লালমনিরহাট প্রতিনিধি
লালমনিরহাট সদরে পুলিশ দেখে নদীতে লাফ দিয়ে নিখোঁজের দুই দিন পর সেই কিশোর শান্ত রায়ের (১৪) লাশ ভেসে উঠেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের মেঘারাম গ্রামের ছয়মাতার ঘাট এলাকায় নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
এর আগে গত রোববার দুপুরে ওই এলাকায় নদীতে লাফ দিয়ে নিখোঁজ হয় শান্ত। গতকাল সোমবার দিনভর উদ্ধার অভিযান চালিয়েও কোনো সন্ধান পায়নি ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
মৃত কিশোর শান্ত রায় পার্শ্ববর্তী কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের গোড়কমণ্ডল গ্রামের বিনদ চন্দ্র বর্মণের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছে, কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার গোড়কমণ্ডল থেকে মোটরসাইকেলের সিটের নিচে করে গাঁজা নিয়ে একটি চক্র লালমনিরহাটের দিকে আসছে। গোপন খবর পেয়ে অভিযান চালায় লালমনিরহাট জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একটি দল। সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের মেঘারাম গ্রামে ধরলা নদীর ছয়মাতার ঘাট নামের একটি নৌ ঘাটে অবস্থান নেয় ডিবি পুলিশ। দুপুরে নৌকা ঘাটে পৌঁছামাত্র ডিবি পুলিশ মোটরসাইকেলসহ অমল চন্দ্র নামের একজনকে আটক করে চার কেজি গাঁজা জব্দ করে।
এ সময় পুলিশ দেখে শান্ত রায় নৌকা থেকে ধরলা নদীতে লাফ দিয়ে কিছু দূর সামনে উঁচু স্থানে অবস্থান নেয়। পরে পুলিশ সেখানে ধাওয়া দেওয়ার চেষ্টা করলে পুনরায় নদীতে লাফ দেয় শান্ত। এর পর থেকে তার কোনো সন্ধান মিলছিল না। খবর পেয়ে ওই দিন রাতে ও পরদিন দিনভর ধরলা নদীতে উদ্ধার অভিযান চালায় পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। দলটি তার কোনো সন্ধান মেলাতে ব্যর্থ হয়।
গাঁজা জব্দের ওই ঘটনায় ডিবির এসআই জয়েন উদ্দিন বাদী হয়ে আটক অমল চন্দ্র ও নিখোঁজ শান্ত রায়ের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন। মামলায় আটক অমলকে গ্রেপ্তার দেখানো হলেও নিখোঁজ শান্ত রায়কে পলাতক দেখায় পুলিশ।
আজ ঘটনাস্থলে শান্তর লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেন। সদর থানা-পুলিশ লাশ উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
মৃত শান্ত রায়ের ভাই স্বপন রায় বলেন, ‘পুলিশের তাড়া খেয়ে আমার ভাই ভয়ে নদীতে লাফ দিয়ে সাঁতার কেটে সামনে উঁচুতে উঠে জীবন রক্ষার চেষ্টা করে। সেখানে একজন নারী তাকে বাঁচানোর জন্য নৌকায় এগিয়ে আসতেই পুলিশ তাঁকে নিষেধ করে এবং নদীতে নেমে আমার ভাইকে আটকের হুমকি দেয়। এতে ভয় পেয়ে শান্ত পুনরায় নদীতে লাফ দেয়। পুলিশ চাইলে তাকে বাঁচাতে পারত। তা না করে নিশ্চিত মৃত্যুর দিকে তাকে ঠেলে দিয়েছে। এটা কোনো দুর্ঘটনা নয়। এটি পরিকল্পিত হত্যা। আমরা মামলা করব। ভাইয়ের হত্যার বিচার দাবি জানাই।’
লালমনিরহাট ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাদ আহমেদ বলেন, ‘আমাদের হাতে আটকের আগেই শান্ত নামে অপর একজন মাদক কারবার পালিয়েছে। আমরা তাকে ধাওয়া দিইনি। মাদক জব্দের ঘটনায় করা মামলায় শান্ত রায়ও পলাতক আসামি।’
লালমনিরহাট সদর থানার ওসি নুর নবী বলেন, নদী থেকে শান্ত রায় নামের এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আপাতত অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে।
লালমনিরহাট সদরে পুলিশ দেখে নদীতে লাফ দিয়ে নিখোঁজের দুই দিন পর সেই কিশোর শান্ত রায়ের (১৪) লাশ ভেসে উঠেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের মেঘারাম গ্রামের ছয়মাতার ঘাট এলাকায় নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
এর আগে গত রোববার দুপুরে ওই এলাকায় নদীতে লাফ দিয়ে নিখোঁজ হয় শান্ত। গতকাল সোমবার দিনভর উদ্ধার অভিযান চালিয়েও কোনো সন্ধান পায়নি ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
মৃত কিশোর শান্ত রায় পার্শ্ববর্তী কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের গোড়কমণ্ডল গ্রামের বিনদ চন্দ্র বর্মণের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছে, কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার গোড়কমণ্ডল থেকে মোটরসাইকেলের সিটের নিচে করে গাঁজা নিয়ে একটি চক্র লালমনিরহাটের দিকে আসছে। গোপন খবর পেয়ে অভিযান চালায় লালমনিরহাট জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একটি দল। সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের মেঘারাম গ্রামে ধরলা নদীর ছয়মাতার ঘাট নামের একটি নৌ ঘাটে অবস্থান নেয় ডিবি পুলিশ। দুপুরে নৌকা ঘাটে পৌঁছামাত্র ডিবি পুলিশ মোটরসাইকেলসহ অমল চন্দ্র নামের একজনকে আটক করে চার কেজি গাঁজা জব্দ করে।
এ সময় পুলিশ দেখে শান্ত রায় নৌকা থেকে ধরলা নদীতে লাফ দিয়ে কিছু দূর সামনে উঁচু স্থানে অবস্থান নেয়। পরে পুলিশ সেখানে ধাওয়া দেওয়ার চেষ্টা করলে পুনরায় নদীতে লাফ দেয় শান্ত। এর পর থেকে তার কোনো সন্ধান মিলছিল না। খবর পেয়ে ওই দিন রাতে ও পরদিন দিনভর ধরলা নদীতে উদ্ধার অভিযান চালায় পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। দলটি তার কোনো সন্ধান মেলাতে ব্যর্থ হয়।
গাঁজা জব্দের ওই ঘটনায় ডিবির এসআই জয়েন উদ্দিন বাদী হয়ে আটক অমল চন্দ্র ও নিখোঁজ শান্ত রায়ের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন। মামলায় আটক অমলকে গ্রেপ্তার দেখানো হলেও নিখোঁজ শান্ত রায়কে পলাতক দেখায় পুলিশ।
আজ ঘটনাস্থলে শান্তর লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেন। সদর থানা-পুলিশ লাশ উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
মৃত শান্ত রায়ের ভাই স্বপন রায় বলেন, ‘পুলিশের তাড়া খেয়ে আমার ভাই ভয়ে নদীতে লাফ দিয়ে সাঁতার কেটে সামনে উঁচুতে উঠে জীবন রক্ষার চেষ্টা করে। সেখানে একজন নারী তাকে বাঁচানোর জন্য নৌকায় এগিয়ে আসতেই পুলিশ তাঁকে নিষেধ করে এবং নদীতে নেমে আমার ভাইকে আটকের হুমকি দেয়। এতে ভয় পেয়ে শান্ত পুনরায় নদীতে লাফ দেয়। পুলিশ চাইলে তাকে বাঁচাতে পারত। তা না করে নিশ্চিত মৃত্যুর দিকে তাকে ঠেলে দিয়েছে। এটা কোনো দুর্ঘটনা নয়। এটি পরিকল্পিত হত্যা। আমরা মামলা করব। ভাইয়ের হত্যার বিচার দাবি জানাই।’
লালমনিরহাট ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাদ আহমেদ বলেন, ‘আমাদের হাতে আটকের আগেই শান্ত নামে অপর একজন মাদক কারবার পালিয়েছে। আমরা তাকে ধাওয়া দিইনি। মাদক জব্দের ঘটনায় করা মামলায় শান্ত রায়ও পলাতক আসামি।’
লালমনিরহাট সদর থানার ওসি নুর নবী বলেন, নদী থেকে শান্ত রায় নামের এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আপাতত অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে।
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যেন বিভীষিকাময় হয়ে উঠেছে। ফেসবুকে ঢুকলেই ওই দুর্ঘটনার মন খারাপ করা ছবি ও ভিডিও এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নেই। স্ক্রল করতে করতে হঠাৎ চোখ আটকে যায় ‘এসএসসি ০৫-এইচএসসি ০৭’ গ্রুপের একটি পোস্টে।
৩ ঘণ্টা আগেজাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের করিডরে আগের দিনের মতো চিৎকার-চেঁচামেচি ছিল না গতকাল মঙ্গলবার। ছিল না রক্তের জন্য ছোটাছুটি। হাসপাতালজুড়ে কেমন যেন একটা উৎকণ্ঠা। এই উৎকণ্ঠা দগ্ধ শিশুগুলোর স্বজনদের চোখেমুখে। সবার প্রার্থনা, আর যেন কোনো দুঃসংবাদ কানে না আসে, সব শিশু যেন সুস্থ হয়ে ওঠে।
৩ ঘণ্টা আগেশিক্ষার্থীদের প্রতি মমত্ববোধ ও দায়িত্ববোধের অসাধারণ উদাহরণ তৈরি করে গেলেন রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক মাহরীন চৌধুরী। যুদ্ধবিমানটি যখন তাঁর প্রতিষ্ঠানে বিধ্বস্ত হয়, তখনো তিনি অক্ষত ও সুস্থ ছিলেন। কিন্তু বিপদের মুখেই তিনি ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন নিজের সন্তানের মতো ছাত্রছাত্রীদের বাঁচাতে।
৩ ঘণ্টা আগেরাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীদের কোলাহল নেই। বিমানবাহিনীর বিধ্বস্ত প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানের বিকট শব্দে থেমে গেছে সেই কোলাহল। থামেনি সন্তান বা স্বজনহারাদের বুকফাটা কান্না, মাতম। হাসপাতালে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে আহত ও দগ্ধরা।
৩ ঘণ্টা আগে