কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
টিকা না নিলে ক্লাসে যাওয়া যাবে না, সরকারের এমন নির্দেশনার পর টিকার বুথগুলোতে স্কুল শিক্ষার্থীদের ভিড় বাড়ছে। শীত উপেক্ষা করে বিভিন্ন উপজেলা থেকে জেলা সদরে আসছে। সকাল থেকে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে টিকা নিচ্ছে তারা।
এতসব ভোগান্তির মধ্যে ছাত্রীদের জন্য বাড়তি বিড়ম্বনা হয়ে যুক্ত হয়েছে বখাটে ছাত্ররা। একাধিক ছাত্রী অভিযোগ করেছে, দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে পা ব্যথা হয়ে যাচ্ছে তাদের। এর মধ্যে কিছু ছেলে তাদের নানাভাবে হয়রানি করছে। আপত্তিকর ইশারা ইঙ্গিত করছে। নানা কথা বলছে, শীর্ষ দিচ্ছে।
বৃহস্পতিবার কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের টিকা বুথে গেলে অনেক ছাত্রীই এ প্রতিবেদকের কাছে এসব অভিযোগ করে।
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে অবস্থিত টিকা কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, ছেলে ও মেয়েদের জন্য আলাদা আলাদা বুথ। তবে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির তুলনায় বুথের সংখ্যা কম হওয়ায় দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। মেয়েদের লাইনে শৃঙ্খলা থাকলেও ছেলেদের অনেকে লাইন ছেড়ে ইতস্তত ঘুরছে। কেউবা মেয়েদের বুথের সামনে, কেউ মেয়েদের লাইনের আশপাশে অযথা ঘোরাফেরা করছে, মেয়েদের বিরক্ত করছে। হাসপাতালের প্রবেশপথেও কয়েকটি ছেলেকে দলবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে মেয়েদের উদ্দেশ করে কটূক্তি করতে দেখা গেছে। কয়েকজন আবার প্ল্যাকার্ড নিয়ে, শিষ বাজিয়ে মেয়েদের উত্ত্যক্ত করছে।
টিকা নিতে আসা কুড়িগ্রাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির এক ছাত্রী বলে, ‘আমরা বান্ধবীরা টিকা নেওয়ার জন্য অনেকক্ষণ ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। ছেলেরা আমাদের সরাসরি প্রোপোজ করছে। এখানে দেখার কেউ নেই। এটা খুবই বিরক্তিকর।’
৭ম শ্রেণির এক ছাত্রী জানায়, সে টিকা নিয়ে বাড়ি যাচ্ছিল। হাসপাতালের গেটের সামনে কয়েকজন ছেলে তাকে ঘিরে ধরে ‘গার্লফ্রেন্ড’ হবে কি না জিজ্ঞাসা করছিল। ওই শিক্ষার্থী বলে, ‘আমি বিষয়টাতে অপ্রস্তুত হয়ে পড়ি। কিছুটা ভয়ও পেয়ে গেছি।’
ছেলেদের এমন কাণ্ডে অনেকে টিকা না নিয়েই বাড়ি ফিরে গেছে বলেও জানা গেছে।
কুড়িগ্রাম মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী বলে, ‘সকাল ১০টার সময় এসেছি টিকা নিতে, দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকায় খারাপ লাগছে, এর ওপর ছেলেরা বাজে বাজে কথা বলছে। তাই টিকা না নিয়ে বাসায় চলে যাচ্ছি।’
বিষয়টি নিয়ে কয়েকজন ছাত্রের সঙ্গে কথা বলতে গেলে সাংবাদিক দেখেই তারা দ্রুত স্থান ত্যাগ করে।
এ বিষয়ে জানালে হাসপাতালে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশের এএসআই আনোয়ারুল করীম বলেন, ‘আমরা হাসপাতালের পুলিশ বক্সের দায়িত্বে রয়েছি। টিকার কেন্দ্রে আমাদের দায়িত্ব নেই। তারপরও বিষয়টি দেখছি।’
জেলার সিভিল সার্জন ডা. মো. মনজুর এ-মুর্শেদকে বিষয়টি জানালে তিনি বলেন, ‘এটি সমাধানে সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলোর শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষকদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে শিক্ষা বিভাগকে বলা হয়েছে। এ ছাড়া সদর থানার ওসি সাহেবকে পুলিশি টহল বাড়ানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষকেরা উপস্থিত থাকলে এ ধরনের ইভটিজিংয়ের ঘটনা ঘটবে না।’
টিকা না নিলে ক্লাসে যাওয়া যাবে না, সরকারের এমন নির্দেশনার পর টিকার বুথগুলোতে স্কুল শিক্ষার্থীদের ভিড় বাড়ছে। শীত উপেক্ষা করে বিভিন্ন উপজেলা থেকে জেলা সদরে আসছে। সকাল থেকে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে টিকা নিচ্ছে তারা।
এতসব ভোগান্তির মধ্যে ছাত্রীদের জন্য বাড়তি বিড়ম্বনা হয়ে যুক্ত হয়েছে বখাটে ছাত্ররা। একাধিক ছাত্রী অভিযোগ করেছে, দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে পা ব্যথা হয়ে যাচ্ছে তাদের। এর মধ্যে কিছু ছেলে তাদের নানাভাবে হয়রানি করছে। আপত্তিকর ইশারা ইঙ্গিত করছে। নানা কথা বলছে, শীর্ষ দিচ্ছে।
বৃহস্পতিবার কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের টিকা বুথে গেলে অনেক ছাত্রীই এ প্রতিবেদকের কাছে এসব অভিযোগ করে।
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে অবস্থিত টিকা কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, ছেলে ও মেয়েদের জন্য আলাদা আলাদা বুথ। তবে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির তুলনায় বুথের সংখ্যা কম হওয়ায় দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। মেয়েদের লাইনে শৃঙ্খলা থাকলেও ছেলেদের অনেকে লাইন ছেড়ে ইতস্তত ঘুরছে। কেউবা মেয়েদের বুথের সামনে, কেউ মেয়েদের লাইনের আশপাশে অযথা ঘোরাফেরা করছে, মেয়েদের বিরক্ত করছে। হাসপাতালের প্রবেশপথেও কয়েকটি ছেলেকে দলবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে মেয়েদের উদ্দেশ করে কটূক্তি করতে দেখা গেছে। কয়েকজন আবার প্ল্যাকার্ড নিয়ে, শিষ বাজিয়ে মেয়েদের উত্ত্যক্ত করছে।
টিকা নিতে আসা কুড়িগ্রাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির এক ছাত্রী বলে, ‘আমরা বান্ধবীরা টিকা নেওয়ার জন্য অনেকক্ষণ ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। ছেলেরা আমাদের সরাসরি প্রোপোজ করছে। এখানে দেখার কেউ নেই। এটা খুবই বিরক্তিকর।’
৭ম শ্রেণির এক ছাত্রী জানায়, সে টিকা নিয়ে বাড়ি যাচ্ছিল। হাসপাতালের গেটের সামনে কয়েকজন ছেলে তাকে ঘিরে ধরে ‘গার্লফ্রেন্ড’ হবে কি না জিজ্ঞাসা করছিল। ওই শিক্ষার্থী বলে, ‘আমি বিষয়টাতে অপ্রস্তুত হয়ে পড়ি। কিছুটা ভয়ও পেয়ে গেছি।’
ছেলেদের এমন কাণ্ডে অনেকে টিকা না নিয়েই বাড়ি ফিরে গেছে বলেও জানা গেছে।
কুড়িগ্রাম মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী বলে, ‘সকাল ১০টার সময় এসেছি টিকা নিতে, দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকায় খারাপ লাগছে, এর ওপর ছেলেরা বাজে বাজে কথা বলছে। তাই টিকা না নিয়ে বাসায় চলে যাচ্ছি।’
বিষয়টি নিয়ে কয়েকজন ছাত্রের সঙ্গে কথা বলতে গেলে সাংবাদিক দেখেই তারা দ্রুত স্থান ত্যাগ করে।
এ বিষয়ে জানালে হাসপাতালে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশের এএসআই আনোয়ারুল করীম বলেন, ‘আমরা হাসপাতালের পুলিশ বক্সের দায়িত্বে রয়েছি। টিকার কেন্দ্রে আমাদের দায়িত্ব নেই। তারপরও বিষয়টি দেখছি।’
জেলার সিভিল সার্জন ডা. মো. মনজুর এ-মুর্শেদকে বিষয়টি জানালে তিনি বলেন, ‘এটি সমাধানে সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলোর শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষকদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে শিক্ষা বিভাগকে বলা হয়েছে। এ ছাড়া সদর থানার ওসি সাহেবকে পুলিশি টহল বাড়ানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষকেরা উপস্থিত থাকলে এ ধরনের ইভটিজিংয়ের ঘটনা ঘটবে না।’
সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় মিজানুর রহমান (৪৮) নামের বাংলাদেশি এক গাড়িচালক নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার বাংলাদেশ সময় ভোর ৫টার দিকে সৌদি আরবের আবহা শহরের মাহাইল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত মিজানুর রহমান চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়নের আদশা গ্রামের মৃত এরশাদ মিজির ছেলে।
২ মিনিট আগেফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ৯ গ্রামে। ঝড়ে গাছপালা, কাঁচা-পাকা ঘরবাড়িসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি হয়েছে। বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে।
৯ মিনিট আগেমচমচে শিঙাড়া। দেখলেই চোখ জুড়িয়ে যায়। ত্রিকোণ বা পিরামিড আকৃতির এই খাবার সবার কাছেই ভীষণ লোভনীয়। একটু খিদে মেটাতে দুপুরের আগে বা বিকেলে শিঙাড়া অসম্ভব এক তৃপ্তি আনে। কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলায় এই শিঙাড়া নিয়ে ঘটেছে এক মজার ঘটনা। পাঁচ বন্ধু মিলে অর্ডার করে বানিয়েছেন দুই কেজি করে ওজনের দুটি শিঙাড়া।
১২ মিনিট আগেখুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) চলমান সংকট নিরসনে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আলোচনায় বসেছেন। আজ সোমবার দুপুরে এই আলোচনা শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ ইলিয়াছ আক্তার এর আগে আমরণ অনশনের আগে শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় বসে সমস্যা...
১৭ মিনিট আগে