জাকির হোসেন, সুনামগঞ্জ
সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চল মানেই মিঠাপানির মাছ। একটা সময় বর্ষায় জেলার হাওরে মাছ ধরেই জীবিকা নির্বাহ করত সুনামগঞ্জের প্রত্যন্ত এলাকার অধিকাংশ মানুষ। এক ফসলি (বোরো) এই জেলায় ধান ঘরে তোলার পর বছরের ছয় মাসই বেকার হয়ে পড়ে। এই বেকার সময়টুকু হাওরাঞ্চলের অধিকাংশ পরিবারের সদস্যরা মাছ ধরার কাজে ব্যস্ত থাকত। মিঠাপানির মাছ এই জেলার মানুষের চাহিদা মিটিয়ে দেশের অন্যান্য জেলায়ও রপ্তানি করতে পারত। কিন্তু অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর হাওরে পানি কম আসায় দেশীয় মাছের সংকট দেখা দিয়েছে। স্থানীয় হাট-বাজারগুলোতে দেশি মাছ তেমন চোখে পড়ছে না। এতে বিপাকে পড়েছে হাওরাঞ্চলের মানুষ ও মৎস্যজীবীরা।
হাওরবেষ্টিত জেলায় মাদার ফিশারিজ টাঙ্গুয়া, শনি, মাটিয়ান, মহালিয়া,ডেকার, নলজুড়ি হাওরসহ একাধিক নদী রয়েছে। সুনামগঞ্জের হাওরগুলোর মিঠা পানির মাছ দেশীয় মাছের চাহিদা অনেকাংশেই মেটায়।
জেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, মাছ বিক্রেতাদের কাছে চাষের মাছই বেশি। দেশীয় মাছ যারাই নিয়ে আসছে, মুহূর্তের মধ্যেই বিক্রি হয়ে যায়।
সুনামগঞ্জ পৌর এলাকার মাছ ব্যবসায়ী সামছু মিয়া বলেন, `এ বছর জুইরাই হাওরে মাছ কম মিলছে। হাওর বা নদীতে জেলেরা মাছ পাচ্ছেন না। তাই আমরাও বাধ্য হইয়া চাষের মাছই বিক্রি করতাছি।'
মাছের আড়তদার এবাদুল মিয়া বলেন, ``দেশি মাছ কমে যাওয়ায় মাসখানেক ধরে ঢাকায় মাছ সরবরাহ করতে পারছি না। অন্য বছর এই সময়ে প্রতিদিনই এক ট্রাক মাছ পাঠাইতাম ।'
মাছের ক্রেতা প্রাণগোপাল তালুকদার বলেন, প্রতিদিন সকাল-বিকেল দেশি মাছ কেনার জন্য বাজারে যাই, কিন্তু মাছ পাওয়া যায় না।
জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে হাওরের সংখ্যা ৮২। এর আয়তন ৬০ হাজার ১৫৩ দশমিক ৫৭ হেক্টর। খালের সংখ্যা ১৩৩, যার আয়তন ৬৮৩ দশমিক ১৩ হেক্টর। ৮২টি হাওরে বিল রয়েছে ৯৭৬টি, যার মোট আয়তন ২১ হাজার ৬১৫ দশমিক ৬১ হেক্টর। এসব হাওরে গেল বছর মাছ উৎপাদন হয়েছে ৯১ হাজার ৩৬ দশমিক ৯৪ মেট্রিক টন। পুরো জেলায় মাছের চাহিদা ছিল ৫৬ হাজার ৩৭২ মেট্রিক টন।
সরকারি হিসাব অনুয়ায়ী জেলার মোট চাহিদা থেকে বেশি পরিমাণে মাছ উৎপাদন হয়ে থাকে প্রতিবছর। গত বছর ৩৪ হাজার ৬৬৪ দশমিক ৯৪ মেট্রিক টন মাছ উদ্বৃত্ত ছিল। কিন্তু চলতি বছর মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েও সংশয় রয়েছে।
হাওর বাঁচাও আন্দোলনের নেতা সুখেন্দু সেন বলেন, ইজারাদারেরা বর্ষা মৌসুমে পুরো হাওর শাসন করেন। কোনো জেলেকে হাওরের পাড়ে মাছ ধরতে দেওয়া হয় না। এ সময় জমির মালিক জমির ওপর মাছ ধরতে পারেন না। বর্ষাকালের শেষের দিকে পানি কমতে শুরু হলে মাছগুলোও হাওরের তলদেশে নামতে শুরু করে। একসময় হাওরে সমস্ত পানি শুকিয়ে যায়। শুধু বিলগুলোতে পানি থেকে যায়। তখন ইজারাদারেরা বিলগুলো শুকিয়ে বিলের তলদেশ থেকে মাছ শিকার করে বাইরে পাঠিয়ে দেন। এতে অল্প কিছু ইজারাদার লাভবান হলেও হাওরপাড়ের বেশির ভাগ মানুষকে লোকসানে পড়তে হয়।
এ বিষয়ে সুনামগঞ্জ মৎস্য বিভাগের সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সীমা রানী বিশ্বাস বলেন, হাওরাঞ্চলে কীটনাশকের ব্যবহার বেশি হওয়ার কারণে মাছের সংখ্যা কমছে। এ ছাড়া এবার হাওরে পানি কম হওয়ায় মাছ তেমন একটা নেই।
সীমা রানী বলেন, যা-ও মাছ আছে, স্থানীয় জেলেরা মাছের পোনা ধরে ফেলছেন। তাতে করে দেশীয় মাছ আর বড় হওয়ার সুযোগ পায় না।
জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ``মাছের বংশ রক্ষা করার জন্য মৎস্য আইন অনুযায়ী যারা অবৈধভাবে মাছের পোনা ধরছে, আমরা জেলার সবগুলো উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছি।'
সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চল মানেই মিঠাপানির মাছ। একটা সময় বর্ষায় জেলার হাওরে মাছ ধরেই জীবিকা নির্বাহ করত সুনামগঞ্জের প্রত্যন্ত এলাকার অধিকাংশ মানুষ। এক ফসলি (বোরো) এই জেলায় ধান ঘরে তোলার পর বছরের ছয় মাসই বেকার হয়ে পড়ে। এই বেকার সময়টুকু হাওরাঞ্চলের অধিকাংশ পরিবারের সদস্যরা মাছ ধরার কাজে ব্যস্ত থাকত। মিঠাপানির মাছ এই জেলার মানুষের চাহিদা মিটিয়ে দেশের অন্যান্য জেলায়ও রপ্তানি করতে পারত। কিন্তু অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর হাওরে পানি কম আসায় দেশীয় মাছের সংকট দেখা দিয়েছে। স্থানীয় হাট-বাজারগুলোতে দেশি মাছ তেমন চোখে পড়ছে না। এতে বিপাকে পড়েছে হাওরাঞ্চলের মানুষ ও মৎস্যজীবীরা।
হাওরবেষ্টিত জেলায় মাদার ফিশারিজ টাঙ্গুয়া, শনি, মাটিয়ান, মহালিয়া,ডেকার, নলজুড়ি হাওরসহ একাধিক নদী রয়েছে। সুনামগঞ্জের হাওরগুলোর মিঠা পানির মাছ দেশীয় মাছের চাহিদা অনেকাংশেই মেটায়।
জেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, মাছ বিক্রেতাদের কাছে চাষের মাছই বেশি। দেশীয় মাছ যারাই নিয়ে আসছে, মুহূর্তের মধ্যেই বিক্রি হয়ে যায়।
সুনামগঞ্জ পৌর এলাকার মাছ ব্যবসায়ী সামছু মিয়া বলেন, `এ বছর জুইরাই হাওরে মাছ কম মিলছে। হাওর বা নদীতে জেলেরা মাছ পাচ্ছেন না। তাই আমরাও বাধ্য হইয়া চাষের মাছই বিক্রি করতাছি।'
মাছের আড়তদার এবাদুল মিয়া বলেন, ``দেশি মাছ কমে যাওয়ায় মাসখানেক ধরে ঢাকায় মাছ সরবরাহ করতে পারছি না। অন্য বছর এই সময়ে প্রতিদিনই এক ট্রাক মাছ পাঠাইতাম ।'
মাছের ক্রেতা প্রাণগোপাল তালুকদার বলেন, প্রতিদিন সকাল-বিকেল দেশি মাছ কেনার জন্য বাজারে যাই, কিন্তু মাছ পাওয়া যায় না।
জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে হাওরের সংখ্যা ৮২। এর আয়তন ৬০ হাজার ১৫৩ দশমিক ৫৭ হেক্টর। খালের সংখ্যা ১৩৩, যার আয়তন ৬৮৩ দশমিক ১৩ হেক্টর। ৮২টি হাওরে বিল রয়েছে ৯৭৬টি, যার মোট আয়তন ২১ হাজার ৬১৫ দশমিক ৬১ হেক্টর। এসব হাওরে গেল বছর মাছ উৎপাদন হয়েছে ৯১ হাজার ৩৬ দশমিক ৯৪ মেট্রিক টন। পুরো জেলায় মাছের চাহিদা ছিল ৫৬ হাজার ৩৭২ মেট্রিক টন।
সরকারি হিসাব অনুয়ায়ী জেলার মোট চাহিদা থেকে বেশি পরিমাণে মাছ উৎপাদন হয়ে থাকে প্রতিবছর। গত বছর ৩৪ হাজার ৬৬৪ দশমিক ৯৪ মেট্রিক টন মাছ উদ্বৃত্ত ছিল। কিন্তু চলতি বছর মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েও সংশয় রয়েছে।
হাওর বাঁচাও আন্দোলনের নেতা সুখেন্দু সেন বলেন, ইজারাদারেরা বর্ষা মৌসুমে পুরো হাওর শাসন করেন। কোনো জেলেকে হাওরের পাড়ে মাছ ধরতে দেওয়া হয় না। এ সময় জমির মালিক জমির ওপর মাছ ধরতে পারেন না। বর্ষাকালের শেষের দিকে পানি কমতে শুরু হলে মাছগুলোও হাওরের তলদেশে নামতে শুরু করে। একসময় হাওরে সমস্ত পানি শুকিয়ে যায়। শুধু বিলগুলোতে পানি থেকে যায়। তখন ইজারাদারেরা বিলগুলো শুকিয়ে বিলের তলদেশ থেকে মাছ শিকার করে বাইরে পাঠিয়ে দেন। এতে অল্প কিছু ইজারাদার লাভবান হলেও হাওরপাড়ের বেশির ভাগ মানুষকে লোকসানে পড়তে হয়।
এ বিষয়ে সুনামগঞ্জ মৎস্য বিভাগের সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সীমা রানী বিশ্বাস বলেন, হাওরাঞ্চলে কীটনাশকের ব্যবহার বেশি হওয়ার কারণে মাছের সংখ্যা কমছে। এ ছাড়া এবার হাওরে পানি কম হওয়ায় মাছ তেমন একটা নেই।
সীমা রানী বলেন, যা-ও মাছ আছে, স্থানীয় জেলেরা মাছের পোনা ধরে ফেলছেন। তাতে করে দেশীয় মাছ আর বড় হওয়ার সুযোগ পায় না।
জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ``মাছের বংশ রক্ষা করার জন্য মৎস্য আইন অনুযায়ী যারা অবৈধভাবে মাছের পোনা ধরছে, আমরা জেলার সবগুলো উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছি।'
কক্সবাজারের টেকনাফে মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগ এনে ছুরিকাঘাতে মো. নজিমুল্লাহ (২৫) নামে এক যুবক মারা গেছে। রোববার (২০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে টেকনাফ পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কায়ুকখালিয়াপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত নজিমুল্লাহ ওই এলাকার রহিম উল্লাহর ছেলে...
১ মিনিট আগেভোলার লালমোহনে অভিযান চালিয়ে ৯টি অবৈধ ট্রলিং বোট জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড। আজ রোববার (২০ এপ্রিল) বিকেলে লালমোহন উপজেলার গজারিয়া খাল গোড়ায় এই অভিযান চালানো হয়। কোস্ট গার্ড ভোলা দক্ষিণ জোনের লেফটেন্যান্ট কমান্ডার ও স্টাফ অফিসার অপারেশন রিফাত আহমেদ প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
২৮ মিনিট আগেনারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে অবস্থিত ইউএস–বাংলা মেডিকেল কলেজের ১১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আগামীকাল সোমবার। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কলেজ ক্যাম্পাসে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে যাচ্ছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
৩১ মিনিট আগেনেছারাবাদে আরামকাঠি ক্ষুদ্র সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতির পরিচালক মো. রহমাত উল্লাহর বিরুদ্ধে পাঁচ সহস্রাধিক গ্রাহকের হাজার কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আজ রোববার তাঁর বাড়িতে বিক্ষুব্ধ গ্রাহকেরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন। পরে সমিতির ম্যানেজার-মাঠকর্মীসহ সাতজনকে আটক করে পুলিশের হাতে
৩৮ মিনিট আগে