Ajker Patrika

উদ্বোধনের অপেক্ষায় মুক্তিযোদ্ধাদের নামে পীরগঞ্জের ৭ সড়ক 

প্রতিনিধি, পীরগঞ্জ (রংপুর)
উদ্বোধনের অপেক্ষায় মুক্তিযোদ্ধাদের নামে পীরগঞ্জের ৭ সড়ক 

পীরগঞ্জে ৭ বীর মুক্তিযোদ্ধার নামে তৈরি করা সড়কগুলো উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সরাসরি অথবা ভার্চ্যুয়ালি সড়কগুলো উদ্বোধন করবেন স্পিকার ডক্টর শিরিন শারমিন চৌধুরী এমপি। 

৭ বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম হল-প্রফেসর ড. নুরুল ইসলাম (মরহুম), চেয়ারম্যান নুরুল হক, জিল্লুর রহমান সরকার, আনছার আলী, মশিউর রহমান, সেকেন্দার আলী (মরহুম) ও নুরুল ইসলাম। 

ইউনিয়নটির চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল হক বলেন, পীরগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার উত্তরে রংপুর-ঢাকা মহাসড়কে (বিশ্বরোড) বড়দরগা বাসস্ট্যান্ড। ওই বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন উত্তর-পশ্চিমেই উপজেলার যুদ্ধবিধ্বস্ত গ্রাম ছোট মির্জাপুর। ১৯৭১ এ পাকিস্তানি বাহিনী প্রায় গোটা গ্রাম পুড়ে দেয়। ছোট মির্জাপুর গ্রামেই ৭ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন। তাঁরা ভারতে প্রশিক্ষণ শেষে দেশে এসে ৬ নম্বর সেক্টরের অধীনে মুক্তিযুদ্ধ করেন। চলতি বছরের ১৭ জুলাই সড়কগুলোর নামকরণের পর মুক্তিযোদ্ধা এবং এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে নামফলকগুলো সড়কে স্থাপন করা হয়েছে।

৭ বীরের নামে নামকরণকৃত সড়কগুলো হল-বিশ্বরোড থেকে পাতারিটারী ভায়া ছোট মির্জাপুরগামী ১ কিলোমিটার পর্যন্ত 'মশিউর রহমান সড়ক', বিশ্বরোড থেকে ছোট মির্জাপুর উচ্চ বিদ্যালয় ভায়া ছোট মির্জাপুরগামী ১ কিলোমিটার পর্যন্ত 'নুরুল ইসলাম সড়ক', বড়দরগাহ থেকে মথুরাপুরগামী ৩ কিলোমিটার পর্যন্ত 'জিল্লুর রহমান সড়ক', বড়দরগাহ-ভেন্ডাবাড়ী সড়ক থেকে ট্যাংক রোড দেড় কিলোমিটার পর্যন্ত 'নুরুল হক সড়ক (চেয়ারম্যান) ', বিশ্বরোড থেকে শাহাপাড়া হাজীপুরগামী ৩ কিলোমিটার পর্যন্ত 'সেকেন্দার আলী সড়ক', বড়দরগাহ-শানেরহাটগামী দেড় কিলোমিটার পর্যন্ত 'আনছার আলী সড়ক' এবং বিশমাইল থেকে গুর্জিপাড়াগামী ৩ কিলোমিটার পর্যন্ত 'নুরুল ইসলাম সড়ক'। 

পীরগঞ্জে ৭ বীর মুক্তিযোদ্ধার নামে তৈরি করা হয়েছে সাতটি সড়কএ বিষয়ে গুর্জিপাড়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম বলেন, আমাদের সহযোদ্ধা চেয়ারম্যান নুরুল হকের চিন্তা চেতনা থেকে পীরগঞ্জের মধ্যে আমরাই একমাত্র বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামে সড়কের নামকরণ করেছি। এ জন্য চেয়ারম্যানকে ধন্যবাদ জানাই। 

বীর মুক্তিযোদ্ধা মশিউর রহমান বলেন, উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা মুক্তিযোদ্ধাদের নামে তৈরিকৃত সড়কগুলো পাকা ও সংস্কারের জন্য স্থানীয় এমপি স্পিকার ডক্টর শিরিন শারমিন চৌধুরীর কাছে অনুরোধ করছি। 

মুক্তিযোদ্ধাদের নামে সড়কের নামকরণের উদ্যোক্তা চেয়ারম্যান নুরুল হক বলেন, মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করে রাখতে এবং আগামী প্রজন্মকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতেই আমি নিজস্ব অর্থায়নে আমার ইউনিয়নে ও গ্রামে সাত বীর মুক্তিযোদ্ধার নামে ৭টি সড়কের নামকরণ করেছি। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলেও সড়কগুলো উদ্বোধন করা হবে।

চেয়ারম্যান নুরুল হক আরও বলেন, দেশের সব মুক্তিযোদ্ধার কবরের ডিজাইন একই করার পরিকল্পনা সরকার গ্রহণ করায় প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। 

উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুস সাত্তার মণ্ডল বলেন, উপজেলায় প্রথম বড়দরগাহ ইউনিয়নে মুক্তিযোদ্ধাদের নামে সড়কের নামকরণ হওয়ায় আমরা আনন্দিত। জীবনের শেষ বয়সে মুক্তিযোদ্ধাদের এমন সম্মানে আমরা অভিভূত। আগামী প্রজন্ম মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করলে পরপারে আমাদের আত্মা সন্তুষ্টি পাবে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস ৩৩০, এয়ারক্র্যাফট দাঁড়াল ২৫টিতে

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

আজকের রাশিফল: আপন গোপন তথ্য সামলে রাখুন, প্রচুর ভালোবাসুন

গাজায় যুদ্ধবিরতি ভেঙে এক দিনে ১৫৩ টন বোমা ফেলেছে ইসরায়েল

ঝালকাঠিতে পদ স্থগিত নেতাদের নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতার সভা: দলে ক্ষোভ ও বিভক্তি বাড়ছে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ত্রিভুজ প্রেম থেকে মুক্তি পেতেই জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করে ছাত্রী: পুলিশ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা
ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎রাজধানীর পুরান ঢাকায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা মো. জোবায়েদ হোসেন হত্যার পরিকল্পনা প্রায় এক মাসে আগেই করেছিল তাঁর ছাত্রী ও তার বন্ধু মাহির রহমান। মাহিরের ছুরিকাঘাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান জোবায়েদ। তবে মৃত্যুর আগে জোবায়েদ তার ছাত্রীর কাছে শেষ মুহূর্তে বাঁচার আকুতি জানায়। এ সময় জোবায়েদকে ছাত্রী বলে, ‘তুমি না সরলে আমি মাহিরের হতে পারব না’। এর কিছু সময় পরই অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মারা যান জোবায়েদ।

এই ঘটনায় ছাত্রী তার বন্ধু মো. মাহির রহমান ও তাঁর বন্ধু ফারদিন আহমেদ আইলানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ‎

আজ ‎মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) এস এন নজরুল ইসলাম ও ডিএমপির লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মল্লিক আহসান উদ্দিন সামী। ‎

‎অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, মাহির একই ভবনে ভাড়া থাকতেন। মাহির ও ছাত্রীর দীর্ঘদিনের পরিচয়। তবে তারা প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছে দেড় বছর আগে। জোবায়েদ এক বছর ধরে ওই মেয়েকে পড়াতেন। পড়ার সময় জোবায়েদের প্রতি দুর্বল হয়ে যায় সে। এমন অবস্থায় মাহিরকে ওই ছাত্রী বলে, ‘জোবায়েদকে না সরাতে পারলে আমি তোমার হতে পারব না’। এভাবেই তারা জোবায়েদকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করে। ‎

পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, ওই ছাত্রী একই সময়ে তার গৃহশিক্ষক জোবায়েদ ও মাহিরের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছিল। গত ২৬ সেপ্টেম্বর মাহির বিষয়টি নিয়ে মেয়েটিকে চাপ প্রয়োগ করলে সেদিনই গৃহশিক্ষক জোবায়েদকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করে তারা। পরবর্তীতে মাহির ও তাঁর বন্ধু আইলান চাকু কিনে গত ১৯ অক্টোবর ওই মেয়ের বাসার নিচে অবস্থান নেন। আর মেয়েটি তার শিক্ষক জোবায়েদকে ডেকে আনে। এরপরই মেয়েটির বাসার সিঁড়িঘরে মাহির জোবায়েদকে বলে, তাকে যেন ভুলে যায়। এ নিয়ে তর্কাতর্কি হলে জোবায়েদ বলেন, ‘সে তো আমাকে পছন্দ করে’। একপর্যায়ে জোবায়েদকে চাকু দিয়ে গলায় পোচ দেন মাহির।

মল্লিক আহসান বলেন, জোবায়েদের প্রতি বেশি দুর্বলতা থাকলেও মেয়েটি একই সঙ্গে মাহির ও জোবায়েদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছিল। ত্রিভুজ প্রেম থেকে বের হতে নিজেই হত্যার পরিকল্পনা সাজায় মেয়েটি।

‎মাহিরকে তাঁর মা থানায় হস্তান্তরের বিষয়ে পুলিশ কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আসলে আসামি গ্রেপ্তারে পুলিশের নানা ধরনের কৌশল থাকে। আগে চট্টগ্রামের রাউজানে নিয়মিত শিক্ষার্থী অপহরণ হতো, মুক্তিপণ আদায় করা হতো। আমরা তখন অপহরণকারীদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এসে তাদের ব্যবহার করে সমঝোতার চেষ্টা করতাম। ঠিক এভাবেই আমরা মাহিরকে থানায় দিয়ে যেতে চাপ প্রয়োগ করেছি। এটা আমাদের কৌশলের অংশ। স্বেচ্ছায় থানায় হস্তান্তর করা হয়নি।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘হত্যার পুরো পরিকল্পনা করেছে মেয়েটিই। বরগুনার মিন্নির ঘটনার সঙ্গে অনেকাংশ মিল রয়েছে। মেয়েটা দুজনের কারও কাছ থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিতে পারছিল না। ফলে সে নিজেই হত্যার পরিকল্পনা সাজায়।’

‎হত্যার পরিকল্পনায় রাজনৈতিক কোনো বিষয় ছিল কিনা জানতে চাইলে অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, ‘মাহির ও মেয়েটি ২৬ সেপ্টেম্বর হত্যার পরিকল্পনা করে। এখানে রাজনৈতিক কোনো বিষয় নেই। এটা ত্রিভুজ প্রেমের ঘটনা।’

‎হত্যার মুহূর্তে জোবায়েদকে মেয়েটির শেষ কথার বিষয়ে লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মল্লিক আহসান বলেন, ‘মেয়েটি আমাদের নিশ্চিত করেছে যে জোবায়েদ মারা যাওয়ার সময় সে উপস্থিত ছিল।’

প্রাথমিক ‎তদন্তের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, জোবায়েদের শেষ কথা ছিল মেয়েটিকে উদ্দেশ করে—’আমাকে বাঁচাও’। মেয়েটি তখন জোবায়েদের উদ্দেশে বলে, ’ তুমি না সরলে আমি মাহিরের হব না’। তদন্তে প্রকাশ পায়, দোতলার সিঁড়িতে জোবায়েদকে ছুরিকাঘাত করা হয়। এ সময় সে বাঁচার আকুতি জানিয়েছিল। মেয়েটির বাসা পাঁচতলায় হলেও ঘটনার সময় সে তিনতলার সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে নিচের হত্যাকাণ্ড প্রত্যক্ষ করেছে।

‎জোবায়েদ দোতলার কলিং বেল বাজিয়ে দরজায় ধাক্কা দেন। দরজা থেকে রক্ত নিচে গড়িয়ে পড়ছিল।

জোবায়েদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ১৯-২০ শিক্ষা বর্ষের ছাত্র ১৫ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার হোমনায় কৃষ্ণপুর গ্রামে। গতকাল জোবায়েদকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস ৩৩০, এয়ারক্র্যাফট দাঁড়াল ২৫টিতে

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

আজকের রাশিফল: আপন গোপন তথ্য সামলে রাখুন, প্রচুর ভালোবাসুন

গাজায় যুদ্ধবিরতি ভেঙে এক দিনে ১৫৩ টন বোমা ফেলেছে ইসরায়েল

ঝালকাঠিতে পদ স্থগিত নেতাদের নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতার সভা: দলে ক্ষোভ ও বিভক্তি বাড়ছে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

উত্তরায় আওয়ামী লীগের একাধিক মিছিল, ককটেলসহ আটক ৮

উত্তরা-বিমানবন্দর (ঢাকা) প্রতিনিধি 
আজ সকালে উত্তরায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগের একাধিক বিক্ষোভ মিছিল থেকে ৮ জনকে আটক করে পুলিশ। ছবি: ডিএমপি
আজ সকালে উত্তরায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগের একাধিক বিক্ষোভ মিছিল থেকে ৮ জনকে আটক করে পুলিশ। ছবি: ডিএমপি

রাজধানীর উত্তরায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগের একাধিক বিক্ষোভ মিছিল ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এসব মিছিল থেকে অবিস্ফোরিত দু’টি ককটেলসহ ৮ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে উত্তরার জসীম উদদীন রোড, রাজলক্ষ্মী ও হাউস বিল্ডিং এলাকায় এসব মিছিল ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উত্তরা রাজলক্ষ্মী এলাকায় সকাল সোয়া ১০টার দিকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। মিছিলে ১৫/১৬ জন উপস্থিত ছিল। ওই সময় স্থানীয় জনতা তাদের ধাওয়া করে দু’জনকে আটক করে। পরে তাদের গণধোলাই দিয়ে পুলিশে হস্তান্তর করা হয়।

অপরদিকে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হাউস বিল্ডিং সংলগ্ন ৮ নম্বর সেক্টরের পুলিশ স্টাফ কোয়ার্টারের পাশের সড়কে আরেকটি বিক্ষোভ মিছিল করে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। ওই মিছিলের পর সেখান থেকে অবিস্ফোরিত দু’টি ককটেল উদ্ধার করে পুলিশ।

একই সময় উত্তরার জসীম উদদীন রোড এলাকায় বিক্ষোভ মিছিলের চেষ্টা করে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। তবে মিছিল করতে না পেরে তারা পর পর দু’টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়।

ডিএমপির উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ৮ নম্বর সেক্টরে কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল ও নাশকতার চেষ্টা করলে জনতার সহযোগিতায় ৬ জনকে আটক করা হয়। সেই সঙ্গে ঘটনাস্থল থেকে দু’টি অবিস্ফোরিত ককটেল সদৃশ বস্তু পাওয়া যায়। এগুলো নিষ্ক্রিয় করতে ডিএমপির বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটকে খবর দেওয়া হয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস ৩৩০, এয়ারক্র্যাফট দাঁড়াল ২৫টিতে

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

আজকের রাশিফল: আপন গোপন তথ্য সামলে রাখুন, প্রচুর ভালোবাসুন

গাজায় যুদ্ধবিরতি ভেঙে এক দিনে ১৫৩ টন বোমা ফেলেছে ইসরায়েল

ঝালকাঠিতে পদ স্থগিত নেতাদের নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতার সভা: দলে ক্ষোভ ও বিভক্তি বাড়ছে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পিরোজপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

পিরোজপুর প্রতিনিধি
পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালত। ছবি: আজকের পত্রিকা
পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালত। ছবি: আজকের পত্রিকা

পিরোজপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে মো. ফিরোজ আলম নামের এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে পিরোজপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. মজিবুর রহমান আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন। একই সঙ্গে তাঁকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও আট মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।  

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার ভোরা গ্রামের মৃত মোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে মো. ফিরোজ আলম।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, দণ্ডপ্রাপ্ত ফিরোজ আলমের সঙ্গে ১৯৯৭ সালে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার পৈকখালী গ্রামের মৃত আমীর মল্লিকের মেয়ে বিউটি বেগমের বিয়ে হয়। এ দম্পতির মধ্যে পারিবারিক কলহের জেরে ২০১৯ সালের ৫ অক্টোবর রাতে ফিরোজ আলম তাঁর স্ত্রী ছয় সন্তানের জননী বিউটিকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে। হত্যার দায় থেকে নিজে বাঁচতে জমিজমা নিয়ে বিরোধ থাকা প্রতিবেশীদের ফাঁসানোর চেষ্টা করেন ফিরোজ।

হত্যার ঘটনায় বিউটির ভাই মো. ইউনুস মল্লিক বাদী হয়ে ফিরোজকে নামীয় এবং কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে ভান্ডারিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পরে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে। পুলিশ তদন্ত করে ফিরোজের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয়। সাক্ষ্য-প্রমাণে সে দোষী সাব্যস্ত হলে আদালত এ রায় দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পাবলিক প্রসিকিউটর) আবুল কালাম আকন বলেন, ‘আমরা এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস ৩৩০, এয়ারক্র্যাফট দাঁড়াল ২৫টিতে

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

আজকের রাশিফল: আপন গোপন তথ্য সামলে রাখুন, প্রচুর ভালোবাসুন

গাজায় যুদ্ধবিরতি ভেঙে এক দিনে ১৫৩ টন বোমা ফেলেছে ইসরায়েল

ঝালকাঠিতে পদ স্থগিত নেতাদের নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতার সভা: দলে ক্ষোভ ও বিভক্তি বাড়ছে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সাইবার অপরাধ মামলায় সাবেক সমন্বয়ক গ্রেপ্তার

বগুড়া প্রতিনিধি
সাবেক সমন্বয়ক সাকিব খান। ছবি: সংগৃহীত
সাবেক সমন্বয়ক সাকিব খান। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়া জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সাকিব খানকে (২০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার ভোরে ঢাকার শাহবাগ থানা-পুলিশ বগুড়া শহরের নারুলী এলাকায় তাঁর বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে ঢাকায় নিয়ে যায়।

বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান বাসির এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ওসি বলেন, ঢাকার শাহবাগ থানায় দায়ের করা সাইবার অপরাধ মামলায় সাকিব খানকে গ্রেপ্তারের জন্য শাহবাগ থানা-পুলিশ বগুড়ায় আসে। পরে সদর থানা-পুলিশকে মামলার বিষয় জানিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহবাগ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আসাদুজ্জামান বলেন, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরীকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখালেখি করার অভিযোগে ২০ অক্টোবর শাহবাগ থানা-পুলিশ বাদী হয়ে সাকিব খানসহ অজ্ঞাত কয়েকজনের নামে থানায় মামলা করে। সেই মামলায় সাকিব খানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস ৩৩০, এয়ারক্র্যাফট দাঁড়াল ২৫টিতে

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

আজকের রাশিফল: আপন গোপন তথ্য সামলে রাখুন, প্রচুর ভালোবাসুন

গাজায় যুদ্ধবিরতি ভেঙে এক দিনে ১৫৩ টন বোমা ফেলেছে ইসরায়েল

ঝালকাঠিতে পদ স্থগিত নেতাদের নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতার সভা: দলে ক্ষোভ ও বিভক্তি বাড়ছে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত