Ajker Patrika

কুড়িগ্রামে লোকালয় থেকে নামছে পানি, বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
আপডেট : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫: ৩৪
Thumbnail image

তিস্তার পানি লোকালয় থেকে দ্রুত নেমে যাওয়ায় দুই দিনেই কুড়িগ্রামের নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। সাময়িক বন্যায় আক্রান্ত জেলার রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের দুটি ওয়ার্ডের বেশির ভাগ বসতভিটা থেকে পানি নেমে গেছে। তবে বসতভিটা ও সড়কে কাদা-পানি থাকায় মানুষের ভোগান্তি শেষ হয়নি। আজ সোমবার রাজারহাটের বন্যাদুর্গত কয়েকটি গ্রামে খোঁজ নিয়ে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কুড়িগ্রামের নিয়ন্ত্রণকক্ষ জানায়, আজ দুপুর ১২টায় ধরলা, তিস্তা ও দুধকুমার নদের পানি কমছে। দুপুর ১২টায় তিস্তা নদীর পানি কমে রংপুরের কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। অন্য নদ–নদীর পানিও কমছে। জেলায় কোনো নদী বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবহমান নেই।

এর আগে গত গত শনিবার দুপুর থেকে তিস্তার পানিতে ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের দুটি ওয়ার্ডের পাঁচ শতাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়ে। গতকাল রোববার দিনভর পানিবন্দী জীবন যাপন করলেও রাত থেকে পানি কমতে শুরু করে। আজ সকালের পর বেশির ভাগ বসতভিটা থেকে পানি নেমে যায় বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।

ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের বড় দরগা গ্রামের বাসিন্দা বিউটি বেগম বলেন, ‘রবিবার দিনভর ঘরে পানি আছিল। রাইতে কমা শুরু করছে। সকাল হইতে হইতে পানি নামি গেইছে। এলা ঘরবাড়িত খালি কাদো (কাদা)।’

খিতাবখা গ্রামের তিস্তার তীরবর্তী বাসিন্দা মনোয়ারা বেগম বলেন, ‘আমার বাড়িতে পানি ঢোকে নাই। তবে চারপাশে পানি ছিল। আইজ পানি মেলা (অনেক) নামি গেইছে।’

‘আজ সকাল থেকে বড় দরগা খিতাবখা ও গতিয়াশাম গ্রামের বেশ কিছু স্থানে ঘুরেছি। বেশির ভাগ বাড়ি থেকে পানি নেমে গেছে। তবে বাড়ির আঙিনা ও রাস্তায় প্রচুর কাদা। এমন পরিস্থিতিতে আজ দুপুরে আবারও বৃষ্টি শুরু হলে মানুষের ভোগান্তি বেড়ে যায়।’ বলেন, একই ইউনিয়নের বাসিন্দা কলেজশিক্ষার্থী তানজিম।

ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের (ইউপি) সদস্য মামুনুর রশিদ বলেন, ‘আজ সকালে প্রায় এক দেড় ফুট পানি কমে গেছে। তবে এখনো শতাধিক পরিবার পানিবন্দী। আমার ওয়ার্ডের স্লুইচ গেইট ও মাঝেরচর গ্রামের অনেক বাড়িঘরে পানি আছে।’

ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের ভাটিতে উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়ন। সেখানে বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা করা হলেও দ্রুত পানি নেমে যাওয়ায় তেমনটা হয়নি। তবে তিস্তার একেবারে নিচু এলাকায় কয়েকটি পরিবারের বসতভিটায় পানি রয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

ইউনিয়নের চতুরা মৌজার বাসিন্দা মিলন মিয়া বলেন, ‘পানি অনেক নেমে গেছে। ওপারে কয়েক বাড়িতে পানি থাকলেও বেশির ভাগ বসতভিটায় পানি নাই। তবে বাড়িঘরে কাদা আছে। মানুষ গোছগাছ (পরিচর্যা) করছে।’

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বরাতে কুড়িগ্রাম পাউবো আজ দুপুরে জানিয়েছে, রংপুর বিভাগ ও এর উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমে গেছে। ধরলা, তিস্তা ও দুধকুমার নদীর পানি কমছে। আগামী তিন দিন এসব নদ-নদীর আরও পানি কমতে পারে। ফলে নদীসংলগ্ন চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নারীদের খেলায় আর নাক গলাবে না, দেশ ও বিশ্ববাসীর কাছে ক্ষমা চাইল ভাঙচুরকারীরা

বিয়ে করলেন সারজিস আলম

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লড়ছে শ্রীলঙ্কা, ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচ কোথায় দেখবেন

ইতালি নেওয়ার কথা বলে লিবিয়ায় ফরিদপুরের ২ জনকে গুলি করে হত্যা

সাবেক শিক্ষার্থীর প্রাইভেট কারে ধাক্কা, জাবিতে ১২ বাস আটকে ক্ষতিপূরণ আদায় ছাত্রদলের

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত