শাল্লা (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে সৃষ্ট বন্যায় সুনামগঞ্জের শাল্লায় মৎস্যচাষিদের প্রায় দুই কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে পানিতে মাছ ভেসে যাওয়াসহ পুকুরের অবকাঠামোগত ক্ষতি।
মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ৬০০ জন মৎস্যচাষি রয়েছেন। এবারের বন্যায় উপজেলার শতভাগ মৎস্যচাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। একই সঙ্গে ৬০০টি পুকুর ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পোনাসহ বিভিন্ন ধরনের মাছ ভেসে গেছে। ওই সব পুকুরের জমির পরিমাণ ৮৫ হেক্টর। ভেসে যাওয়া মাছের পরিমাণ ১২৭ টন। যার আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
পুকুরে মাছ চাষের সময় নেটসহ বিভিন্ন উপকরণ ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া পুকুরপাড় তৈরি করাসহ বিভিন্ন অবকাঠামোগত খরচ রয়েছে। বন্যার সময় নেট ছিঁড়ে যাওয়াসহ পুকুরের যে ক্ষতি হয় তা পুকুরের অবকাঠামোগত ক্ষতি হিসেবে ধরা হয়।
চাষিরা জানান, বন্যার আগ মুহূর্তে মৎস্য বিভাগের পক্ষ থেকে যদি তাঁদের মাঝে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হতো তাহলে এই ক্ষতি রোধ করা সম্ভব হতো। যদিও উপজেলা মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তা বলছেন, বন্যার আগে তাঁরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে যথাযথ প্রচারণা চালানো হয়েছে। তবে, তাঁরা বন্যা পরবর্তী ক্ষতি পুষিয়ে ওঠার ব্যাপারে চাষিদের পরামর্শ দিচ্ছেন।
উপজেলার হবিবপুর ইউনিয়নের আনন্দপুর গ্রামের কৃষক শিবু বিশ্বাস বলেন, ‘আমি ৩ একর পরিমাণ দুইটি পুকুরে ৪ মাস আগে ৯০ হাজার টাকার পোনা ছেড়েছিলাম। একদিনের বন্যায় পানি বেড়ে পুকুর তলিয়ে যায় এবং সকল মাছ ভেসে গেছে। এতে আমি অসহায় হয়ে পড়েছি। এতে আমার আড়াই লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’
কৃষক শিবু বিশ্বাস আরও বলেন, ‘বন্যার আগে মৎস্য বিভাগের কেউ আমাদের কিছুই জানাননি। আমার মৎস্য চাষের প্রশিক্ষণ থাকায় নেট দিয়ে মাছ বাঁচানোর চেষ্টা করেছি। যদিও মাছ রক্ষা করতে পারিনি। তবে প্রচার-প্রচারণা থাকলে অনেক চাষিই তাঁদের মাছ রক্ষা করতে পারত।’
একই গ্রামের মৎস্যচাষি দিলীপ বিশ্বাস জানান, তিনি তাঁর এক একর আয়তনের পুকুরে প্রায় লক্ষাধিক টাকার পোনা ছেড়েছিলেন। গত এক সপ্তাহ আগে বন্যার পানিতে তাঁর পুকুর ভেসে গেছে। এতে তিনি সর্বস্বান্ত হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে শাল্লা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাসুদ জামান খান বলেন, ‘আমি বন্যায় ভেসে যাওয়া কিছু পুকুর পরিদর্শন করেছি। মৎস্যচাষিদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে লক্ষ্য করেছি। এ উপজেলায় ৬০০ জন মৎস্যচাষির ৬০০টি পুকুরের পোনাসহ মাছ ভেসে গেছে। এতে তাঁদের মোট ১ কোটি ৯০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।’
মৎস্য কর্মকর্তা আরও বলেন, মৎস্যচাষিদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আমরা বিশেষ পরামর্শ দিচ্ছি। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুকুর যথাসম্ভব সংস্কার করে আবার আকারে বড় পোনা ছাড়ার পরামর্শ দিচ্ছি। এ জন্য যদি তাঁদের কোনো পোনা উৎপাদনকারী হ্যাচারি মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে দেওয়ার প্রয়োজন হয় আমরা তাও করব।
টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে সৃষ্ট বন্যায় সুনামগঞ্জের শাল্লায় মৎস্যচাষিদের প্রায় দুই কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে পানিতে মাছ ভেসে যাওয়াসহ পুকুরের অবকাঠামোগত ক্ষতি।
মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ৬০০ জন মৎস্যচাষি রয়েছেন। এবারের বন্যায় উপজেলার শতভাগ মৎস্যচাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। একই সঙ্গে ৬০০টি পুকুর ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পোনাসহ বিভিন্ন ধরনের মাছ ভেসে গেছে। ওই সব পুকুরের জমির পরিমাণ ৮৫ হেক্টর। ভেসে যাওয়া মাছের পরিমাণ ১২৭ টন। যার আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
পুকুরে মাছ চাষের সময় নেটসহ বিভিন্ন উপকরণ ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া পুকুরপাড় তৈরি করাসহ বিভিন্ন অবকাঠামোগত খরচ রয়েছে। বন্যার সময় নেট ছিঁড়ে যাওয়াসহ পুকুরের যে ক্ষতি হয় তা পুকুরের অবকাঠামোগত ক্ষতি হিসেবে ধরা হয়।
চাষিরা জানান, বন্যার আগ মুহূর্তে মৎস্য বিভাগের পক্ষ থেকে যদি তাঁদের মাঝে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হতো তাহলে এই ক্ষতি রোধ করা সম্ভব হতো। যদিও উপজেলা মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তা বলছেন, বন্যার আগে তাঁরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে যথাযথ প্রচারণা চালানো হয়েছে। তবে, তাঁরা বন্যা পরবর্তী ক্ষতি পুষিয়ে ওঠার ব্যাপারে চাষিদের পরামর্শ দিচ্ছেন।
উপজেলার হবিবপুর ইউনিয়নের আনন্দপুর গ্রামের কৃষক শিবু বিশ্বাস বলেন, ‘আমি ৩ একর পরিমাণ দুইটি পুকুরে ৪ মাস আগে ৯০ হাজার টাকার পোনা ছেড়েছিলাম। একদিনের বন্যায় পানি বেড়ে পুকুর তলিয়ে যায় এবং সকল মাছ ভেসে গেছে। এতে আমি অসহায় হয়ে পড়েছি। এতে আমার আড়াই লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’
কৃষক শিবু বিশ্বাস আরও বলেন, ‘বন্যার আগে মৎস্য বিভাগের কেউ আমাদের কিছুই জানাননি। আমার মৎস্য চাষের প্রশিক্ষণ থাকায় নেট দিয়ে মাছ বাঁচানোর চেষ্টা করেছি। যদিও মাছ রক্ষা করতে পারিনি। তবে প্রচার-প্রচারণা থাকলে অনেক চাষিই তাঁদের মাছ রক্ষা করতে পারত।’
একই গ্রামের মৎস্যচাষি দিলীপ বিশ্বাস জানান, তিনি তাঁর এক একর আয়তনের পুকুরে প্রায় লক্ষাধিক টাকার পোনা ছেড়েছিলেন। গত এক সপ্তাহ আগে বন্যার পানিতে তাঁর পুকুর ভেসে গেছে। এতে তিনি সর্বস্বান্ত হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে শাল্লা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাসুদ জামান খান বলেন, ‘আমি বন্যায় ভেসে যাওয়া কিছু পুকুর পরিদর্শন করেছি। মৎস্যচাষিদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে লক্ষ্য করেছি। এ উপজেলায় ৬০০ জন মৎস্যচাষির ৬০০টি পুকুরের পোনাসহ মাছ ভেসে গেছে। এতে তাঁদের মোট ১ কোটি ৯০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।’
মৎস্য কর্মকর্তা আরও বলেন, মৎস্যচাষিদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আমরা বিশেষ পরামর্শ দিচ্ছি। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুকুর যথাসম্ভব সংস্কার করে আবার আকারে বড় পোনা ছাড়ার পরামর্শ দিচ্ছি। এ জন্য যদি তাঁদের কোনো পোনা উৎপাদনকারী হ্যাচারি মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে দেওয়ার প্রয়োজন হয় আমরা তাও করব।
ঠাকুরগাঁওয়ে গবাদিপশুর ভাইরাসজনিত লাম্পি স্কিন ডিজিজে (এলএসডি) আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ৭২টি গরু। গত প্রায় দুই মাসে এ গরুগুলোর মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে জেলার পাঁচটি উপজেলায় আক্রান্ত হয়েছে ৩ হাজার ৩৮০টি গরু।
৪২ মিনিট আগেটাঙ্গাইলের মধুপুরের চলতি মৌসুমে কাঁঠালের বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রচন্ড গরমে কাঁঠাল পেকে যাওয়ায় বাজারে এ ফলের আধিক্য বেড়েছে। তবে রোদ-বৃষ্টির সাথে সাথে কাঁঠালের দাম ওঠা-নামা করায় বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়িরা। তবে কাঁঠালের দাম নাগালের মধ্যে থাকায় ভোক্তারা খুশি।
১ ঘণ্টা আগেগাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম সীমান্তে তিস্তা নদীর ওপর নির্মাণ করা হয়েছে তিস্তা সেতু। নদীর নামের সঙ্গে মিলয়েই এ নামকরণ করা হয়েছে। এখন শুধু অপেক্ষা সেতুটি উদ্বোধনের। সেতুটি দিয়ে যান চলাচল শুরু করলেই গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাটসহ উত্তরাঞ্চলের যাতায়াত আরও সহজ হবে। এলাকার উৎপাদিত পণ্য সারা দেশে...
১ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে পারিবারিক কলহের জেরে ইতি আক্তার (২৫) নামের এক নারী খুন হয়েছেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ওই নারীর স্বামী বিল্লাল হোসেনকে (৩২) আটক করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার (২৫ জুলাই) রাতে নারায়য়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) ১ নম্বর ওয়ার্ডের মিজমিজি বাতানপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে