Ajker Patrika

বকেয়া বেতনের দাবিতে কমলগঞ্জে চা-শ্রমিকদের মানববন্ধন

আপডেট : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫: ৫৩
বকেয়া বেতনের দাবিতে কমলগঞ্জে চা-শ্রমিকদের মানববন্ধন

বকেয়া মজুরি ও প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকার দাবিতে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে চা-বাগানে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন প্রায় দেড় হাজার চা-শ্রমিক। আজ শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত উপজেলার কুরমা চা-বাগান ফ্যাক্টরির প্রধান ফটকের সামনে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন চা-শ্রমিকেরা। 

ন্যাশনাল টি কোম্পানির (এনটিসি) মালিকানাধীন কুরমা চা-বাগানে ২০ দিন ধরে বেতন-ভাতা, প্রভিডেন্ট ফান্ড, রেশন ও চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন চা-শ্রমিকেরা। অন্যদিকে একই দাবিতে উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের মদনমোহনপুর, চাম্পারায়, বাঘাছড়া, পদ্মছড়া চা-বাগানে চা-শ্রমিকদের সাপ্তাহিক মজুরি প্রদান না করায় এক ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছেন। 

মানববন্ধনে কুরমা চা-বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি নারদ পাসী বলেন, ‘চা-বাগানের শ্রমিকদের ২০ দিন ধরে মজুরি বন্ধ রয়েছে। শুধু মজুরি নয়, তাদের রেশন ও চিকিৎসাসেবাও বন্ধ রয়েছে, হাসপাতালগুলোতে ওষুধ নেই। এ ছাড়া ১৫ মাস ধরে আমাদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা দিচ্ছে না। কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সবকিছু লুটেপুটে খেয়েছে। কত কষ্ট করে প্রতিদিন শ্রমিকেরা কাজ করে যাচ্ছে, কিন্তু মজুরি বন্ধ করে রাখা হয়েছে। এতে তারা মানবেতর জীবন যাপন করছে। অনেক দোকানি বাকি দিতে চাইছে না। দ্রুত বকেয়া মজুরি দেওয়া না হলে আগামী সোমবার থেকে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’ 

মানববন্ধনে চা-শ্রমিক মুক্তার রানী বাউরী বলেন, ‘মজুরি বন্ধ দুই সপ্তাহের ওপরে। পরিবারের লোকজন নিয়ে না খেয়ে থাকতে হচ্ছে। এখন আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে।’ 

আরেক শ্রমিক সাথী বিলাস বলেন, ‘মজুরি বন্ধ থাকায় বাগানের কোনো দোকানপাট থেকে বাকিতেও কোনো কিছুই কিনতে পারছি না। এভাবে মজুরি বন্ধ থাকলে আমাদের না খেয়ে মরতে হবে।’ 

মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য নুরুল হক, পঞ্চায়েত সদস্য নওশাদ আহমেদ, বালক দাস পাইনকা, চা-শ্রমিক সন্ধ্যা বুনার্জী, প্রদীপ রজক, যোগেষ রজত, দিলীপ পাইনকা, চা–নেত্রী গীতা রানী কানু প্রমুখ। 

এ সময় বক্তারা বলেন, ‘চা-বাগানের শ্রমিকদের দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে মজুরি বন্ধ রয়েছে। কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সবকিছু লুটেপুটে খেয়েছে। কত কষ্ট করে প্রতিদিন শ্রমিকেরা কাজ করে যাচ্ছে, কিন্তু মজুরি বন্ধ করে রাখা হয়েছে। আগামী সোমবারের মধ্যে আমাদের বকেয়া মজুরি দেওয়া না করা হলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন চা–শ্রমিকেরা।’ 
 
কুরমা চা–বাগানের ব্যবস্থাপক ইউসুফ খান বলেন, ‘কোম্পানির পরিচালনা পরিষদ ভেঙে গেছে। তাই সমস্যা হচ্ছে। পুনরায় পরিচালনা পরিষদ গঠন হলে সমস্যা থাকবে না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত