Ajker Patrika

দিনাজপুরে বৃষ্টির পরিবর্তে উঁকি দিল সূর্য, জনমনে স্বস্তি

দিনাজপুর প্রতিনিধি
দিনাজপুরে বৃষ্টির পরিবর্তে উঁকি দিল সূর্য, জনমনে স্বস্তি

শৈত্যপ্রবাহ, টানা কয়েক দিন কুয়াশা ও মেঘাচ্ছন্ন থাকার পাশাপাশি আবহাওয়ার পূর্বাভাস ছিল হতে পারে বৃষ্টি। তবে না হলেও দুপুরের পর অবশেষে তীব্র ঠান্ডার মধ্যে সামান্য উষ্ণতার পরশ পেল দিনাজপুরবাসী। আজ বুধবার দুপুরের পর বেলা ৩টার দিকে সামান্য সময়ের জন্য সূর্যের দেখা মেলে। তবে তা ঘণ্টাখানেক স্থায়ী হয়। অল্প সময়ের জন্য হলেও সূর্যের দেখা পাওয়ায় জনমনে মাঝে স্বস্তি ফিরে আসে।

দুপুরের পর সূর্যের দেখা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কয়েক দিনের ঠান্ডা কাবু হয়ে যাওয়া মানুষদের অনেকেই রাস্তায় দাঁড়িয়ে সূর্যের আলো পোহাতে দেখা যায়। সড়কে বেড়ে যায় মানুষের চলাচল।

শহরের গণেশতলা এলাকার বাসিন্দা রাবেয়া খাতুন বলেন, ‘সূর্য ওঠায় ভালো লাগছে। কয়েক দিনের ঠান্ডায় একবারে জমে গেছি। একটু ২-৩ দিন রোদ হয়ে আবার শীত পড়ুক তাহলেই হয়। বাসায় অনেক কাপড় জমে গেছে। রোদ না থাকায় পরিষ্কার করতে পারছি না।’

সুইহারী এলাকার বেলাল চৌধুরী বলেন, ‘এবারের ঠান্ডাটা মারাত্মক। গত কয়েক বছরে এত শীত পড়েনি। আমাদের মতন বয়স্ক মানুষের মাংসের হাড়ে পর্যন্ত গিয়ে আঘাত করেছে। আজকে রোদ দেখার সঙ্গে সঙ্গে চেয়ার নিয়ে রোদে বসেছি। সূর্যের আলোটা খুব মিষ্টি লাগছে। যতক্ষণ রোদ থাকে একটু শরীরটা গরম নেই।’

আবহাওয়া কার্যালয়ের তথ্য মতে, বুধবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ আর বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১ নটস্।

দিনাজপুর আবহাওয়া কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, গত কয়েক দিন থেকেই দিনাজপুরসহ রংপুর বিভাগে বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল কিন্তু হঠাৎ করেই মেঘ দক্ষিণ–পূর্ব দিকে সরে যাওয়ায় এদিকে বৃষ্টিপাত হয়নি। ৮ থেকে ৯ দিন পর সূর্যের দেখা মিলল।

তিনি আরও বলেন, রাতের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

এদিকে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, টানা শৈত্যপ্রবাহ আর ঠান্ডায় বেড়ে গেছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। গত ২ মাসে শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণে আক্রান্ত হয়ে সহস্রাধিক রোগী জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ ছাড়া গত ২ মাসে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে প্রায় আড়াই হাজার রোগী জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়। তবে এখন পর্যন্ত শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর কোনো ঘটনা ঘটেনি।

জেলা সিভিল সার্জন ডা. এএইচএম বোরহানুল ইসলাম সিদ্দিকী আজকের পত্রিকাকে বলেন, উত্তরাঞ্চলে বরাবরই শীত বেশি পড়ে। গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার শীতের প্রকোপ অনেক বেশি। চলতি মৌসুমে একটানা কয়েক দিন সূর্যের দেখা না পাওয়ায় ভোগান্তি অনেক বেড়েছে।

তিনি আরও বলেন, সাবধানতা অবলম্বনের কোনো বিকল্প নেই। বিশেষ করে বয়স্ক ও শিশুদের দিকে বেশি নজর দিতে হবে। গরম খাবার ও গরম পানি খেতে হবে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত