Ajker Patrika

বন্যা ও শিক্ষকদের কর্মবিরতিতে সেশন জটের আশঙ্কায় শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা

তানভীর হাসান, শাবিপ্রবি
আপডেট : ২৮ জুন ২০২৪, ১০: ৪৯
বন্যা ও শিক্ষকদের কর্মবিরতিতে সেশন জটের আশঙ্কায় শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) ঈদুল আজহার ছুটির পর ক্লাস-পরীক্ষা শুরুর কথা ছিল। কিন্তু চলতি জুন মাসে কয়েক দফা বন্যার কারণে ক্লাস অনলাইনে চলে গেলেও পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এরই মধ্যে সর্বজনীন পেনশন স্কিমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের যুক্ত করে ঘোষিত প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবিতে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান আন্দোলনের ঢেউ শাবিপ্রবিতেও লেগেছে।

এসবের কারণে ব্যাঘাত ঘটছে স্বাভাবিক কার্যক্রমে। এতে করে শিক্ষার্থীরা সেশনজটের আশঙ্কা করছেন। বিশেষ করে স্নাতক শেষ বর্ষ ও স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীরা বেশি দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের মাভৈঃ আবৃত্তি সংসদের আহ্বায়ক ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী শাহরিয়া আফরিন প্রকৃতি বলেন, ‘বন্যার কারণে বেশ কয়েকটি বিভাগের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। এখন শিক্ষকদের কর্মবিরতি চলতে থাকলে বড় সেশনজটের মুখে পড়তে হবে। পারিবারিকভাবে অনেকে সচ্ছল নয়। পড়াশোনা শেষে দ্রুতই চাকরির প্রতিযোগিতায় নামতে হবে। এমনিতেই মহামারি করোনার কারণে শিক্ষাজীবনের দুই বছর ক্ষতি হয়েছে। এটা কিন্তু সার্টিফিকেটে উল্লেখ থাকবে না। শেষ পর্যন্ত দেখা যাবে চাকরির প্রস্তুতির জন্য সময়ই পাওয়া যায়নি। একসময় চাকরির বয়সই শেষ হয়ে যাবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী হাবিবুর রহমান মাসরুর বলেন, ‘ভিসিবিরোধী আন্দোলনসহ নানা পরিস্থিতির কারণে আমরা ইতিমধ্যে এক থেকে দেড় বছরের সেশনজটে আছি। বর্তমানে শিক্ষকদের কর্মবিরতি যদি আরো প্রলম্বিত হয়, তাহলে লম্বা সেশনজটের আশঙ্কা করছি। এতে ক্যারিয়ারে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। সব শিক্ষার্থীই বিসিএস, গবেষণা কিংবা উচ্চশিক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। সেশনজটের কারণে সবাই ক্ষতির সম্মুখীন হবে।’

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এখানে সাধারণত মে থেকে জুলাই মাসের মধ্যে সেমিস্টারের ফাইনাল পরীক্ষা হয়। এবার ২৬ মে থেকে ২০ জুন পর্যন্ত গ্রীষ্মকালীন ও ঈদের ছুটি ছিল। ছুটি চলাকালে ১৭ জুন থেকে বন্যা পরিস্থিতির অবনতিতে বিপাকে পড়েন ছুটিতে বাড়িতে যাওয়া শিক্ষার্থীরা। এমন পরিস্থিতিতে ২১ জুন থেকে অনলাইনে ক্লাস কার্যক্রম চালু ও ২৩ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত বিভিন্ন বিভাগের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষাগুলো স্থগিত করা হয়।

অন্যদিকে সরকার ঘোষিত পেনশনের প্রত্যয় স্কিম প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। সর্বশেষ গতকাল বৃহস্পতিবার অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেন শিক্ষকেরা। আগামী ৩০ জুন পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করবেন তাঁরা। আর দাবি আদায় না হলে ১ জুলাই থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষকেরা। এতে ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ থাকবে।

এ নিয়ে কথা হলে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর কবির বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থীরা সেশনজটের কবলে পড়ুক তা কোনোভাবেই কাম্য নয়। ৩০ জুনের আগেই শিক্ষকদের দাবির ব্যাপারে সরকার কথা বলে সমাধান করবে বলে আমরা আশাবাদী।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পদোন্নতি দিয়ে ৬৫ হাজার সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগের পরিকল্পনা: ডিজি

দিনাজপুরে হিন্দু নেতাকে অপহরণ করে হত্যা: ভারত সরকার ও বিরোধী দল কংগ্রেসের উদ্বেগ

সমালোচনার মুখে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের নিয়োগ বাতিল

আজ থেকে ৫০০ টাকায় মিলবে ১০ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট

মির্জা ফখরুলের কাছে অভিযোগ, ১৬ দিনের মাথায় ঠাকুরগাঁও থানার ওসি বদলি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত