Ajker Patrika

ছাতকের কেন্দ্রীয় পোস্ট অফিস যেন ফার্নিচারের কারখানা

ছাতক (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
ছাতকের কেন্দ্রীয় পোস্ট অফিস যেন ফার্নিচারের কারখানা

অফিস তো নয়, যেন কাঠ ফার্নিচারের কারখানা। সরকারি অফিসের চতুর্দিকে কাঠের তৈরি বিভিন্ন জিনিসপত্র পড়ে আছে। সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত অফিসে চলে ফার্নিচার তৈরির কাজ। সুনামগঞ্জ জেলার ছাতকের পোস্ট অফিসের এমন চিত্র চোখে পড়ে সেবা নিতে আসা প্রায় সকলের। 

অফিসের আশপাশের লোকজন জানান, পোস্ট অফিসের কর্মকর্তা অর্থাৎ পোস্ট মাস্টার রফিকুল ইসলাম চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে এখানে পোস্ট মাস্টার হিসেবে যোগদান করেন। চার দেয়াল বেষ্টিত অফিসের পেছনের দিকে রয়েছে স্টাফ কোয়াটার। যোগদানের কয়েক মাসের মধ্যেই কোয়ার্টারের একটি কক্ষ চঞ্চল মিয়া নামক এক বহিরাগতকে ভাড়া দেন তিনি। অপর কক্ষে রাখা হয়েছে ফার্নিচার তৈরির কাঠ। স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ সরকারি অফিসে কাঠ ফার্নিচার তৈরি করে ব্যবসায় লিপ্ত হয়েছেন পোস্ট মাস্টার। প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত এ অফিসের অভ্যন্তরে চলে ফার্নিচার তৈরির কাজ। 

গত বুধবার বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে এর সত্যতা পাওয়া যায়। সরকারি পোস্ট অফিসের প্রায় অধিকাংশ জায়গায় রাখা হয়েছে বিভিন্ন সাইজের দামি কাঠ। অফিসের পেছনের দরজা খোলা থাকায় দেখা যায় সেখানেও বিভিন্ন ফার্নিচারের অংশ সাজিয়ে রাখা হয়েছে। 

সরকারি অফিসে কাঠ ও কাঠের ফার্নিচার রাখার কারণ জানতে চাইলে পোস্ট মাস্টার রফিকুল ইসলাম অনেকটা দাম্ভিকতার সঙ্গে উত্তর দিয়ে জানান, তাঁর মেয়র বিয়ের জন্য এসব কাঠ ফার্নিচার তৈরি করা হচ্ছে। নিরাপত্তা ও চোখের সামনে কাজ করার জন্য তিনি এ অফিস কক্ষকেই বেছে নিয়েছেন। 

পোস্ট মাস্টার আরও জানান, এটি তাঁর অফিস। এ অফিসের সকল সুবিধা ভোগ করার অধিকার তাঁর রয়েছে। এ জন্য তিনি কাউকে জবাবদিহি করতে বাধ্য নন। সাংবাদিক হিসেবে এসেছেন, এক কাপ চা খেয়ে চলে যান। স্টাফ কোয়াটার ভাড়ার বিষয়ে তিনি জানান, তিনি সিলেটে থাকেন। এ জন্য তাঁর অফিসের এক পিয়নকে কক্ষটি তিনি ভাড়া দিয়েছেন।

এ দিকে স্থানীয় লোকজন জানান, সরকারি পোস্ট অফিসকে পোস্ট মাস্টার রফিকুল ইসলাম তাঁর নিজস্ব ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের মতো ব্যবহার করছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত