গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি
তিস্তার পানি কমতে শুরু করায় নদীপাড় এলাকায় তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙনের আতঙ্কে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিস্তাপারের হাজারো মানুষ। তিস্তার হুমকির মুখে রয়েছে রংপুরের গঙ্গাচড়ার লক্ষ্মীটারী শঙ্করদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ও।
সরেজমিন দেখা যায়, আজ শনিবার বিদ্যালয় থেকে ৫০ ফুট দূরে তিস্তার ভাঙন শুরু হয়েছে। বিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
জানা গেছে, উপজেলার লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের তিস্তার শঙ্করদহ চরে ১৯৯০ সালে প্রথম স্থাপন করা হয় বিদ্যালয়টি। বিদ্যালয়টি চরাঞ্চলের মানুষের শিক্ষার উন্নয়ন করলেও তিস্তার ভাঙন পিছু ছাড়েনি। ২০০৪ সালের ভাঙনে সেখান থেকে বর্তমান স্থানে সেমি পাকা বিদ্যালয়টি নির্মাণ করা হয়। কিন্তু আবারও প্রতিষ্ঠানটি ভাঙনের কবলে পড়েছে। এ অবস্থায় ভাঙনের আতঙ্কে বিদ্যালয়টির মালামাল সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে অন্য জায়গায়। বিভিন্ন সময় তিস্তা ভাঙতে ভাঙতে সেখানকার বসবাসরত পরিবারগুলো অন্য স্থানে চলে যাওয়ায় কমতে কমতে বর্তমানে বিদ্যালয়ে মোট ৭০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। আর শিক্ষক রয়েছেন ছয়জন।
স্থানীয়রা জানান, গত বছরের বন্যায় স্কুলের পার্শ্ববর্তী প্রায় ৫০ পরিবার বাস্তুহারা হয়েছে।
বাবলু মিয়া নামে এক অভিভাবক বলেন, ‘৩০ বছর থাকি এঁটে কোনা আছনো এই ভাঙনোত গতবার বাড়ি সরে নিয়া গেছি। এই স্কুলটায় দীর্ঘদিন থাকি ছওয়াগুলা পড়েচোল। আগোত এটেকোনা ২৫০ থেকে ৩০০ ছওয়া ছিল। এই নদীভাঙনের জন্য বাচ্ছা কমি গেইছে। বাচ্ছাদের ভবিষ্যৎ নিয়া অনদিষাত পড়নো। পানি উন্নয়ন বোর্ড যদি নদীটা শাসন করিল হয় তাহলে আর হামার ছাওয়ার ভবিষ্যৎ নিয়া চিন্তা করা লাগিল না হয়।’
বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী রানা বলে, ‘আগে আমরা এখনে বন্ধুদের সঙ্গে খেলতাম, একসঙ্গে পড়াশোনা করতাম। এখন স্কুল দূরে নিয়ে যাওয়ায় আমাদের এখন কষ্ট হবে।’
বিদ্যালয়ের সহকারী ইলিয়াছ হোসেন বলেন, ‘যেহেতু তিস্তার ভাঙন খুব কাছাকাছি। তাই আমরা ইউএনও, শিক্ষা অফিসার, সহকারী শিক্ষা অফিসারের অনুমতি নিয়ে বিদ্যালয়ের মালামাল সরিয়ে নিচ্ছি। এখানে আগে অনেক বাড়ি ছিল সব ভেঙে গেছে, এখানে আর কোনো লোকজন থাকে না। তাই শিক্ষার্থীরা আসতে চায় না। ভাঙনের কারণে শিক্ষার্থী সংখ্যা দিন দিন কমছে। যেহেতু ভাঙন সন্নিকটে তাই আমরা টিন, অ্যাঙ্গেল এগুলো অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছি। বর্তমানে অস্থায়ীভাবে অন্য জায়গায় ঘর তুলে শিক্ষা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।’
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নাগমা সিলভিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তিস্তার ভাঙনের মুখে পড়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সেখানের স্থানীয় লোকজন এবং শিক্ষা কমিটির সঙ্গে কথা বলে স্কুলের জিনিসপত্র নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। আমরা একটি নিরাপদ স্থান দেখে পুনরায় ভবন নির্মাণের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করব।’
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, যেহেতু নদীর ভাঙন বিদ্যালয়ের একদম কাছে চলে এসেছে। সেহেতু এ মুহূর্তে সেখানে কাজ করা সম্ভব নয়। তারপরও প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অনুমতি পেলে কাজ করা হবে।
এদিকে তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার নিচে নামলেও রংপুরের গঙ্গাচড়ার তিস্তাপারে ছয় ইউনিয়নে কমেনি পানি। শিশুদের মাঝে দেখা দিয়েছে পানিবাহিত রোগ। অনেকে আশ্রয় নিয়েছেন রাস্তার ধারে।
লক্ষ্মীটারি ইউনিয়নের চর কেল্লারপার এলাকার মেনেকো বেগম (৫০) নামের এক নারী বলেন, ‘তিন-চার দিন থাকি বাড়িত যাবার পাইচোল না, মানুষের বাড়িত রান্না করি আনি খাইচোল, কালক্যা রাইতোত একনা একটে থাকি রান্না করি আনছি তায় সকালে খেয়া আছি।’
মেনেকো বেগম আরও জানান, নলকূপ, টয়লেটে পানি ওঠায় বিশুদ্ধ পানির সংকট ও স্যানিটেশন সমস্যায় পড়ছেন তাঁরা।
বাঁধের ধারে বসে শিশুকে ওষুধ খাওয়াচ্ছে জুলেখা নামের এক নারী। তাঁর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, বন্যার পানির কারণে তাঁর কোলের শিশুর ডায়রিয়া হয়েছে।
তিস্তার পানি কমতে শুরু করায় নদীপাড় এলাকায় তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙনের আতঙ্কে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিস্তাপারের হাজারো মানুষ। তিস্তার হুমকির মুখে রয়েছে রংপুরের গঙ্গাচড়ার লক্ষ্মীটারী শঙ্করদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ও।
সরেজমিন দেখা যায়, আজ শনিবার বিদ্যালয় থেকে ৫০ ফুট দূরে তিস্তার ভাঙন শুরু হয়েছে। বিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
জানা গেছে, উপজেলার লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের তিস্তার শঙ্করদহ চরে ১৯৯০ সালে প্রথম স্থাপন করা হয় বিদ্যালয়টি। বিদ্যালয়টি চরাঞ্চলের মানুষের শিক্ষার উন্নয়ন করলেও তিস্তার ভাঙন পিছু ছাড়েনি। ২০০৪ সালের ভাঙনে সেখান থেকে বর্তমান স্থানে সেমি পাকা বিদ্যালয়টি নির্মাণ করা হয়। কিন্তু আবারও প্রতিষ্ঠানটি ভাঙনের কবলে পড়েছে। এ অবস্থায় ভাঙনের আতঙ্কে বিদ্যালয়টির মালামাল সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে অন্য জায়গায়। বিভিন্ন সময় তিস্তা ভাঙতে ভাঙতে সেখানকার বসবাসরত পরিবারগুলো অন্য স্থানে চলে যাওয়ায় কমতে কমতে বর্তমানে বিদ্যালয়ে মোট ৭০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। আর শিক্ষক রয়েছেন ছয়জন।
স্থানীয়রা জানান, গত বছরের বন্যায় স্কুলের পার্শ্ববর্তী প্রায় ৫০ পরিবার বাস্তুহারা হয়েছে।
বাবলু মিয়া নামে এক অভিভাবক বলেন, ‘৩০ বছর থাকি এঁটে কোনা আছনো এই ভাঙনোত গতবার বাড়ি সরে নিয়া গেছি। এই স্কুলটায় দীর্ঘদিন থাকি ছওয়াগুলা পড়েচোল। আগোত এটেকোনা ২৫০ থেকে ৩০০ ছওয়া ছিল। এই নদীভাঙনের জন্য বাচ্ছা কমি গেইছে। বাচ্ছাদের ভবিষ্যৎ নিয়া অনদিষাত পড়নো। পানি উন্নয়ন বোর্ড যদি নদীটা শাসন করিল হয় তাহলে আর হামার ছাওয়ার ভবিষ্যৎ নিয়া চিন্তা করা লাগিল না হয়।’
বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী রানা বলে, ‘আগে আমরা এখনে বন্ধুদের সঙ্গে খেলতাম, একসঙ্গে পড়াশোনা করতাম। এখন স্কুল দূরে নিয়ে যাওয়ায় আমাদের এখন কষ্ট হবে।’
বিদ্যালয়ের সহকারী ইলিয়াছ হোসেন বলেন, ‘যেহেতু তিস্তার ভাঙন খুব কাছাকাছি। তাই আমরা ইউএনও, শিক্ষা অফিসার, সহকারী শিক্ষা অফিসারের অনুমতি নিয়ে বিদ্যালয়ের মালামাল সরিয়ে নিচ্ছি। এখানে আগে অনেক বাড়ি ছিল সব ভেঙে গেছে, এখানে আর কোনো লোকজন থাকে না। তাই শিক্ষার্থীরা আসতে চায় না। ভাঙনের কারণে শিক্ষার্থী সংখ্যা দিন দিন কমছে। যেহেতু ভাঙন সন্নিকটে তাই আমরা টিন, অ্যাঙ্গেল এগুলো অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছি। বর্তমানে অস্থায়ীভাবে অন্য জায়গায় ঘর তুলে শিক্ষা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।’
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নাগমা সিলভিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তিস্তার ভাঙনের মুখে পড়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সেখানের স্থানীয় লোকজন এবং শিক্ষা কমিটির সঙ্গে কথা বলে স্কুলের জিনিসপত্র নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। আমরা একটি নিরাপদ স্থান দেখে পুনরায় ভবন নির্মাণের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করব।’
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, যেহেতু নদীর ভাঙন বিদ্যালয়ের একদম কাছে চলে এসেছে। সেহেতু এ মুহূর্তে সেখানে কাজ করা সম্ভব নয়। তারপরও প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অনুমতি পেলে কাজ করা হবে।
এদিকে তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার নিচে নামলেও রংপুরের গঙ্গাচড়ার তিস্তাপারে ছয় ইউনিয়নে কমেনি পানি। শিশুদের মাঝে দেখা দিয়েছে পানিবাহিত রোগ। অনেকে আশ্রয় নিয়েছেন রাস্তার ধারে।
লক্ষ্মীটারি ইউনিয়নের চর কেল্লারপার এলাকার মেনেকো বেগম (৫০) নামের এক নারী বলেন, ‘তিন-চার দিন থাকি বাড়িত যাবার পাইচোল না, মানুষের বাড়িত রান্না করি আনি খাইচোল, কালক্যা রাইতোত একনা একটে থাকি রান্না করি আনছি তায় সকালে খেয়া আছি।’
মেনেকো বেগম আরও জানান, নলকূপ, টয়লেটে পানি ওঠায় বিশুদ্ধ পানির সংকট ও স্যানিটেশন সমস্যায় পড়ছেন তাঁরা।
বাঁধের ধারে বসে শিশুকে ওষুধ খাওয়াচ্ছে জুলেখা নামের এক নারী। তাঁর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, বন্যার পানির কারণে তাঁর কোলের শিশুর ডায়রিয়া হয়েছে।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) উন্নয়নকাজে চরম ধীরগতি ও সেবায় অব্যবস্থাপনার অভিযোগ তুলেছেন ঠিকাদারেরা। তাঁদের অভিযোগ, বিল পরিশোধে দীর্ঘসূত্রতার কারণে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প কার্যত থমকে আছে। কোথাও কোথাও কাজ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। এতে শহরে ট্রাফিক জ্যাম বেড়েছে। নাগরিক সেবায়ও ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে।
২ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ৩০০ ফুট সড়কে বিশ্বের অন্যতম বিলাসবহুল ও দামি গাড়ি রোলস রয়েস স্পেকটার দুর্ঘটনার নেপথ্যে কুকুর। হঠাৎ দৌড়ে সড়কে চলে আসা একটি কুকুরকে পাশ কাটাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি উঠে পড়ে সড়ক বিভাজকে। এতে গাড়ির চার আরোহীই আহত হয়েছেন। গাড়িটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেআড়াই শ মিটার সড়ক সংস্কারের কাজ ফেলে রেখে ঠিকাদার উধাও হয়েছেন আট মাস আগে। যাতায়াতের কষ্টে গ্রামের চার হাজার মানুষকে পড়তে হচ্ছে অবর্ণনীয় দুর্ভোগে। রাস্তায় বৃষ্টির পানি আর কাদায় একাকার হয়ে পড়ায় গ্রামের মানুষের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার পথে। দুর্ভোগ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে ওই গ্রামে কোনো অনুষ্ঠানে
২ ঘণ্টা আগেঅবৈধ দখলে অস্তিত্বের সংকটে পড়েছে গাজীপুরের ‘ফুসফুস’ খ্যাত বেলাই বিল। উচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য করে বিল ভরাটের অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালী ‘নর্থ সাউথ’ ও ‘তেপান্তর’ নামের দুটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। রাতের আঁধারে শুরু হওয়া এই দখলের কাজ এখন দিনের আলোতেও চলছে। স্থানীয় প্রশাসন এই দুটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে
২ ঘণ্টা আগে