সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জে নদী ও হাওর এলাকার পানি কমেছে। তবে এখনো তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, ছাতক, দোয়ারাবাজার, ধর্মপাশা, সুনামগঞ্জ পৌর এলাকার সড়ক ও ঘর-বাড়িতে পানি রয়েছে। বসতভিটা ক্ষতি হওয়ায় এখনো সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজ আশ্রয়কেন্দ্রে আছেন অন্তত ৫০টি পরিবার। ঢলের পানিতে গ্রামীণ সড়ক এখনো ডুবে থাকায় ঘর-বাড়ি থেকে বের হতে পারছে না মানুষ। এতে দুর্ভোগে ৬ উপজেলার বাসিন্দারা।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার নতুন হাসননগর এলাকার অজুফা বেগম। স্বামী খোকন মিয়া জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে শয্যাশায়ী। নেই কোনো ছেলে সন্তানও। সংসার চালাতে গিয়ে তিনি অন্যের বাড়িতে কাজ করে নিজেও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। অসুস্থ শরীর নিয়ে কাজ করে কোনো রকম চলছিল তাঁর জীবনযাত্রা। কিন্তু পাহাড়ি ঢল আর অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে সুনামগঞ্জে সৃষ্টি হওয়া বন্যার পানিতে তাঁর ঘরটি ভেঙে বড় বিপাকে পড়েছেন তিনি। অজুফা বেগমের বসত ঘরে কমর সমান পানি উঠে যাওয়ায় তিনি নিরাপদের জন্য আশ্রয় নেন সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজে আশ্রয় নেন।
অজুফা বেগম জানান, গত বছরের বন্যায় ঘরে ক্ষতি হয়েছিল। সেই ঘরই এখন পর্যন্ত মেরামত করতে পারেনি। সরকারি কোনো সহযোগিতা পাননি। এবারও ঢলের পানিতে ঘর যা ছিল তাও একেবারে ভঙ্গুর অবস্থায়।
সুনামগঞ্জে সদর উপজেলার পূর্ব সুলতান পুর গ্রামের আলিমা বেগম বলেন, ‘আমরার ঘরে হাঁটু সমান পানির জন্য ঘর ছেড়ে এসেছি, রাস্তায়ও পানি ছিল। আমরা গরিব মানুষ, বাঁশ পালার ঘর, বন্যার পানি আসলেই ঘর এদিকে ভাঙে, ওইদিকে ভাঙে। কিন্তু কেউ আর ঘরটা মেরামত করে দিছে না আমরা নিজেরাই করতে হয়েছে।’
এ বিষয়ে সুনামগঞ্জ পৌর সভার মেয়র নাদের বখত বলেন, কেউ যদি ছবিসহ ক্ষতির পরিমাণ উপস্থাপন করতে পারেন তাহলে সরকারে কাছে যথেষ্ট পরিমাণের ত্রাণ সহযোগিতা ও পুনর্বাসন সহযোগিতা দেওয়ার মতো সক্ষমতা আছে।
এদিকে সুনামগঞ্জে গত দুই দিন তেমন বৃষ্টপাত না হওয়ার কারণে বন্যার পানি নেমেছে। একই সঙ্গে জেলার সুরমা, ধোপাজান, জাদুকাটা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। তবে জেলার নদ নদীর পানি কমলেও তলিয়ে যাওয়া অনেক সড়ক থেকেও এখনো পানি নামেনি। সুনামগঞ্জের নিম্নাঞ্চলের অনেক বাসিন্দাদের বসতভিটায় এখনো পানি থাকতে দেখা গেছে। পানিবন্দীর পরিবার নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে থাকলেও হাওরে পানি আর পানি থাকায় গবাদিপশু নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন তাঁরা।
সুনামগঞ্জ পৌর এলাকার কালিপুর এলাকার বাসিন্দা মানিক মিয়া বলেন, ‘পানি কমছে ঠিক আছে তবে আমাদের এলাকার অনেক বাসা-বাড়িতে এখনো পানি।’
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের আব্দুল বাতেন বলেন, ‘বাড়ির সামনে পানি তাই কাজে কামে বের হতে পারছি না।’
সুনামগঞ্জে নদ-নদীর পানি কমছে। যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। নদ-নদী ও হাওর এলাকার পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে জেলার নিম্নাঞ্চল বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে বলে জানিয়েছে বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্র জানায়, আজ বৃহস্পতিবার বেলা ৩টা পর্যন্ত সুনামগঞ্জের সুরমা নদীর ষোলঘর পয়েন্ট বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সুরমা নদীর ছাতক পয়েন্টে ৮৪ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। ভারতের চেরা পুঞ্জিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শামসুদ্দোহা বলেন, নদীর পানি কমছে। তবে চেরা পুঞ্জিতে গত ২৪ ঘণ্টায় একটু বৃষ্টিপাত হওয়ায় পানি কমছে ধীর গতিতে। তবে দুই এক দিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।
সুনামগঞ্জে নদী ও হাওর এলাকার পানি কমেছে। তবে এখনো তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, ছাতক, দোয়ারাবাজার, ধর্মপাশা, সুনামগঞ্জ পৌর এলাকার সড়ক ও ঘর-বাড়িতে পানি রয়েছে। বসতভিটা ক্ষতি হওয়ায় এখনো সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজ আশ্রয়কেন্দ্রে আছেন অন্তত ৫০টি পরিবার। ঢলের পানিতে গ্রামীণ সড়ক এখনো ডুবে থাকায় ঘর-বাড়ি থেকে বের হতে পারছে না মানুষ। এতে দুর্ভোগে ৬ উপজেলার বাসিন্দারা।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার নতুন হাসননগর এলাকার অজুফা বেগম। স্বামী খোকন মিয়া জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে শয্যাশায়ী। নেই কোনো ছেলে সন্তানও। সংসার চালাতে গিয়ে তিনি অন্যের বাড়িতে কাজ করে নিজেও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। অসুস্থ শরীর নিয়ে কাজ করে কোনো রকম চলছিল তাঁর জীবনযাত্রা। কিন্তু পাহাড়ি ঢল আর অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে সুনামগঞ্জে সৃষ্টি হওয়া বন্যার পানিতে তাঁর ঘরটি ভেঙে বড় বিপাকে পড়েছেন তিনি। অজুফা বেগমের বসত ঘরে কমর সমান পানি উঠে যাওয়ায় তিনি নিরাপদের জন্য আশ্রয় নেন সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজে আশ্রয় নেন।
অজুফা বেগম জানান, গত বছরের বন্যায় ঘরে ক্ষতি হয়েছিল। সেই ঘরই এখন পর্যন্ত মেরামত করতে পারেনি। সরকারি কোনো সহযোগিতা পাননি। এবারও ঢলের পানিতে ঘর যা ছিল তাও একেবারে ভঙ্গুর অবস্থায়।
সুনামগঞ্জে সদর উপজেলার পূর্ব সুলতান পুর গ্রামের আলিমা বেগম বলেন, ‘আমরার ঘরে হাঁটু সমান পানির জন্য ঘর ছেড়ে এসেছি, রাস্তায়ও পানি ছিল। আমরা গরিব মানুষ, বাঁশ পালার ঘর, বন্যার পানি আসলেই ঘর এদিকে ভাঙে, ওইদিকে ভাঙে। কিন্তু কেউ আর ঘরটা মেরামত করে দিছে না আমরা নিজেরাই করতে হয়েছে।’
এ বিষয়ে সুনামগঞ্জ পৌর সভার মেয়র নাদের বখত বলেন, কেউ যদি ছবিসহ ক্ষতির পরিমাণ উপস্থাপন করতে পারেন তাহলে সরকারে কাছে যথেষ্ট পরিমাণের ত্রাণ সহযোগিতা ও পুনর্বাসন সহযোগিতা দেওয়ার মতো সক্ষমতা আছে।
এদিকে সুনামগঞ্জে গত দুই দিন তেমন বৃষ্টপাত না হওয়ার কারণে বন্যার পানি নেমেছে। একই সঙ্গে জেলার সুরমা, ধোপাজান, জাদুকাটা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। তবে জেলার নদ নদীর পানি কমলেও তলিয়ে যাওয়া অনেক সড়ক থেকেও এখনো পানি নামেনি। সুনামগঞ্জের নিম্নাঞ্চলের অনেক বাসিন্দাদের বসতভিটায় এখনো পানি থাকতে দেখা গেছে। পানিবন্দীর পরিবার নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে থাকলেও হাওরে পানি আর পানি থাকায় গবাদিপশু নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন তাঁরা।
সুনামগঞ্জ পৌর এলাকার কালিপুর এলাকার বাসিন্দা মানিক মিয়া বলেন, ‘পানি কমছে ঠিক আছে তবে আমাদের এলাকার অনেক বাসা-বাড়িতে এখনো পানি।’
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের আব্দুল বাতেন বলেন, ‘বাড়ির সামনে পানি তাই কাজে কামে বের হতে পারছি না।’
সুনামগঞ্জে নদ-নদীর পানি কমছে। যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। নদ-নদী ও হাওর এলাকার পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে জেলার নিম্নাঞ্চল বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে বলে জানিয়েছে বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্র জানায়, আজ বৃহস্পতিবার বেলা ৩টা পর্যন্ত সুনামগঞ্জের সুরমা নদীর ষোলঘর পয়েন্ট বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সুরমা নদীর ছাতক পয়েন্টে ৮৪ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। ভারতের চেরা পুঞ্জিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শামসুদ্দোহা বলেন, নদীর পানি কমছে। তবে চেরা পুঞ্জিতে গত ২৪ ঘণ্টায় একটু বৃষ্টিপাত হওয়ায় পানি কমছে ধীর গতিতে। তবে দুই এক দিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় কৃষি খাতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। টানা কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে ওই এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে উপজেলার গ্রীষ্মকালীন সবজি, আউশ ধানের বীজতলা ও রোপা আউশ ধান চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেউত্তরাঞ্চলের যোগাযোগের প্রধান সড়ক রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়ক। এ মহাসড়কের রংপুরের পাগলাপীর থেকে মেডিকেল মোড় পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার অংশ এখন পথচারী ও যানবাহনের জন্য মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। হাজারো গর্তে ভরা এই মহাসড়কে প্রতিদিন চলাচল করতে হচ্ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে। ভোগান্তির শেষ নেই যাত্রী ও চালকদের।
৫ ঘণ্টা আগেরাজধানী ঢাকার কোরবানির অস্থায়ী ও স্থায়ী পশুর হাটগুলোতে ক্রেতার অপেক্ষায় ব্যাপারীরা। গরু-ছাগলে হাটগুলো ভরে উঠলেও ক্রেতা কম। তাঁদের মধ্যেও বেশির ভাগ আসছেন দাম যাচাই করতে। ধারণা করা হচ্ছে, আজ বুধবার অফিস শেষে ঈদের সরকারি ছুটি শুরু হলে হাটে অনেক ক্রেতা আসবেন, মূল বেচাকেনা শুরু হবে।
৫ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোর ভয়াবহ বিস্ফোরণের তিন বছর পূর্ণ হচ্ছে আজ। এই তিন বছরে ডিপো এলাকায় আগের চিত্র ফিরলেও এখন পর্যন্ত থামেনি স্বজন হারানোর কান্না। ভয়াবহ এ বিস্ফোরণে যেনতেন বিচারে যেমন নিহত ব্যক্তিদের স্বজনদের মনে স্বস্তি ফেরেনি, তেমনি উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ না পাওয়ার...
৫ ঘণ্টা আগে