গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় ইদুল ফিতর উপলক্ষে দুস্থ-অসহায় পরিবারের মাঝে বিনা মূল্যে ১০ কেজি করে ভিজিএফের চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। উপকারভোগীরা বলছেন, তালিকাভুক্ত হতে তাঁরা জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি জমা দিলেও তাঁদের অনেককেই চাল দেওয়া হয়নি। কোলকোন্দ ও মর্ণেয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানের লোকজনের মাঝে দুস্থদের স্লিপ বিক্রি করার অভিযোগ করেছেন।
উপজেলার কোলকোন্দ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ ও মর্ণেয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান জিল্লুর রহমানের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যলয় সূত্রে জানা গেছে, ইদুল ফিতর উপলক্ষে কোলকোন্দ ৪ হাজার ৩৮৭, বেতগাড়ী ৩ হাজার ৮৮৫, বড়বিল ৬ হাজার ৩২৩, গঙ্গাচড়া সদর ৬ হাজার ২০২, লক্ষ্মি টারী ৩ হাজার ৩৫৭, গজঘণ্টা ৫ হাজার ২৫২, মর্ণেয়া ৪ হাজার ২১৪, আলমবিদিতর ৫ হাজার ৩৮৩, নোহালীতে ৩ হাজার ৮২২ টিসহ এ উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে মোট ৪২ হাজার ৮২৫টি দুস্থ-অসহায় পরিবারের মাঝে বিনা মূল্যে ১০ কেজি করে ভিজিএফ এর চাল বিতরণ করার কথা।
ভুক্তভোগীরা জানান, আজ শনিবার সকাল থেকে কোলকোন্দ ও মর্ণেয়া ইউনিয়নের দুস্থদের মাঝে এসব বরাদ্দের চাল বিতরণ শুরু হয়। তবে ভুক্তভোগীদের দাবি, এসব চাল বিতরণ করলেও যারা প্রকৃত দুস্থ তাঁদের মাঝে বিতরণ না করে ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যদের আত্মীয়-স্বজনদের মাঝে কিছু বিতরণ করেন। বাকিসব চালের স্লিপ চাল ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন।
আজ সকালে সরজমিন কোলকোন্দ ইউনিয়নে গেলে দেখা যায়, ইউনিয়ন পরিষদের ভেতর কয়েক লোকজনের হাতে স্লিপ দিয়ে ব্যবসায়ীরা সরকারি বস্তা বদল করে তাঁদের নিজ বস্তায় চাল তুলে নিচ্ছেন। সব চাল তুলে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের মাঠে খামাল দিয়ে রাখছেন।
এ সময় মতিয়ার রহমান নামের (৬০) নামে এক চাল ব্যবসায়ীর কাছে চাল কিনে নেওয়ার বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এগুলো আমার চাল না। এগুলো সাধারণ মানুষের। আমি এখান থেকে কোনো চাল কিনি নাই।’
এ সময় পূর্ণিমা রানী (৫৫) নামের এক নারী ক্ষুব্দ হয়ে ওই চাল ব্যবসায়ীকে বলেন, ‘আপনি মুসলমান মানুষ। রোজা থেকে মিথ্যা কথা বলতেছেন ক্যান? আমার সামনেই তো আপনি চেয়ারম্যানের এক লোকের থেকে সাতটা স্লিপ কিনে নিলেন।’
এ সময় ওই চাল ব্যবসায়ী সেখান থেকে পালিয়ে যান। পরে পাঁচ বস্তাভর্তি চাল ওই ব্যবসায়ীর ছেলে এসে ভ্যানে করে নিয়ে যান।
এ সময় মাহামুদা বেগম বলেন, ‘চেয়াম্যানের লোকজন একেকজনে ৫০-১০০টি স্লিপ পর্যন্ত এই ইউনিয়ন পরিষদে বিক্রি করে দিল। তবু হামার মতো গরিব মানুষক দিল না। গরিব মানুষের রেজেক মারি খায় দেখি তো এখনকার চেয়ারম্যান মেম্বাররা নেংড়া-নুলা হয়।’
এদিকে মর্ণেয়া ইউনিয়নে ঘুরে প্রায় ৫০-৬০ জন ভুক্তভোগীরা জানান, ইউপি চেয়াম্যান ও সদস্যরা তাঁদের পছন্দের লোকজনকে শুধু স্লিপ দিয়েছেন।
এসব চাল এভাবে বিক্রির বিষয় কোলকোন্দ ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আব্দুর রাজ্জাকের কাছে জানতে চাইলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভাই আমার কাজ হচ্ছে চাল বিতরণ করা। চেয়ারম্যান-মেম্বাররা যদি বিক্রি করে তাতে আমার কী করার আছে। আর কে কোথায় বিক্রি করল তা যেনে আমার লাভ নাই।’
পরে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রউফকে সচিব আব্দুর রাজ্জাকের মোবাইল ফোন দিয়ে কল দিলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে তিনি বলেন, ‘সচিব আপনাদের কী বলে আগে শুনেন। আর না শুনলে নিউজ করে দেন।’
এ বিষয়ে মর্ণেয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান বলেন, ‘আমি যা বরাদ্দ পেয়েছি, তাই তালিকা করে দুস্থদের মাঝে বণ্টন করেছি। এখানে স্বজনপ্রীতির কোনো সুযোগ নাই।’
এ বিষয়ে রংপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ মোবাশ্বের হাসানের কথা হলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চাল বিক্রির বিষয়ে যদি কোনো সঠিক প্রামাণ থাকে আমাদেরকে দেন, আমরা ব্যবস্থা নিব।’
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় ইদুল ফিতর উপলক্ষে দুস্থ-অসহায় পরিবারের মাঝে বিনা মূল্যে ১০ কেজি করে ভিজিএফের চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। উপকারভোগীরা বলছেন, তালিকাভুক্ত হতে তাঁরা জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি জমা দিলেও তাঁদের অনেককেই চাল দেওয়া হয়নি। কোলকোন্দ ও মর্ণেয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানের লোকজনের মাঝে দুস্থদের স্লিপ বিক্রি করার অভিযোগ করেছেন।
উপজেলার কোলকোন্দ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ ও মর্ণেয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান জিল্লুর রহমানের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যলয় সূত্রে জানা গেছে, ইদুল ফিতর উপলক্ষে কোলকোন্দ ৪ হাজার ৩৮৭, বেতগাড়ী ৩ হাজার ৮৮৫, বড়বিল ৬ হাজার ৩২৩, গঙ্গাচড়া সদর ৬ হাজার ২০২, লক্ষ্মি টারী ৩ হাজার ৩৫৭, গজঘণ্টা ৫ হাজার ২৫২, মর্ণেয়া ৪ হাজার ২১৪, আলমবিদিতর ৫ হাজার ৩৮৩, নোহালীতে ৩ হাজার ৮২২ টিসহ এ উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে মোট ৪২ হাজার ৮২৫টি দুস্থ-অসহায় পরিবারের মাঝে বিনা মূল্যে ১০ কেজি করে ভিজিএফ এর চাল বিতরণ করার কথা।
ভুক্তভোগীরা জানান, আজ শনিবার সকাল থেকে কোলকোন্দ ও মর্ণেয়া ইউনিয়নের দুস্থদের মাঝে এসব বরাদ্দের চাল বিতরণ শুরু হয়। তবে ভুক্তভোগীদের দাবি, এসব চাল বিতরণ করলেও যারা প্রকৃত দুস্থ তাঁদের মাঝে বিতরণ না করে ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যদের আত্মীয়-স্বজনদের মাঝে কিছু বিতরণ করেন। বাকিসব চালের স্লিপ চাল ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন।
আজ সকালে সরজমিন কোলকোন্দ ইউনিয়নে গেলে দেখা যায়, ইউনিয়ন পরিষদের ভেতর কয়েক লোকজনের হাতে স্লিপ দিয়ে ব্যবসায়ীরা সরকারি বস্তা বদল করে তাঁদের নিজ বস্তায় চাল তুলে নিচ্ছেন। সব চাল তুলে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের মাঠে খামাল দিয়ে রাখছেন।
এ সময় মতিয়ার রহমান নামের (৬০) নামে এক চাল ব্যবসায়ীর কাছে চাল কিনে নেওয়ার বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এগুলো আমার চাল না। এগুলো সাধারণ মানুষের। আমি এখান থেকে কোনো চাল কিনি নাই।’
এ সময় পূর্ণিমা রানী (৫৫) নামের এক নারী ক্ষুব্দ হয়ে ওই চাল ব্যবসায়ীকে বলেন, ‘আপনি মুসলমান মানুষ। রোজা থেকে মিথ্যা কথা বলতেছেন ক্যান? আমার সামনেই তো আপনি চেয়ারম্যানের এক লোকের থেকে সাতটা স্লিপ কিনে নিলেন।’
এ সময় ওই চাল ব্যবসায়ী সেখান থেকে পালিয়ে যান। পরে পাঁচ বস্তাভর্তি চাল ওই ব্যবসায়ীর ছেলে এসে ভ্যানে করে নিয়ে যান।
এ সময় মাহামুদা বেগম বলেন, ‘চেয়াম্যানের লোকজন একেকজনে ৫০-১০০টি স্লিপ পর্যন্ত এই ইউনিয়ন পরিষদে বিক্রি করে দিল। তবু হামার মতো গরিব মানুষক দিল না। গরিব মানুষের রেজেক মারি খায় দেখি তো এখনকার চেয়ারম্যান মেম্বাররা নেংড়া-নুলা হয়।’
এদিকে মর্ণেয়া ইউনিয়নে ঘুরে প্রায় ৫০-৬০ জন ভুক্তভোগীরা জানান, ইউপি চেয়াম্যান ও সদস্যরা তাঁদের পছন্দের লোকজনকে শুধু স্লিপ দিয়েছেন।
এসব চাল এভাবে বিক্রির বিষয় কোলকোন্দ ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আব্দুর রাজ্জাকের কাছে জানতে চাইলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভাই আমার কাজ হচ্ছে চাল বিতরণ করা। চেয়ারম্যান-মেম্বাররা যদি বিক্রি করে তাতে আমার কী করার আছে। আর কে কোথায় বিক্রি করল তা যেনে আমার লাভ নাই।’
পরে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রউফকে সচিব আব্দুর রাজ্জাকের মোবাইল ফোন দিয়ে কল দিলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে তিনি বলেন, ‘সচিব আপনাদের কী বলে আগে শুনেন। আর না শুনলে নিউজ করে দেন।’
এ বিষয়ে মর্ণেয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান বলেন, ‘আমি যা বরাদ্দ পেয়েছি, তাই তালিকা করে দুস্থদের মাঝে বণ্টন করেছি। এখানে স্বজনপ্রীতির কোনো সুযোগ নাই।’
এ বিষয়ে রংপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ মোবাশ্বের হাসানের কথা হলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চাল বিক্রির বিষয়ে যদি কোনো সঠিক প্রামাণ থাকে আমাদেরকে দেন, আমরা ব্যবস্থা নিব।’
বরিশালের হিজলায় প্রায় দেড় কোটি টাকার হাট-বাজার ইজারা কার্যক্রম প্রস্তুত করতে গিয়ে শিডিউল জমাই দিতে পারেনি ঠিকাদারেরা। স্থানীয় বিএনপির একটি পক্ষ উপজেলার ২০টি হাট-বাজারের শিডিউল প্রস্তুত প্রক্রিয়ায় নামে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে পারেনি তারা।
৫ ঘণ্টা আগেবিভাগীয় শহর রংপুরে গত দেড় দশকে মানুষের পাশাপাশি বেড়েছে যানবাহনের চাপ। কিন্তু ট্রাফিক ব্যবস্থার তেমন উন্নতি হয়নি। এতে তীব্র যানজটে দুর্ভোগে পড়তে হয় নগরবাসীকে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে তিন বছর আগে ৩৪ লাখ টাকা ব্যয়ে নগরীতে ডিজিটাল ট্রাফিক সিগন্যাল স্থাপন করা হলেও তা কাজে আসছে না।
৫ ঘণ্টা আগেএককালে ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি। বিএনপির সমর্থন নিয়ে হয়েছিলেন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানও। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ভিড়তে শুরু করেন শামীম ওসমানের সঙ্গে। ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেওয়ায় তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করে বিএনপি।
৫ ঘণ্টা আগেবিশাল সমুদ্রসৈকত। তারই এক পাশের মাটি কেটে বানানো হচ্ছে বাড়ি। কেউ আবার বাড়ির আদলে পুকুর কেটে রেখেছে। অনেকে মাটি কেটে নিজেদের সীমানা তৈরি করেছে। গত ৫ আগস্ট রাজনীতির পটপরিবর্তনের পর পর্যটন সম্ভাবনাময় এলাকা নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার নিঝুম দ্বীপ সৈকতের চিত্র এটি। সেখানে চলছে সৈকতের জায়গা দখলের
৫ ঘণ্টা আগে