নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট ও বড়লেখা (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় বনে আগুন লাগার ঘটনায় বিট কর্মকর্তা নুরুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত ১০টায় সমনভাগ বিটের কর্মকর্তা নুরুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়। বন বিভাগের বড়লেখা রেঞ্জ কর্মকর্তা শেখর রঞ্জন দাস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গতকাল ‘বড়লেখার বনেও নিরো!’ শিরোনামে আজকের পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।
শেখর রঞ্জন দাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সমনভাগ বিটের কর্মকর্তা নুরুল ইসলামকে প্রত্যাহার করেছে। তাঁকে বন বিভাগের সিলেট বিভাগীয় অফিসে সংযুক্ত করা হয়েছে।’
গত ১ মার্চ পাথারিয়া হিলস রিজার্ভ ফরেস্টের সমনভাগ বিটের মাখাল জোরা, আলমবাড়ী ও ধলছড়া এলাকার বনাঞ্চলে আগুন দেখতে পান স্থানীয়রা। বিষয়টি বিট কর্মকর্তা নুরুল ইসলামকে জানালে তিনি ৭ মার্চ আগুন নেভাতে যান। এ ঘটনা নিয়ে গত ১৪ মার্চ ‘মৌলভীবাজারের বড়লেখা, গাছ লাগাতে বনে আগুন’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
এ ঘটনা তদন্তে গঠিত তিন সদস্যের কমিটি এখনো তদন্ত কাজ করছে। আগামীকাল রোববার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
স্থানীয় লোকজন ও পরিবেশকর্মীদের অভিযোগ, বনায়নের জন্য পরিকল্পিতভাবে সংরক্ষিত বনে আগুন লাগানো হয়েছে। বন বিভাগের অসাধু কর্মকর্তাদের মদদে উপকারভোগীরা বনে আগুন দিয়েছেন। আগুনে বনের ছোট-বড় ১২টি টিলাসহ প্রায় ৪০ হেক্টর বনভূমির বাঁশ-গাছ ও ঝোপঝাড়, উদ্ভিদ পুড়ে গেছে। এতে মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে পরিবেশের। হুমকির মুখে পড়েছে জীববৈচিত্র্য। তবে বন বিভাগ বলছে, কারও ফেলা সিগারেটের অবশিষ্ট অংশ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। আগুনে বনের প্রায় ১ দশমিক ৮৫ হেক্টর বনভূমি পুড়ে গেছে।
পাথারিয়া হিলস রিজার্ভ ফরেস্টের আওতাধীন সমনভাগ বিটের সমনভাগ সংরক্ষিত বনের আয়তন ১ হাজার ৮৫০ হেক্টর। সমনভাগ বনাঞ্চলটি বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মিলে চিরসবুজ একটি বনাঞ্চল এবং উদ্ভিদ ও প্রাণীবৈচিত্র্য রক্ষায় বাংলাদেশের মধ্যে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের অবস্থান উল্লেখযোগ্য। আগুনে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে বনভূমির প্রাকৃতিক পরিবেশ, ধ্বংস হয়েছে বন্যপ্রাণির আবাসস্থল। বনে আগুন লাগার ঘটনায় ১১ দিন পর গত ১১ মার্চ বড়লেখা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন বন বিভাগের সমনভাগ বিটের কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম।
কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা জানান, আগুনে বনের ভেতরে প্রাকৃতিকভাবে জন্মানো বিভিন্ন প্রজাতির বাঁশগাছ ও ঝোপঝাড় পুড়ে গেছে। প্রাণের ভয়ে বনে থাকা কয়েকটি হাতি ভারতের দিকে পালিয়েছে। ১১ দিন বন আগুনে পুড়েছে। বন বিভাগের লোকজনকে জানানোর পরও তাঁরা গুরুত্ব দেননি। শুরুতে গুরুত্ব দিলে এত বন পুড়ত না।
স্থানীয় পরিবেশকর্মী খোর্শেদ আলম বলেন, ‘আমরা সমনভাগ বিটের মাখালজুড়া, আলামবাড়ী ও ধলছড়া এলাকার বনাঞ্চল ঘুরে দেখেছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় ৪০ হেক্টর এলাকা আগুনে পুড়ে গেছে। একদিকে আগুনে বন পুড়ছে, অন্যদিকে কিছু লোক সেখান থেকে গাছ ও বাঁশ কেটে ফেলছে। আমরা জেনেছি যে বনায়নের জন্য পরিকল্পিতভাবে আগুন দিয়ে সংরক্ষিত বন পোড়ানো হয়েছে। এতে বন বিভাগের লোকজন জড়িত রয়েছেন।’
বন বিভাগের বড়লেখা রেঞ্জ কর্মকর্তা শেখর রঞ্জন দাস বলেন, ‘কেউ হয়তো সিগারেট টেনে অবশিষ্ট অংশ বনে ফেলেছে। তা থেকে বনে আগুন লাগতে পারে। যেদিন বনে আগুন লেগেছে, ওই দিনই স্থানীয় বিট কর্মকর্তা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করেছেন। পরদিন আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে জিপিএস মেশিন দিয়ে পরিমাপ করে দেখেছি যে আগুনে বনের ১ দশমিক ৮৫ হেক্টর বনভূমি পুড়েছে। এতে ঝোপঝাড় ও গাছপালার পাতা ঝলসে গেছে। এ ঘটনায় সমনভাগ বিট কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। আগুনে পুড়ে গাছের যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা পোষাতে সেখানে গাছ লাগানো হবে।’
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় বনে আগুন লাগার ঘটনায় বিট কর্মকর্তা নুরুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত ১০টায় সমনভাগ বিটের কর্মকর্তা নুরুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়। বন বিভাগের বড়লেখা রেঞ্জ কর্মকর্তা শেখর রঞ্জন দাস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গতকাল ‘বড়লেখার বনেও নিরো!’ শিরোনামে আজকের পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।
শেখর রঞ্জন দাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সমনভাগ বিটের কর্মকর্তা নুরুল ইসলামকে প্রত্যাহার করেছে। তাঁকে বন বিভাগের সিলেট বিভাগীয় অফিসে সংযুক্ত করা হয়েছে।’
গত ১ মার্চ পাথারিয়া হিলস রিজার্ভ ফরেস্টের সমনভাগ বিটের মাখাল জোরা, আলমবাড়ী ও ধলছড়া এলাকার বনাঞ্চলে আগুন দেখতে পান স্থানীয়রা। বিষয়টি বিট কর্মকর্তা নুরুল ইসলামকে জানালে তিনি ৭ মার্চ আগুন নেভাতে যান। এ ঘটনা নিয়ে গত ১৪ মার্চ ‘মৌলভীবাজারের বড়লেখা, গাছ লাগাতে বনে আগুন’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
এ ঘটনা তদন্তে গঠিত তিন সদস্যের কমিটি এখনো তদন্ত কাজ করছে। আগামীকাল রোববার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
স্থানীয় লোকজন ও পরিবেশকর্মীদের অভিযোগ, বনায়নের জন্য পরিকল্পিতভাবে সংরক্ষিত বনে আগুন লাগানো হয়েছে। বন বিভাগের অসাধু কর্মকর্তাদের মদদে উপকারভোগীরা বনে আগুন দিয়েছেন। আগুনে বনের ছোট-বড় ১২টি টিলাসহ প্রায় ৪০ হেক্টর বনভূমির বাঁশ-গাছ ও ঝোপঝাড়, উদ্ভিদ পুড়ে গেছে। এতে মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে পরিবেশের। হুমকির মুখে পড়েছে জীববৈচিত্র্য। তবে বন বিভাগ বলছে, কারও ফেলা সিগারেটের অবশিষ্ট অংশ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। আগুনে বনের প্রায় ১ দশমিক ৮৫ হেক্টর বনভূমি পুড়ে গেছে।
পাথারিয়া হিলস রিজার্ভ ফরেস্টের আওতাধীন সমনভাগ বিটের সমনভাগ সংরক্ষিত বনের আয়তন ১ হাজার ৮৫০ হেক্টর। সমনভাগ বনাঞ্চলটি বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মিলে চিরসবুজ একটি বনাঞ্চল এবং উদ্ভিদ ও প্রাণীবৈচিত্র্য রক্ষায় বাংলাদেশের মধ্যে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের অবস্থান উল্লেখযোগ্য। আগুনে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে বনভূমির প্রাকৃতিক পরিবেশ, ধ্বংস হয়েছে বন্যপ্রাণির আবাসস্থল। বনে আগুন লাগার ঘটনায় ১১ দিন পর গত ১১ মার্চ বড়লেখা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন বন বিভাগের সমনভাগ বিটের কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম।
কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা জানান, আগুনে বনের ভেতরে প্রাকৃতিকভাবে জন্মানো বিভিন্ন প্রজাতির বাঁশগাছ ও ঝোপঝাড় পুড়ে গেছে। প্রাণের ভয়ে বনে থাকা কয়েকটি হাতি ভারতের দিকে পালিয়েছে। ১১ দিন বন আগুনে পুড়েছে। বন বিভাগের লোকজনকে জানানোর পরও তাঁরা গুরুত্ব দেননি। শুরুতে গুরুত্ব দিলে এত বন পুড়ত না।
স্থানীয় পরিবেশকর্মী খোর্শেদ আলম বলেন, ‘আমরা সমনভাগ বিটের মাখালজুড়া, আলামবাড়ী ও ধলছড়া এলাকার বনাঞ্চল ঘুরে দেখেছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় ৪০ হেক্টর এলাকা আগুনে পুড়ে গেছে। একদিকে আগুনে বন পুড়ছে, অন্যদিকে কিছু লোক সেখান থেকে গাছ ও বাঁশ কেটে ফেলছে। আমরা জেনেছি যে বনায়নের জন্য পরিকল্পিতভাবে আগুন দিয়ে সংরক্ষিত বন পোড়ানো হয়েছে। এতে বন বিভাগের লোকজন জড়িত রয়েছেন।’
বন বিভাগের বড়লেখা রেঞ্জ কর্মকর্তা শেখর রঞ্জন দাস বলেন, ‘কেউ হয়তো সিগারেট টেনে অবশিষ্ট অংশ বনে ফেলেছে। তা থেকে বনে আগুন লাগতে পারে। যেদিন বনে আগুন লেগেছে, ওই দিনই স্থানীয় বিট কর্মকর্তা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করেছেন। পরদিন আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে জিপিএস মেশিন দিয়ে পরিমাপ করে দেখেছি যে আগুনে বনের ১ দশমিক ৮৫ হেক্টর বনভূমি পুড়েছে। এতে ঝোপঝাড় ও গাছপালার পাতা ঝলসে গেছে। এ ঘটনায় সমনভাগ বিট কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। আগুনে পুড়ে গাছের যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা পোষাতে সেখানে গাছ লাগানো হবে।’
ঈদের দিন বিকেলে খেলতে ছিল হামজা। এ সময় পরিবারের সদস্যদের অগোচরে বাড়ির পাশে পুকুরে পড়ে যায় শিশুটি। অনেক খোঁজাখুঁজি করে একপর্যায়ে তাকে পুকুর পানিতে ভাসতে দেখেন স্বজনেরা। পরে দ্রুত উদ্ধার করে মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।
২ মিনিট আগেআসমা বলেন, ‘মাংসের দাম বেশি। তাই সরা বছর গরুর মাংস কেনার সামর্থ্য হয় না। আমরাও মানুষ। আমাদেরও খেতে ইচ্ছে করে। তাই এক টুকরো মাংসের আশায় ঈদের দিনে ব্যাগ নিয়ে শহরে এসেছি।’
৪৩ মিনিট আগেসারিয়াকান্দিতে দাদা বাড়ি ঈদ করতে এসে পুকুরে ডুবে আদুরী আক্তার (৯) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরের দিকে উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের ছাগলধরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেমোর্শেদুর রহমান কামাল বলেন, ‘আজকে ঈদের দিন। সবাই আনন্দ করতাছে। আর আমি আমার পরিবার ও প্রতিবেশী লোকজন নিয়া পুকুর থেকে মরা মাছ তুলতেছি। আমার জানা মতে তো কোনো শত্রু নেই। তাইলে কেডা আমার এই ক্ষতিটা করল। দুই পুকুরে প্রায় ১০ লাখ টাকার মাছ ছিল আমার। সব মইরা শেষ। ১৫ বছরের জমানো পুঁজি সব শেষ।
২ ঘণ্টা আগে