সাদ্দাম হোসেন, ঠাকুরগাঁও
সীমান্তবর্তী জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে ফার্মেসিগুলোয় প্যারাসিটামল–জাতীয় ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে। ভোক্তারা বিভিন্ন ফার্মেসি ঘুরেও এজাতীয় ট্যাবলেট পাচ্ছেন না। জ্বর-সর্দি-কাশির এসব ওষুধ না থাকার সঠিক কারণ বলতে পারছেন না দোকানিরা।
গত শনি ও আজ রোববার সরেজমিনে জেলার সদর উপজেলার জগন্নাথপুর, খোঁচাবাড়ি, ২৯ মাইলসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, ফার্মেসিগুলোয় নাপা, নাপা এক্সট্রা, এইচ প্লাস, নাপা সিরাপ, জিংক ট্যাবলেটসহ প্যারাসিটামল–জাতীয় কয়েকটি ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে।
সদর উপজেলার খোঁচাবাড়ি এলাকার শাপলা গ্রামের মুদিদোকানি জব্বার হোসেন জানান, তাঁর ছেলের হঠাৎ করে জ্বর শুরু হয়। তিনি নাপা কিংবা নাপা এক্সট্রা ট্যাবলেট কেনার জন্য খোঁচাবাড়ি বাজারের কয়েকটি ফার্মেসিতে ঘুরেছেন। কোথাও এজাতীয় ট্যাবলেট পাননি তিনি।
রহিমানপুর এলাকার কীটনাশক ব্যবসায়ী খলিলুর রহমান বলেন, `আমার স্ত্রীর জন্য নাপা কিংবা নাপা এক্সট্রা কিনতে কয়েকটি ফার্মেসি ঘুরেছি। কোথাও পাইনি। এজাতীয় ওষুধই নেই।'
এদিকে চাহিদাপত্র নিয়ে দোকানে দোকানে ঘুরেও ওষুধ না পেয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছেন দূর–দূরান্ত থেকে আসা রোগী ও স্বজনেরা। চাহিদা অনুযায়ী ওষুধ না পেয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তাঁরা।
খোঁচাবাড়ি বাজারের মা ফার্মেসির স্বত্বাধিকারী হাসেম আলী বলেন, ‘চাহিদার তুলনায় কোম্পানিগুলো আমাদের ওষুধ সরবরাহ করতে পারছে না; বিশেষ করে নাপা ট্যাবলেট, নাপা সিরাপ, এইচ ট্যাবলেট ও এইচ সিরাপের চাহিদা অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় কয়েক গুণ বেড়ে গেছে।’
পাশের লুবনা ফার্মেসির মালিক হাসেম আলী জানান, এ সময়ে মানুষ জ্বরের ওষুধই নিচ্ছে বেশি। তিনি সীমিত পরিমাণে ওষুধ বিক্রি করছেন, যাতে সবাই ওষুধ পায়। তবে সরবরাহ স্বাভাবিক না হলে ওষুধের সংকট দেখা দেবে বলে জানান এই ব্যবসায়ী।
২৯ মাইল বাজারে মেসার্স শাহাদাত ফার্মেসির স্বত্বাধিকারী মো. সারোয়ার হোসেন বলেন, `হঠাৎ জ্বরের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় বেশির ভাগ দোকানের মজুত শেষ হয়ে গেছে। এ কারণে প্রায় ২০ দিন ধরে এই ওষুধগুলোর সাপ্লাই নেই।'
একই সুরে কথা বলছেন ওই বাজারের অধিকাংশ ফার্মেসি ব্যবসায়ী। তাঁরা জানান, ওষুধের চাহিদা দিয়েও কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে তা পাওয়া যাচ্ছে না।
এদিকে এজাতীয় ওষুধের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেক অসাধু ব্যবসায়ী নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে ওষুধ বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ ভোক্তাদের। সব দোকানে ওষুধ না থাকায় বাড়তি দামের সুযোগ নিচ্ছেন কিছু অসাধু দোকানি।
অন্যদিকে কোম্পানির প্রতিনিধিরা জানান, কোম্পানি থেকে সাপ্লাই বন্ধ আছে। আর এইচএক্সআর ট্যাবলেটও খুব সীমিত পরিমাণে সরবরাহ করছেন। এ জন্য এজাতীয় ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে।
ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জন ডা. মাহফুজার রহমান সরকার বলেন, `জেলা সরকারি হাসপাতালে নাপা ও প্যারাসিটামলজাতীয় ওষুধের কোনো ঘাটতি নেই। স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে ভোক্তাদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে নাপা ছাড়া একই গ্রুপের অন্য কোম্পানির ওষুধ নিতে।'
সীমান্তবর্তী জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে ফার্মেসিগুলোয় প্যারাসিটামল–জাতীয় ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে। ভোক্তারা বিভিন্ন ফার্মেসি ঘুরেও এজাতীয় ট্যাবলেট পাচ্ছেন না। জ্বর-সর্দি-কাশির এসব ওষুধ না থাকার সঠিক কারণ বলতে পারছেন না দোকানিরা।
গত শনি ও আজ রোববার সরেজমিনে জেলার সদর উপজেলার জগন্নাথপুর, খোঁচাবাড়ি, ২৯ মাইলসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, ফার্মেসিগুলোয় নাপা, নাপা এক্সট্রা, এইচ প্লাস, নাপা সিরাপ, জিংক ট্যাবলেটসহ প্যারাসিটামল–জাতীয় কয়েকটি ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে।
সদর উপজেলার খোঁচাবাড়ি এলাকার শাপলা গ্রামের মুদিদোকানি জব্বার হোসেন জানান, তাঁর ছেলের হঠাৎ করে জ্বর শুরু হয়। তিনি নাপা কিংবা নাপা এক্সট্রা ট্যাবলেট কেনার জন্য খোঁচাবাড়ি বাজারের কয়েকটি ফার্মেসিতে ঘুরেছেন। কোথাও এজাতীয় ট্যাবলেট পাননি তিনি।
রহিমানপুর এলাকার কীটনাশক ব্যবসায়ী খলিলুর রহমান বলেন, `আমার স্ত্রীর জন্য নাপা কিংবা নাপা এক্সট্রা কিনতে কয়েকটি ফার্মেসি ঘুরেছি। কোথাও পাইনি। এজাতীয় ওষুধই নেই।'
এদিকে চাহিদাপত্র নিয়ে দোকানে দোকানে ঘুরেও ওষুধ না পেয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছেন দূর–দূরান্ত থেকে আসা রোগী ও স্বজনেরা। চাহিদা অনুযায়ী ওষুধ না পেয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তাঁরা।
খোঁচাবাড়ি বাজারের মা ফার্মেসির স্বত্বাধিকারী হাসেম আলী বলেন, ‘চাহিদার তুলনায় কোম্পানিগুলো আমাদের ওষুধ সরবরাহ করতে পারছে না; বিশেষ করে নাপা ট্যাবলেট, নাপা সিরাপ, এইচ ট্যাবলেট ও এইচ সিরাপের চাহিদা অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় কয়েক গুণ বেড়ে গেছে।’
পাশের লুবনা ফার্মেসির মালিক হাসেম আলী জানান, এ সময়ে মানুষ জ্বরের ওষুধই নিচ্ছে বেশি। তিনি সীমিত পরিমাণে ওষুধ বিক্রি করছেন, যাতে সবাই ওষুধ পায়। তবে সরবরাহ স্বাভাবিক না হলে ওষুধের সংকট দেখা দেবে বলে জানান এই ব্যবসায়ী।
২৯ মাইল বাজারে মেসার্স শাহাদাত ফার্মেসির স্বত্বাধিকারী মো. সারোয়ার হোসেন বলেন, `হঠাৎ জ্বরের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় বেশির ভাগ দোকানের মজুত শেষ হয়ে গেছে। এ কারণে প্রায় ২০ দিন ধরে এই ওষুধগুলোর সাপ্লাই নেই।'
একই সুরে কথা বলছেন ওই বাজারের অধিকাংশ ফার্মেসি ব্যবসায়ী। তাঁরা জানান, ওষুধের চাহিদা দিয়েও কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে তা পাওয়া যাচ্ছে না।
এদিকে এজাতীয় ওষুধের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেক অসাধু ব্যবসায়ী নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে ওষুধ বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ ভোক্তাদের। সব দোকানে ওষুধ না থাকায় বাড়তি দামের সুযোগ নিচ্ছেন কিছু অসাধু দোকানি।
অন্যদিকে কোম্পানির প্রতিনিধিরা জানান, কোম্পানি থেকে সাপ্লাই বন্ধ আছে। আর এইচএক্সআর ট্যাবলেটও খুব সীমিত পরিমাণে সরবরাহ করছেন। এ জন্য এজাতীয় ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে।
ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জন ডা. মাহফুজার রহমান সরকার বলেন, `জেলা সরকারি হাসপাতালে নাপা ও প্যারাসিটামলজাতীয় ওষুধের কোনো ঘাটতি নেই। স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে ভোক্তাদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে নাপা ছাড়া একই গ্রুপের অন্য কোম্পানির ওষুধ নিতে।'
পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নতুন ভবন নির্মাণে ২০১৪ সালে প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছিল জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। প্রকল্পটির এক দশকে অর্থ বরাদ্দ ৫৪৬ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ৬৫১ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। শেষ হয়েছে বর্ধিত মেয়াদও। তবু কাজ শেষ হয়নি। এতে কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে জেলা
২ ঘণ্টা আগেটানা বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে উত্তরের নদ-নদীর পানি বেড়েছে; বিশেষ করে তিস্তা নদীর পানি বিভিন্ন পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করায় রংপুর বিভাগের অন্তত চার জেলায় বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও নীলফামারীর নদীতীরবর্তী নিম্নাঞ্চল এরই মধ্যে প্লাবিত হতে শুরু করেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড
২ ঘণ্টা আগেরাজশাহী শহরের অর্ধেকের বেশি তরুণ মানসিকভাবে ভালো নেই। বিষণ্নতায় ভুগছেন তাঁরা। গবেষকেরা বলছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেরংপুরের কাউনিয়ায় সারের নতুন দোকান উদ্বোধনকালে বিদ্যুতায়িত হয়ে দুজন মারা গেছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন। এর মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
৫ ঘণ্টা আগে