পিউটার ল্যাবের শুভ উদ্বোধন করেন আইপিএইচের পরিচালক ডা. মোমিনুর রহমান। ছবি: আজকের পত্রিকা
অনুষ্ঠান শেষে ফিতা কেটে কম্পিউটার ল্যাবের শুভ উদ্বোধন করেন আইপিএইচের পরিচালক ডা. মোমিনুর রহমান। ছবি: আজকের পত্রিকা

জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে (আইপিএইচ) বিএসসি ইন হেলথ টেকনোলজি (ল্যাব.) এবং বিএসসি ইন হেলথ টেকনোলজি (ফুড সেফটি) কোর্সের শিক্ষার্থীদের জন্য আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন কম্পিউটার ল্যাব উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ল্যাবটি উদ্বোধন করেন আইপিএইচের পরিচালক ডা. মোমিনুর রহমান।

আইপিএইচ জানিয়েছে, বর্তমানে এই ইনস্টিটিউটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত বিএসসি ইন হেলথ টেকনোলজি (ল্যাব.) এবং বিএসসি ইন হেলথ টেকনোলজি (ফুড সেফটি) কোর্স দুটি চলছে। একাডেমিক উইংয়ের তত্ত্বাবধানে যুগোপযোগী শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একটি আধুনিক কম্পিউটার ল্যাবের প্রয়োজন ছিল। শিক্ষার্থীদের সুবিধার কথা চিন্তা করে কর্তৃপক্ষ এই ল্যাব স্থাপন করেছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বক্তব্যে আইপিএইচের পরিচালক ডা. মো. মোমিনুর রহমান বলেন, জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রদানের উদ্দেশ্যে এই কম্পিউটার ল্যাবটি প্রতিষ্ঠা করেছে। তিনি শিক্ষার্থীদের এই ল্যাব ব্যবহার করে দেশ ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিষ্ঠানের সুনাম বৃদ্ধির পাশাপাশি কর্মজীবনে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে নিজেদের গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

ডা. মো. মোমিনুর রহমান অনুষ্ঠান শেষে ফিতা কেটে কম্পিউটার ল্যাবের উদ্বোধন করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাশিয়ার জব্দ ১৬২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ইউক্রেনের জন্য কোথা থেকে অস্ত্র কেনা হবে, তা নিয়ে বিভক্ত ইইউ

প্রধান উপদেষ্টাকে সাংবিধানিক আদেশ জারির প্রস্তাব আবেগতাড়িত, রাষ্ট্র আবেগের ওপর চলে না: সালাহউদ্দিন

‎টঙ্গী থেকে নিখোঁজ ইমামকে পঞ্চগড়ে উদ্ধার

আসামিদের কোনো অনুশোচনা নেই, উল্টো সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকে দিয়েছে: চিফ প্রসিকিউটর

শেখ হাসিনা ও কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রায়ের দিন নির্ধারণ ১৩ নভেম্বর

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত