শাল্লা (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
সিলেট সদরসহ উপজেলাগুলোতে প্রবল বর্ষণ আর বন্যায় জীবন বাঁচাতে বাধ্য হয়ে অনেক পরিবার বাড়ি-ঘর ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে। পানিবন্দী মানুষগুলো পড়েছেন খাদ্য সংকটে। বিশুদ্ধ পানি ও অর্থসংকটে মানবেতর জীবন যাপন করছেন শাল্লার বানভাসিরা। খাদ্যের অভাবে ত্রাণ আনতে কোনো যোগাযোগ ব্যবস্থা না পেয়ে কাঠের নৌকার পরিবর্তে ঘরের ওপরে দেওয়ার (চাল) বার্মিজ কাগজ দিয়ে বিকল্পভাবে নৌকা বানিয়ে ত্রাণ আনতে হাওর পাড়ি দিচ্ছেন তারা।
এমনই একজন বানভাসি গৌর চক্রবর্তী (৫২)। উপজেলার হবিবপুর ইউনিয়নের শাসখাই বাজার এলাকায় চোখে পরে তাঁকে।
গতকাল মঙ্গলবার উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শাসখাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আশ্রয়ণ কেন্দ্রে ত্রাণ বিতরণ করা হয়। এ সময় বিলপুর গ্রাম থেকে বার্মিজ কাগজ দিয়ে তৈরি করা নৌকায় ত্রাণ নিতে আসেন গৌর চক্রবতী। তাঁর বাড়িঘর তলিয়ে যাওয়ায় বসবাস করছেন অন্য জায়গায়। পরিবারে অভাব অনটন থাকায় খাদ্য সংকটে পড়েছেন। তাই যেকোনো জায়গায় ত্রাণ বিতরণের খবর পেলেই এভাবে ছুটে চলেন তিনি। বন্যায় বাড়িঘর তলিয়ে গিয়ে কর্মহীন হয়ে পড়ায় দুমুঠো অন্ন জোগানোর কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই ত্রাণ পেতে এভাবেই গত কয়েকদিন ধরেই চলছে তাঁর অবিরাম ছুটে চলা।
আজকের পত্রিকার প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় বানভাসি গৌর চক্রবর্তীর। তিনি জানান, বন্যায় ঘরে কোমর পানি। ধান চাল যা ছিল সবই তলিয়ে গেছে। তাই নিজেদের খাবার জোগানোর কোনো ব্যবস্থা নেই। সরকারিভাবেও বড় ধরনের কোনো সহায়তা এখনো দেওয়া হয়নি। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণের খবর পেয়ে যোগাযোগের কোনো ব্যবস্থা না পেয়ে বার্মিজ দিয়ে নৌকা বানিয়ে ত্রাণ আনতে যান তিনি। তবে এমন দুর্ভোগে এসে পাশে দাঁড়ানোর জন্য উপজেলা প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু তালেব বলেন, শাসখাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আশ্রয়কেন্দ্রে ত্রাণ বিতরণের সময় বার্মিজ দিয়ে নৌকা বানিয়ে এক বৃদ্ধ লোক আসেন ত্রাণ নিতে। পরে তাঁকে শুকনো খাবারসহ বিশুদ্ধ পানি ও ওরস্যালাইন দেওয়া হয়। তিনি খুশি হয়ে বার্মিজ নৌকায় ত্রাণ নিয়ে চলে যান। তবে প্রশাসনের সকল সহযোগিতা তাঁকেসহ প্রত্যেক ভুক্তভোগীকে সহায়তা করা হবে।
সিলেট সদরসহ উপজেলাগুলোতে প্রবল বর্ষণ আর বন্যায় জীবন বাঁচাতে বাধ্য হয়ে অনেক পরিবার বাড়ি-ঘর ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে। পানিবন্দী মানুষগুলো পড়েছেন খাদ্য সংকটে। বিশুদ্ধ পানি ও অর্থসংকটে মানবেতর জীবন যাপন করছেন শাল্লার বানভাসিরা। খাদ্যের অভাবে ত্রাণ আনতে কোনো যোগাযোগ ব্যবস্থা না পেয়ে কাঠের নৌকার পরিবর্তে ঘরের ওপরে দেওয়ার (চাল) বার্মিজ কাগজ দিয়ে বিকল্পভাবে নৌকা বানিয়ে ত্রাণ আনতে হাওর পাড়ি দিচ্ছেন তারা।
এমনই একজন বানভাসি গৌর চক্রবর্তী (৫২)। উপজেলার হবিবপুর ইউনিয়নের শাসখাই বাজার এলাকায় চোখে পরে তাঁকে।
গতকাল মঙ্গলবার উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শাসখাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আশ্রয়ণ কেন্দ্রে ত্রাণ বিতরণ করা হয়। এ সময় বিলপুর গ্রাম থেকে বার্মিজ কাগজ দিয়ে তৈরি করা নৌকায় ত্রাণ নিতে আসেন গৌর চক্রবতী। তাঁর বাড়িঘর তলিয়ে যাওয়ায় বসবাস করছেন অন্য জায়গায়। পরিবারে অভাব অনটন থাকায় খাদ্য সংকটে পড়েছেন। তাই যেকোনো জায়গায় ত্রাণ বিতরণের খবর পেলেই এভাবে ছুটে চলেন তিনি। বন্যায় বাড়িঘর তলিয়ে গিয়ে কর্মহীন হয়ে পড়ায় দুমুঠো অন্ন জোগানোর কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই ত্রাণ পেতে এভাবেই গত কয়েকদিন ধরেই চলছে তাঁর অবিরাম ছুটে চলা।
আজকের পত্রিকার প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় বানভাসি গৌর চক্রবর্তীর। তিনি জানান, বন্যায় ঘরে কোমর পানি। ধান চাল যা ছিল সবই তলিয়ে গেছে। তাই নিজেদের খাবার জোগানোর কোনো ব্যবস্থা নেই। সরকারিভাবেও বড় ধরনের কোনো সহায়তা এখনো দেওয়া হয়নি। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণের খবর পেয়ে যোগাযোগের কোনো ব্যবস্থা না পেয়ে বার্মিজ দিয়ে নৌকা বানিয়ে ত্রাণ আনতে যান তিনি। তবে এমন দুর্ভোগে এসে পাশে দাঁড়ানোর জন্য উপজেলা প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু তালেব বলেন, শাসখাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আশ্রয়কেন্দ্রে ত্রাণ বিতরণের সময় বার্মিজ দিয়ে নৌকা বানিয়ে এক বৃদ্ধ লোক আসেন ত্রাণ নিতে। পরে তাঁকে শুকনো খাবারসহ বিশুদ্ধ পানি ও ওরস্যালাইন দেওয়া হয়। তিনি খুশি হয়ে বার্মিজ নৌকায় ত্রাণ নিয়ে চলে যান। তবে প্রশাসনের সকল সহযোগিতা তাঁকেসহ প্রত্যেক ভুক্তভোগীকে সহায়তা করা হবে।
রাজশাহীতে রিকশাচালককে জুতাপেটা করে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পবা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা জাহিদ হাসান রাসেলের কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ ছিলেন বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাঁর বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দুটি লিখিত অভিযোগও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এসব বিষয়ে কোনো তদন্ত হয়নি। ফলে বারবার পার পেয়ে গেছেন
২ মিনিট আগেমাসালা দোসা, হায়দরাবাদি চিকেনসহ বিদেশি স্বাদের খাবার যেমন আছে, তেমনি রয়েছে দেশের প্রচলিত ইফতার—ছোলা, মুড়ি, বেগুনি। নানান স্বাদের বাহারি ইফতারসামগ্রী স্তরে স্তরে সাজানো। রকমারি এসব ইফতার নিয়ে ক্রেতার অপেক্ষায় বসে আছেন বিক্রয়কর্মীরা। তবে ক্রেতা তুলনামূলক কম।
৩৫ মিনিট আগেরংপুরের পীরগাছা উপজেলা দিয়ে বয়ে যাওয়া প্রমত্তা তিস্তা নদীতে এখন হাঁটুপানি। যে তিস্তায় একসময় উত্তাল ঢেউ ছিল, সেখানে এখন ধু-ধু বালুচর। নাব্যতা হারিয়ে তিস্তা নদী এখন যেন একটি মরা খাল। এর পানি শুকিয়ে যাওয়ায় প্রায় ৪ হাজার জেলে ও মাঝি বেকার হয়ে পড়েছেন। পরিবার নিয়ে তাঁদের মানবেতর জীবন কাটছে।
৩৮ মিনিট আগেময়মনসিংহের গৌরীপুর পৌর শহরের নয়াপাড়া মহল্লার বাসিন্দা হোসনে আরা খাতুনের বাসার টেলিফোন সংযোগ ছিল একসময়। ১০ বছর আগে হঠাৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তখন স্থানীয় বিটিসিএল কার্যালয়ে যোগাযোগ করেছেন সংযোগ সচল করতে। তারা জানিয়েছে, মাটির নিচের কেব্ল লাইন নষ্ট হয়েছে। বরাদ্দ এলে মেরামত করা হবে।
৪১ মিনিট আগে