Ajker Patrika

বিয়ানীবাজারে ৮৪ গ্রাম বন্যাকবলিত, আশ্রয়কেন্দ্রে ৮৮ পরিবার

বিয়ানীবাজার (সিলেট) প্রতিনিধি
আপডেট : ২১ মে ২০২২, ১৮: ১৬
বিয়ানীবাজারে ৮৪ গ্রাম বন্যাকবলিত, আশ্রয়কেন্দ্রে ৮৮ পরিবার

সিলেটের বিয়ানীবাজারে সুরমা নদীর পানি কিছুটা কমলেও বাড়ছে কুশিয়ারার পানি। আজ শনিবার কুশিয়ারা নদীর শেওলা পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে। এতে উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে ওই সব এলাকার মানুষজন। 

জানা যায়, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় উপজেলার প্রায় অর্ধশত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। সিলেট-বিয়ানীবাজার মহাসড়কের ১৮টি অংশ ডুবে যাওয়ার ঝুঁকি নিয়ে বাস চলাচল করলেও ছোট যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। বন্যাকবলিত এলাকায় দেখা দিয়েছে গো-খাদ্যের সংকট। এতে গবাদিপশু নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয়রা। এ ছাড়া শেওলা সাব স্টেশনে পানি ঢুকে পড়া তিনটি সরবরাহ ফিডারের একটি অচল হয়ে পড়েছে। ফলে শেওলা ও দুবাগ ইউনিয়নের বেশ কিছু গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। ওই সব এলাকায় অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা ও হতাহত এড়াতে রাতের বেলা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হচ্ছে। পরিস্থিতির উন্নতি হলে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে বলে জানান দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা। 

বিয়ানীবাজার পল্লী বিদ্যুতের জোনাল অফিসের ডিজিএম ভজন কুমার বর্মণ বলেন, শেওলা সাবস্টেশনের তিনটি ফিডারের দুইটি সচল রয়েছে। এতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে কিছুটা বিঘ্ন ঘটছে। এ ছাড়া বন্যাকবলিত কিছু এলাকায় রাতের বেলা বিদ্যুৎ সরবরাহ রাখা হচ্ছে। 

উপজেলা বন্যা পর্যবেক্ষণ কক্ষ সূত্রে জানা গেছে, পাঁচ ইউনিয়নের ৮৪ গ্রাম বন্যাকবলিত হয়েছে। এসব গ্রামের ৮৮ পরিবার ১৩টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছে। উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের ৩টি আশ্রয়কেন্দ্রে ২০ পরিবার, চারখাই ও দুবাগ ইউনিয়নের ৮টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৪৮ পরিবার এবং কুড়ারবাজার ইউনিয়নের ২টি আশ্রয়কেন্দ্রে ২০ পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। এরই মধ্যে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা পরিষদ বন্যাকবলিত এলাকা ও আশ্রয়কেন্দ্রে ৬ টন ত্রাণ সহায়তা ও শুকনো খাবার বিতরণ করেছে। 

বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশিক নুর বলেন, বন্যাকবলিত গ্রাম এবং আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রিত পরিবারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব এলাকায় ত্রাণ সহায়তা জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। দুর্গত গ্রামের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ত্রাণ সহায়তা চাওয়া হয়েছে। দুর্গত এলাকার ২৪টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রের মধ্যে ১৩টিতে ৮৮ পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। 

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম পল্লব ও ভাইস চেয়ারম্যান জামাল হোসেন বন্যাকবলিত এলাকায় সরকারি ত্রাণ বিতরণ করেছেন। তিনি আলীনগর, চারখাই ও দুবাগ ইউনিয়নে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও সদস্যদের সহযোগিতায় সরকারি ত্রাণ বিতরণ করেন। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত