Ajker Patrika

গঙ্গাচড়ায় প্রধান শিক্ষক পরিমলের অনিয়ম করার সত্যতা মিলেছে তদন্তে

রংপুর, বদরগঞ্জ ও গঙ্গাচড়া প্রতিনিধি
আপডেট : ০৯ মে ২০২৩, ২০: ৫৪
গঙ্গাচড়ায় প্রধান শিক্ষক পরিমলের অনিয়ম করার সত্যতা মিলেছে তদন্তে

রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার উত্তর খলেয়া পন্ডিতপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পরিমল কুমার সরকারের বিরুদ্ধে স্যান্ডো গেঞ্জি পরে বিদ্যালয়ে আসা, স্লিপ বরাদ্দের অর্থ আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অনিয়মের সত্যতা পেয়েছে দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি। কমিটির প্রধান উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমুল হুদা সম্প্রতি তদন্ত প্রতিবেদন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে জমা দেন।

গত ২১ মার্চ প্রধান শিক্ষক পরিমলের বিরুদ্ধে মনিরুল ইসলাম নামের স্থানীয় এক অভিভাবক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ওই অভিযোগের মধ্যে ছিল বিদ্যালয়ে নিয়মিত প্রধান শিক্ষকের না আসা, স্যান্ডো গেঞ্জি পরে বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসা, স্কুলমাঠে ধান কাটা-মাড়াই করে শ্রেণিকক্ষে ধান রাখা, ভুয়া ভাউচারে বরাদ্দের অর্থ আত্মসাৎ, বিদ্যালয়ের ল্যাপটপ ও প্রজেক্টর বাড়িতে ভাড়া দেওয়া, স্কুলের টিন ও ফ্যান খুলে বাড়িতে নেওয়া, উপবৃত্তির টাকা আত্মসাৎসহ বেশ কিছু অভিযোগ।

 ২৭ মার্চ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদ তামান্নার নির্দেশে দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নাগমা শিলভীয়া খান। এতে উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমুল হুদাকে আহ্বায়ক ও উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আলি ইমরানকে সদস্য করা হয়। কমিটি তদন্ত করে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলোর বেশির ভাগের সত্যতা পান।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নাগমা শিলভীয়া খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের ৮০ ভাগ সত্যতা পাওয়া গেছে। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে সুপারিশ করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। আমার কাজ শেষ, এখন ব্যবস্থা নেবেন তাঁরা।’

ভালো পোশাক ছাড়া বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না বলে জানান রংপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ এম শাহজাহান সিদ্দিক। তিনি বলেন, ‘ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওঠা বিভিন্ন অভিযোগের সত্যতা পেয়েছি। তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুপারিশ করে তদন্ত প্রতিবেদন গত ৩ মে বিভাগীয় উপপরিচালকের কার্যালয়ে পাঠিয়েছি।’

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের বিভাগীয় উপপরিচালক (ডিডি) মো. মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ওই প্রধান শিক্ষকের তদন্ত প্রতিবেদন আমার টেবিলে এসেছে। তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। যাতে আর কোনো শিক্ষক এ রকম কাজ করার সাহস না পান।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘ওসি হয়েও আমার কম দামি ফোন, দামি ফোন নিয়ে ঘুরলে ছিনতাই তো হবেই’, ভুক্তভোগীকে মোহাম্মদপুরের ওসি

এনসিপির পদযাত্রা উপলক্ষে ‘স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত’, প্রধান শিক্ষকের দুই রকম বক্তব্য

মোহাম্মদপুর থানায় ভুক্তভোগীকে হেনস্তা: চার পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার, ৩ ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার

হিন্দু মন্দির নিয়ে কেন সংঘাতে জড়াল বৌদ্ধ-অধ্যুষিত থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া

বলিদান ও শয়তান পূজার বুদ্ধি দিল চ্যাটজিপিটি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত