নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘দুর্নীতিমুক্ত ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ভাইয়েরা রক্ত দিয়েছেন, আপনার-আমার দায়িত্ব হচ্ছে সেই বাংলাদেশের জন্য কাজ করা। বিচার, সংস্কার এবং নতুন বাংলাদেশের নতুন সংবিধানের জন্য আমরা রাজপথে নেমেছি।’
নাহিদ বলেন, ‘আগামী ৩ আগস্ট আমরা শহীদ মিনারে জড়ো হচ্ছি জুলাই ঘোষণাপত্র এবং জুলাই সনদ আদায়ের লক্ষ্যে। ইনশা আল্লাহ, আমরা শহীদ মিনার থেকে আদায় করে নেব।’ আজ শুক্রবার সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে একটি পদযাত্রা বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার শহীদ মিনারে মিলিত হয়।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘ইতিহাস এবং সংস্কৃতির আলোকে আমাদের সিলেটকে দেখতে হবে। যুগ যুগ ধরে এই সিলেট বাংলাদেশের ইতিহাসকে ধারণ করে আসছে। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে স্বাধীনতাসংগ্রাম এবং আমাদের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সিলেট লড়াই করেছে বুক চিতিয়ে, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে।’
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘এই বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলে সিলেট ছিল একটি কেন্দ্রভূমি। আমরা জানি, ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাজনের সময় মওলানা ভাসানীর প্রচারণায় এই সিলেট পূর্ববঙ্গের সঙ্গে থাকার রায় দিয়েছিল। কিন্তু আমরা পূর্ণ সিলেট পাইনি। করিমগঞ্জকে টেকে নেওয়া হয়েছিল। আসামের সঙ্গে আমাদের সিলেটের বহু অংশকে জুড়ে দেওয়া হয়েছিল। এই পূর্ববঙ্গকে ঠকানো হচ্ছে সেই ব্রিটিশ থেকে শুরু করে পাকিস্তান এবং আওয়ামী লীগ আমলেও। গ্যাস, বালু, পাথরসহ খনিজ সম্পদ থেকে সিলেটবাসীকেই বারবার বঞ্চিত করা হয়েছে।’
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘প্রিয় সিলেটবাসী, আমরা আজ আপনাদের কাছে এসেছি। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আপনারা যে সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই করেছেন; শাবিপ্রবির শিক্ষার্থী রুদ্র সেন, সাংবাদিক এ টি এম তুরাবসহ ১৭ জনের বেশি মানুষ শহীদ হয়েছেন এই সিলেট জেলায়। আমরা সেই শহীদদের উত্তরসূরি। আমরা সেসব শহীদের রক্তের শপথ নিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়তে আজকে এই সিলেটে এসেছি।’
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে লন্ডনসহ প্রবাসী সিলেটিদের অবদানের জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়ে নাহিদ বলেন, ‘লন্ডনে বাঙালিদের অধিকাংশই এই সিলেটের। সিলেটিরা লন্ডনকে জয় করেছেন, বাংলাদেশকেও জয় করছেন। আজকের লন্ডনের রাস্তায় আমার সিলেটের ভাইয়ের রক্তে-ঘামে বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা ঘোরে। আমরা সেসব প্রবাসী ভাইয়ের ভোটাধিকারের জন্য কথা বলছি। আমরা বিশ্বাস করি, আমরা চাই—সিলেটসহ সারা দেশের প্রবাসীরা বাংলাদেশের নীতিনির্ধারণের অংশ হবেন। সিলেটের আলেমসমাজ, নারী, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়সহ নানা জাতি-সম্প্রদায়ের সব মানুষ। আমরা বাংলাদেশকে যে বহু জাতি এবং বহু সংস্কৃতির দেশ হিসেবে দেখতে চাই, সিলেট তার অন্যতম প্রতীক। এখানে শত শত ভাষা-সংস্কৃতি রয়েছে। আমাদের সেসব সংস্কৃতি এবং সিলেটি ভাষার মর্যাদা দিতে হবে। তেল, গ্যাস, খনিজ ও পাথর সম্পদের এক অভয়ারণ্য এই সিলেট। সিলেটকে আধুনিক শিল্পোন্নত শহর হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। সিলেটের স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং কর্মসংস্থানের জন্য জাতীয় নাগরিক পার্টি কাজ করবে।
তেল, গ্যাস, খনিজ ও পাথর সম্পদের এক অভয়ারণ্য এই সিলেট। সিলেটকে আধুনিক শিল্পোন্নত শহর হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। সিলেটের স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং কর্মসংস্থানের জন্য জাতীয় নাগরিক পার্টি কাজ করবে।’
উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের সঞ্চালনায় পথসভায় আরও বক্তব্য দেন দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, যুগ্ম আহ্বায়ক অর্পিতা শ্যামা দেব, জাতীয় যুবশক্তির সদস্যসচিব ডা. জাহিদুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক এহতেশামুল হক, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার, এনসিপির সদস্য ব্যারিস্টার নুরুল হুদা জুনেদ, সিলেট জেলার প্রধান সমন্বয়কারী নাজিম উদ্দীন শাহান প্রমুখ।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘দুর্নীতিমুক্ত ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ভাইয়েরা রক্ত দিয়েছেন, আপনার-আমার দায়িত্ব হচ্ছে সেই বাংলাদেশের জন্য কাজ করা। বিচার, সংস্কার এবং নতুন বাংলাদেশের নতুন সংবিধানের জন্য আমরা রাজপথে নেমেছি।’
নাহিদ বলেন, ‘আগামী ৩ আগস্ট আমরা শহীদ মিনারে জড়ো হচ্ছি জুলাই ঘোষণাপত্র এবং জুলাই সনদ আদায়ের লক্ষ্যে। ইনশা আল্লাহ, আমরা শহীদ মিনার থেকে আদায় করে নেব।’ আজ শুক্রবার সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে একটি পদযাত্রা বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার শহীদ মিনারে মিলিত হয়।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘ইতিহাস এবং সংস্কৃতির আলোকে আমাদের সিলেটকে দেখতে হবে। যুগ যুগ ধরে এই সিলেট বাংলাদেশের ইতিহাসকে ধারণ করে আসছে। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে স্বাধীনতাসংগ্রাম এবং আমাদের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সিলেট লড়াই করেছে বুক চিতিয়ে, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে।’
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘এই বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলে সিলেট ছিল একটি কেন্দ্রভূমি। আমরা জানি, ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাজনের সময় মওলানা ভাসানীর প্রচারণায় এই সিলেট পূর্ববঙ্গের সঙ্গে থাকার রায় দিয়েছিল। কিন্তু আমরা পূর্ণ সিলেট পাইনি। করিমগঞ্জকে টেকে নেওয়া হয়েছিল। আসামের সঙ্গে আমাদের সিলেটের বহু অংশকে জুড়ে দেওয়া হয়েছিল। এই পূর্ববঙ্গকে ঠকানো হচ্ছে সেই ব্রিটিশ থেকে শুরু করে পাকিস্তান এবং আওয়ামী লীগ আমলেও। গ্যাস, বালু, পাথরসহ খনিজ সম্পদ থেকে সিলেটবাসীকেই বারবার বঞ্চিত করা হয়েছে।’
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘প্রিয় সিলেটবাসী, আমরা আজ আপনাদের কাছে এসেছি। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আপনারা যে সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই করেছেন; শাবিপ্রবির শিক্ষার্থী রুদ্র সেন, সাংবাদিক এ টি এম তুরাবসহ ১৭ জনের বেশি মানুষ শহীদ হয়েছেন এই সিলেট জেলায়। আমরা সেই শহীদদের উত্তরসূরি। আমরা সেসব শহীদের রক্তের শপথ নিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়তে আজকে এই সিলেটে এসেছি।’
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে লন্ডনসহ প্রবাসী সিলেটিদের অবদানের জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়ে নাহিদ বলেন, ‘লন্ডনে বাঙালিদের অধিকাংশই এই সিলেটের। সিলেটিরা লন্ডনকে জয় করেছেন, বাংলাদেশকেও জয় করছেন। আজকের লন্ডনের রাস্তায় আমার সিলেটের ভাইয়ের রক্তে-ঘামে বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা ঘোরে। আমরা সেসব প্রবাসী ভাইয়ের ভোটাধিকারের জন্য কথা বলছি। আমরা বিশ্বাস করি, আমরা চাই—সিলেটসহ সারা দেশের প্রবাসীরা বাংলাদেশের নীতিনির্ধারণের অংশ হবেন। সিলেটের আলেমসমাজ, নারী, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়সহ নানা জাতি-সম্প্রদায়ের সব মানুষ। আমরা বাংলাদেশকে যে বহু জাতি এবং বহু সংস্কৃতির দেশ হিসেবে দেখতে চাই, সিলেট তার অন্যতম প্রতীক। এখানে শত শত ভাষা-সংস্কৃতি রয়েছে। আমাদের সেসব সংস্কৃতি এবং সিলেটি ভাষার মর্যাদা দিতে হবে। তেল, গ্যাস, খনিজ ও পাথর সম্পদের এক অভয়ারণ্য এই সিলেট। সিলেটকে আধুনিক শিল্পোন্নত শহর হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। সিলেটের স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং কর্মসংস্থানের জন্য জাতীয় নাগরিক পার্টি কাজ করবে।
তেল, গ্যাস, খনিজ ও পাথর সম্পদের এক অভয়ারণ্য এই সিলেট। সিলেটকে আধুনিক শিল্পোন্নত শহর হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। সিলেটের স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং কর্মসংস্থানের জন্য জাতীয় নাগরিক পার্টি কাজ করবে।’
উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের সঞ্চালনায় পথসভায় আরও বক্তব্য দেন দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, যুগ্ম আহ্বায়ক অর্পিতা শ্যামা দেব, জাতীয় যুবশক্তির সদস্যসচিব ডা. জাহিদুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক এহতেশামুল হক, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার, এনসিপির সদস্য ব্যারিস্টার নুরুল হুদা জুনেদ, সিলেট জেলার প্রধান সমন্বয়কারী নাজিম উদ্দীন শাহান প্রমুখ।
সাতক্ষীরার দেবহাটায় দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আজ শনিবার (২৬ জুলাই) সকালে উপজেলার চাঁদপুর মাদ্রাসাসংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, হামদান পরিবহনের একটি বাস কালিগঞ্জের দিকে এবং বিপরীত দিক থেকে বিআরটিসি পরিবহনের একটি বাস যাত্রী নিয়ে সাতক্ষীরার দিকে যাচ্ছিল।
৪ মিনিট আগেখাগড়াছড়ির দীঘিনালায় পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) ও ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) দুটি গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলি চারজন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
১৩ মিনিট আগেলালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় জমি নিয়ে সংঘর্ষে আছিয়া বেগম (৮৫) নামের এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অন্তত তিনজন আহত হয়েছেন। এক নারীকে আটক করেছে পুলিশ। আজ শনিবার সকালে উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের উত্তর গোবধা গ্রামে এ সংঘর্ষ হয়। আছিয়া বেগম ওই গ্রামের মৃত আফার উদ্দিনের স্ত্রী।
১ ঘণ্টা আগেঠাকুরগাঁওয়ে গবাদিপশুর ভাইরাসজনিত লাম্পি স্কিন ডিজিজে (এলএসডি) আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ৭২টি গরু। গত প্রায় দুই মাসে এ গরুগুলোর মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে জেলার পাঁচটি উপজেলায় আক্রান্ত হয়েছে ৩ হাজার ৩৮০টি গরু।
২ ঘণ্টা আগে